আফগানিস্তানে জোট বাহিনীর পরাজয় আল-কায়েদাকে শক্তিশালী করবে
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বলেছেন, আফগানিস্তানে জোট বাহিনীর পরাজয় জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদাকে শক্তিশালী করবে। তবে আফগান রণাঙ্গনে আরও সেনা পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে মার্কিন প্রশাসনের সময় লাগবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি গেটস পাকিস্তানকে আশ্বস্ত করেছেন, মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে না।
গত সোমবার জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গেটস বলেন, ‘তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানের বেশির ভাগ অংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তা আল-কায়েদার জন্য সুফল বয়ে আনবে। এতে জঙ্গিগোষ্ঠীটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।’ ওই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনও উপস্থিত ছিলেন।
গেটস বলেন, আফগানিস্তানে জোট বাহিনীর পরাজয় ঘটলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় বরং ন্যাটো ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও আল-কায়েদা বড় হুমকি হয়ে উঠবে। আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তকে ‘জিহাদ’-এর আধুনিক উত্সভূমি অভিহিত করে তিনি বলেন, গত শতকের আশির দশকে আফগান মুজাহিদরা তত্কালীন পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে দিয়েছিল। এখন আল-কায়েদার নেতারা আরেক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করার স্বপ্ন দেখছেন।
এর আগে একই দিন অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইউনাইটেড স্টেট আর্মির একটি বার্ষিক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে সেনা বাড়ানোর বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার শাসনামলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। সেজন্য এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ওবামা প্রশাসনের আরও কিছুটা সময় দরকার। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল সেখানে আরও ৪০ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর পরামর্শ দেন।
আফগান যুদ্ধ উদ্বেগজনক দিকে মোড় নিচ্ছে উল্লেখ করে রবার্ট গেটস বলেন, সেনা বাড়ানোর ব্যাপারে জেনারেল স্ট্যানলির পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তবে এ ধরনের পরামর্শ প্রকাশ্যে না দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি। গত সপ্তাহে ওবামা ডেনমার্ক সফরের সময় আফগান যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল স্ট্যানলির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রবার্ট গেটস পাকিস্তান সরকারকে আশ্বস্ত করেছেন যে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে না। আফগান যুদ্ধের কৌশল নিয়ে ওয়াশিংটন পর্যালোচনা শুরু করেছে। গেটস বলেন, হোয়াইট হাউসে আফগান যুদ্ধের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে স্বার্থের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে না। পাকিস্তানকে একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে অবস্থান করতে চায় এবং এর মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি আস্থা ও অংশীদারির সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।
আফগান যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান: আফগানিস্তানের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিকর্মীরা। গত সোমবার হোয়াইট হাউসের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তাঁরা এ আহ্বান জানান। ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর ননভায়োলেন্ট রেজিস্টেন্স নামের একটি সংগঠন ওই বিক্ষোভের আয়োজন করে। শান্তিকর্মীরা কিছুক্ষণ হোয়াইট হাউসের প্রধান ফটক অবরোধ করে রাখেন। ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্বাধীন জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করছে মার্কিন বাহিনী।
গত সোমবার জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গেটস বলেন, ‘তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানের বেশির ভাগ অংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তা আল-কায়েদার জন্য সুফল বয়ে আনবে। এতে জঙ্গিগোষ্ঠীটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।’ ওই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনও উপস্থিত ছিলেন।
গেটস বলেন, আফগানিস্তানে জোট বাহিনীর পরাজয় ঘটলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় বরং ন্যাটো ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও আল-কায়েদা বড় হুমকি হয়ে উঠবে। আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তকে ‘জিহাদ’-এর আধুনিক উত্সভূমি অভিহিত করে তিনি বলেন, গত শতকের আশির দশকে আফগান মুজাহিদরা তত্কালীন পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে দিয়েছিল। এখন আল-কায়েদার নেতারা আরেক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করার স্বপ্ন দেখছেন।
এর আগে একই দিন অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইউনাইটেড স্টেট আর্মির একটি বার্ষিক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে সেনা বাড়ানোর বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার শাসনামলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। সেজন্য এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ওবামা প্রশাসনের আরও কিছুটা সময় দরকার। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল সেখানে আরও ৪০ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর পরামর্শ দেন।
আফগান যুদ্ধ উদ্বেগজনক দিকে মোড় নিচ্ছে উল্লেখ করে রবার্ট গেটস বলেন, সেনা বাড়ানোর ব্যাপারে জেনারেল স্ট্যানলির পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তবে এ ধরনের পরামর্শ প্রকাশ্যে না দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি। গত সপ্তাহে ওবামা ডেনমার্ক সফরের সময় আফগান যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল স্ট্যানলির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রবার্ট গেটস পাকিস্তান সরকারকে আশ্বস্ত করেছেন যে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে না। আফগান যুদ্ধের কৌশল নিয়ে ওয়াশিংটন পর্যালোচনা শুরু করেছে। গেটস বলেন, হোয়াইট হাউসে আফগান যুদ্ধের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে স্বার্থের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে না। পাকিস্তানকে একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে অবস্থান করতে চায় এবং এর মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি আস্থা ও অংশীদারির সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।
আফগান যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান: আফগানিস্তানের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিকর্মীরা। গত সোমবার হোয়াইট হাউসের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তাঁরা এ আহ্বান জানান। ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর ননভায়োলেন্ট রেজিস্টেন্স নামের একটি সংগঠন ওই বিক্ষোভের আয়োজন করে। শান্তিকর্মীরা কিছুক্ষণ হোয়াইট হাউসের প্রধান ফটক অবরোধ করে রাখেন। ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্বাধীন জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করছে মার্কিন বাহিনী।
No comments