আরও সেনা চাই! -আফগানিস্তান by রবার্ট ফিস্ক
অবশেষে ওবামা ও ওসামা একই আখ্যানে অংশ নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির সমালোচকেরা, বিশেষত আফগানিস্তানে পশ্চিমা সামরিক দখলদারির ঘোর বিরোধীরা, কথা বলতে শুরু করেছেন ওবামার (এবং তাদেরও) সবচেয়ে বড় শত্রুর ভাষাতেই।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ও জেনারেল ডেভিড পেট্রোস মিলে ওবামাকে আফগানিস্তানের অতল অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন, আমেরিকায় এমন সন্দেহ ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।
এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে মার্কিনিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ওসামা গত সপ্তাহকে বেছে নিয়েছেন। নয়-এগারোর অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেতারবার্তায় ওসামা বলেন, ‘তোমরা এক নৈরাশ্যজনক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছ, এতে তোমাদের পরাজয় ঘটবেই। সময় এসেছে আতঙ্ক থেকে, নব্য রক্ষণশীল ও ইসরায়েলি লবির মতাদর্শিক সন্ত্রাস থেকে নিজেদের মুক্ত করার।’ ওসামার মতে, ওবামার ‘দুর্বলতা’ তাঁকে আফগানিস্তান ও ইরাকযুদ্ধ থেকে সরে আসতে দেয়নি। আফগানিস্তানে মুসলমান যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে পর্যুদস্ত করবে, ‘যেমন তারা ১০ বছর ধরে সোভিয়েত ইউনিয়নকে নিঃশেষিত করেছে, অবশেষে ধসে যাওয়া পর্যন্ত।’ মজার বিষয়, নয়-এগারোর চার বছর আগে এবং ২০০১ সালে আমু দরিয়া নদীর দক্ষিণে মার্কিন অভিযানের শুরুতে ঠিক এ কথাটাই আফগানিস্তানে বিন লাদেন আমাকে বলেছিলেন।
প্রায় দল বেঁধেই অনেক মার্কিনি সুর মেলাল ওবামার সঙ্গে। সর্বদাই তারা ‘অশুভ’ ইরানের বিপক্ষে এবং ইরাক আক্রমণে উল্লসিত উস্কানিদাতা ইসরায়েলকে প্রশ্ন করার সাহস তারা রাখে না। ‘আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে পারব বলে মনে হয় না’, বলেন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সভাপতি ক্যালিফোর্নাির ডেমোক্র্যাট ডিয়ানি ফেইনস্টেইন। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন না যে ‘আফগানিস্তানে আরও সেনা পাঠানোর পক্ষে খুব বেশি জনসমর্থন আছে।’
কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক কমিটির সভাপতি কলিন কেনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমরা দ্রুতবেগে ধাবিত হচ্ছি ভিয়েতনামের মতো পরিণতি বরণের দিকে।’
আপনার চোখ বন্ধ করুন আর ভাবুন, শেষের কথাগুলো আল-কায়েদার গুহা থেকে উত্সারিত হয়েছে বলে মনে হয় না? বিশ্বাস করা কঠিন, তাই না? শুধু ওবামার কাছে যেন এ বার্তা পৌঁছে না। তাঁর কাছে, এখনো এ ‘যুদ্ধ অপরিহার্য’। তাঁর জেনারেলরা আরও সেনা পাঠানোর আবেদন জানাচ্ছে। আর এই অর্থহীন যুক্তির অনুসরণই আমাদের দেখে যেতে হবে। তালেবানরা হেরেছে ২০০১ সালে। তারপর থেকে তারা জিততে শুরু করেছে। তারপর আমরা আফগান গণতন্ত্র রক্ষায় নামলাম। দ্বিতীয় দফার গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পাহারা দিতে হয়েছে আমাদের সেনাদের, তা করতে গিয়ে তারা জীবন দিয়েছে। একটি জোচ্চুরির নির্বাচনের জন্য তারা প্রাণ দিচ্ছে। ওবামা আমাদের আশ্বস্ত করছেন যে আফগানিস্তান ভিয়েতনাম নয়। আর তখনই এক জার্মান বাহিনী বিমান হামলা শুরু করলো—এবং আরও অনেক আফগান বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হলেন।
এবার কানাডীয় সেনাবাহিনীর দিকে দৃষ্টি ফেরানো যাক। আফগানিস্তানে কানাডার সেনাসংখ্যা ব্রিটিশদের থেকে কম, কিন্তু তারাও ভয়ংকর আঘাতের মোকাবিলা করেছে। গত সপ্তাহে কান্দাহারের কাছে তাদের ১৩০তম সেনাটি মারা গেছে। প্রতি তিন মাস অন্তর কানাডীয় কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানে তাদের সামরিক অগ্রগতির তথ্য প্রকাশ করে। এই দলিল পেন্টাগন বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দলিল থেকে অনেক বেশি সত্ ও বিস্তারিত। এই তথ্য সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে যে, এই অভিযানের লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব। আফগানিস্তানে কানাডার সামরিক অগ্রগতির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, কান্দাহার প্রদেশ আরও সহিংস, অস্থিতিশীল ও অনিরাপদ হয়ে উঠছে—এবং ২০০১ সালে তালেবানের পতনের পর যেকোনো সময়ের থেকে সারা দেশে হামলার ঘটনা বেড়েছে। ২০০৮ সালের তুলনায় এবার গ্রীষ্মে আক্রমণের তীব্রতা ছিল অনেক বেশি।
রাস্তার পাশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। আফগানরা বলছে, তারা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এই অসন্তুটির কারণ মূলত দুর্বল নিরাপত্তা বা নিরাপত্তাহীনতা। কানাডা এখন এই প্রদেশ নিয়ন্ত্রণের সত্যিকারের কোনো চেষ্টা বাদ দিয়ে শুধু কান্দাহার শহরের নিরাপত্তার দিকে মনোনিবেশ করেছে।
কানাডার সেনাবাহিনী আফগানিস্তান ছাড়বে ২০১১ সালে, কিন্তু এখন পর্যন্ত এর বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পের ৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র পাঁচটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর মাত্র ২৮টি ‘নির্মাণাধীন’। অথচ কান্দাহার প্রদেশের ৩৬৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮০টি বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। কান্দাহারের ‘গণতান্ত্রিক সুশাসন’ বিষয়ে অগ্রগতি প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামর্থ্যের দিক দিয়ে আফগান সরকার ‘ভীষণ র্দুবল এবং সর্বব্যাপ্ত দুর্নীতি তাকে আরও দুর্বল করছে।’
পোলিও নির্মূলের মতো প্রাথমিক লক্ষ্যেও পৌঁছানো যায়নি। আফগানিস্তানে অটোয়ার সবচেয়ে পছন্দের বেসামরিক প্রকল্পের এই পরিণতি স্বীকার করার ক্ষেত্রেও চলেছে ব্লেয়ার (বা ব্রাউনের) মতো রাখঢাকের খেলা। টরন্টো স্টার তা প্রকাশ করার পর জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এ প্রকল্পে পোলিও নির্মূলের স্থলে নীরবে চলে আসে পোলিও ‘সংক্রমণ প্রতিরোধ’। পোলিও থেকে কত শিশু নিরাপদ তা গণনার পরিবর্তে লক্ষ্য পরিবর্তন করে কতজন শিশু টিকা নিয়েছে তা উল্লেখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হলো।
বিন লাদেনের সর্বশেষ এই নসিহত যাদের উদ্দেশে আমেরিকার সেই রিপাবলিকান যুদ্ধবাজ নেতারা আফগানিস্তানের এই বিপর্যয়ে কী বলেন? ‘আরও সেনা আফগানিস্তানে সাফল্যের কোনো নিশ্চয়তা দেয় না,’ হেরে যাওয়া রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইন এ কথা বলেছেন গত সপ্তাহে। ‘কিন্তু সেনা পাঠাতে না পারা আমাদের ব্যর্থতাকে নিশ্চিত করবে।’ এমন উদ্ভট ঘোষণা যখন আল-কায়েদার অন্ধকার গুহার চারপাশে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, ওসামা নিশ্চয়ই মুখ টিপে হেসেছেন।
ইংরেজি থেকে অনূদিত
রবার্ট ফিস্ক: দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদদাতা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ও জেনারেল ডেভিড পেট্রোস মিলে ওবামাকে আফগানিস্তানের অতল অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন, আমেরিকায় এমন সন্দেহ ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।
এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে মার্কিনিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ওসামা গত সপ্তাহকে বেছে নিয়েছেন। নয়-এগারোর অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেতারবার্তায় ওসামা বলেন, ‘তোমরা এক নৈরাশ্যজনক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছ, এতে তোমাদের পরাজয় ঘটবেই। সময় এসেছে আতঙ্ক থেকে, নব্য রক্ষণশীল ও ইসরায়েলি লবির মতাদর্শিক সন্ত্রাস থেকে নিজেদের মুক্ত করার।’ ওসামার মতে, ওবামার ‘দুর্বলতা’ তাঁকে আফগানিস্তান ও ইরাকযুদ্ধ থেকে সরে আসতে দেয়নি। আফগানিস্তানে মুসলমান যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে পর্যুদস্ত করবে, ‘যেমন তারা ১০ বছর ধরে সোভিয়েত ইউনিয়নকে নিঃশেষিত করেছে, অবশেষে ধসে যাওয়া পর্যন্ত।’ মজার বিষয়, নয়-এগারোর চার বছর আগে এবং ২০০১ সালে আমু দরিয়া নদীর দক্ষিণে মার্কিন অভিযানের শুরুতে ঠিক এ কথাটাই আফগানিস্তানে বিন লাদেন আমাকে বলেছিলেন।
প্রায় দল বেঁধেই অনেক মার্কিনি সুর মেলাল ওবামার সঙ্গে। সর্বদাই তারা ‘অশুভ’ ইরানের বিপক্ষে এবং ইরাক আক্রমণে উল্লসিত উস্কানিদাতা ইসরায়েলকে প্রশ্ন করার সাহস তারা রাখে না। ‘আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে পারব বলে মনে হয় না’, বলেন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সভাপতি ক্যালিফোর্নাির ডেমোক্র্যাট ডিয়ানি ফেইনস্টেইন। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন না যে ‘আফগানিস্তানে আরও সেনা পাঠানোর পক্ষে খুব বেশি জনসমর্থন আছে।’
কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক কমিটির সভাপতি কলিন কেনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমরা দ্রুতবেগে ধাবিত হচ্ছি ভিয়েতনামের মতো পরিণতি বরণের দিকে।’
আপনার চোখ বন্ধ করুন আর ভাবুন, শেষের কথাগুলো আল-কায়েদার গুহা থেকে উত্সারিত হয়েছে বলে মনে হয় না? বিশ্বাস করা কঠিন, তাই না? শুধু ওবামার কাছে যেন এ বার্তা পৌঁছে না। তাঁর কাছে, এখনো এ ‘যুদ্ধ অপরিহার্য’। তাঁর জেনারেলরা আরও সেনা পাঠানোর আবেদন জানাচ্ছে। আর এই অর্থহীন যুক্তির অনুসরণই আমাদের দেখে যেতে হবে। তালেবানরা হেরেছে ২০০১ সালে। তারপর থেকে তারা জিততে শুরু করেছে। তারপর আমরা আফগান গণতন্ত্র রক্ষায় নামলাম। দ্বিতীয় দফার গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পাহারা দিতে হয়েছে আমাদের সেনাদের, তা করতে গিয়ে তারা জীবন দিয়েছে। একটি জোচ্চুরির নির্বাচনের জন্য তারা প্রাণ দিচ্ছে। ওবামা আমাদের আশ্বস্ত করছেন যে আফগানিস্তান ভিয়েতনাম নয়। আর তখনই এক জার্মান বাহিনী বিমান হামলা শুরু করলো—এবং আরও অনেক আফগান বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হলেন।
এবার কানাডীয় সেনাবাহিনীর দিকে দৃষ্টি ফেরানো যাক। আফগানিস্তানে কানাডার সেনাসংখ্যা ব্রিটিশদের থেকে কম, কিন্তু তারাও ভয়ংকর আঘাতের মোকাবিলা করেছে। গত সপ্তাহে কান্দাহারের কাছে তাদের ১৩০তম সেনাটি মারা গেছে। প্রতি তিন মাস অন্তর কানাডীয় কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানে তাদের সামরিক অগ্রগতির তথ্য প্রকাশ করে। এই দলিল পেন্টাগন বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দলিল থেকে অনেক বেশি সত্ ও বিস্তারিত। এই তথ্য সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে যে, এই অভিযানের লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব। আফগানিস্তানে কানাডার সামরিক অগ্রগতির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, কান্দাহার প্রদেশ আরও সহিংস, অস্থিতিশীল ও অনিরাপদ হয়ে উঠছে—এবং ২০০১ সালে তালেবানের পতনের পর যেকোনো সময়ের থেকে সারা দেশে হামলার ঘটনা বেড়েছে। ২০০৮ সালের তুলনায় এবার গ্রীষ্মে আক্রমণের তীব্রতা ছিল অনেক বেশি।
রাস্তার পাশে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। আফগানরা বলছে, তারা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এই অসন্তুটির কারণ মূলত দুর্বল নিরাপত্তা বা নিরাপত্তাহীনতা। কানাডা এখন এই প্রদেশ নিয়ন্ত্রণের সত্যিকারের কোনো চেষ্টা বাদ দিয়ে শুধু কান্দাহার শহরের নিরাপত্তার দিকে মনোনিবেশ করেছে।
কানাডার সেনাবাহিনী আফগানিস্তান ছাড়বে ২০১১ সালে, কিন্তু এখন পর্যন্ত এর বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পের ৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র পাঁচটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর মাত্র ২৮টি ‘নির্মাণাধীন’। অথচ কান্দাহার প্রদেশের ৩৬৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮০টি বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। কান্দাহারের ‘গণতান্ত্রিক সুশাসন’ বিষয়ে অগ্রগতি প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামর্থ্যের দিক দিয়ে আফগান সরকার ‘ভীষণ র্দুবল এবং সর্বব্যাপ্ত দুর্নীতি তাকে আরও দুর্বল করছে।’
পোলিও নির্মূলের মতো প্রাথমিক লক্ষ্যেও পৌঁছানো যায়নি। আফগানিস্তানে অটোয়ার সবচেয়ে পছন্দের বেসামরিক প্রকল্পের এই পরিণতি স্বীকার করার ক্ষেত্রেও চলেছে ব্লেয়ার (বা ব্রাউনের) মতো রাখঢাকের খেলা। টরন্টো স্টার তা প্রকাশ করার পর জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এ প্রকল্পে পোলিও নির্মূলের স্থলে নীরবে চলে আসে পোলিও ‘সংক্রমণ প্রতিরোধ’। পোলিও থেকে কত শিশু নিরাপদ তা গণনার পরিবর্তে লক্ষ্য পরিবর্তন করে কতজন শিশু টিকা নিয়েছে তা উল্লেখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হলো।
বিন লাদেনের সর্বশেষ এই নসিহত যাদের উদ্দেশে আমেরিকার সেই রিপাবলিকান যুদ্ধবাজ নেতারা আফগানিস্তানের এই বিপর্যয়ে কী বলেন? ‘আরও সেনা আফগানিস্তানে সাফল্যের কোনো নিশ্চয়তা দেয় না,’ হেরে যাওয়া রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইন এ কথা বলেছেন গত সপ্তাহে। ‘কিন্তু সেনা পাঠাতে না পারা আমাদের ব্যর্থতাকে নিশ্চিত করবে।’ এমন উদ্ভট ঘোষণা যখন আল-কায়েদার অন্ধকার গুহার চারপাশে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, ওসামা নিশ্চয়ই মুখ টিপে হেসেছেন।
ইংরেজি থেকে অনূদিত
রবার্ট ফিস্ক: দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদদাতা।
No comments