নতুন কমিটির প্রতি দাবাড়ুদের অনাস্থা
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনের নিচে বসে ছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার, গ্র্যান্ডমাস্টার আবদুল্লাহ আল রাকিব, ফিদে মাস্টার মেহেদী হাসান, মিনহাজউদ্দিন আহমেদ, শারমীন সুলতানা, শামীমা আক্তার লিজাসহ দেশের শীর্ষ সারির দাবাড়ুরা। না, তাঁরা কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আসেননি। অবস্থান ধর্মঘটও ছিল না তাঁদের। তাঁরা এসেছিলেন দাবার নতুন আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে সরকারের কাছে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নতুন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের দাবি তুলে ধরতে। গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান ও এনামুল হোসেন দেশের বাইরে থাকলেও ই-মেইলে দাবাড়ুদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
মাত্রই চার দিন আগে দাবা ফেডারেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচিত কমিটি ভেঙে ২৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে সরকার। কিন্তু এই কমিটি গ্রহণ করতে পারছেন না দাবাড়ুরা। বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস হোসাইন এবং দুই যুগ্ম সম্পাদকের অন্যতম মাসুদুর রহমান মল্লিকের বিরুদ্ধেই বেশি অভিযোগ তাঁদের।
কাল দাবাড়ুদের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু তা না করে সরকার আহ্বায়ক কমিটি করেছে। এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন বেশ কয়েকজন অযোগ্য ও অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি।’ রিফাতদের কথা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচনে ন্যূনতম যোগ্যতাও বিবেচনা করা হয়নি। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম যুগ্ম সম্পাদক পদে যে দুই ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাঁরা সব বিবেচনাতেই নেতৃত্ব প্রদানে অক্ষম। কমিটির সাধারণ সদস্য হওয়ার যোগ্যতাও তাঁদের নেই। জাতীয় পর্যায়ে কখনোই দাবা সংগঠক হিসেবে কাজ করেননি তাঁরা। তাঁরা দুজনেই খেলোয়াড় এবং র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম ৫০ জনের বাইরে। খেলোয়াড় হিসেবেও তাঁরা খেলোয়াড়দের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলেন। সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফেডারেশন কার্যালয়ে নিয়মিত জুয়া খেলার মতো গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন দাবাড়ুরা।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে মোকাদ্দেস হোসাইন বলেছেন, ‘আমি তো তাসই খেলতে পারি না, জুয়া খেলব কীভাবে? ওখানে জুয়ার বোর্ড বসলে ব্রিজ ফেডারেশনের সঙ্গে যারা জড়িত তারাই সেটা ভালো বলতে পারবে। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ মাসুদুর রহমান জানান, ‘আমার জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করতেই কিছু কুচক্রী এসব করছে। বিগত ১২ বছরে ফেডারেশনে যা হয়নি আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব করে দেখাতে চাই।’
নতুন আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব না নিতেই তাঁদের প্রতি খেলোয়াড়দের অনাস্থা। সংশয় জাগতে পারে, খেলোয়াড়েরা ফেডারেশন আয়োজিত প্রতিযোগিতা বা টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন তো? সবার হয়ে রিফাত দিলেন কূটনৈতিক উত্তর, ‘অংশ নেব না, এটা ঠিক নয়। তবে আমরা মাননীয় মন্ত্রীর কাছে যাব এবং তাঁকে বুঝিয়ে বলব, কিছু সুবিধাবাদী লোক ভুল বুঝিয়ে যে কমিটি গঠন করতে তাঁকে প্ররোচিত করেছে তাতে দাবার ভালো হবে না। দাবাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সত্যিকারের ভালো একটি কমিটিই চাই আমরা।
মাত্রই চার দিন আগে দাবা ফেডারেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাচিত কমিটি ভেঙে ২৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে সরকার। কিন্তু এই কমিটি গ্রহণ করতে পারছেন না দাবাড়ুরা। বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস হোসাইন এবং দুই যুগ্ম সম্পাদকের অন্যতম মাসুদুর রহমান মল্লিকের বিরুদ্ধেই বেশি অভিযোগ তাঁদের।
কাল দাবাড়ুদের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু তা না করে সরকার আহ্বায়ক কমিটি করেছে। এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন বেশ কয়েকজন অযোগ্য ও অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি।’ রিফাতদের কথা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচনে ন্যূনতম যোগ্যতাও বিবেচনা করা হয়নি। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম যুগ্ম সম্পাদক পদে যে দুই ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাঁরা সব বিবেচনাতেই নেতৃত্ব প্রদানে অক্ষম। কমিটির সাধারণ সদস্য হওয়ার যোগ্যতাও তাঁদের নেই। জাতীয় পর্যায়ে কখনোই দাবা সংগঠক হিসেবে কাজ করেননি তাঁরা। তাঁরা দুজনেই খেলোয়াড় এবং র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম ৫০ জনের বাইরে। খেলোয়াড় হিসেবেও তাঁরা খেলোয়াড়দের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলেন। সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফেডারেশন কার্যালয়ে নিয়মিত জুয়া খেলার মতো গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন দাবাড়ুরা।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে মোকাদ্দেস হোসাইন বলেছেন, ‘আমি তো তাসই খেলতে পারি না, জুয়া খেলব কীভাবে? ওখানে জুয়ার বোর্ড বসলে ব্রিজ ফেডারেশনের সঙ্গে যারা জড়িত তারাই সেটা ভালো বলতে পারবে। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ মাসুদুর রহমান জানান, ‘আমার জনপ্রিয়তা ক্ষুণ্ন করতেই কিছু কুচক্রী এসব করছে। বিগত ১২ বছরে ফেডারেশনে যা হয়নি আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব করে দেখাতে চাই।’
নতুন আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব না নিতেই তাঁদের প্রতি খেলোয়াড়দের অনাস্থা। সংশয় জাগতে পারে, খেলোয়াড়েরা ফেডারেশন আয়োজিত প্রতিযোগিতা বা টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন তো? সবার হয়ে রিফাত দিলেন কূটনৈতিক উত্তর, ‘অংশ নেব না, এটা ঠিক নয়। তবে আমরা মাননীয় মন্ত্রীর কাছে যাব এবং তাঁকে বুঝিয়ে বলব, কিছু সুবিধাবাদী লোক ভুল বুঝিয়ে যে কমিটি গঠন করতে তাঁকে প্ররোচিত করেছে তাতে দাবার ভালো হবে না। দাবাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সত্যিকারের ভালো একটি কমিটিই চাই আমরা।
No comments