রাজনৈতিক বিবেচনায় পরিচালক নিয়োগ অগ্রহণযোগ্য -রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পর্ষদ
দেশের রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে ব্যাপক ভিত্তিতে রদবদল করেছে সরকার। আর এই রদবদলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সক্রিয় নেতা-কর্মী এবং তাঁদের সহযোগীদের পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ও পরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে তাঁদের বেশির ভাগেরই ব্যাংক বা ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে তেমন কোনো অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা নেই। আবার প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিধি মোতাবেক তাঁরা ঋণখেলাপি কি না, তা যাচাই করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্যও প্রেরণ করা হয়নি। বোঝাই যাচ্ছে, দলীয় লোকজনকে খুশি করতে সরকার নিয়মকানুন অনুসরণের ধার ধারতেও চাইছে না। বিষয়টি দেশের আর্থিক খাতের, বিশেষত ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরিপন্থী বিধায় উদ্বেগজনক।
বস্তুত দেশের রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি ঋণের বোঝায় জর্জরিত। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও প্রভাবে ঋণ বিতরণ করার কারণে খেলাপি ঋণের বোঝা বেড়ে গেছে। ফলে ব্যাংকগুলোও লোকসানি হয়ে উঠেছে। আর লোকসানের দায় টানতে হচ্ছে সরকারকে এবং তা জনগণের করের টাকায়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্যাংকগুলো পুনর্গঠনের জন্য বিভিন্ন সময় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোও ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ফলে ব্যাংকগুলো আর ইতিবাচক ধারায় ফিরতে পারেনি। অথচ এই ব্যাংকগুলোর সারা দেশে শাখা বিস্তৃত আছে, আছে লোকবল। সঠিকভাবে ও পরিকল্পিত উপায়ে ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন করা গেলে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মতো রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোও লাভজনক হতে পারে।
কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকারের সেদিকে কোনো মনোযোগ নেই, নেই তেমন কোনো আগ্রহ। যদি সেই আগ্রহ থাকতই, তাহলে ব্যাংক-ব্যবসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা-শোনা-বোঝা আছে সে রকম লোকদের দিয়েই ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্বিন্যাস করা হতো। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালনা করার কাজটি অনেক সহজ হতো, বাস্তবসম্মত হতো। বছরের পর বছর জমে থাকা খেলাপি ঋণ সমস্যা থেকে উত্তরণে পাওয়া যেত সঠিক ও অর্থবহ দিকনির্দেশনা। সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকার জন্য ব্যাংকগুলোয় যে প্রয়োজনীয় পরিবেশ, তাও তৈরি করা যেত।
তার বদলে এখন ব্যাংকগুলোয় রাজনৈতিক প্রভাব-হস্তক্ষেপ তৈরির পথ প্রশস্ত করা হলো। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচালকেরা দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে ব্যাংক পরিচালনায় অর্থবহ ভূমিকা রাখবেন—এমনটা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ নেই। তার ওপর ব্যাংক-ব্যবসা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন না এমন ব্যক্তিরা যখন পর্ষদে সমবেত হয়েছেন, তখন পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হবে, কেউ এমনটি মনে করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দিনবদলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ পুরোনো নিন্দনীয় আচরণের ধারায় ফিরে গেলে তা হবে দেশের জন্য অমঙ্গলজনক। সময় থাকতে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।
বস্তুত দেশের রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি ঋণের বোঝায় জর্জরিত। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও প্রভাবে ঋণ বিতরণ করার কারণে খেলাপি ঋণের বোঝা বেড়ে গেছে। ফলে ব্যাংকগুলোও লোকসানি হয়ে উঠেছে। আর লোকসানের দায় টানতে হচ্ছে সরকারকে এবং তা জনগণের করের টাকায়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্যাংকগুলো পুনর্গঠনের জন্য বিভিন্ন সময় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোও ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ফলে ব্যাংকগুলো আর ইতিবাচক ধারায় ফিরতে পারেনি। অথচ এই ব্যাংকগুলোর সারা দেশে শাখা বিস্তৃত আছে, আছে লোকবল। সঠিকভাবে ও পরিকল্পিত উপায়ে ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন করা গেলে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মতো রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোও লাভজনক হতে পারে।
কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকারের সেদিকে কোনো মনোযোগ নেই, নেই তেমন কোনো আগ্রহ। যদি সেই আগ্রহ থাকতই, তাহলে ব্যাংক-ব্যবসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা-শোনা-বোঝা আছে সে রকম লোকদের দিয়েই ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্বিন্যাস করা হতো। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালনা করার কাজটি অনেক সহজ হতো, বাস্তবসম্মত হতো। বছরের পর বছর জমে থাকা খেলাপি ঋণ সমস্যা থেকে উত্তরণে পাওয়া যেত সঠিক ও অর্থবহ দিকনির্দেশনা। সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকার জন্য ব্যাংকগুলোয় যে প্রয়োজনীয় পরিবেশ, তাও তৈরি করা যেত।
তার বদলে এখন ব্যাংকগুলোয় রাজনৈতিক প্রভাব-হস্তক্ষেপ তৈরির পথ প্রশস্ত করা হলো। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচালকেরা দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে ব্যাংক পরিচালনায় অর্থবহ ভূমিকা রাখবেন—এমনটা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ নেই। তার ওপর ব্যাংক-ব্যবসা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন না এমন ব্যক্তিরা যখন পর্ষদে সমবেত হয়েছেন, তখন পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হবে, কেউ এমনটি মনে করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দিনবদলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ পুরোনো নিন্দনীয় আচরণের ধারায় ফিরে গেলে তা হবে দেশের জন্য অমঙ্গলজনক। সময় থাকতে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।
No comments