বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন মোড় পারস্পরিক সহযোগিতা থেকে পারস্পরিক কল্যাণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরে বেশ কিছু সুখবর জানিয়েছেন। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সীমানা চিহ্নিতকরণ, অমীমাংসিত ছিটমহল, অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন, অপরাধী বিনিময়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পরস্পরের ভূখণ্ড ব্যবহার, বাণিজ্য ঘাটতি, আঞ্চলিক যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে এবং এসব বিষয়ে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দূরীকরণে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে। আমাদের মনে হয়, বহু বছর ধরে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধান করে পারস্পরিক মঙ্গলের স্বার্থে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় সূচনায় উভয় পক্ষ আন্তরিক হলে এখন তা অবশ্যই সম্ভব।
ভারত আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী, তিন দিকের সীমান্তের প্রায় পুরোটা জুড়েই রয়েছে ভারত। এটি আমাদের ভৌগোলিক বাস্তবতা। আর রাজনৈতিক বাস্তবতা হচ্ছে, স্বাধীনতার অল্প সময় পর থেকেই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জটিলতাপূর্ণ; আনুষ্ঠানিক ও কূটনৈতিকভাবে যতটা নয়, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিকভাবে। একদিকে ‘ভারত-বিরোধিতা’, অন্যদিকে ‘ভারতের দালালি’, ‘দেশ ও জাতীয় স্বার্থ বিক্রি করে দেওয়া’ ইত্যাদি শব্দমালা এ দেশের রাজনীতিতে এখনো বহুল উচ্চারিত। ভৌগোলিক ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিয়ে ভারতের সঙ্গে একটি কার্যকর সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলে জাতীয়ভাবে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা কখনোই সেভাবে করা হয়নি। ভারতের তরফেও সে রকম তাগিদ যথেষ্ট মাত্রায় ছিল কি না, বলা কঠিন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সাম্প্রতিক ভারত সফর শেষে দুই দেশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতির বিষয়বস্তুগুলোর দিকে তাকালে মনে হয়, উভয় পক্ষ এখন একটি কার্যকর সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। আমাদের কতগুলো প্রস্তাব ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের ইতিবাচক সাড়ার আভাস মিলেছে। যেমন, বিতর্কিত সীমানা চিহ্নিতকরণ, আঙ্গরপোতা, দহগ্রাম ছিটমহল ও তিনবিঘা করিডর সমস্যা নিষ্পত্তির আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। ভারত যেমন তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের সুবিধা চায়, বাংলাদেশও তেমনই নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ভারতের ভূমির ব্যবহারের সুবিধা চায়। এবার উভয় দেশ পারস্পরিক সুবিধার্থে আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে একমত হয়েছে। বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নদী খননে সহযোগিতা, একটি সেচ প্রকল্প গড়ে তোলা, রেল যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা, দিনে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সরবরাহ করাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাবের খবর জানা গেল, তা এককথায় উত্সাহব্যঞ্জক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির ভারত সফরকে বেশ ফলপ্রসূ বলে বর্ণনা করা যায়। তবে আলোচ্য বিষয়গুলোর চূড়ান্ত ফল পাওয়া যাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই ভারত সফরে যাবেন। সে-সময় এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। তার আগে সব বিষয়ে আলোচনা, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দর-কষাকষির প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে ভালোভাবে। যেকোনো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেওয়া ও পাওয়ার মধ্যকার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা একটি কঠিন বিষয়। জাতীয় স্বার্থই যেখানে সবকিছুর ওপরে বলে বারবার বলা হচ্ছে, সেখানে একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে সব খাতে নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায় করতে কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ জ্ঞান এবং কূটনৈতিক প্রস্তুতি নেওয়া খুব প্রয়োজন। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই সেসব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।
ভারত আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী, তিন দিকের সীমান্তের প্রায় পুরোটা জুড়েই রয়েছে ভারত। এটি আমাদের ভৌগোলিক বাস্তবতা। আর রাজনৈতিক বাস্তবতা হচ্ছে, স্বাধীনতার অল্প সময় পর থেকেই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জটিলতাপূর্ণ; আনুষ্ঠানিক ও কূটনৈতিকভাবে যতটা নয়, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিকভাবে। একদিকে ‘ভারত-বিরোধিতা’, অন্যদিকে ‘ভারতের দালালি’, ‘দেশ ও জাতীয় স্বার্থ বিক্রি করে দেওয়া’ ইত্যাদি শব্দমালা এ দেশের রাজনীতিতে এখনো বহুল উচ্চারিত। ভৌগোলিক ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিয়ে ভারতের সঙ্গে একটি কার্যকর সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলে জাতীয়ভাবে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা কখনোই সেভাবে করা হয়নি। ভারতের তরফেও সে রকম তাগিদ যথেষ্ট মাত্রায় ছিল কি না, বলা কঠিন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সাম্প্রতিক ভারত সফর শেষে দুই দেশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতির বিষয়বস্তুগুলোর দিকে তাকালে মনে হয়, উভয় পক্ষ এখন একটি কার্যকর সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। আমাদের কতগুলো প্রস্তাব ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের ইতিবাচক সাড়ার আভাস মিলেছে। যেমন, বিতর্কিত সীমানা চিহ্নিতকরণ, আঙ্গরপোতা, দহগ্রাম ছিটমহল ও তিনবিঘা করিডর সমস্যা নিষ্পত্তির আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। ভারত যেমন তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের সুবিধা চায়, বাংলাদেশও তেমনই নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ভারতের ভূমির ব্যবহারের সুবিধা চায়। এবার উভয় দেশ পারস্পরিক সুবিধার্থে আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে একমত হয়েছে। বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নদী খননে সহযোগিতা, একটি সেচ প্রকল্প গড়ে তোলা, রেল যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা, দিনে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সরবরাহ করাসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাবের খবর জানা গেল, তা এককথায় উত্সাহব্যঞ্জক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির ভারত সফরকে বেশ ফলপ্রসূ বলে বর্ণনা করা যায়। তবে আলোচ্য বিষয়গুলোর চূড়ান্ত ফল পাওয়া যাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই ভারত সফরে যাবেন। সে-সময় এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। তার আগে সব বিষয়ে আলোচনা, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দর-কষাকষির প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে ভালোভাবে। যেকোনো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেওয়া ও পাওয়ার মধ্যকার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা একটি কঠিন বিষয়। জাতীয় স্বার্থই যেখানে সবকিছুর ওপরে বলে বারবার বলা হচ্ছে, সেখানে একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে সব খাতে নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায় করতে কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ জ্ঞান এবং কূটনৈতিক প্রস্তুতি নেওয়া খুব প্রয়োজন। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই সেসব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।
No comments