একের পর এক পশুমৃত্যুর রহস্য কী -চিড়িয়াখানায় বাঘ-সিংহের মৃত্যু
ঢাকা চিড়িয়াখানা অযত্ন-অবহেলার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে। গত তিন সপ্তাহে পাঁচটি মূল্যবান প্রাণী মারা গেছে। শনিবার গর্জন নামের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বৃহস্পতিবার সিংহ, সোমবার জিরাফের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট আরবীয় ঘোড়া ও ২৫ আগস্ট চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে একের পর এক পশুমৃত্যুর ঘটনাগুলো কোনোভাবেই স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া যায় না। অভিযোগ রয়েছে, নতুন করে পশু কেনার জন্যই অযত্ন-অবহেলায় কৌশলে পশুগুলো মেরে ফেলা হচ্ছে। এই অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে পশু ‘হত্যা’ করে যাঁরা কেনার সুযোগ খুঁজছেন, সেই চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা ছাড়া এই অশুভ তত্পরতা থামানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না।
চিড়িয়াখানার আরও বেশ কয়েকটি প্রাণী রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সঠিক চিকিত্সা ও যত্নের অভাবে এগুলোর মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ পশুপাখির দেখভালের দায়িত্ব যেন নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়ে বসে আছে। পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া ও চিকিত্সার ক্ষেত্রে ঢাকা চিড়িয়াখানার পশুপাখিরা সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার হয়। চিড়িয়াখানার কিছু অসত্ কর্মকর্তা-কর্মচারী পশুপাখিদের পর্যাপ্ত খাবার না দিয়ে এ খাত থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন—এমন অভিযোগ হরহামেশা শোনা যায়। দেশের প্রধান চিড়িয়াখানাটি এভাবেই চলছে বছরের পর বছর।
ঢাকা চিড়িয়াখানায় অনেক দুর্লভ প্রাণী রয়েছে, যারা বাংলাদেশের আবহাওয়ায় স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। এদের জন্য বাড়তি যত্ন ও বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। পশুদের চিকিত্সার জন্য চিড়িয়াখানায় শুধু পশু চিকিত্সকেরা কর্মরত থাকেন। কিন্তু চিকিত্সকদের পাশাপাশি প্রাণীবিদদের নিয়োগ দেওয়াও জরুরি। কিন্তু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। আফ্রিকা থেকে কেনা এক কোটি টাকা দামের জিরাফটির মৃত্যু এর অন্যতম উদাহরণ।
জিরাফের মৃত্যুর পর কিউরেটর ও ডেপুটি কিউরেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু এরপর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে থাকে। সপ্তাহ না পেরোতেই মৃত্যু হয় সিংহ ও বাঘের। কর্তব্যকর্মে অবহেলার জন্য সাময়িক বহিষ্কারের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অতীতে দেখা গেছে, এ ধরনের ঘটনা শেষ পর্যন্ত ধামাচাপা পড়ে যায়। এবার আমরা এর ব্যতিক্রম প্রত্যাশা করতে পারি কি? দায়িত্বে অবহেলার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ার বিকল্প নেই। সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান করতে ব্যর্থ হলে দেশের প্রধান চিড়িয়াখানাটির অবস্থা আরও করুণ হয়ে পড়তে পারে। পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় কবে চোখ মেলে তাকাবে?
চিড়িয়াখানার আরও বেশ কয়েকটি প্রাণী রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সঠিক চিকিত্সা ও যত্নের অভাবে এগুলোর মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ পশুপাখির দেখভালের দায়িত্ব যেন নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়ে বসে আছে। পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া ও চিকিত্সার ক্ষেত্রে ঢাকা চিড়িয়াখানার পশুপাখিরা সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার হয়। চিড়িয়াখানার কিছু অসত্ কর্মকর্তা-কর্মচারী পশুপাখিদের পর্যাপ্ত খাবার না দিয়ে এ খাত থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন—এমন অভিযোগ হরহামেশা শোনা যায়। দেশের প্রধান চিড়িয়াখানাটি এভাবেই চলছে বছরের পর বছর।
ঢাকা চিড়িয়াখানায় অনেক দুর্লভ প্রাণী রয়েছে, যারা বাংলাদেশের আবহাওয়ায় স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। এদের জন্য বাড়তি যত্ন ও বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। পশুদের চিকিত্সার জন্য চিড়িয়াখানায় শুধু পশু চিকিত্সকেরা কর্মরত থাকেন। কিন্তু চিকিত্সকদের পাশাপাশি প্রাণীবিদদের নিয়োগ দেওয়াও জরুরি। কিন্তু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। আফ্রিকা থেকে কেনা এক কোটি টাকা দামের জিরাফটির মৃত্যু এর অন্যতম উদাহরণ।
জিরাফের মৃত্যুর পর কিউরেটর ও ডেপুটি কিউরেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু এরপর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে থাকে। সপ্তাহ না পেরোতেই মৃত্যু হয় সিংহ ও বাঘের। কর্তব্যকর্মে অবহেলার জন্য সাময়িক বহিষ্কারের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অতীতে দেখা গেছে, এ ধরনের ঘটনা শেষ পর্যন্ত ধামাচাপা পড়ে যায়। এবার আমরা এর ব্যতিক্রম প্রত্যাশা করতে পারি কি? দায়িত্বে অবহেলার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ার বিকল্প নেই। সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান করতে ব্যর্থ হলে দেশের প্রধান চিড়িয়াখানাটির অবস্থা আরও করুণ হয়ে পড়তে পারে। পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় কবে চোখ মেলে তাকাবে?
No comments