ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি রকেট ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ
পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষীরা গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারতের ভেতর দুটি রকেট ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। অভিযোগে বলা হয়, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে পর্যটকদের একটি জনপ্রিয় স্থানে গিয়ে রকেট দুটি আঘাত হানে, তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পাকিস্তান এ রকেট হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পাকিস্তান সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে।
ভারতের পাঞ্জাবে বিএসএফের প্রধান হিম্মত সিং জানান, ‘পাঞ্জাব সীমান্তসংলগ্ন ওয়াগা এলাকায় একটি গ্রামের ফাঁকা মাঠে গিয়ে রকেট দুটি আঘাত হানে। ঘটনার পর মেশিনগানের গুলি ছুড়ে আমরা পাল্টা জবাব দিই। ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নয়নে দুই পক্ষে কূটনীতিকেরা যখন উদ্যোগী হয়েছেন, ঠিক এমন সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটল।’ ভারতের সেনা সূত্রের ভাষ্য, গত কয়েক দশকের মধ্যে ওয়াগায় এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। হিম্মত সিং বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের আধাসামরিক সীমান্ত বাহিনী পাকিস্তান রেঞ্জার্সের কাছে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি। কারা রকেট ছুড়েছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের কথা রয়েছে। এর আগে দেশ দুটির শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকেরাও বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন।
পাঞ্জাবের ওই গ্রামের নির্বাচিত মেম্বার বালজিত্ সিং বলেন, গ্রামবাসীকে ভয় দেখাতে পাকিস্তান এ রকেট হামলা চালায়। এ ছাড়া সদ্য মোতায়েন করা নারী সীমান্তরক্ষীদের নৈতিকভাবে দুর্বল করে দেওয়াও এ হামলার লক্ষ্য। ওয়াগা সীমান্তে ভারত সম্প্রতি একটি আধাসামরিক কনটিনজেন্ট মোতায়েন করেছে, যার সব সদস্য নারী।
পাকিস্তান রেঞ্জার্সের মুখপাত্র নাদিম রাজা বলেন, ‘বিএসএফ ভুল বুঝে আমাদের সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে।’ ভারতের দিকে রকেট ছোড়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, ভারত থেকেই রকেট ছোড়া হয় এবং তা ভারতের মাটিতেই পড়ে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’ তিনি জানান, ঘটনাটি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল সকালেই দুই পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা সাক্ষাত্ করেন।
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা দুটি দেশ হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ২০০২ সালে ভারতের লোকসভায় জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধার উপক্রম হয়েছিল।
ভারতের পাঞ্জাবে বিএসএফের প্রধান হিম্মত সিং জানান, ‘পাঞ্জাব সীমান্তসংলগ্ন ওয়াগা এলাকায় একটি গ্রামের ফাঁকা মাঠে গিয়ে রকেট দুটি আঘাত হানে। ঘটনার পর মেশিনগানের গুলি ছুড়ে আমরা পাল্টা জবাব দিই। ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নয়নে দুই পক্ষে কূটনীতিকেরা যখন উদ্যোগী হয়েছেন, ঠিক এমন সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটল।’ ভারতের সেনা সূত্রের ভাষ্য, গত কয়েক দশকের মধ্যে ওয়াগায় এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। হিম্মত সিং বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের আধাসামরিক সীমান্ত বাহিনী পাকিস্তান রেঞ্জার্সের কাছে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি। কারা রকেট ছুড়েছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের কথা রয়েছে। এর আগে দেশ দুটির শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকেরাও বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন।
পাঞ্জাবের ওই গ্রামের নির্বাচিত মেম্বার বালজিত্ সিং বলেন, গ্রামবাসীকে ভয় দেখাতে পাকিস্তান এ রকেট হামলা চালায়। এ ছাড়া সদ্য মোতায়েন করা নারী সীমান্তরক্ষীদের নৈতিকভাবে দুর্বল করে দেওয়াও এ হামলার লক্ষ্য। ওয়াগা সীমান্তে ভারত সম্প্রতি একটি আধাসামরিক কনটিনজেন্ট মোতায়েন করেছে, যার সব সদস্য নারী।
পাকিস্তান রেঞ্জার্সের মুখপাত্র নাদিম রাজা বলেন, ‘বিএসএফ ভুল বুঝে আমাদের সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে।’ ভারতের দিকে রকেট ছোড়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, ভারত থেকেই রকেট ছোড়া হয় এবং তা ভারতের মাটিতেই পড়ে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’ তিনি জানান, ঘটনাটি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল সকালেই দুই পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা সাক্ষাত্ করেন।
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা দুটি দেশ হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ২০০২ সালে ভারতের লোকসভায় জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধার উপক্রম হয়েছিল।
No comments