বিশ্ববিদ্যালয় -আগস্ট-বিক্ষোভের দুই বছর ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা by বাধন অধিকারী
২০ আগস্ট ২০০৭। সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত সেনা-ক্যাম্পের এক সেনাসদস্যের সঙ্গে খেলার মাঠে শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই মূর্ত হয়ে ওঠে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মমর্যাদার প্রশ্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই দিনের শিক্ষার্থী-নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মৌন মিছিল করা হয়। তাতে অংশ নেন চারজন শিক্ষক ও বেশ কিছু শিক্ষার্থী। পরের ঘটনা সবার জানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নেমে এল অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়ন ও গ্রেপ্তার-রিমান্ড-মামলা। স্বাধীনতা-পরবর্তী ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে বিচারের সম্মুখীন করা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের। তাঁরাও রেহাই পেলেন না রিমান্ডের নাম করে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন-সাজা থেকে। নিম্ন আদালতের রায়ে সাজা প্রদানের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে সরকার তাঁদের মুক্তি দিতে বাধ্য হলো, কিন্তু সাজিয়ে রাখল সাধারণ ক্ষমতার একটি একাঙ্কিকা। মানে তোমরা অন্যায় করেছ, তোমরা সাজাপ্রাপ্তও, কিন্তু আমরা তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম। সুতরাং সেই সময়ের রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করেছিল এবং সেই সময়ের রাষ্ট্রের আইন বিভাগের চোখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকেরা ছিলেন অপরাধী।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করা হলে তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মামলা নিয়েও উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে। এই মামলাটির ক্ষেত্রেও উচ্চ আদালতের রায় শিক্ষকদের পক্ষে যাবে বলেই আশা করছি।
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার সুরাহা হয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভাঙচুরের যে মামলাটি দিয়েছিল, সেটি এখনো ওভাবেই আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র কর্তৃক দায়ের করা অপর একটি মামলার রায়ে ১১ জন সাজাপ্রাপ্ত, যাঁরা তথাকথিত সাধারণ ক্ষমায় ক্ষমাপ্রাপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও এখনো তাদের আপিল করা হয়নি উচ্চ আদালতে। ভিসি ছাত্র উপদেষ্টাকে দেখিয়ে দেন, ছাত্র উপদেষ্টা দেখান লিগ্যাল সেলকে, কিন্তু মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয় না।
এখন কথা হলো, মামলা থেকে রেহাই না পেলেও শিক্ষকদের খুব বেশি ক্ষতির কিছু ছিল না। ৭৩-এর অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতার যতটুকু নিশ্চয়তা বিধান করেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই শিক্ষকেরা তখন রাষ্ট্রের চোখে অপরাধী হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের চাকরি হারাননি চাকরিসংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আছে বলে। তবে শিক্ষকেরা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে তাঁদের গায়ে সরকারের জুড়ে দেওয়া কলঙ্কের হাত থেকে রেহাই পাবেন। প্রতিবাদের ন্যায্যতার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবেন। এটুকু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর রায়। এই মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি না পেলে তাঁরা চাকরির আবেদন করতে পারবেন না। বিভিন্ন রকমের হয়রানির শিকার হবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। অনিশ্চিত হয়ে পড়বে তাঁদের ভবিষ্যত্।
আগস্টের ছাত্র বিক্ষোভ এবং পরবর্তী ছাত্র-শিক্ষক মুক্তির আন্দোলন ছিল অগণতান্ত্রিক জরুরি-ক্ষমতাসম্পন্ন সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম বড় ধরনের প্রতিবাদ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন জাগিয়ে তুলেছিল সারা দেশকে। আগস্টের সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের সঙ্গে সমাজের অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতিরোধ যুক্ত হলে অগণতান্ত্রিক সেই সরকার বাধ্য হয়ে নির্বাচন দেয় এবং সেই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এই সরকার। আগস্ট বিক্ষোভের সব মামলা থেকে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের অব্যাহতি দেওয়াটা তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সঙ্গে সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সেটার কার্যকর ভূমিকা এবং নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াও এই সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এই দায়বোধ ভুলে গেলে দেশের ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অশ্রদ্ধা করা হবে। দুই শতাধিক আসন পেয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া মহাজোট সরকার সেই অশ্রদ্ধা পোষণের কাজটি করবে না—এই আশাবাদটুকু তাদের কাছে রাখছি।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আগস্ট বিক্ষোভ আমাদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রশ্নটিকে সামনে এনেছিল। আবার প্রমাণিত হয়েছিল যে, রাষ্ট্র যখন ঠিক পথে পরিচালিত হয় না, তখন বিশ্ববিদ্যালয় তার বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সমাজের অমঙ্গল হয় না। তাই এই বিরুদ্ধাচরণের মানে রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করবার, প্রতিবাদ করবার নৈতিক দায়িত্ব থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বঞ্চিত করা যাবে না। ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রের অঙ্গে পরিণত করবার সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। ৭৩-এর অধ্যাদেশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতার যতটুকু নিশ্চয়তা বিধান করেছিল, তা দিয়ে আগস্টের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঠেকানো যায়নি। অধ্যাদেশের সংস্কার করে তাই রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা আদায় করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরই। তিনজনের প্যানেল থেকে ভিসি নিয়োগ দেওয়ার যে সুযোগ রাষ্ট্রপতির হাতে, সেটা একটা বড় সমস্যা। এই জায়গায় পরিবর্তন দরকার। দরকার অভ্যন্তরীণ কর্তৃত্ববাদী পরিচালন ব্যবস্থার অবসান। লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি নয়, আবার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে শিক্ষার্থীদের স্বাধীন তত্পরতা বন্ধের পাঁয়তারাও নয়, দরকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাধীন সংগঠন।
আজকে আগস্ট ঘটনার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে এসে সেই স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে অগ্রসর হওয়াটাই আমাদের কাজ। স্বাধীন চিন্তাই কেবল পারে অপেক্ষাকৃত স্বাধীন ও মুক্ত পৃথিবীর দিকে নিয়ে যেতে। ধারণাগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সেই স্বাধীন চিন্তার প্রাণকেন্দ্র। আমাদের কাজ যার যার জায়গা থেকে সেই ধারণার যথার্থ বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকা।
বাধন অধিকারী: শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করা হলে তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মামলা নিয়েও উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে। এই মামলাটির ক্ষেত্রেও উচ্চ আদালতের রায় শিক্ষকদের পক্ষে যাবে বলেই আশা করছি।
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার সুরাহা হয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভাঙচুরের যে মামলাটি দিয়েছিল, সেটি এখনো ওভাবেই আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র কর্তৃক দায়ের করা অপর একটি মামলার রায়ে ১১ জন সাজাপ্রাপ্ত, যাঁরা তথাকথিত সাধারণ ক্ষমায় ক্ষমাপ্রাপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও এখনো তাদের আপিল করা হয়নি উচ্চ আদালতে। ভিসি ছাত্র উপদেষ্টাকে দেখিয়ে দেন, ছাত্র উপদেষ্টা দেখান লিগ্যাল সেলকে, কিন্তু মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয় না।
এখন কথা হলো, মামলা থেকে রেহাই না পেলেও শিক্ষকদের খুব বেশি ক্ষতির কিছু ছিল না। ৭৩-এর অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতার যতটুকু নিশ্চয়তা বিধান করেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই শিক্ষকেরা তখন রাষ্ট্রের চোখে অপরাধী হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের চাকরি হারাননি চাকরিসংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আছে বলে। তবে শিক্ষকেরা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে তাঁদের গায়ে সরকারের জুড়ে দেওয়া কলঙ্কের হাত থেকে রেহাই পাবেন। প্রতিবাদের ন্যায্যতার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবেন। এটুকু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর রায়। এই মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি না পেলে তাঁরা চাকরির আবেদন করতে পারবেন না। বিভিন্ন রকমের হয়রানির শিকার হবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। অনিশ্চিত হয়ে পড়বে তাঁদের ভবিষ্যত্।
আগস্টের ছাত্র বিক্ষোভ এবং পরবর্তী ছাত্র-শিক্ষক মুক্তির আন্দোলন ছিল অগণতান্ত্রিক জরুরি-ক্ষমতাসম্পন্ন সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম বড় ধরনের প্রতিবাদ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন জাগিয়ে তুলেছিল সারা দেশকে। আগস্টের সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের সঙ্গে সমাজের অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতিরোধ যুক্ত হলে অগণতান্ত্রিক সেই সরকার বাধ্য হয়ে নির্বাচন দেয় এবং সেই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এই সরকার। আগস্ট বিক্ষোভের সব মামলা থেকে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের অব্যাহতি দেওয়াটা তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সঙ্গে সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সেটার কার্যকর ভূমিকা এবং নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াও এই সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এই দায়বোধ ভুলে গেলে দেশের ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অশ্রদ্ধা করা হবে। দুই শতাধিক আসন পেয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া মহাজোট সরকার সেই অশ্রদ্ধা পোষণের কাজটি করবে না—এই আশাবাদটুকু তাদের কাছে রাখছি।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আগস্ট বিক্ষোভ আমাদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রশ্নটিকে সামনে এনেছিল। আবার প্রমাণিত হয়েছিল যে, রাষ্ট্র যখন ঠিক পথে পরিচালিত হয় না, তখন বিশ্ববিদ্যালয় তার বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সমাজের অমঙ্গল হয় না। তাই এই বিরুদ্ধাচরণের মানে রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করবার, প্রতিবাদ করবার নৈতিক দায়িত্ব থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বঞ্চিত করা যাবে না। ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রের অঙ্গে পরিণত করবার সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। ৭৩-এর অধ্যাদেশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতার যতটুকু নিশ্চয়তা বিধান করেছিল, তা দিয়ে আগস্টের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঠেকানো যায়নি। অধ্যাদেশের সংস্কার করে তাই রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা আদায় করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরই। তিনজনের প্যানেল থেকে ভিসি নিয়োগ দেওয়ার যে সুযোগ রাষ্ট্রপতির হাতে, সেটা একটা বড় সমস্যা। এই জায়গায় পরিবর্তন দরকার। দরকার অভ্যন্তরীণ কর্তৃত্ববাদী পরিচালন ব্যবস্থার অবসান। লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি নয়, আবার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে শিক্ষার্থীদের স্বাধীন তত্পরতা বন্ধের পাঁয়তারাও নয়, দরকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাধীন সংগঠন।
আজকে আগস্ট ঘটনার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে এসে সেই স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে অগ্রসর হওয়াটাই আমাদের কাজ। স্বাধীন চিন্তাই কেবল পারে অপেক্ষাকৃত স্বাধীন ও মুক্ত পৃথিবীর দিকে নিয়ে যেতে। ধারণাগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সেই স্বাধীন চিন্তার প্রাণকেন্দ্র। আমাদের কাজ যার যার জায়গা থেকে সেই ধারণার যথার্থ বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকা।
বাধন অধিকারী: শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
No comments