বাজার-প্রক্রিয়া কি ঠিকমতো কাজ করছে না
ঊর্ধ্বমুখী বাজারের লাগাম টানার চেষ্টা হিসেবে সরকার অবশেষে ডিম ও আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে ডিম-আলুর দামও অস্বাভাবিক হারে বাড়া শুরু করেছে বলেই সরকারকে শেষ পর্যন্ত এ রকম একটি সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পাশাপাশি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিশোধিত চিনি আমদানির শুল্ক। এর মানে হলো, আমদানি বাড়িয়ে দেশের বাজারে এই তিনটি পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হবে, যাতে তা ভোক্তার চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়। এতে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্যে দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে; অন্তত সরকার এটাই প্রত্যাশা করছে।
কিন্তু এই পদক্ষেপ আবার আমাদের একটি পুরোনো প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। সেটি হলো—বাজার-প্রক্রিয়া কি ঠিকমতো কাজ করছে না? প্রশ্নটা এসেছে দেশে আলুর মজুদ ও ডিম উত্পাদনের পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে পাঁচ মাসের আলু মজুদ রয়েছে। তাহলে এই মজুদ থেকে বাজারে পণ্য ছেড়ে জোগান বাড়ানো হচ্ছে না কেন? কেন দাম স্থিতিশীল না থেকে বাড়ছে? স্পষ্টতই এখানে বাজার-প্রক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করছে না।
অবশ্য ডিমের বিষয়টি পুরোপুরি এ রকম নয়। চাহিদার বিপরীতে ডিমের উত্পাদন ও সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার আক্রমণে খামারগুলোয় বিপর্যয় নেমে আসায় ডিমের উত্পাদন হ্রাস পেয়েছিল। তবে খামারগুলো আবার চালু হতে শুরু করেছে। তাতে অবশ্য বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি; যার প্রমাণ ডিমের দাম অব্যাহতভাবে বেড়ে চলা। আমদানির সিদ্ধান্ত দাম কমাতে কতটা সহায়তা করবে, তা জানার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে মূল আমদানিটা হবে প্রতিবেশী ভারত থেকে। আর ভারতও এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। তাই মূল্যছাড়ের পাশাপাশি নিরাপদ ডিমের সরবরাহটাও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। অন্যদিকে থাকল চিনি। পরিশোধিত চিনি ও চিনির মণ্ডের (র সুগার) মধ্যে শুল্ক-ব্যবধান একই রেখে দুই ধরনের চিনির শুল্ক হ্রাস কমানো তেমন ফল দেবে না, এটা সহজেই অনুমেয়।
তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ডিম-আলু আমদানি ও চিনির শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্ত কি সময়োপযোগী হয়েছে? প্রথম আলোর আরেক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এখন চিনি আমদানির ঋণপত্র খুললে তা আসতে এক-দেড় মাস সময় লাগবে। তত দিনে রমজান মাস শেষ হয়ে চাহিদাও কমে যাবে। অন্যদিকে আলুর স্থানীয় মজুদ বাজারে ছেড়ে দাম কমানোর চাপমূলক কৌশল হিসেবে আমদানির সিদ্ধান্তটি অন্তত আরও সপ্তাহখানেক আগে নেওয়া যেত।
কিন্তু এই পদক্ষেপ আবার আমাদের একটি পুরোনো প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। সেটি হলো—বাজার-প্রক্রিয়া কি ঠিকমতো কাজ করছে না? প্রশ্নটা এসেছে দেশে আলুর মজুদ ও ডিম উত্পাদনের পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে পাঁচ মাসের আলু মজুদ রয়েছে। তাহলে এই মজুদ থেকে বাজারে পণ্য ছেড়ে জোগান বাড়ানো হচ্ছে না কেন? কেন দাম স্থিতিশীল না থেকে বাড়ছে? স্পষ্টতই এখানে বাজার-প্রক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করছে না।
অবশ্য ডিমের বিষয়টি পুরোপুরি এ রকম নয়। চাহিদার বিপরীতে ডিমের উত্পাদন ও সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার আক্রমণে খামারগুলোয় বিপর্যয় নেমে আসায় ডিমের উত্পাদন হ্রাস পেয়েছিল। তবে খামারগুলো আবার চালু হতে শুরু করেছে। তাতে অবশ্য বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি; যার প্রমাণ ডিমের দাম অব্যাহতভাবে বেড়ে চলা। আমদানির সিদ্ধান্ত দাম কমাতে কতটা সহায়তা করবে, তা জানার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে মূল আমদানিটা হবে প্রতিবেশী ভারত থেকে। আর ভারতও এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। তাই মূল্যছাড়ের পাশাপাশি নিরাপদ ডিমের সরবরাহটাও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। অন্যদিকে থাকল চিনি। পরিশোধিত চিনি ও চিনির মণ্ডের (র সুগার) মধ্যে শুল্ক-ব্যবধান একই রেখে দুই ধরনের চিনির শুল্ক হ্রাস কমানো তেমন ফল দেবে না, এটা সহজেই অনুমেয়।
তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ডিম-আলু আমদানি ও চিনির শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্ত কি সময়োপযোগী হয়েছে? প্রথম আলোর আরেক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এখন চিনি আমদানির ঋণপত্র খুললে তা আসতে এক-দেড় মাস সময় লাগবে। তত দিনে রমজান মাস শেষ হয়ে চাহিদাও কমে যাবে। অন্যদিকে আলুর স্থানীয় মজুদ বাজারে ছেড়ে দাম কমানোর চাপমূলক কৌশল হিসেবে আমদানির সিদ্ধান্তটি অন্তত আরও সপ্তাহখানেক আগে নেওয়া যেত।
No comments