বাংলাদেশ জিতেছে, তাই ভালো আছি’
দুই হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর মাশরাফি বিন মুর্তজা এখন মেলবোর্নে দিন গুনছেন দেশে ফেরার। হাঁটুতে চোট পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের মাঝপথে ফিরে আসতে বাধ্য হওয়া বাংলাদেশ অধিনায়কের সঙ্গে কাল টেলিফোনে তাঁর বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা হলো। জানালেন বাংলাদেশের সাফল্যে তাঁর উচ্ছ্বাসের কথাও কেমন আছেন?
মাশরাফি বিন মুর্তজা: অনেক ভালো।
অনেক ভালো! ঘটনা কী, সুস্থ হয়ে গেছেন নাকি?
মাশরাফি: না, সুস্থ হতে দেরি আছে। বাংলাদেশ জিতেছে, এ কারণে অনেক ভালো আছি।
আচ্ছা আচ্ছা, তা আপনার নিজের অবস্থা কী?
মাশরাফি: ভালোই আছি। ১০ তারিখে অপারেশন হয়েছে। অপারেশনের পর একবার চেকআপ করিয়েছি। যাওয়ার আগে আরেকবার করানোর ইচ্ছা আছে। ২২ তারিখে দেশে ফিরব।
আপনি তো লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় পেয়েছিলেন। সে তুলনায় তো ইনজুরিটা কম গুরুতরই হয়েছে, না কি?
মাশরাফি: হ্যাঁ, লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে তো এক বছর বাইরে বসে থাকতে হতো। সে তুলনায় তো কমই হয়েছে। এখন মাস দুয়েকের মধ্যেই মাঠে ফিরতে পারব বলে আশা করছি।
এক হাঁটুর সমস্যা নিয়ে গেলেন অথচ দুই হাঁটুতেই অপারেশন লাগল!
মাশরাফি: হ্যাঁ। ডান হাঁটুতে চোট নিয়ে এলাম, ডাক্তার দুই হাঁটু দেখে বলল, বাঁ হাঁটুর অবস্থা আরও খারাপ। বাঁ হাঁটুতে এখনই অপারেশন না করালে পরে বড় সমস্যা হতে পারত। এর আগেও একবার এমন হয়েছিল। এক হাঁটুতে চোট পেয়ে মেলবোর্নে এসেছি, ডাক্তার বলেছে অন্য হাঁটুর অবস্থাও ভালো নয়।
তাহলে তো ডান হাঁটুর ইনজুরিটা শাপে বরই হয়েছে, তাই না?
মাশরাফি: আর শাপে বর! অপারেশন থিয়েটারে অ্যানেসথেসিয়া করার আগে ডেভিড ইয়াং (অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদ) নতুন একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বলল, ওর দুই হাঁটুতে ছয়টা অপারেশন হয়ে যাচ্ছে। তিনবার হাঁটু পুরো নতুন করে সাজাতে হয়েছে (রিকনস্ট্রাকশন)। তার পরও কীভাবে খেলে, ও-ই জানে!
দুই মাসের মধ্যে মাঠে ফিরতে পারলে তো অক্টোবরের শেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেই খেলতে পারার কথা।
মাশরাফি: তাই তো আশা করছি। আমি প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই ফিরব। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই খেলা শুরু করতে চাই। এখন দেখা যাক, কী হয়!
বাংলাদেশের জয়ে আনন্দের কথা বলছিলেন। টিভিতে খেলা দেখেছেন নাকি?
মাশরাফি: না, টিভিতে দেখিনি। ইন্টারনেটে বল বাই বল দেখেছি। অপারেশনের পর প্রথম সপ্তাহটা তো অসুস্থ ছিলাম। শেষ দুইটা ম্যাচ ভালো করে দেখেছি। তামিমের ইনিংসটা (চতুর্থ ওয়ানডেতে ১৫৪) দেখে খুব মজা পেয়েছি, কাল (মঙ্গলবার) মুশফিকের ইনিংসটাও খুব ভালো লেগেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফিরে আসার সময় কি ভাবতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশ ওখানে ওয়ানডে সিরিজের পর জিম্বাবুয়েতেও এত ভালো করবে?
মাশরাফি: জিম্বাবুয়েটা নিয়ে আমার একটু চিন্তা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওই দল আমাদের সঙ্গে পারবে না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু জিম্বাবুয়ে আমাদের সঙ্গে অনেক খেলেছে। নিজেদের দেশে ওরা যথেষ্ট ভালো দলও। খেলেছেও ভালো। আমরা জিতেছি ওদের চেয়েও বেশি ভালো খেলায়। এই সিরিজে সবচেয়ে যা ভালো লেগেছে, প্রতিদিনই কোনো না কোনো ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছে।
মেলবোর্নে এখন কোথায় আছেন?
মাশরাফি: মেলবোর্নে তো আমার একটাই ঠিকানা—বাবু ভাই (মেলবোর্ন প্রবাসী ইকরাম বাবু)। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর উনার বাসাতেই আছি। উনি আমার জন্য যা করছেন, তাঁর তুলনা নেই। নিজের সব কাজ বাদ দিয়ে উনি আমাকে নিয়েই আছেন। এর আগেও যতবার মেলবোর্নে এসেছি, উনি এমনই করেছেন। শুধু আমার জন্য কেন, শরীফ (পেসার মোহাম্মদ শরীফ), সুমন ভাই (হাবিবুল বাশার)—বাংলাদেশের যত ক্রিকেটার এখানে চিকিত্সা করাতে এসেছেন, সবার জন্যই উনি এমন করেছেন।
মাশরাফি বিন মুর্তজা: অনেক ভালো।
অনেক ভালো! ঘটনা কী, সুস্থ হয়ে গেছেন নাকি?
মাশরাফি: না, সুস্থ হতে দেরি আছে। বাংলাদেশ জিতেছে, এ কারণে অনেক ভালো আছি।
আচ্ছা আচ্ছা, তা আপনার নিজের অবস্থা কী?
মাশরাফি: ভালোই আছি। ১০ তারিখে অপারেশন হয়েছে। অপারেশনের পর একবার চেকআপ করিয়েছি। যাওয়ার আগে আরেকবার করানোর ইচ্ছা আছে। ২২ তারিখে দেশে ফিরব।
আপনি তো লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় পেয়েছিলেন। সে তুলনায় তো ইনজুরিটা কম গুরুতরই হয়েছে, না কি?
মাশরাফি: হ্যাঁ, লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে তো এক বছর বাইরে বসে থাকতে হতো। সে তুলনায় তো কমই হয়েছে। এখন মাস দুয়েকের মধ্যেই মাঠে ফিরতে পারব বলে আশা করছি।
এক হাঁটুর সমস্যা নিয়ে গেলেন অথচ দুই হাঁটুতেই অপারেশন লাগল!
মাশরাফি: হ্যাঁ। ডান হাঁটুতে চোট নিয়ে এলাম, ডাক্তার দুই হাঁটু দেখে বলল, বাঁ হাঁটুর অবস্থা আরও খারাপ। বাঁ হাঁটুতে এখনই অপারেশন না করালে পরে বড় সমস্যা হতে পারত। এর আগেও একবার এমন হয়েছিল। এক হাঁটুতে চোট পেয়ে মেলবোর্নে এসেছি, ডাক্তার বলেছে অন্য হাঁটুর অবস্থাও ভালো নয়।
তাহলে তো ডান হাঁটুর ইনজুরিটা শাপে বরই হয়েছে, তাই না?
মাশরাফি: আর শাপে বর! অপারেশন থিয়েটারে অ্যানেসথেসিয়া করার আগে ডেভিড ইয়াং (অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদ) নতুন একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বলল, ওর দুই হাঁটুতে ছয়টা অপারেশন হয়ে যাচ্ছে। তিনবার হাঁটু পুরো নতুন করে সাজাতে হয়েছে (রিকনস্ট্রাকশন)। তার পরও কীভাবে খেলে, ও-ই জানে!
দুই মাসের মধ্যে মাঠে ফিরতে পারলে তো অক্টোবরের শেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেই খেলতে পারার কথা।
মাশরাফি: তাই তো আশা করছি। আমি প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই ফিরব। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই খেলা শুরু করতে চাই। এখন দেখা যাক, কী হয়!
বাংলাদেশের জয়ে আনন্দের কথা বলছিলেন। টিভিতে খেলা দেখেছেন নাকি?
মাশরাফি: না, টিভিতে দেখিনি। ইন্টারনেটে বল বাই বল দেখেছি। অপারেশনের পর প্রথম সপ্তাহটা তো অসুস্থ ছিলাম। শেষ দুইটা ম্যাচ ভালো করে দেখেছি। তামিমের ইনিংসটা (চতুর্থ ওয়ানডেতে ১৫৪) দেখে খুব মজা পেয়েছি, কাল (মঙ্গলবার) মুশফিকের ইনিংসটাও খুব ভালো লেগেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফিরে আসার সময় কি ভাবতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশ ওখানে ওয়ানডে সিরিজের পর জিম্বাবুয়েতেও এত ভালো করবে?
মাশরাফি: জিম্বাবুয়েটা নিয়ে আমার একটু চিন্তা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওই দল আমাদের সঙ্গে পারবে না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু জিম্বাবুয়ে আমাদের সঙ্গে অনেক খেলেছে। নিজেদের দেশে ওরা যথেষ্ট ভালো দলও। খেলেছেও ভালো। আমরা জিতেছি ওদের চেয়েও বেশি ভালো খেলায়। এই সিরিজে সবচেয়ে যা ভালো লেগেছে, প্রতিদিনই কোনো না কোনো ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছে।
মেলবোর্নে এখন কোথায় আছেন?
মাশরাফি: মেলবোর্নে তো আমার একটাই ঠিকানা—বাবু ভাই (মেলবোর্ন প্রবাসী ইকরাম বাবু)। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর উনার বাসাতেই আছি। উনি আমার জন্য যা করছেন, তাঁর তুলনা নেই। নিজের সব কাজ বাদ দিয়ে উনি আমাকে নিয়েই আছেন। এর আগেও যতবার মেলবোর্নে এসেছি, উনি এমনই করেছেন। শুধু আমার জন্য কেন, শরীফ (পেসার মোহাম্মদ শরীফ), সুমন ভাই (হাবিবুল বাশার)—বাংলাদেশের যত ক্রিকেটার এখানে চিকিত্সা করাতে এসেছেন, সবার জন্যই উনি এমন করেছেন।
No comments