বিসিসিআইর স্ব-আরোপিত ডোপ পরীক্ষা
ওয়াডার (আন্তর্জাতিক ডোপিংবিরোধী সংস্থা) প্রয়োজন নেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। আইসিসিকেও ওয়াডা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়ার এক দিন পরই এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ঘোষণা দিল, তারা নিজেদের আয়োজনেই খেলোয়াড়দের ডোপ পরীক্ষা করবে। ওয়াডার চেয়ে তাদের এই ডোপিং নীতিমালা অধিকতর ক্রিকেট-ঘনিষ্ঠ হবে বলেই বিশ্বাস বিসিসিআইর। মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটারদের আনা হবে এই ডোপিং নীতিমালার আওতায়।
আগামী বছর থেকে বিসিসিআই তাদের সহযোগী সংস্থাগুলোকে ডোপ পরীক্ষার বিশদ বৃত্তান্ত বুঝিয়ে বলবে। বিসিসিআইর মতে, ওয়াডা নীতিমালার ভাষা খুবই দুরূহ। দুই মাস সময় ব্যয় হবে ডোপ পরীক্ষা কী—এটি খেলোয়াড়দের ভালো করে বোঝাতে। এর পর থেকে শুরু হবে দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে ডোপ পরীক্ষা।
এদিকে শেষ সময়সীমা পর্যন্ত ওয়াডার চুক্তিপত্রে সই না করায় ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারদের সমালোচনা চলছেই। ‘হোয়্যার অ্যাবাউটস’ শর্তে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন হয়—এ অভিযোগে ভারতের নির্বাচিত ক্রিকেটাররা এই চুক্তিতে সই করেননি। ‘হোয়্যার অ্যাবাউটস’ শর্ত মেনে, সামনের তিন মাস খেলোয়াড়েরা কখন কোথায় থাকবেন সেটি আগাম জানাতে হবে, যাতে হুট করে ওয়াডার পক্ষ থেকে কোনো পরীক্ষক এসে ওই খেলোয়াড়দের নমুনা নিয়ে যেতে পারেন।
‘হোয়্যার অ্যাবাউটস’ নিয়ে সমালোচনা বেশ কিছুদিন ধরেই হচ্ছে। কিন্তু ওয়াডা মনে করে, এই শর্তটা এক দিক দিয়ে কঠোর মনে হলেও এখন যেভাবে ক্রীড়া বিশ্বে উন্নত প্রযুক্তির ড্রাগ জড়িয়ে পড়ছে, তাতে এ ধরনের উদ্যোগের বিকল্প নেই। তবে খেলোয়াড়েরা যেমনটা মনে করছেন, সেভাবে তাঁদের ব্যক্তি জীবনে হস্তক্ষেপও করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ফিকার প্রধান নির্বাহী টিম মে এর আগেই একবার বিসিসিআইর সমালোচনা করেছেন এই বলে, বাকি দেশগুলো যেখানে বিনা বাক্যব্যয়ে এই শর্তে সই করেছে, সেখানে বিসিসিআইর গড়িমসির কোনো মানে হয় না। তিনি এও মনে করেন, ‘হোয়্যার অ্যাবাউটস’ শর্তটা আসলে ঠিকমতো বুঝতে পারছে না বিসিসিআই।
ওদিকে খোদ ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী এম এস গিলও সমালোচকদের কাতারে। তাঁর কথা, ভারতের বাকি খেলার খেলোয়াড়েরা ওয়াডা চুক্তির আওতায় চলে এসেছেন, তাই ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা নিয়ম হতে পারে না। কিন্তু গিলের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরোধিতার পরও নিজেদের অবস্থানে অনড় বিসিসিআই। বোর্ডের মুখপাত্র রাজীব শুক্লা বরং এই দাবি করছেন, ‘আমরা যা করেছি, ভারতের সংবিধান অনুযায়ীই করেছি।
আগামী বছর থেকে বিসিসিআই তাদের সহযোগী সংস্থাগুলোকে ডোপ পরীক্ষার বিশদ বৃত্তান্ত বুঝিয়ে বলবে। বিসিসিআইর মতে, ওয়াডা নীতিমালার ভাষা খুবই দুরূহ। দুই মাস সময় ব্যয় হবে ডোপ পরীক্ষা কী—এটি খেলোয়াড়দের ভালো করে বোঝাতে। এর পর থেকে শুরু হবে দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে ডোপ পরীক্ষা।
এদিকে শেষ সময়সীমা পর্যন্ত ওয়াডার চুক্তিপত্রে সই না করায় ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারদের সমালোচনা চলছেই। ‘হোয়্যার অ্যাবাউটস’ শর্তে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন হয়—এ অভিযোগে ভারতের নির্বাচিত ক্রিকেটাররা এই চুক্তিতে সই করেননি। ‘হোয়্যার অ্যাবাউটস’ শর্ত মেনে, সামনের তিন মাস খেলোয়াড়েরা কখন কোথায় থাকবেন সেটি আগাম জানাতে হবে, যাতে হুট করে ওয়াডার পক্ষ থেকে কোনো পরীক্ষক এসে ওই খেলোয়াড়দের নমুনা নিয়ে যেতে পারেন।
‘হোয়্যার অ্যাবাউটস’ নিয়ে সমালোচনা বেশ কিছুদিন ধরেই হচ্ছে। কিন্তু ওয়াডা মনে করে, এই শর্তটা এক দিক দিয়ে কঠোর মনে হলেও এখন যেভাবে ক্রীড়া বিশ্বে উন্নত প্রযুক্তির ড্রাগ জড়িয়ে পড়ছে, তাতে এ ধরনের উদ্যোগের বিকল্প নেই। তবে খেলোয়াড়েরা যেমনটা মনে করছেন, সেভাবে তাঁদের ব্যক্তি জীবনে হস্তক্ষেপও করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ফিকার প্রধান নির্বাহী টিম মে এর আগেই একবার বিসিসিআইর সমালোচনা করেছেন এই বলে, বাকি দেশগুলো যেখানে বিনা বাক্যব্যয়ে এই শর্তে সই করেছে, সেখানে বিসিসিআইর গড়িমসির কোনো মানে হয় না। তিনি এও মনে করেন, ‘হোয়্যার অ্যাবাউটস’ শর্তটা আসলে ঠিকমতো বুঝতে পারছে না বিসিসিআই।
ওদিকে খোদ ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী এম এস গিলও সমালোচকদের কাতারে। তাঁর কথা, ভারতের বাকি খেলার খেলোয়াড়েরা ওয়াডা চুক্তির আওতায় চলে এসেছেন, তাই ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা নিয়ম হতে পারে না। কিন্তু গিলের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরোধিতার পরও নিজেদের অবস্থানে অনড় বিসিসিআই। বোর্ডের মুখপাত্র রাজীব শুক্লা বরং এই দাবি করছেন, ‘আমরা যা করেছি, ভারতের সংবিধান অনুযায়ীই করেছি।
No comments