সন্তুষ্ট দুই অধিনায়ক, অসন্তুষ্ট সাবেকেরা
সহ-অধিনায়ককে অধিনায়কের অভিনন্দন।পরশু ক্লার্কের ম্যাচ বাঁচানো সেঞ্চুরির পর |
বেশির ভাগ সময় বৃষ্টিতে খেয়ে নেওয়ার পর অনুমিতভাবেই ড্র হলো এজবাস্টন টেস্ট। চতুর্থ দিন বিকেলে ও পঞ্চম দিন মধ্যাহ্নভোজের আগে অবিশ্বাস্য এক জয়ের সম্ভাবনা অবশ্য উঁকি দিয়েছিল ইংলিশদের সামনে। মাইকেল ক্লার্ক ও মার্কাস নর্থের দৃঢ়তায় ভেস্তে যায় সেই সম্ভাবনা। ম্যাচের ফলে খুশি দুই অধিনায়কই। হঠাৎ করে জেগে ওঠা পরাজয়ের শঙ্কাকে নস্যাত্ করে সন্তুষ্ট রিকি পন্টিং। আর মরা ম্যাচেও কিছুটা প্রাণ জাগিয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস।
এই ম্যাচ হারলে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যেত পন্টিংয়ের। স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখায় ক্লার্ক-নর্থ জুটির স্তুতি গেয়েছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক, ‘আমরা জানতাম পঞ্চম দিনে আমাদের জন্য কাজটা হবে বেশ কঠিন। তবে ক্লার্ক ও নর্থের জুটিটা বিশেষ কিছু। ম্যাচটা যেভাবে আমরা শেষ করেছি তাতে আমি খুশি।’ সিরিজে পিছিয়ে থাকলেও পন্টিং মনে করেন এটাই তাঁদের জাগিয়ে তুলবে, ‘ড্রেসিংরুমে আমরা কেউই এতে (পিছিয়ে থাকায়) খুব একটা চিন্তিত নই। আমি সব সময় বলে এসেছি, প্রতিকূলতার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার সেরাটা বেরিয়ে আসে।’ ব্রেট লি ও ব্র্যাড হাডিনের ফিরে আসার সম্ভাবনার সঙ্গে পন্টিংয়ের আশার পালে বাড়তি হাওয়া অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের ইনজুরি। পন্টিংয়ের কথা, ‘কেপি ও ফ্রেডি না খেললে তাদের দলে বিশাল শূন্যতা দেখা দেবে। লর্ডসে ফ্লিনটফ ছিল তাদের সেরা বোলার, কিন্তু এখানে তাকে দেখে মনে হয়েছে সে দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।’ দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হলেও নিজের ব্যাটিংয়ে হতাশ পন্টিং। কার্ডিফের সেঞ্চুরির পর টানা দুই টেস্টে ব্যর্থ হলেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। এজবাস্টনের চতুর্থ বিকেলে গ্রায়েম সোয়ানের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার পর হতাশ পন্টিং ড্রেসিংরুমের দরজায় সজোরে ধাক্কা মারেন বলে খবর দিয়েছে একটি পত্রিকা।
তবে ফ্লিনটফের ইনজুরিতে পন্টিং উদ্বুদ্ধ হলেও এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না স্ট্রাউস, ‘তাকে কিছুটা যন্ত্রণাক্লিষ্ট দেখা গেছে, তবে চিন্তার কিছু নেই। তার কিছুটা বিশ্রাম দরকার, কেননা টানা টেস্ট খেলা সব বোলারের জন্যই কষ্টকর। সে যদি ফিট থাকে তাহলে খেলবে, না থাকলে নয়।’ স্ট্রাউস একটু অসন্তুষ্ট উইকেট নিয়ে, ‘আমরা দারুণ আশা নিয়ে মাঠে এসেছিলাম, কিন্তু কন্ডিশন আমাদের সাহায্য করেনি। আমি ভেবেছিলাম বল আরও বেশি সুইং করবে।’
এদিকে ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যাট হাতে গত অ্যাশেজের ব্যর্থতা মাটিচাপা দেওয়ার মিশন দারুণভাবেই এগিয়ে নিচ্ছেন অভিষেক টেস্টের পর ৫০তম টেস্টেও সেঞ্চুরি করা মাইকেল ক্লার্ক। টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরিসহ ৩৫২ রান করে তিনিই এখন সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলে উচ্ছ্বসিত অস্ট্রেলীয় সহ-অধিনায়ক, ‘লর্ডসে আউট হয়ে যাওয়ায় খুব হতাশ ছিলাম। এখানে শেষ পর্যন্ত থাকতে পেরে দারুণ লাগছে।’
এদিকে দুই অধিনায়ক সন্তুষ্ট হলেও অসন্তুষ্ট দু দেশেরই মিডিয়া ও সাবেকেরা। বিখ্যাত ক্রিকেট লেখক পিটার রোবাক সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এ লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে ছোট করে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, কিন্তু ব্যবধানটা বাড়ছে, কমছে না। ফ্লিনটফ ভেঙে না পড়লে কিংবা অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলারদের উন্নতি না হলে জিতবে ইংল্যান্ডই।’ অন্যদিকে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক আথারটন স্ট্রাউসের কিছু সিদ্ধান্তকে বলেছেন দুর্বোধ্য, ‘প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া বোলারকে (অ্যান্ডারসন) শেষ দিনে প্রথম ঘণ্টায় বোলিংয়ে আনাই হলো না, এটা অদ্ভুত।’ সাবেক ক্রিকেটার ও গার্ডিয়ান পত্রিকার কলামিস্ট মাইক সিলভে ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়েই শঙ্কিত, ‘এখনো ইংল্যান্ড সুবিধাজনক অবস্থানে, তবে এমন সময়েই সবকিছু ভেঙে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা, বিশেষ করে জনসন ফর্ম ফিরে পাচ্ছে। ১-০-তে এগিয়ে থাকলেও তাই পথের এখনো অনেক বাকি।
এই ম্যাচ হারলে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যেত পন্টিংয়ের। স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখায় ক্লার্ক-নর্থ জুটির স্তুতি গেয়েছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক, ‘আমরা জানতাম পঞ্চম দিনে আমাদের জন্য কাজটা হবে বেশ কঠিন। তবে ক্লার্ক ও নর্থের জুটিটা বিশেষ কিছু। ম্যাচটা যেভাবে আমরা শেষ করেছি তাতে আমি খুশি।’ সিরিজে পিছিয়ে থাকলেও পন্টিং মনে করেন এটাই তাঁদের জাগিয়ে তুলবে, ‘ড্রেসিংরুমে আমরা কেউই এতে (পিছিয়ে থাকায়) খুব একটা চিন্তিত নই। আমি সব সময় বলে এসেছি, প্রতিকূলতার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার সেরাটা বেরিয়ে আসে।’ ব্রেট লি ও ব্র্যাড হাডিনের ফিরে আসার সম্ভাবনার সঙ্গে পন্টিংয়ের আশার পালে বাড়তি হাওয়া অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের ইনজুরি। পন্টিংয়ের কথা, ‘কেপি ও ফ্রেডি না খেললে তাদের দলে বিশাল শূন্যতা দেখা দেবে। লর্ডসে ফ্লিনটফ ছিল তাদের সেরা বোলার, কিন্তু এখানে তাকে দেখে মনে হয়েছে সে দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।’ দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হলেও নিজের ব্যাটিংয়ে হতাশ পন্টিং। কার্ডিফের সেঞ্চুরির পর টানা দুই টেস্টে ব্যর্থ হলেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। এজবাস্টনের চতুর্থ বিকেলে গ্রায়েম সোয়ানের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার পর হতাশ পন্টিং ড্রেসিংরুমের দরজায় সজোরে ধাক্কা মারেন বলে খবর দিয়েছে একটি পত্রিকা।
তবে ফ্লিনটফের ইনজুরিতে পন্টিং উদ্বুদ্ধ হলেও এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না স্ট্রাউস, ‘তাকে কিছুটা যন্ত্রণাক্লিষ্ট দেখা গেছে, তবে চিন্তার কিছু নেই। তার কিছুটা বিশ্রাম দরকার, কেননা টানা টেস্ট খেলা সব বোলারের জন্যই কষ্টকর। সে যদি ফিট থাকে তাহলে খেলবে, না থাকলে নয়।’ স্ট্রাউস একটু অসন্তুষ্ট উইকেট নিয়ে, ‘আমরা দারুণ আশা নিয়ে মাঠে এসেছিলাম, কিন্তু কন্ডিশন আমাদের সাহায্য করেনি। আমি ভেবেছিলাম বল আরও বেশি সুইং করবে।’
এদিকে ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যাট হাতে গত অ্যাশেজের ব্যর্থতা মাটিচাপা দেওয়ার মিশন দারুণভাবেই এগিয়ে নিচ্ছেন অভিষেক টেস্টের পর ৫০তম টেস্টেও সেঞ্চুরি করা মাইকেল ক্লার্ক। টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরিসহ ৩৫২ রান করে তিনিই এখন সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলে উচ্ছ্বসিত অস্ট্রেলীয় সহ-অধিনায়ক, ‘লর্ডসে আউট হয়ে যাওয়ায় খুব হতাশ ছিলাম। এখানে শেষ পর্যন্ত থাকতে পেরে দারুণ লাগছে।’
এদিকে দুই অধিনায়ক সন্তুষ্ট হলেও অসন্তুষ্ট দু দেশেরই মিডিয়া ও সাবেকেরা। বিখ্যাত ক্রিকেট লেখক পিটার রোবাক সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এ লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে ছোট করে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, কিন্তু ব্যবধানটা বাড়ছে, কমছে না। ফ্লিনটফ ভেঙে না পড়লে কিংবা অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলারদের উন্নতি না হলে জিতবে ইংল্যান্ডই।’ অন্যদিকে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক আথারটন স্ট্রাউসের কিছু সিদ্ধান্তকে বলেছেন দুর্বোধ্য, ‘প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া বোলারকে (অ্যান্ডারসন) শেষ দিনে প্রথম ঘণ্টায় বোলিংয়ে আনাই হলো না, এটা অদ্ভুত।’ সাবেক ক্রিকেটার ও গার্ডিয়ান পত্রিকার কলামিস্ট মাইক সিলভে ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়েই শঙ্কিত, ‘এখনো ইংল্যান্ড সুবিধাজনক অবস্থানে, তবে এমন সময়েই সবকিছু ভেঙে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা, বিশেষ করে জনসন ফর্ম ফিরে পাচ্ছে। ১-০-তে এগিয়ে থাকলেও তাই পথের এখনো অনেক বাকি।
No comments