নতুন গ্যাসসংযোগ না পেলে দেড় বছর বিনিয়োগ হবে না- বিজিএমইএর আলোচনা সভায় আনিসুল হক
সরকার নতুন কোনো কারখানায় গ্যাসের সংযোগ দেবে না বলে সম্প্রতি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারি এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী দেড় বছর দেশে নতুন বিনিয়োগ হবে না। শিল্পের মৌলিক এই অবকাঠামোর অভাবে বিদেশি বিনিয়োগও (এফডিআই) আসবে না।
এসবের সম্মিলিত প্রভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশ অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আনিসুল হক গতকাল মঙ্গলবার এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক আরও বলেন, বিশ্বমন্দার সময় জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশ করতে হলে সরকারকে উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও রাজস্ব নীতি-সহায়তা ও শিল্প-কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএর কার্যালয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। আলোচনায় অংশ নেন সাংসদ টিপু মুনশি, জহিরুল হক, শাহরিয়ার আলম ও গোলাম মওলা; এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, কাজী মনিরুজ্জামান, এস এম ফজলুল হক, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ।
সাংসদ শাহরিয়ার আলম বলেন, বিশ্বমন্দার কারণে তৈরি পোশাকের রপ্তানিমূল্য ব্যাপকভাবে কমেছে। এ অবস্থায় এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের সার্বিক বিষয় দেখভাল করার জন্য একটি সংসদীয় কমিটি গঠনের সুপারিশ করেন। এ ছাড়া পোশাকশিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করেন।
বিজিএমইএর সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, বিশ্বমন্দায় কারণে তৈরি পোশাকশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্ববাজারে মূল্য ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে। গত জুন মাসে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৮টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে কেবল গত মাসে ২০-২৫টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।
সালাম মুর্শেদী বলেন, বিগত সময়ে বিভিন্ন কারখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করা, একই সঙ্গে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুর করা একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তৈরি পোশাক মালিকেরা বলেন, যেসব কারখানায় শ্রমিক সংগঠন করতে দেওয়া হয়েছে, মালিকেরা দু-তিন বছরের মধ্যে ওই সব কারখানা লোকসান দিয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক সংগঠনের বিরোধিতা করেন।
এসবের সম্মিলিত প্রভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশ অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আনিসুল হক গতকাল মঙ্গলবার এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক আরও বলেন, বিশ্বমন্দার সময় জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশ করতে হলে সরকারকে উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও রাজস্ব নীতি-সহায়তা ও শিল্প-কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএর কার্যালয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। আলোচনায় অংশ নেন সাংসদ টিপু মুনশি, জহিরুল হক, শাহরিয়ার আলম ও গোলাম মওলা; এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, কাজী মনিরুজ্জামান, এস এম ফজলুল হক, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ।
সাংসদ শাহরিয়ার আলম বলেন, বিশ্বমন্দার কারণে তৈরি পোশাকের রপ্তানিমূল্য ব্যাপকভাবে কমেছে। এ অবস্থায় এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের সার্বিক বিষয় দেখভাল করার জন্য একটি সংসদীয় কমিটি গঠনের সুপারিশ করেন। এ ছাড়া পোশাকশিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করেন।
বিজিএমইএর সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, বিশ্বমন্দায় কারণে তৈরি পোশাকশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্ববাজারে মূল্য ২০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ কমেছে। গত জুন মাসে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৮টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে কেবল গত মাসে ২০-২৫টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।
সালাম মুর্শেদী বলেন, বিগত সময়ে বিভিন্ন কারখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করা, একই সঙ্গে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুর করা একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তৈরি পোশাক মালিকেরা বলেন, যেসব কারখানায় শ্রমিক সংগঠন করতে দেওয়া হয়েছে, মালিকেরা দু-তিন বছরের মধ্যে ওই সব কারখানা লোকসান দিয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক সংগঠনের বিরোধিতা করেন।
No comments