কোমর ব্যথা হলেই কিডনির সমস্যা নয়! by ডাঃ এম. ইয়াছিন আলী
আমাদের
বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে ভীতি আছে কোমরে ব্যথা হচ্ছে ভাবছেন কিডনির কারণে
হচ্ছে না তো? হ্যাঁ কিডনিতে পাথর বা কিডনির সমস্যা হলেও কোমর ব্যথা হতে
পারে কিন্তু এর সংখ্যা খুবই কম তবে কোমর ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে এটিও
একটি। তাছাড়াও বিভিন্ন কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। যেমন-
ম্যাকানিক্যাল ব্যাকপেইন বা পশ্চারজনিত কোমর ব্যথা : এই পশ্চারজনিত কোমর ব্যথা বা মেকানিক্যাল ব্যাকপেইনে ৮০ শতাংশ মানুষ ভুগে থাকে যারা একাধারে দীর্ঘক্ষণ বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করে তাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। যেমন- মাসল-স্পাজম বা মাংসপেশির সংকোচন, মাংসপেশির দুর্বলতা ইত্যাদি।
লাম্বার স্পনডাইলোসিস : এটি মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলোর ক্ষয়জনিত রোগ এখানে মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলো ক্ষয় হয়ে দুইটি কশেরুকার মধ্যবর্তী স্থানের ফাঁকা স্পেস কমে যায়। পাশাপাশি কশেরুকাগুলোর সঙ্গে ছোট ছোট নতুন হাড়ের সৃষ্টি হয়, যাকে অস্টিওফাইট বলে, স্পাইনাল নার্ভগুলোর ওপর চাপ দেয় যার ফলে কোমরে ব্যথা অনুভ‚ত হয়।
লাম্বার স্পনডাইলোলিসথেসিস : আমাদের মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলো একটি নির্দিষ্ট এলাইনমেন্ট বা অবস্থানে থাকে যখন কোনো কারণে এই কশেরুকাগুলোর এক বা একাধিক কশেরুকা তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে যায় তখন এই সমস্যাটিকে লাম্বার স্পনডাইলোলিসথেসিস লা হয়, এর ফলে কোমরে ব্যথা অনুভ‚ত হয় ।
এনকাইলোজিং স্পনডাইলাইটিস : এটি একটি মেরুদণ্ডের বাত রোগ এর ফলে মেরুদণ্ডটির স্বাভাবিক বক্রতা নষ্ট হয়ে সোজা হয়ে যায় পাশাপাশি একটি কশেরুকা অন্যটির সঙ্গে ফিউজড বা জমাট বেঁধে যায় যার ফলে রোগীর মেরুদণ্ডের মুভমেন্ট বা নড়াচড়া কমে যায় যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘাড় ও কোমরের রেঞ্জ অব মোশন বা মুভমেন্ট কমে যায়।
পিএলআইডি বা ডিস্ক-প্রলেপস : আমাদের মেরুদণ্ডের গঠন অনুযায়ী প্রত্যেকটি কশেরুকার মধ্যবর্তী স্থানে পেশির ন্যায় সেমি এলিড এক ধরনের পদার্থ থাকে সেটিকে মেডিকেল পরিভাষায় ডিস্ক বলে। এটির মাঝখান থেকে স্পাইনাল নার্ভগুলো বের হয়ে রুট অনুযায়ী হাত ও পায়ের দিকে যায় যখন এই ডিস্ক তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে যায় তখন এটিকে ডিস্ক প্রলেপস বলে। এই ডিস্ক সরে গিয়ে মেরুদণ্ডের ওপর চাপ পড়ে তখন ব্যথা অনুভ‚ত হয়।
অস্টিও পোরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতাজনিত কোমর ব্যথা : এটি হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগ বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যেমন আমাদের চুল পেকে যায় তেমনি হাড়ের ভেতরের উপাদানগুলো কমে যায়, যার ফলে বোন মিনারেল ডেনসিটি কমে যায় তখন হাড়গুলো ভঙ্গুর হতে থাকে। কোমরের মেরুদণ্ডের হাড়গুলো যখন অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হয় তখন কোমর ব্যথা অনুভ‚ত হয়।
স্পাইনাল টিউমার বা ক্যান্সার : আমাদের মেরুদণ্ডের লাম্বার স্পাইনে বা কোমরের অংশে যদি টিউমার, টিউবার কোলোসিস বা টিবি অথবা ক্যান্সার হয় সে ক্ষেত্রেও কোমর ব্যথা হতে পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বেশিরভাগ কোমর ব্যথার কারণগুলোর উপসর্গ প্রায়ই একই। যার কারণে কোমর ব্যথা হলে অবহেলা না করে দ্রæত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোমর ব্যথার সঠিক কারণটি নির্ণয় করে চিকিৎসা নিন কোমর ব্যথা মুক্ত জীবনযাপন করুন।
>>>লেখক- ডাঃ এম. ইয়াছিন আলী: কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয়প্রধান, ফিজিওথেরাপি বিভাগ প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিফ-কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা। মোবাঃ ০১৭৮৭-১০৬৭০২
ম্যাকানিক্যাল ব্যাকপেইন বা পশ্চারজনিত কোমর ব্যথা : এই পশ্চারজনিত কোমর ব্যথা বা মেকানিক্যাল ব্যাকপেইনে ৮০ শতাংশ মানুষ ভুগে থাকে যারা একাধারে দীর্ঘক্ষণ বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করে তাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। যেমন- মাসল-স্পাজম বা মাংসপেশির সংকোচন, মাংসপেশির দুর্বলতা ইত্যাদি।
লাম্বার স্পনডাইলোসিস : এটি মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলোর ক্ষয়জনিত রোগ এখানে মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলো ক্ষয় হয়ে দুইটি কশেরুকার মধ্যবর্তী স্থানের ফাঁকা স্পেস কমে যায়। পাশাপাশি কশেরুকাগুলোর সঙ্গে ছোট ছোট নতুন হাড়ের সৃষ্টি হয়, যাকে অস্টিওফাইট বলে, স্পাইনাল নার্ভগুলোর ওপর চাপ দেয় যার ফলে কোমরে ব্যথা অনুভ‚ত হয়।
লাম্বার স্পনডাইলোলিসথেসিস : আমাদের মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলো একটি নির্দিষ্ট এলাইনমেন্ট বা অবস্থানে থাকে যখন কোনো কারণে এই কশেরুকাগুলোর এক বা একাধিক কশেরুকা তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে যায় তখন এই সমস্যাটিকে লাম্বার স্পনডাইলোলিসথেসিস লা হয়, এর ফলে কোমরে ব্যথা অনুভ‚ত হয় ।
এনকাইলোজিং স্পনডাইলাইটিস : এটি একটি মেরুদণ্ডের বাত রোগ এর ফলে মেরুদণ্ডটির স্বাভাবিক বক্রতা নষ্ট হয়ে সোজা হয়ে যায় পাশাপাশি একটি কশেরুকা অন্যটির সঙ্গে ফিউজড বা জমাট বেঁধে যায় যার ফলে রোগীর মেরুদণ্ডের মুভমেন্ট বা নড়াচড়া কমে যায় যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘাড় ও কোমরের রেঞ্জ অব মোশন বা মুভমেন্ট কমে যায়।
পিএলআইডি বা ডিস্ক-প্রলেপস : আমাদের মেরুদণ্ডের গঠন অনুযায়ী প্রত্যেকটি কশেরুকার মধ্যবর্তী স্থানে পেশির ন্যায় সেমি এলিড এক ধরনের পদার্থ থাকে সেটিকে মেডিকেল পরিভাষায় ডিস্ক বলে। এটির মাঝখান থেকে স্পাইনাল নার্ভগুলো বের হয়ে রুট অনুযায়ী হাত ও পায়ের দিকে যায় যখন এই ডিস্ক তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে যায় তখন এটিকে ডিস্ক প্রলেপস বলে। এই ডিস্ক সরে গিয়ে মেরুদণ্ডের ওপর চাপ পড়ে তখন ব্যথা অনুভ‚ত হয়।
অস্টিও পোরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতাজনিত কোমর ব্যথা : এটি হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগ বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যেমন আমাদের চুল পেকে যায় তেমনি হাড়ের ভেতরের উপাদানগুলো কমে যায়, যার ফলে বোন মিনারেল ডেনসিটি কমে যায় তখন হাড়গুলো ভঙ্গুর হতে থাকে। কোমরের মেরুদণ্ডের হাড়গুলো যখন অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হয় তখন কোমর ব্যথা অনুভ‚ত হয়।
স্পাইনাল টিউমার বা ক্যান্সার : আমাদের মেরুদণ্ডের লাম্বার স্পাইনে বা কোমরের অংশে যদি টিউমার, টিউবার কোলোসিস বা টিবি অথবা ক্যান্সার হয় সে ক্ষেত্রেও কোমর ব্যথা হতে পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বেশিরভাগ কোমর ব্যথার কারণগুলোর উপসর্গ প্রায়ই একই। যার কারণে কোমর ব্যথা হলে অবহেলা না করে দ্রæত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোমর ব্যথার সঠিক কারণটি নির্ণয় করে চিকিৎসা নিন কোমর ব্যথা মুক্ত জীবনযাপন করুন।
>>>লেখক- ডাঃ এম. ইয়াছিন আলী: কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয়প্রধান, ফিজিওথেরাপি বিভাগ প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিফ-কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা। মোবাঃ ০১৭৮৭-১০৬৭০২
No comments