আমি রঘু রাই নই, আমি আমার মতো কাজ করব: অবনী রাই by দুর্গানন্দ বাল সাভার
অবনী
রাইয়ের চলচ্চিত্র ‘রঘু রাই: অ্যান আনফ্রেমড প্রোর্টেট’-এ তার বাবার
অভিজ্ঞতাই তুলে ধরা হয়েছে। অন্যতম এই শ্রদ্ধাভাজন ফটোগ্রাফার গত ৫ দশক ধরে
ভারতের ইতিহাস ধরে রেখেছেন। চেন্নাই ফটো বাইএনিয়ালের অংশ হিসেবে চলতি বছরের
প্রথম দিকে গোটে-ইনস্টিটিউট/ম্যাক্স মুলার ভবনে একটি প্রদর্শনীর জন্য বাবা
আর মেয়ে ছিলেন চেন্নাই।
কারো বাবাকে নিয়ে তৈরী চলচ্চিত্র দ্ব্যর্থবোধক হতে পারে, কারণ এতে নির্দিষ্ট নির্লিপ্ততার প্রয়োজন পড়ে। আইডিয়াটি কিভাবে সামনে এলো?
আমি আসলে আমার বাবাকে নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরী করার কোনো পরিকল্পনা করিনি। বাসায় কয়েকটি ক্যামেরা ছিল, আমি সেগুলো দিয়ে চলচ্চিত্র বানাতে শুরু করি। আমি নিজের জন্যই ছবি তুলছিলাম, চলচ্চিত্র নির্মাণের কোনো আইডিয়া ছিল না। তার ছবি তোলার সময় তিনি আমাকে হয় সংশোধন করে দিচ্ছিলেন, কিংবা বলছিলেন যে এটা আমার সময়ের অপচয় মাত্র। আমি তখন মুম্বাইয়ে সাংবাদিকতার কোর্স করছিলাম। চলচ্চিত্র নির্মাণের কোনো ভাবনা আমার মনে ছিল না কখনোই। কয়েক বছর পর আইডিয়াটি মাথায় এলো। আমি যদি নিজের মতো করে করি, ততক্ষণ আমাকে সমর্থন দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন অনুরাগ কশ্যপ। এক ফিনিশ প্রডিউসার, এক ডাচ এডিটর ও এক অস্ট্রিয়ান ডিস্ট্রিবিউটরকে পাওয়ার পরই রঘু রাই গুরুত্ব দিয়ে সামনে স্থান পেল।
রাইয়ের ফটোগ্রাফিক পর্বটি ৫ দশকের বেশি সময় স্থায়ী। এর সাথে জড়িয়ে আছে ভারতের অকথিত ইতিহাস। এটি ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা ও দালাই লামার স্মৃতিকথাও।
ইন্দিরা গান্ধীর সাথে তার খুবই ভিন্ন সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে একদিকে যেমন ছিল ঘনিষ্ঠতা, আবার ছিল দূরত্বও। তিনি সবসময় মনে করতেন, একটি ছবিকে অবশ্যই সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আমি যখন আজকের দৃশ্যপটে ওই পর্যায়টির দিকে তাকাই, তখন … আমার কাছে রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বর্তমানে যে প্রটোকল আর সিকিউরিটি আছে, তাতে করে মনে হয় না, আমি একই কাজ করার চেষ্টা করতে পারব।
আমাদের সময় মনে হচ্ছে, আমরা পেছনে হটছি। সাংবাদিকতার প্রয়োজন শ্রদ্ধাভাজন হওয়া, অনেক বেশি উদ্দেশ্যপূর্ণ হওয়া, দায়িত্বশীল হওয়া। আমরা এখন প্রচারণা, অতিরঞ্জন, ভুয়া প্রপাগান্ডা, বায়োপিক, আর বলিউড-ধরনের সংবাদের যুগে বাস করছি। ১৯৭০-এর দশকে, তখনো আমার জন্ম হয়নি, অবস্থা ছিল ভিন্ন। ওই সময়কার মিডিয়া আজকের চাকচিক্যে আচ্ছন্ন ছিল না।
এই চলচ্চিত্রটি আমার চোখে দেখা বিষয়। তবে মনে রাখতে হবে, গত ৫ দশকে তিনি যেভাবে ভারতকে দেখেছেন, আমি সেভাবে দেখিনি। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটি হবে ব্যক্তিগত চলচ্চিত্র। এটা কেবল রঘু রাইকে নিয়ে নয়, বরং আমি তাকে কিভাবে দেখেছি, সেটাও এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এতে আমি যেভাবে তাকে, ভারতকে দেখি, তা প্রকাশ পেয়েছে। এতে অনেক ঘটনার স্তর আছে- ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা, দালাই লামারদের জীবন এসেছে। কাশ্মিরকে প্রায়ই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়। আর তাই আমার মনে হয়েছে, আমার দায়িত্ব ক্যামেরার মাধ্যমে বাস্তবতা তুলে ধরা।
মাদার তেরেসা ও দালাই লামার সাথে রাইয়ের খুবই আলাদা সম্পর্ক ছিল।
দালাই লামা ও মাদার তেরেসার সাথে তার সাক্ষাত না হলে আমি মনে করি, তাকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে দেখা হতো। আমরা যেভাবে দেখি, জীবনকে বুঝি, তার রাস্তা বদলে দিয়েছে তা।
ফটোগ্রাফারের নথিতে যখন যুদ্ধ, নাগরিক আন্দোলন, বা বিপর্যয় সামনে আসে, তখন একটা দ্ব্যর্থবোধকতা চলে আসে। রাই অনেক সময় নিজেকে রাস্তার ফটোগ্রাফার বলতেন। একজন ফটোগ্রাফারের আকাঙ্ক্ষা থাকে কাছে যাওয়ার, আবার তাকে সঙ্ঘাতের ইতিহাসও দ্ব্যর্থহীনভাবে তুলে ধরতে হয়।
এসব জটিল পরিস্থিতিতে তিনি তার ভূমিকাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখার চেষ্টা করেছেন। তিনি প্রায়ই লোকজনকে সহায়তা করতেন। আবার সত্যকে তুলে ধরার দায়িত্বেও বিশ্বাস করতেন। অনেক সময় তিনি এমন স্থানে চলে যেতেন, তখন আশপাশে থাকত চিকিৎসকেরা। তখন তিনি চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। আবার কাশ্মিরে তার আশপাশে কেউ থাকত না, তিনি সঙ্ঘাতের মুহূর্তে লোকজনের কাছে চলে যেতেন।
পরিস্থিতির প্রতি স্পর্শকাতর থাকার সময় তোমাকে একটি বিকল্প বেছে নিতে হবে। একজন ফটোগ্রাফারকে বিশ্বের অবশিষ্ট অংশের চোখ হওয়ার দায়িত্বশীল হতে হবে।
অনুরাগ কশ্যপ বলেন, ১৮ বছর বয়সে তুমি আসলে তোমার বাবাকে বুঝতে পারো না। আর চলচ্চিত্র নির্মাণ করার প্রক্রিয়ায় তুমি রাইকে ভিন্নভাবে দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছ।
আমার বাবা নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছেছেন এবং তিনি নিজেকে নিয়ে নিশ্চিত। আর আমি যখন এই চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করছি, তখন আমার বয়স ১৮ বছর। আমার জীবনে অনেক কিছু ঘটছে। ক্যামেরা চালানোর সময় ভিউফাইন্ডার দেখতে হবে, অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না। তুমি যখন তোমার বাবাকে ভিউফাইন্ডার দিয়ে দেখবে, তখন স্বাভাবিক চোখে ধরা পড়ে না, এমন অনেক কিছু সহজাতভাবেই দেখা হয়ে যাবে।
আমি মনে করি, ব্যক্তিগতভাবে ও পেশাগতভাবে- উভয় দিক দিয়েই পরিবর্তন হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে যখন কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়সে পরিবর্তনের সময় আবেগের কারণে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক। কিন্তু পেশাগতভাবে এমন একটি বিদ্রোহ ছিল, যেখানে আমার বাবা আমাকে জোর দিয়ে কিছু বলতেন, অথচ আমি সেভাবে কাজ করতে চাইতাম না। আমি রঘু রাই নই, আমি আমার মতো করে কাজ করব। এ কারণে আমাকে পথ খুঁজে নিতে হয়েছে। আমি কী চাই, সেটা আমাকে বের করে নিতে হয়েছে। আমাদের মধ্যে মিল কোথায় আছে, কোথায় কোথায় অমিল আছে, এবং আমাদের জীবন সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিও চূড়ান্ত করতে হয়েছে।
ভবিষ্যত কোথায়?
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার সময় আমার নিজের মধ্যেই কিছু করার অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল। আমি নতুন করে শুরু করতে পারতাম। আমার বাবা সম্পর্কে আমার যা কিছু বলার ছিল, সবই বলেছি। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমি ঘনিষ্ঠভাবে তাকে দেখিছি। হয়তো অনেকে তার সম্পর্কে আরো গবেষণাপূর্ণ ডকুমেন্টারি নির্মাণ করবে। তবে তা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার একটি ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। ফলে আমার জন্য এটি আমার মনের একটি পরিষ্কার স্লেট নতুন করে শুরু করার জন্য। এরপর কী করতে হবে, এবং তা আমি কিভাবে করতে পারি, সে ব্যাপারে আমি স্বাধীন।
কারো বাবাকে নিয়ে তৈরী চলচ্চিত্র দ্ব্যর্থবোধক হতে পারে, কারণ এতে নির্দিষ্ট নির্লিপ্ততার প্রয়োজন পড়ে। আইডিয়াটি কিভাবে সামনে এলো?
আমি আসলে আমার বাবাকে নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরী করার কোনো পরিকল্পনা করিনি। বাসায় কয়েকটি ক্যামেরা ছিল, আমি সেগুলো দিয়ে চলচ্চিত্র বানাতে শুরু করি। আমি নিজের জন্যই ছবি তুলছিলাম, চলচ্চিত্র নির্মাণের কোনো আইডিয়া ছিল না। তার ছবি তোলার সময় তিনি আমাকে হয় সংশোধন করে দিচ্ছিলেন, কিংবা বলছিলেন যে এটা আমার সময়ের অপচয় মাত্র। আমি তখন মুম্বাইয়ে সাংবাদিকতার কোর্স করছিলাম। চলচ্চিত্র নির্মাণের কোনো ভাবনা আমার মনে ছিল না কখনোই। কয়েক বছর পর আইডিয়াটি মাথায় এলো। আমি যদি নিজের মতো করে করি, ততক্ষণ আমাকে সমর্থন দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন অনুরাগ কশ্যপ। এক ফিনিশ প্রডিউসার, এক ডাচ এডিটর ও এক অস্ট্রিয়ান ডিস্ট্রিবিউটরকে পাওয়ার পরই রঘু রাই গুরুত্ব দিয়ে সামনে স্থান পেল।
রাইয়ের ফটোগ্রাফিক পর্বটি ৫ দশকের বেশি সময় স্থায়ী। এর সাথে জড়িয়ে আছে ভারতের অকথিত ইতিহাস। এটি ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা ও দালাই লামার স্মৃতিকথাও।
ইন্দিরা গান্ধীর সাথে তার খুবই ভিন্ন সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে একদিকে যেমন ছিল ঘনিষ্ঠতা, আবার ছিল দূরত্বও। তিনি সবসময় মনে করতেন, একটি ছবিকে অবশ্যই সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আমি যখন আজকের দৃশ্যপটে ওই পর্যায়টির দিকে তাকাই, তখন … আমার কাছে রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বর্তমানে যে প্রটোকল আর সিকিউরিটি আছে, তাতে করে মনে হয় না, আমি একই কাজ করার চেষ্টা করতে পারব।
আমাদের সময় মনে হচ্ছে, আমরা পেছনে হটছি। সাংবাদিকতার প্রয়োজন শ্রদ্ধাভাজন হওয়া, অনেক বেশি উদ্দেশ্যপূর্ণ হওয়া, দায়িত্বশীল হওয়া। আমরা এখন প্রচারণা, অতিরঞ্জন, ভুয়া প্রপাগান্ডা, বায়োপিক, আর বলিউড-ধরনের সংবাদের যুগে বাস করছি। ১৯৭০-এর দশকে, তখনো আমার জন্ম হয়নি, অবস্থা ছিল ভিন্ন। ওই সময়কার মিডিয়া আজকের চাকচিক্যে আচ্ছন্ন ছিল না।
এই চলচ্চিত্রটি আমার চোখে দেখা বিষয়। তবে মনে রাখতে হবে, গত ৫ দশকে তিনি যেভাবে ভারতকে দেখেছেন, আমি সেভাবে দেখিনি। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটি হবে ব্যক্তিগত চলচ্চিত্র। এটা কেবল রঘু রাইকে নিয়ে নয়, বরং আমি তাকে কিভাবে দেখেছি, সেটাও এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এতে আমি যেভাবে তাকে, ভারতকে দেখি, তা প্রকাশ পেয়েছে। এতে অনেক ঘটনার স্তর আছে- ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা, দালাই লামারদের জীবন এসেছে। কাশ্মিরকে প্রায়ই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়। আর তাই আমার মনে হয়েছে, আমার দায়িত্ব ক্যামেরার মাধ্যমে বাস্তবতা তুলে ধরা।
মাদার তেরেসা ও দালাই লামার সাথে রাইয়ের খুবই আলাদা সম্পর্ক ছিল।
দালাই লামা ও মাদার তেরেসার সাথে তার সাক্ষাত না হলে আমি মনে করি, তাকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে দেখা হতো। আমরা যেভাবে দেখি, জীবনকে বুঝি, তার রাস্তা বদলে দিয়েছে তা।
ফটোগ্রাফারের নথিতে যখন যুদ্ধ, নাগরিক আন্দোলন, বা বিপর্যয় সামনে আসে, তখন একটা দ্ব্যর্থবোধকতা চলে আসে। রাই অনেক সময় নিজেকে রাস্তার ফটোগ্রাফার বলতেন। একজন ফটোগ্রাফারের আকাঙ্ক্ষা থাকে কাছে যাওয়ার, আবার তাকে সঙ্ঘাতের ইতিহাসও দ্ব্যর্থহীনভাবে তুলে ধরতে হয়।
এসব জটিল পরিস্থিতিতে তিনি তার ভূমিকাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখার চেষ্টা করেছেন। তিনি প্রায়ই লোকজনকে সহায়তা করতেন। আবার সত্যকে তুলে ধরার দায়িত্বেও বিশ্বাস করতেন। অনেক সময় তিনি এমন স্থানে চলে যেতেন, তখন আশপাশে থাকত চিকিৎসকেরা। তখন তিনি চিকিৎসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। আবার কাশ্মিরে তার আশপাশে কেউ থাকত না, তিনি সঙ্ঘাতের মুহূর্তে লোকজনের কাছে চলে যেতেন।
পরিস্থিতির প্রতি স্পর্শকাতর থাকার সময় তোমাকে একটি বিকল্প বেছে নিতে হবে। একজন ফটোগ্রাফারকে বিশ্বের অবশিষ্ট অংশের চোখ হওয়ার দায়িত্বশীল হতে হবে।
অনুরাগ কশ্যপ বলেন, ১৮ বছর বয়সে তুমি আসলে তোমার বাবাকে বুঝতে পারো না। আর চলচ্চিত্র নির্মাণ করার প্রক্রিয়ায় তুমি রাইকে ভিন্নভাবে দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছ।
আমার বাবা নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছেছেন এবং তিনি নিজেকে নিয়ে নিশ্চিত। আর আমি যখন এই চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করছি, তখন আমার বয়স ১৮ বছর। আমার জীবনে অনেক কিছু ঘটছে। ক্যামেরা চালানোর সময় ভিউফাইন্ডার দেখতে হবে, অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না। তুমি যখন তোমার বাবাকে ভিউফাইন্ডার দিয়ে দেখবে, তখন স্বাভাবিক চোখে ধরা পড়ে না, এমন অনেক কিছু সহজাতভাবেই দেখা হয়ে যাবে।
আমি মনে করি, ব্যক্তিগতভাবে ও পেশাগতভাবে- উভয় দিক দিয়েই পরিবর্তন হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে যখন কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়সে পরিবর্তনের সময় আবেগের কারণে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক। কিন্তু পেশাগতভাবে এমন একটি বিদ্রোহ ছিল, যেখানে আমার বাবা আমাকে জোর দিয়ে কিছু বলতেন, অথচ আমি সেভাবে কাজ করতে চাইতাম না। আমি রঘু রাই নই, আমি আমার মতো করে কাজ করব। এ কারণে আমাকে পথ খুঁজে নিতে হয়েছে। আমি কী চাই, সেটা আমাকে বের করে নিতে হয়েছে। আমাদের মধ্যে মিল কোথায় আছে, কোথায় কোথায় অমিল আছে, এবং আমাদের জীবন সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিও চূড়ান্ত করতে হয়েছে।
ভবিষ্যত কোথায়?
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার সময় আমার নিজের মধ্যেই কিছু করার অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল। আমি নতুন করে শুরু করতে পারতাম। আমার বাবা সম্পর্কে আমার যা কিছু বলার ছিল, সবই বলেছি। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমি ঘনিষ্ঠভাবে তাকে দেখিছি। হয়তো অনেকে তার সম্পর্কে আরো গবেষণাপূর্ণ ডকুমেন্টারি নির্মাণ করবে। তবে তা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার একটি ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। ফলে আমার জন্য এটি আমার মনের একটি পরিষ্কার স্লেট নতুন করে শুরু করার জন্য। এরপর কী করতে হবে, এবং তা আমি কিভাবে করতে পারি, সে ব্যাপারে আমি স্বাধীন।
No comments