অপহরণকারীদের কবল থেকে যেভাবে পালিয়ে এলো তাসলিমা -মাইক্রোবাসে ছিলো আরও দুই শিশু
অপহরণকারীকে
ধাক্কা দিয়ে নিজের উপস্থিত বুদ্ধিতে মাইক্রোবাস থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে
আসলো অপহৃত কিশোরী তাসলিমা আক্তার (১৩)। শনিবার ভোর ৬টায় কুমিল্লা জেলার
লালমাই উপজেলার পেরুল থেকে অপহরণ হওয়ার পর জামতলী থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে
সে। তাসলিমা উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের কাঁকসার মোল্লাবাড়ির কালামের
মেয়ে। সে তার নানা বাড়ি পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের চৌকিদার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা
করছে। তাসলিমা স্থানীয় ফয়েজগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, শনিবার ভোর ৬টায় নানার বাড়ি থেকে বের হয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়ক সংলগ্ন খলিলপুর-পেরুল বাইতুন নূর জামে মসজিদ মক্তবে যাচ্ছিলো কিশোরী তাসলিমা। এ সময় বোরকা পরিহিত এক মহিলা মুখে রোমাল দিয়ে চেঁপে ধরে তাকে কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়।
আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে একই উপজেলার জামতলী এলাকায় পৌঁছলে মাইক্রোবাস থামিয়ে অপহরণকারীদের একজন (ছেলে) সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলো।
এ সুযোগে মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে তাসলিমা মাইক্রো থেকে লাফিয়ে দৌঁড় দেয়। পরে স্থানীয়রা তাসলিমাকে পেরুল নানার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। খবর পেয়ে লালমাই থানার উপ-পরিদর্শক স্বরজিৎ কুমার দে ও আবদুর রহিম ফোর্স নিয়ে তাসলিমার বাড়িতে যান এবং অপহরণের বর্ণনা শুনেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।
তাসলিমা আক্তার সাংবাদিকদের জানায়, মক্তবে যাওয়ার জন্য নানার বাড়ি থেকে বের হলে একজন মহিলা জিজ্ঞাসা করে, এটা কোন বাড়ি? কেউ ভিক্ষা দিবে? একটু সামনে এগুতেই মহিলা রুমাল দিয়ে আমার মুখ চেঁপে ধরে মাইক্রোতে ওঠায়। জামতলীতে মাইক্রোবাস দাঁড়ালে আমি মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে নেমে পালিয়ে যাই। চালক ছাড়াও গাড়িতে মুখোশ পরা দু’জন পুরুষ ও একজন মহিলা ছিল। তাছাড়া অপহৃত আরও দু’জন শিশু কান্না করছিলো বলেও জানায় তাসলিমা।
লালমাই থানার ওসি বদরুল আলম তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কালো রংয়ের মাইক্রোটি খুঁজতে তারা অভিযান চালাচ্ছেন।
জানা যায়, শনিবার ভোর ৬টায় নানার বাড়ি থেকে বের হয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়ক সংলগ্ন খলিলপুর-পেরুল বাইতুন নূর জামে মসজিদ মক্তবে যাচ্ছিলো কিশোরী তাসলিমা। এ সময় বোরকা পরিহিত এক মহিলা মুখে রোমাল দিয়ে চেঁপে ধরে তাকে কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়।
আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে একই উপজেলার জামতলী এলাকায় পৌঁছলে মাইক্রোবাস থামিয়ে অপহরণকারীদের একজন (ছেলে) সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলো।
এ সুযোগে মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে তাসলিমা মাইক্রো থেকে লাফিয়ে দৌঁড় দেয়। পরে স্থানীয়রা তাসলিমাকে পেরুল নানার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। খবর পেয়ে লালমাই থানার উপ-পরিদর্শক স্বরজিৎ কুমার দে ও আবদুর রহিম ফোর্স নিয়ে তাসলিমার বাড়িতে যান এবং অপহরণের বর্ণনা শুনেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।
তাসলিমা আক্তার সাংবাদিকদের জানায়, মক্তবে যাওয়ার জন্য নানার বাড়ি থেকে বের হলে একজন মহিলা জিজ্ঞাসা করে, এটা কোন বাড়ি? কেউ ভিক্ষা দিবে? একটু সামনে এগুতেই মহিলা রুমাল দিয়ে আমার মুখ চেঁপে ধরে মাইক্রোতে ওঠায়। জামতলীতে মাইক্রোবাস দাঁড়ালে আমি মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে নেমে পালিয়ে যাই। চালক ছাড়াও গাড়িতে মুখোশ পরা দু’জন পুরুষ ও একজন মহিলা ছিল। তাছাড়া অপহৃত আরও দু’জন শিশু কান্না করছিলো বলেও জানায় তাসলিমা।
লালমাই থানার ওসি বদরুল আলম তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কালো রংয়ের মাইক্রোটি খুঁজতে তারা অভিযান চালাচ্ছেন।
No comments