ময়মনসিংহে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের সম্পদের পাহাড়
ময়মনসিংহের
জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
উঠেছে। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ
অর্জনের চিত্র মিলেছে। এসব সম্পদের কথা স্বীকার করে তিনি বলেছেন এক কোটি
টাকার উপরে আয়কর রিটার্ন উল্লেখ করেছেন। বাকি টাকা আয়কর রিটার্ন দেননি। যা
তার আয়ের সঙ্গে সম্পদের মিল নেই। কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন এ নিয়ে খোদ
সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি
হয়েছে। শামসুল আলম বলেন, তিনি জমি বেচাকেনার ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার
সম্পদের মালিক হয়েছেন।
অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলমের যেসব সম্পদের সন্ধান মিলেছে নগরের বাইপাস ময়নার মোড় ৩ শতাংশ জমির ওপর ৫ তলা একটি বাড়ি যার মূল্য ৫ কোটি টাকা, চরপাড়া লাশ কাটা গেটের বিপরীত পাশে সৌহার্দ্য টাওয়ারে জমিসহ ২টি প্লাট রয়েছে যার মূল্য কমপক্ষে এক কোটি টাকা ও নতুন বাজার সাহেব আলী রোডে অন্বেষা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বিপরীতে রয়েছে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের জমিসহ ২টি ফ্ল্যাট যার মূল্য কোটি টাকা। এছাড়া একাধিক জমিজমাসহ সব মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার মালিক তিনি।
ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়ায় জন্ম, শামসুল আলম ১৯৮৮ সালে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। প্রমোশন পেয়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে ময়মনসিংহের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবুল কাসেম জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর লোকমুখে এসব ঘটনা শুনেছি। কিন্তু লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলেও এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে, ময়মনসিংহে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আবদুর রব বিগত কয়েক মাস পূর্বে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে বদলিবাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। তিনি নগরের আকুয়া হাজি বাড়ি এলাকায় একটি ৬ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। যার মূল্য জমিসহ ৫ কোটি টাকা। স্থাবর অস্থাবরসহ কোটি কোটি টাকা অর্জন করেছেন। যার অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। সিভিল সার্জনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ মদত জুগিয়েছেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলম। মূলত তার মাধ্যমেই বদলিবাণিজ্য, পদোন্নতি ও নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন খোদ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তাদের ভাষ্যমতে- জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করেন জেলা স্যানিরটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলম। মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট মালিকদের মাসোয়ারা দিতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ একাধিক সূত্রের।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে অফিস সহকারী ইমরান মেহেদী হাসানের মাধ্যমে নিয়মিত টাকা সংগ্রহ করাও অভিযোগ রয়েছে।
গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা আবদুল মোতালেব জানান, চাকরিতে যোগদানের আগে সিভিল সার্জন অফিসে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিতে গেলে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দিতে হয় সংশ্লিষ্টদের। এবং তাদের নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক বা ক্লিনিক থেকে করানো হয় ব্যয়বহুল পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলা পর্যায়ে স্টোর কিপার ও ফার্মাসিস্টদের পরিবহন বিলের ১২ লাখ টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে উত্তোলন করে নয়-ছয়ের মাধ্যমে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়াও অফিস খরচের নামে ভুয়া বিল ভাউচার, বিআরটিএর অনুমোদন ছাড়াই জিপগাড়ি মেরামতের নামে সরকারি টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে, ঘটনার সত্যতা মিলবে বলেও দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এসব বিষয়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলম বলেন, দায়িত্ব পালনকালে যাদের স্বার্থ নষ্ট হয়েছে তারাই অভিযোগ করতে পারে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার লেনদেনের ঘটনা নেই। এসব মিথ্যা অভিযোগ।
অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলমের যেসব সম্পদের সন্ধান মিলেছে নগরের বাইপাস ময়নার মোড় ৩ শতাংশ জমির ওপর ৫ তলা একটি বাড়ি যার মূল্য ৫ কোটি টাকা, চরপাড়া লাশ কাটা গেটের বিপরীত পাশে সৌহার্দ্য টাওয়ারে জমিসহ ২টি প্লাট রয়েছে যার মূল্য কমপক্ষে এক কোটি টাকা ও নতুন বাজার সাহেব আলী রোডে অন্বেষা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বিপরীতে রয়েছে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের জমিসহ ২টি ফ্ল্যাট যার মূল্য কোটি টাকা। এছাড়া একাধিক জমিজমাসহ সব মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার মালিক তিনি।
ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়ায় জন্ম, শামসুল আলম ১৯৮৮ সালে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। প্রমোশন পেয়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
অভিযোগের সত্যতা বিষয়ে ময়মনসিংহের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবুল কাসেম জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর লোকমুখে এসব ঘটনা শুনেছি। কিন্তু লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলেও এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে, ময়মনসিংহে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আবদুর রব বিগত কয়েক মাস পূর্বে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে বদলিবাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। তিনি নগরের আকুয়া হাজি বাড়ি এলাকায় একটি ৬ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। যার মূল্য জমিসহ ৫ কোটি টাকা। স্থাবর অস্থাবরসহ কোটি কোটি টাকা অর্জন করেছেন। যার অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। সিভিল সার্জনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ মদত জুগিয়েছেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলম। মূলত তার মাধ্যমেই বদলিবাণিজ্য, পদোন্নতি ও নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন খোদ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তাদের ভাষ্যমতে- জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ভোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করেন জেলা স্যানিরটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলম। মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট মালিকদের মাসোয়ারা দিতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ একাধিক সূত্রের।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে অফিস সহকারী ইমরান মেহেদী হাসানের মাধ্যমে নিয়মিত টাকা সংগ্রহ করাও অভিযোগ রয়েছে।
গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা আবদুল মোতালেব জানান, চাকরিতে যোগদানের আগে সিভিল সার্জন অফিসে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিতে গেলে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দিতে হয় সংশ্লিষ্টদের। এবং তাদের নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক বা ক্লিনিক থেকে করানো হয় ব্যয়বহুল পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলা পর্যায়ে স্টোর কিপার ও ফার্মাসিস্টদের পরিবহন বিলের ১২ লাখ টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে উত্তোলন করে নয়-ছয়ের মাধ্যমে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এছাড়াও অফিস খরচের নামে ভুয়া বিল ভাউচার, বিআরটিএর অনুমোদন ছাড়াই জিপগাড়ি মেরামতের নামে সরকারি টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে, ঘটনার সত্যতা মিলবে বলেও দাবি সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এসব বিষয়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামসুল আলম বলেন, দায়িত্ব পালনকালে যাদের স্বার্থ নষ্ট হয়েছে তারাই অভিযোগ করতে পারে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার লেনদেনের ঘটনা নেই। এসব মিথ্যা অভিযোগ।
No comments