শ্রীলংকায় ‘সিনহলা সরকার’ চায় কট্টর বৌদ্ধ সংগঠন বিবিএস, মুসলিম নেতৃত্বে সুফিপন্থীদের বসানোর আহ্বান
একে
নজিরবিহীন ঘটনা বলা যায়। গত ৯ জুলাই রোববার সন্ধ্যায় শ্রীলংকার ঐতিহাসিক
শহর ক্যান্ডিতে কট্টর বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী গ্রুপ বুদু বালা সেনা (বিবিএস) এই
গণসমাবেশের আয়োজন করে। এতে বৌদ্ধ ধর্মগুরু থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদসহ
সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। বৌদ্ধ ধর্মতন্ত্রের অধীনে সবাইকে
ঐক্যবদ্ধ করা ছিলো এই সমাবেশের লক্ষ্য।
সমাবেশে গণতন্ত্রের তীব্র সমালেচনা করে বিবিএস সাধারণ সম্পাদক গালাগোদা আত্থি নানাসারা থেরো দেশে একটি সিনহলা পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন, যেখানে সিনহলা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে ও আইন তৈরি করবে। তারা দেশকে বর্তমান ‘অসহায় অবস্থা’ থেকে উদ্ধার করবে।
মজার ব্যাপার হলো, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যাকে প্রায়ই মুসলিম বিরোধী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয় সেই নানাসারা থেরো শ্রীলংকায় চরমপন্থী মতবাদ হটিয়ে ঐতিহ্যবাহী সুফি ইসলাম প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলেন। তার মতে নব্য ধনী সৌদি আরবের পেট্রোডলারের প্রভাবে শ্রীলংকায় ওহাবিবাদ, সালাফিবাদ ও তাবলিগের প্রসার ঘটেছে।
এই বৌদ্ধ ধর্মগুরুর মতে রাজনৈতিক অপটুতা ও মুসলিম চরমপন্থা হলো সবচেয়ে বড় সমস্যার প্রধান দুটি অংশ। তিনি অল সিলন জমিয়াতুল উলামা (এসিজেইউ) নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান। এই সংগঠন ওহাবিজমের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নানাসারা থেরো বলেন, সরকার শুধু এসিজেইউ’র সঙ্গে কথা বলছে, ঐতিহ্যবাহী সুফি মুসলিমদের উপেক্ষা করা হচ্ছে, যাদেরকে এসিজেইউ দেখতে পারে না।
থেরো সমাবেশে বলেন, সরকারের সবাই আজ শুধু উলেমার সঙ্গে কথা বলে। তারা উদার মুসলমানদের কথা শুনছে না, যারা এই দেশে শত শত বছর ধরে বাস করছে। তাদের এখনি এটা বন্ধ করে সুফিদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। ইসলামের বিষয়ে সুফিদের দায়িত্ব দেয়া উচিত।
উলাম সংগঠনটি মুসলমানদের এই সমাবেশে যোগ না দিতে আহ্বান জানানোর কারণে আক্ষেপ করে থেরো বলেন, তারা সমাবেশ নিয়ে আতংক ছড়িয়েছে।
ওহাবি চরমপন্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য সুফি ও ঐতিহ্যগত মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলেও বিবিএস সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন।
এই প্রথমবারের মতো নানাসারা থেরো দ্বীপ দেশের ১০,০০০ বৌদ্ধ মঠের প্রতি রাজনীতিতে প্রবেশ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সাত হাজার মঠও যদি এই প্রচেষ্টায় শামিল হয় তাহলে রাজনীতির চেহারাটাই বদলে যাবে। মাত্র একটি বাক্সে সিনহলাদের ভোট জমা করার ক্ষমতা বৌদ্ধভিক্ষুদের রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সমাবেশের মনযোগী শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে থেরো বলেন, আমরা এই ক্যান্ডিতেই ১৮১৫ সালে এই দেশকে ব্রিটিশদের কাছে হারিয়েছি। তাই এখান থেকেই আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে।
ব্রিটিশরা শ্রীলংকায় যে গণতন্ত্র দিয়ে গেছে তা কাজ করেনি দাবি করে এই কট্টর ভিক্ষু বলেন, এখানে কোন সত্যিকারের নেতা থাকলেও তার পক্ষে কোন কঠোর নীতি গ্রহণ করা সম্ভব হতো না, কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তা অনুমোদন করে না।
তাই নানাসারা থেরো একটি নতুন ‘সিনহলা পার্লামেন্ট’ ও সিনহলা শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন এবং বলেন যে এটাই শ্রীলংকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র রেসিপি।
বিবিএস প্রধান বলেন, আমাদের মতবিরোধ একপাশে রেখে বৌদ্ধ পুরোহিতদের একত্রিত হতে হবে। এই বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধারের জন্য আমাদের বৌদ্ধ একতা প্রয়োজন। এই রাজনীতিকরা আমাদেরকে ৭০ বছর ধরে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রেখেছে।
শ্রীলংকাকে ঐক্যবদ্ধ করতে তার উপর মহা নায়ক সংঘের আশির্বাদ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিবিএস বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, উদ্যোক্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্ট নীতির রূপরেখা তুলে ধরেছে। অনেক শিক্ষাবিদও এসব বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশ এখন বিভক্ত, সবাই পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, ক্ষুদ্র রাজনীতিই এখন সব কথা। আমরা এমন এক দেশের মধ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই যেখানে সবাই শান্তির সঙ্গে বাস করবে এবং যেখানে শিক্ষা ও উন্নয়ন পশ্চিমাদের দ্বারা নির্দেশিত হবে না। আমরা যা করছি তার উপর মহা নায়ক ও সংঘ পরিষদের আশির্বাদ রয়েছে।
তিনি সমাবেশে উপস্থিত ভিক্ষুদের প্রতি সিনহলা সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানান। ২১ এপ্রিল আইএসআইএস এই সম্প্রদায়কেই টার্গেট করেছিলো।
নানাসারা থেরো বলেন, বুদ্ধকে অনুসরণ করার মধ্যে দেশের সব সমস্যার সমাধান। ভগবান বুদ্ধ ছাড়া আমাদের আর কোন নেতা নেই, সেই অঙ্গীকার আজকে আমাদের করতে হবে।।
থেরো তার সঙ্গে কোন রাজনৈতিক যোগসাজশ থাকার কথা অস্বীকার করে জানান যে, তাদের একটিই এজেন্ডা। আর তা হলো, উপনিবেশ-উত্তর ৭০ বছর ধরে শ্রীলংকার নেতারা যেভাবে জনগণের সঙ্গে আচরণ করে আসছে তা থেকে দেশকে রক্ষা করা।
সমাবেশে গণতন্ত্রের তীব্র সমালেচনা করে বিবিএস সাধারণ সম্পাদক গালাগোদা আত্থি নানাসারা থেরো দেশে একটি সিনহলা পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন, যেখানে সিনহলা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে ও আইন তৈরি করবে। তারা দেশকে বর্তমান ‘অসহায় অবস্থা’ থেকে উদ্ধার করবে।
মজার ব্যাপার হলো, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যাকে প্রায়ই মুসলিম বিরোধী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয় সেই নানাসারা থেরো শ্রীলংকায় চরমপন্থী মতবাদ হটিয়ে ঐতিহ্যবাহী সুফি ইসলাম প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলেন। তার মতে নব্য ধনী সৌদি আরবের পেট্রোডলারের প্রভাবে শ্রীলংকায় ওহাবিবাদ, সালাফিবাদ ও তাবলিগের প্রসার ঘটেছে।
এই বৌদ্ধ ধর্মগুরুর মতে রাজনৈতিক অপটুতা ও মুসলিম চরমপন্থা হলো সবচেয়ে বড় সমস্যার প্রধান দুটি অংশ। তিনি অল সিলন জমিয়াতুল উলামা (এসিজেইউ) নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান। এই সংগঠন ওহাবিজমের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নানাসারা থেরো বলেন, সরকার শুধু এসিজেইউ’র সঙ্গে কথা বলছে, ঐতিহ্যবাহী সুফি মুসলিমদের উপেক্ষা করা হচ্ছে, যাদেরকে এসিজেইউ দেখতে পারে না।
থেরো সমাবেশে বলেন, সরকারের সবাই আজ শুধু উলেমার সঙ্গে কথা বলে। তারা উদার মুসলমানদের কথা শুনছে না, যারা এই দেশে শত শত বছর ধরে বাস করছে। তাদের এখনি এটা বন্ধ করে সুফিদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। ইসলামের বিষয়ে সুফিদের দায়িত্ব দেয়া উচিত।
উলাম সংগঠনটি মুসলমানদের এই সমাবেশে যোগ না দিতে আহ্বান জানানোর কারণে আক্ষেপ করে থেরো বলেন, তারা সমাবেশ নিয়ে আতংক ছড়িয়েছে।
ওহাবি চরমপন্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য সুফি ও ঐতিহ্যগত মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলেও বিবিএস সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন।
এই প্রথমবারের মতো নানাসারা থেরো দ্বীপ দেশের ১০,০০০ বৌদ্ধ মঠের প্রতি রাজনীতিতে প্রবেশ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সাত হাজার মঠও যদি এই প্রচেষ্টায় শামিল হয় তাহলে রাজনীতির চেহারাটাই বদলে যাবে। মাত্র একটি বাক্সে সিনহলাদের ভোট জমা করার ক্ষমতা বৌদ্ধভিক্ষুদের রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সমাবেশের মনযোগী শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে থেরো বলেন, আমরা এই ক্যান্ডিতেই ১৮১৫ সালে এই দেশকে ব্রিটিশদের কাছে হারিয়েছি। তাই এখান থেকেই আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে।
ব্রিটিশরা শ্রীলংকায় যে গণতন্ত্র দিয়ে গেছে তা কাজ করেনি দাবি করে এই কট্টর ভিক্ষু বলেন, এখানে কোন সত্যিকারের নেতা থাকলেও তার পক্ষে কোন কঠোর নীতি গ্রহণ করা সম্ভব হতো না, কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তা অনুমোদন করে না।
তাই নানাসারা থেরো একটি নতুন ‘সিনহলা পার্লামেন্ট’ ও সিনহলা শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন এবং বলেন যে এটাই শ্রীলংকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র রেসিপি।
বিবিএস প্রধান বলেন, আমাদের মতবিরোধ একপাশে রেখে বৌদ্ধ পুরোহিতদের একত্রিত হতে হবে। এই বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধারের জন্য আমাদের বৌদ্ধ একতা প্রয়োজন। এই রাজনীতিকরা আমাদেরকে ৭০ বছর ধরে বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রেখেছে।
শ্রীলংকাকে ঐক্যবদ্ধ করতে তার উপর মহা নায়ক সংঘের আশির্বাদ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিবিএস বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, উদ্যোক্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্ট নীতির রূপরেখা তুলে ধরেছে। অনেক শিক্ষাবিদও এসব বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশ এখন বিভক্ত, সবাই পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, ক্ষুদ্র রাজনীতিই এখন সব কথা। আমরা এমন এক দেশের মধ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই যেখানে সবাই শান্তির সঙ্গে বাস করবে এবং যেখানে শিক্ষা ও উন্নয়ন পশ্চিমাদের দ্বারা নির্দেশিত হবে না। আমরা যা করছি তার উপর মহা নায়ক ও সংঘ পরিষদের আশির্বাদ রয়েছে।
তিনি সমাবেশে উপস্থিত ভিক্ষুদের প্রতি সিনহলা সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানান। ২১ এপ্রিল আইএসআইএস এই সম্প্রদায়কেই টার্গেট করেছিলো।
নানাসারা থেরো বলেন, বুদ্ধকে অনুসরণ করার মধ্যে দেশের সব সমস্যার সমাধান। ভগবান বুদ্ধ ছাড়া আমাদের আর কোন নেতা নেই, সেই অঙ্গীকার আজকে আমাদের করতে হবে।।
থেরো তার সঙ্গে কোন রাজনৈতিক যোগসাজশ থাকার কথা অস্বীকার করে জানান যে, তাদের একটিই এজেন্ডা। আর তা হলো, উপনিবেশ-উত্তর ৭০ বছর ধরে শ্রীলংকার নেতারা যেভাবে জনগণের সঙ্গে আচরণ করে আসছে তা থেকে দেশকে রক্ষা করা।
শ্রীলংকায় কট্টর বৌদ্ধ সংগঠন বুদু বালা সেনার প্রধান গালাগোদা আত্থি নানাসারা থেরো |
No comments