দক্ষিণ রাখাইনে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমারের সুসজ্জিত সামরিক কলাম by মো মিয়ন্ত
উত্তর
রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে তীব্র লড়াই চালানোর পাশাপাশি মিয়ানমার
সেনাবাহিনীর পুরোপুরি সুসজ্জিত কলামগুলো রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে কিয়াকফিউ
স্পেশাল ইকনমিক জোন (এসইজেড) এলাকায় শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানকার
দানিয়াবতী আঞ্চলিক নৌ কমান্ডের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আশপাশের ধান ক্ষেতে
কাজ না করতে গ্রামবাসীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে গ্রাম কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন।
কিয়াকফিউ’র কেন্দ্রস্থল থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত দানিয়াবতী নৌ ঘাঁটিকে ঘিরে আছে সিত তাও ও থিত পোকে তাউং গ্রাম। এসইজেড এলাকায় নৌবাহিনীর কমান্ড উপস্থিত থাকার পরও ৫৪৩ ও ৫৪২ লাইট ইনফেনট্রি ব্যাটালিয়নের সেনারা জুনের শেষ দিক থেকে ওই অঞ্চলে টহল দিতে শুরু করে।
চীনা বিনিয়োগের কিয়াকফিউ এসইজেড নিয়ে গত নভেম্বরে মিয়ানমার সরকার ও চায়না ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট কর্পোরেশনের (সিআইটিআইসি) মধ্যে চুক্তি হয়। বেইজিংয়ের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই)অংশ এই প্রকল্প এই অঞ্চলের কানেকটিভিটি জোরদার ও চীনকে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে।
নৌ কমান্ড থেকে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাও গ্রামের এক অধিবাসী ইরাবতীকে জানান যে ২৭ জুন সেনারা এই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একজন গ্রামবাসী মোবাইলে সেই ছবি তোলে। সেনারা এটা দেখে ফেললে তারা গ্রামবাসীর দিকে গুলি চালানো শুরু করে। এর দুইদিন পর ২৯ জুন দানিয়াবতী নৌ কমান্ড থেকে গ্রাম প্রশাসনের সব কর্মকর্তাকে নৌঘাঁটিতে তলব করা হয় এবং সেনাসদস্যদের ছবি না তোলার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাউক চাউং গ্রাম প্রশাসনের কর্মকর্তা উ মং চান নু ইরাবতীকে বলেন, ১০টি গ্রামের কর্মকর্তাকে ডেকে বলে দেয়া হয়েছে কেউ যেন আশেপাশের মাঠে ধান চাষ করতে না যায় এবং গ্রামে কোন নতুন মুখ দেখা গেলে নৌবাহিনীকে জানায়।
কোন কোন গ্রাম কর্মকর্তা ধান চাষের অনুমতি চাইলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে কয়েক দিন আগে সিত্তুয়ে নৌবাহিনীর জাহাজের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনা তুলে ধরে পরিস্থিতি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন। শহরের বাইরে একটি ধান ক্ষেতে লুকিয়ে থাকা বিদ্রোহীরা নৌযানের দিকে গুলি চালালে দুইজন জুনিয়র অফিসার নিহত হয়। নৌবাহিনী গ্রামবাসীকে সতর্ক করে বলে এ ধরনের ঘটনা আবারো ঘটলে তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হবে।
উ মং চান নু বলেন, বিভিন্ন গ্রামের ৫০ একরের বেশি ধান ক্ষেত নৌ কমান্ডের বেস্টনির মধ্যে বা কাছাকাছি রয়েছে।
তিনি বলেন, এখনকার মতো আমি জীবনে আর কখনো পুরোপুরি সুসজ্জিত সামরিক মোতায়েন দেখিনি।
তিনি আরো জানান যে, বেশ কয়েকটি গ্রামের আশেপাশে পাবর্ত্য এলাকার বনাঞ্চলে সেনা সদস্যরা প্রবেশ করছে। তবে নৌ কমান্ড থেকে গ্রাম কর্মকর্তাদের আতংকিত না হতে এবং সেনা কলাম যখন গ্রামে প্রবেশ করে তখন পালিয়ে না যেতে বলা হয়েছে।
কমান্ডের আশ্বাসের পরও অনেক গ্রামবাসী আতংকিত। এ ব্যাপারে নৌ কমান্ডের কাছ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কিয়াকফিউ’র কেন্দ্রস্থল থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত দানিয়াবতী নৌ ঘাঁটিকে ঘিরে আছে সিত তাও ও থিত পোকে তাউং গ্রাম। এসইজেড এলাকায় নৌবাহিনীর কমান্ড উপস্থিত থাকার পরও ৫৪৩ ও ৫৪২ লাইট ইনফেনট্রি ব্যাটালিয়নের সেনারা জুনের শেষ দিক থেকে ওই অঞ্চলে টহল দিতে শুরু করে।
চীনা বিনিয়োগের কিয়াকফিউ এসইজেড নিয়ে গত নভেম্বরে মিয়ানমার সরকার ও চায়না ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট কর্পোরেশনের (সিআইটিআইসি) মধ্যে চুক্তি হয়। বেইজিংয়ের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই)অংশ এই প্রকল্প এই অঞ্চলের কানেকটিভিটি জোরদার ও চীনকে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে।
নৌ কমান্ড থেকে ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাও গ্রামের এক অধিবাসী ইরাবতীকে জানান যে ২৭ জুন সেনারা এই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একজন গ্রামবাসী মোবাইলে সেই ছবি তোলে। সেনারা এটা দেখে ফেললে তারা গ্রামবাসীর দিকে গুলি চালানো শুরু করে। এর দুইদিন পর ২৯ জুন দানিয়াবতী নৌ কমান্ড থেকে গ্রাম প্রশাসনের সব কর্মকর্তাকে নৌঘাঁটিতে তলব করা হয় এবং সেনাসদস্যদের ছবি না তোলার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাউক চাউং গ্রাম প্রশাসনের কর্মকর্তা উ মং চান নু ইরাবতীকে বলেন, ১০টি গ্রামের কর্মকর্তাকে ডেকে বলে দেয়া হয়েছে কেউ যেন আশেপাশের মাঠে ধান চাষ করতে না যায় এবং গ্রামে কোন নতুন মুখ দেখা গেলে নৌবাহিনীকে জানায়।
কোন কোন গ্রাম কর্মকর্তা ধান চাষের অনুমতি চাইলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে কয়েক দিন আগে সিত্তুয়ে নৌবাহিনীর জাহাজের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনা তুলে ধরে পরিস্থিতি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন। শহরের বাইরে একটি ধান ক্ষেতে লুকিয়ে থাকা বিদ্রোহীরা নৌযানের দিকে গুলি চালালে দুইজন জুনিয়র অফিসার নিহত হয়। নৌবাহিনী গ্রামবাসীকে সতর্ক করে বলে এ ধরনের ঘটনা আবারো ঘটলে তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হবে।
উ মং চান নু বলেন, বিভিন্ন গ্রামের ৫০ একরের বেশি ধান ক্ষেত নৌ কমান্ডের বেস্টনির মধ্যে বা কাছাকাছি রয়েছে।
তিনি বলেন, এখনকার মতো আমি জীবনে আর কখনো পুরোপুরি সুসজ্জিত সামরিক মোতায়েন দেখিনি।
তিনি আরো জানান যে, বেশ কয়েকটি গ্রামের আশেপাশে পাবর্ত্য এলাকার বনাঞ্চলে সেনা সদস্যরা প্রবেশ করছে। তবে নৌ কমান্ড থেকে গ্রাম কর্মকর্তাদের আতংকিত না হতে এবং সেনা কলাম যখন গ্রামে প্রবেশ করে তখন পালিয়ে না যেতে বলা হয়েছে।
কমান্ডের আশ্বাসের পরও অনেক গ্রামবাসী আতংকিত। এ ব্যাপারে নৌ কমান্ডের কাছ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দানিয়াবতী জেটিতে নোঙ্গর করা মিয়ানমার নৌবাহিনীর ফ্রিগেট |
No comments