জলবায়ু পরিবর্তন: ২৮ দেশের সরকার ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলা ট্রিবিউন, ০৪ জুলাই ২০১৯: জলবায়ু
পরিবর্তন জনিত বিভিন্ন অভিযোগে সরকার ও কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা
দায়েরের ঘটনা বিশ্বের ২৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে,
১৯৯০ সাল থেকে এ ধরনের এক হাজার তিনশো-এরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। এর
মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা এক হাজার ২৩টি। অন্য
দেশগুলোতেও বাড়ছে মামলা দায়ের করা ব্যক্তি, দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও সরকারের
সংখ্যা।
যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের গ্রান্থাম ইন্সটিটিউট ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে দায়ের হওয়া মামলার তথ্য পর্যালোচনা করে গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটিতে মোট ৯৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যে ৫৩টি, ব্রাজিলে ৫টি, স্পেন-এ ১৩টি, নিউ জিল্যান্ডে ১৭টি এবং জার্মানিতে ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে।
জরিপের সহ লেখক জোয়ানা সেটজার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সরকার ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো এক বৈশ্বিক বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে’। ব্যক্তি মানুষ আর পরিবেশবাদী গ্রুপগুলো বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোম্পানিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য আদালতে যেতে বাধ্য করছে, আর এটা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ঘটছে না। জলবায়ু পরিবর্তনকে আদালতে নিয়ে যাওয়া দেশের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার পরিবেশবাদী নীতি এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ঠেকাতে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। গত আড়াই বছরে ১৫৪টি মামলা পর্যালোচনা করে ব্রিটিশ জরিপে বলা হয়েছে, আদালতে চ্যালেঞ্জ করা ট্রাম্পের কোনও জলবায়ু নীতি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেনি।
চার বছর আগে পাকিস্তানে এক যুগান্তকারী মামলায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যর্থতার জন্য মানবাধিকার ইস্যুতে মামলা দায়েরের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির দক্ষিণ পাঞ্জাবের কৃষক আসগার লেগারি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি দাবি করেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় তার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তার অভিযোগ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পানি, খাবার, জ্বালানি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তার দেশের নেতারা। আদালত ওই কৃষকের পক্ষে রায় দেয়। এর মামলার কারণেই দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন কমিশন।
নেদারল্যান্ডসে আরজেন্ডা ফাউন্ডেশন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কার্বণ নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনায় সফলতা পায়। ওই মামলার রায় এখন আপিলের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাতাস দূষণের অবৈধ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে একাধিকবার আদালতে জয় পেয়েছে ক্লায়েন্ট আর্থ নামের একিটি সংস্থা।
এ বছরের মে মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের টরেস উপত্যকার দ্বীপে বসবাসকারী আট ব্যক্তি। ওই আবেদনে অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং দ্বীপের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে উপকূল রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জরিপে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মামলার বিচারিক আওতা সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে। আর তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার অনুষঙ্গকে শক্তিশালী করছে।
কৌশলগত ও নিয়মিত মামলার সংখ্যার বৃদ্ধি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আইনি কার্যক্রম সম্প্রসারণ, আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন মামলার সম্প্রসারণ এবং জলবায়ু বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে দেখা যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার অনুষঙ্গ হিসেবে মামলার ব্যবহার নীতি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।
যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের গ্রান্থাম ইন্সটিটিউট ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে দায়ের হওয়া মামলার তথ্য পর্যালোচনা করে গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটিতে মোট ৯৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যে ৫৩টি, ব্রাজিলে ৫টি, স্পেন-এ ১৩টি, নিউ জিল্যান্ডে ১৭টি এবং জার্মানিতে ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে।
জরিপের সহ লেখক জোয়ানা সেটজার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সরকার ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো এক বৈশ্বিক বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে’। ব্যক্তি মানুষ আর পরিবেশবাদী গ্রুপগুলো বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোম্পানিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য আদালতে যেতে বাধ্য করছে, আর এটা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ঘটছে না। জলবায়ু পরিবর্তনকে আদালতে নিয়ে যাওয়া দেশের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার পরিবেশবাদী নীতি এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ঠেকাতে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। গত আড়াই বছরে ১৫৪টি মামলা পর্যালোচনা করে ব্রিটিশ জরিপে বলা হয়েছে, আদালতে চ্যালেঞ্জ করা ট্রাম্পের কোনও জলবায়ু নীতি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেনি।
চার বছর আগে পাকিস্তানে এক যুগান্তকারী মামলায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যর্থতার জন্য মানবাধিকার ইস্যুতে মামলা দায়েরের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির দক্ষিণ পাঞ্জাবের কৃষক আসগার লেগারি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি দাবি করেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় তার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তার অভিযোগ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পানি, খাবার, জ্বালানি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তার দেশের নেতারা। আদালত ওই কৃষকের পক্ষে রায় দেয়। এর মামলার কারণেই দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন কমিশন।
নেদারল্যান্ডসে আরজেন্ডা ফাউন্ডেশন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কার্বণ নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনায় সফলতা পায়। ওই মামলার রায় এখন আপিলের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাতাস দূষণের অবৈধ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্য সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে একাধিকবার আদালতে জয় পেয়েছে ক্লায়েন্ট আর্থ নামের একিটি সংস্থা।
এ বছরের মে মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের টরেস উপত্যকার দ্বীপে বসবাসকারী আট ব্যক্তি। ওই আবেদনে অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং দ্বীপের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে উপকূল রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জরিপে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মামলার বিচারিক আওতা সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে। আর তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার অনুষঙ্গকে শক্তিশালী করছে।
কৌশলগত ও নিয়মিত মামলার সংখ্যার বৃদ্ধি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আইনি কার্যক্রম সম্প্রসারণ, আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন মামলার সম্প্রসারণ এবং জলবায়ু বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে দেখা যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার অনুষঙ্গ হিসেবে মামলার ব্যবহার নীতি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।
No comments