সড়কে নৈরাজ্য চলছেই মামলায় ভরসা ট্রাফিকের by আল-আমিন
অনেকটা
ঘটা করে দেশব্যাপী পুলিশ ‘ট্রাফিক সপ্তাহ’ পালন করা হয়েছে। কিন্তু, সড়কে
আগের মতো নৈরাজ্য চলছেই। রাজধানীর সড়কে উল্টোপথে চলা, যত্রতত্র পার্কিং,
গাড়িতে রেশারেশি, যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ হয়নি। পুরনো গাড়ি রং
করে সড়কে নামাচ্ছে মালিকরা। লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় চালক তাদের গাড়ি চালানোর
কারণে অনেককেই জরিমানা করেছে ট্রাফিক পুলিশ। মামলাও দেয়া হয়েছে।
ফার্মগেট এবং বাংলামোটর, শাহবাগ এলাকায় দেখা যায়, বাস স্টপেজ না থাকার পরও যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করা হচ্ছে। অনেক মোটরসাইকেলের চালক হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালাচ্ছে। পথচারী সেতু থাকলেও মধ্য রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছে। হাত উঁচিয়ে পথচারীরা চলন্ত গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। চালকেরা যানবাহন চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। আগের মতোই চলছে সড়কে বিশৃঙ্খলা।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি, গত ১০ দিনের এই ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করার কারণে ঢাকাসহ দেশের সকল সড়কে আগের তুলনায় অনেক শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। বিভিন্ন পরিবহন তথা গাড়ির ড্রাইভার ও জনগণের মাঝে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেসসহ অন্যান্য কাগজপত্র সম্পর্কে অধিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বোপরি এই ট্রাফিক সপ্তাহের কার্যক্রমে আপামর জনসাধারণের মনে সড়কের নিরাপত্তা সম্পর্কে একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঈদের পর আবারও শুধু মাত্র ঢাকা মহানগর এলাকায় অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকায় ৫ই আগস্ট থেকে ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত মোট ১০ দিনে মামলা হয়েছে ৮৮,২৯৩টি। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৭ টাকা। এ মামলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ হাজার ৮৬৩টি মামলা হয়েছে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে। এ সময় ১ হাজার ৭৪২টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। ৭ হাজার ৯১৫টি মামলা হয়েছে উল্টো পথে চলাচল করায়। ফিটনেস সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৩৩১টি। আর ঢাকাসহ সারা দেশে যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ২৪৯ টি। সর্বমোট জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ১৪ হাজার ৩৭৫ টাকা। পর্যালোচনায় দেখা গেছে ঢাকায় মামলা হয়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং) মো. সোহেল রানা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করায় সারা দেশে সাধারণ মানুষ পুলিশকে সমর্থন যুগিয়েছেন। গত ১০ দিনে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার গাড়ি জব্দ ও ৭ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিআরটিএ এবং পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একেকটি বাণিজ্যিক যানবাহনে তিন চালকের প্রয়োজনে। ব্যক্তিগত গাড়িতেও একাধিক চালক দরকার। কারণ মোটরযান আইন অনুসারে পেশাদার চালক দিনে সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা যানবাহন চালাতে পারবেন। টানা ৫ ঘণ্টার বেশি চালানো যাবে না। অর্থাৎ সব মিলিয়ে যানবাহন যত আছে, এর চেয়ে বৈধ লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা বেশি হওয়ার কথা। এটি না থাকায় অদক্ষ ও ভুয়া চালকরাও যানবাহন চালাচ্ছেন।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯টি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। এর বিপরীতে পেশাদার চালকের সংখ্যা ১২ লাখ ১৫ হাজার ৪৭০। অপেশাদার চালক আছেন ১৪ লাখ ২৪ হাজার ১৮৮ জন। সব মিলিয়ে ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৮টি। তবে একই চালকের একাধিক লাইসেন্সের হিসাব বাদ দিলে মোট ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৩৮১টি। পেশাদার চালকের ভারি লাইসেন্স রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৭টি, মাঝারি লাইসেন্স ৬০ হাজার ২৩৮টি, হালকা ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৯টি ও থ্রি-হুইলারের ৫৪ হাজার ৪৮৪টি। অপেশাদার লাইসেন্সের মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য ৮ লাখ ২৩ হাজার ১৩৫ ও হালকা যানের লাইসেন্স রয়েছে ৬ লাখ ১ হাজার ৫৩টি। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৫ই আগস্ট থেকে ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ২৪৯টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চালকের লাইসেন্স না থাকা বা নতুন করে নবায়ন না করার কারণে মামলা হয়েছে ৭৪ হাজার ২২৪ জনের বিরুদ্ধে। গাড়ির ফিননেস না থাকার কারণে পুলিশ ৫ হাজার ৪১৮টি যানবাহন জব্দ করে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠিয়েছে। সর্বমোট জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ১৪ হাজার ৩৭৫ টাকা। এই মামলার মধ্যে প্রায় ৪৯ শতাংশ মামলা হয়েছে ঢাকা মহানগর এলাকায়। ডিএমপিতে মোট মামলা হয়েছে ৮৮ হাজার ২৯৩টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১০ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৭ টাকা।
গত ৫ই আগস্ট যানবাহনের লাইসেন্স এর ত্রুটি থাকার কারণে মামলা হয়েছে ৭ হাজার ৮১টি। গাড়ির ফিটনেস না থাকার কারণে ৫৭৭টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৫৬টি। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। গত ৬ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৭৩১৯টি। ফিটনেস না থাকার কারণে গাড়ি জব্দ করা হয়েছে ৮৩৭টি। চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১৪৯৬টি। আর মামলায় জরিমানা হয়েছে ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার ৭২ টাকা। ৭ই আগস্ট মোট মামলা হয়েছে ৯৪৭০টি। এ সময় ৯৯৯টি গাড়ি জব্দ করা হয়। ১৮৭৫ জন চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আর জরিমানা করা হয়েছে ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা। ৮ই আগস্ট মোট মামলা হয়েছে ৯৯৭৪টি। চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২১৫৩টি। আর গাড়ি জব্দ করা হয়েছে ১০৫৭টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ২০টাকা।
গত ৯ই আগস্ট ঢাকায় মোট মামলা হয়েছে ১০০২৬টি। এ সময় চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২০৯৯টি। জরিমানা আদায় হয়েছে ৫৪ লাখ ৩ হাজার ৯২০ টাকা। ১০ই আগস্ট মোট মামলা হয়েছে ৮৫৪৭টি। চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১০৩৬টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার ২০০টি। ১১ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৯৭২৬টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৫টি। ১২ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৯১৪৭টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬০ লাখ ১৭ হাজার ৩৯০ টাকা। ১৩ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৮৩৩৬টি। জরিমানা করা হয়েছে ৫৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৫০ টাকা। ১৪ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৮৬২৭টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৬০০ টাকা।
সূত্র জানায়, ট্রাফিক সপ্তাহের ১০ দিনে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের মোট মামলার মধ্যে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে বাসের বিরুদ্ধে ১৩০৯৩টি, ট্রাকের বিরুদ্ধে ১৮৪৮টি, কাভার্ড ভ্যানের বিরুদ্ধে ২৯২৫টি, পিকআপের বিরুদ্ধে ৬৬৩০টি, সিএনজি’র বিরুদ্ধে ৬৪২৩টি, মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ৪৩৮৬৩টি, প্রাইভেটকারের বিরুদ্ধে ৮৪৯৭টি, মাইক্রোবাসের বিরুদ্ধে ২৭২৮টি, লেগুনার বিরুদ্ধে ৯৬১টি এবং অন্যান্য ১৩২৫টি মামলা করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই কয়দিনে পুলিশ ঢাকাসহ সারা দেশের সড়কের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। যদি সড়কের শৃঙ্খলা ফিরে আসে তাহলে পুলিশ আর অভিযান চালাবে না। আর যদি না হয় তাহলে পুলিশ আবার ঢাকাসহ সারা দেশে অভিযান চালাবে। আইনের ব্যত্যয় যে ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফার্মগেট এবং বাংলামোটর, শাহবাগ এলাকায় দেখা যায়, বাস স্টপেজ না থাকার পরও যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করা হচ্ছে। অনেক মোটরসাইকেলের চালক হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালাচ্ছে। পথচারী সেতু থাকলেও মধ্য রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছে। হাত উঁচিয়ে পথচারীরা চলন্ত গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। চালকেরা যানবাহন চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। আগের মতোই চলছে সড়কে বিশৃঙ্খলা।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি, গত ১০ দিনের এই ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করার কারণে ঢাকাসহ দেশের সকল সড়কে আগের তুলনায় অনেক শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। বিভিন্ন পরিবহন তথা গাড়ির ড্রাইভার ও জনগণের মাঝে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেসসহ অন্যান্য কাগজপত্র সম্পর্কে অধিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বোপরি এই ট্রাফিক সপ্তাহের কার্যক্রমে আপামর জনসাধারণের মনে সড়কের নিরাপত্তা সম্পর্কে একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঈদের পর আবারও শুধু মাত্র ঢাকা মহানগর এলাকায় অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকায় ৫ই আগস্ট থেকে ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত মোট ১০ দিনে মামলা হয়েছে ৮৮,২৯৩টি। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৭ টাকা। এ মামলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ হাজার ৮৬৩টি মামলা হয়েছে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে। এ সময় ১ হাজার ৭৪২টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। ৭ হাজার ৯১৫টি মামলা হয়েছে উল্টো পথে চলাচল করায়। ফিটনেস সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৩৩১টি। আর ঢাকাসহ সারা দেশে যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ২৪৯ টি। সর্বমোট জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ১৪ হাজার ৩৭৫ টাকা। পর্যালোচনায় দেখা গেছে ঢাকায় মামলা হয়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ।
এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং) মো. সোহেল রানা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করায় সারা দেশে সাধারণ মানুষ পুলিশকে সমর্থন যুগিয়েছেন। গত ১০ দিনে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার গাড়ি জব্দ ও ৭ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিআরটিএ এবং পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একেকটি বাণিজ্যিক যানবাহনে তিন চালকের প্রয়োজনে। ব্যক্তিগত গাড়িতেও একাধিক চালক দরকার। কারণ মোটরযান আইন অনুসারে পেশাদার চালক দিনে সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা যানবাহন চালাতে পারবেন। টানা ৫ ঘণ্টার বেশি চালানো যাবে না। অর্থাৎ সব মিলিয়ে যানবাহন যত আছে, এর চেয়ে বৈধ লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা বেশি হওয়ার কথা। এটি না থাকায় অদক্ষ ও ভুয়া চালকরাও যানবাহন চালাচ্ছেন।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯টি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। এর বিপরীতে পেশাদার চালকের সংখ্যা ১২ লাখ ১৫ হাজার ৪৭০। অপেশাদার চালক আছেন ১৪ লাখ ২৪ হাজার ১৮৮ জন। সব মিলিয়ে ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫৮টি। তবে একই চালকের একাধিক লাইসেন্সের হিসাব বাদ দিলে মোট ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৩৮১টি। পেশাদার চালকের ভারি লাইসেন্স রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৭টি, মাঝারি লাইসেন্স ৬০ হাজার ২৩৮টি, হালকা ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৯টি ও থ্রি-হুইলারের ৫৪ হাজার ৪৮৪টি। অপেশাদার লাইসেন্সের মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য ৮ লাখ ২৩ হাজার ১৩৫ ও হালকা যানের লাইসেন্স রয়েছে ৬ লাখ ১ হাজার ৫৩টি। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৫ই আগস্ট থেকে ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ২৪৯টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চালকের লাইসেন্স না থাকা বা নতুন করে নবায়ন না করার কারণে মামলা হয়েছে ৭৪ হাজার ২২৪ জনের বিরুদ্ধে। গাড়ির ফিননেস না থাকার কারণে পুলিশ ৫ হাজার ৪১৮টি যানবাহন জব্দ করে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠিয়েছে। সর্বমোট জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ১৪ হাজার ৩৭৫ টাকা। এই মামলার মধ্যে প্রায় ৪৯ শতাংশ মামলা হয়েছে ঢাকা মহানগর এলাকায়। ডিএমপিতে মোট মামলা হয়েছে ৮৮ হাজার ২৯৩টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১০ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৭ টাকা।
গত ৫ই আগস্ট যানবাহনের লাইসেন্স এর ত্রুটি থাকার কারণে মামলা হয়েছে ৭ হাজার ৮১টি। গাড়ির ফিটনেস না থাকার কারণে ৫৭৭টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৫৬টি। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। গত ৬ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৭৩১৯টি। ফিটনেস না থাকার কারণে গাড়ি জব্দ করা হয়েছে ৮৩৭টি। চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১৪৯৬টি। আর মামলায় জরিমানা হয়েছে ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার ৭২ টাকা। ৭ই আগস্ট মোট মামলা হয়েছে ৯৪৭০টি। এ সময় ৯৯৯টি গাড়ি জব্দ করা হয়। ১৮৭৫ জন চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আর জরিমানা করা হয়েছে ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টাকা। ৮ই আগস্ট মোট মামলা হয়েছে ৯৯৭৪টি। চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২১৫৩টি। আর গাড়ি জব্দ করা হয়েছে ১০৫৭টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ২০টাকা।
গত ৯ই আগস্ট ঢাকায় মোট মামলা হয়েছে ১০০২৬টি। এ সময় চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২০৯৯টি। জরিমানা আদায় হয়েছে ৫৪ লাখ ৩ হাজার ৯২০ টাকা। ১০ই আগস্ট মোট মামলা হয়েছে ৮৫৪৭টি। চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১০৩৬টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার ২০০টি। ১১ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৯৭২৬টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৫টি। ১২ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৯১৪৭টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬০ লাখ ১৭ হাজার ৩৯০ টাকা। ১৩ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৮৩৩৬টি। জরিমানা করা হয়েছে ৫৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৫০ টাকা। ১৪ই আগস্ট মামলা হয়েছে ৮৬২৭টি। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৬০০ টাকা।
সূত্র জানায়, ট্রাফিক সপ্তাহের ১০ দিনে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের মোট মামলার মধ্যে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে বাসের বিরুদ্ধে ১৩০৯৩টি, ট্রাকের বিরুদ্ধে ১৮৪৮টি, কাভার্ড ভ্যানের বিরুদ্ধে ২৯২৫টি, পিকআপের বিরুদ্ধে ৬৬৩০টি, সিএনজি’র বিরুদ্ধে ৬৪২৩টি, মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ৪৩৮৬৩টি, প্রাইভেটকারের বিরুদ্ধে ৮৪৯৭টি, মাইক্রোবাসের বিরুদ্ধে ২৭২৮টি, লেগুনার বিরুদ্ধে ৯৬১টি এবং অন্যান্য ১৩২৫টি মামলা করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই কয়দিনে পুলিশ ঢাকাসহ সারা দেশের সড়কের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। যদি সড়কের শৃঙ্খলা ফিরে আসে তাহলে পুলিশ আর অভিযান চালাবে না। আর যদি না হয় তাহলে পুলিশ আবার ঢাকাসহ সারা দেশে অভিযান চালাবে। আইনের ব্যত্যয় যে ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments