‘ফাতেহ মোবিন' ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর প্রযুক্তি বিশ্বে কারো কাছে নেই: প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইরানের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, "দেশের
স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তাদের প্রতিরক্ষা শিল্প
উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।' তিনি বলেন, "শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।"
গতকাল ভূমি থেকে ভূমিতে এবং জাহাজ থেকে সাগরের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম নয়া অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ফাহেত মোবিন'-এর মোড়ক উন্মোচনকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ফাতেহ মোবিন' ক্ষেপণাস্ত্রকে ঠেকিয়ে দেয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি বিশ্বে কারো কাছে নেই।
ক্ষেপণাস্ত্রটির শীর্ষদেশে রয়েছে অনুসন্ধানকারী প্রযুক্তি যা দিয়ে এটি নিক্ষেপের পরও লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে বের করে তাতে আঘাত হানতে সক্ষম। স্বল্প পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র রাডারসহ শত্রুপক্ষের যেকোনো ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে এ ক্ষেপণাস্ত্র কত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে তা ঘোষণা করা হয়নি। খ্যাতনামা সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউট' ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা সম্পর্কে প্রতিবেদন ছেপেছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ম্যাথিউ ম্যাক ইনিসের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়েছে, "ইরানের বিজ্ঞানীরা যেহেতু স্কাড প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হয়েছে তখন তাদের প্রতিরক্ষা শক্তির বিষয়ে সন্দেহের আর কোনো অবকাশ নেই।"
ম্যাথিউ ম্যাক ইনিস আরো বলেন, ইরান বর্তমানে প্রতিরক্ষার সব ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে।" মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ইরানের স্বাধীনচেতা নীতি তেহরানের এ পদক্ষেপের কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের প্রতিরক্ষা বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের একটি বড় কারণ হচ্ছে সাদ্দামকে দিয়ে চাপিয়ে দেয়া আট বছরের প্রতিরক্ষা যুদ্ধের তিক্ত অভিজ্ঞতা। ওই যুদ্ধে সাদ্দামের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, বর্তমানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিকে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সম্প্রসারণকামী লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করে। এ কারণে তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে অন্যদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে প্রচার চালাচ্ছে।
কিন্তু ইরান তার নীতিতে অটল রয়েছে এবং কোনো হুমকি ও নিষেধাজ্ঞা ইরানকে নতজানু করতে পারবে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ জার্মানির একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, "এ অঞ্চলের অন্য দেশের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে ইরানের ব্যয় খুবই কম। ইরানের চাইতেও সৌদি আরবের আরো বেশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। অথচ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম নয়।"
প্রকৃতপক্ষে, আমেরিকা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের শক্তিমত্বার প্রতীক হিসেবে মনে করে এবং এ কারণে তারা যেকোনো উপায়ে ইরানকে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অঞ্চলে ইরানের শক্তিশালী উপস্থিতি আমেরিকার জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তারা জানে আমেরিকা, ইসরাইল ও সৌদি আরবকে ইরান কখনই তাদের অশুভ লক্ষ্য বাস্তবায়নের সুযোগ দেবে না।
গতকাল ভূমি থেকে ভূমিতে এবং জাহাজ থেকে সাগরের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম নয়া অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ফাহেত মোবিন'-এর মোড়ক উন্মোচনকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ফাতেহ মোবিন' ক্ষেপণাস্ত্রকে ঠেকিয়ে দেয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি বিশ্বে কারো কাছে নেই।
ক্ষেপণাস্ত্রটির শীর্ষদেশে রয়েছে অনুসন্ধানকারী প্রযুক্তি যা দিয়ে এটি নিক্ষেপের পরও লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে বের করে তাতে আঘাত হানতে সক্ষম। স্বল্প পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র রাডারসহ শত্রুপক্ষের যেকোনো ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে এ ক্ষেপণাস্ত্র কত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে তা ঘোষণা করা হয়নি। খ্যাতনামা সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউট' ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা সম্পর্কে প্রতিবেদন ছেপেছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ম্যাথিউ ম্যাক ইনিসের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়েছে, "ইরানের বিজ্ঞানীরা যেহেতু স্কাড প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হয়েছে তখন তাদের প্রতিরক্ষা শক্তির বিষয়ে সন্দেহের আর কোনো অবকাশ নেই।"
ম্যাথিউ ম্যাক ইনিস আরো বলেন, ইরান বর্তমানে প্রতিরক্ষার সব ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে।" মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ইরানের স্বাধীনচেতা নীতি তেহরানের এ পদক্ষেপের কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানের প্রতিরক্ষা বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের একটি বড় কারণ হচ্ছে সাদ্দামকে দিয়ে চাপিয়ে দেয়া আট বছরের প্রতিরক্ষা যুদ্ধের তিক্ত অভিজ্ঞতা। ওই যুদ্ধে সাদ্দামের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, বর্তমানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিকে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সম্প্রসারণকামী লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করে। এ কারণে তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে অন্যদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে প্রচার চালাচ্ছে।
কিন্তু ইরান তার নীতিতে অটল রয়েছে এবং কোনো হুমকি ও নিষেধাজ্ঞা ইরানকে নতজানু করতে পারবে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ জার্মানির একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, "এ অঞ্চলের অন্য দেশের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে ইরানের ব্যয় খুবই কম। ইরানের চাইতেও সৌদি আরবের আরো বেশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। অথচ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম নয়।"
প্রকৃতপক্ষে, আমেরিকা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের শক্তিমত্বার প্রতীক হিসেবে মনে করে এবং এ কারণে তারা যেকোনো উপায়ে ইরানকে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অঞ্চলে ইরানের শক্তিশালী উপস্থিতি আমেরিকার জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তারা জানে আমেরিকা, ইসরাইল ও সৌদি আরবকে ইরান কখনই তাদের অশুভ লক্ষ্য বাস্তবায়নের সুযোগ দেবে না।
No comments