নিষিদ্ধ রিকশা চলে টোকেনে by হাফিজ মুহাম্মদ
ব্যাটারিচালিত
রিকশা বা অটোরিকশা রাজধানীর একাধিক এলাকায় নিষিদ্ধ। তবুও এগুলো চলছে।
ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ এলাকায়। আর এজন্য তারা নির্দিষ্ট থানা ম্যানেজ
করে। পুলিশ থানা থেকে তাদের টোকেন দেয়। প্রতিমাসেই এ টোকেন পরিবর্তন হয়।
এগুলোর লেনদেন আবার চালকরা সরাসরি নিজেরা করেন না। নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার
দলীয় স্থানীয় নেতাকর্মীরা। আবার কিছু কিছু এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো
চলে গ্যারেজ মালিকানায়। তারাই থানাকে ম্যানেজ করে চলেন। তারা দৈনিক
ভিত্তিতে চালকদের কাছে রিকশা ভাড়ায় দেন। চালকরা জানান, মাস প্রতি তাদের
থানায় চাঁদা দিতে হয় ১০০০ টাকা। তবে যারা গ্যারেজ থেকে রিকশা ভাড়ায় চালান
তাদের সরাসরি থানায় টাকা দিতে হয় না। সবকিছু গ্যারেজ মালিকরাই ম্যানেজ
করেন। তারা শুধু দৈনিক ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া পরিশোধ করেন। গত ২৯শে জুলাই
রাজধানীর সড়কে দুই শিক্ষার্থীর হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপরে দেশব্যাপী নিরাপদ
সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তারা অবৈধ যানবাহন কিভাবে বন্ধ
করতে হয় তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন কর্তৃপক্ষকে। আন্দোলনের মধ্যেই
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিক সপ্তাহ পালন শুরু করেন। তারাও অবৈধ যানবাহন
বন্ধে অভিযানে নামেন। তবে সাধারণ মানুষ মনে করেন, সরষের মধ্যে ভূত থাকলে
কোনোভাবেই এসব বিশৃঙ্খলা বন্ধ হবে না। যেভাবে পুলিশ গাড়ি থেকে চাঁদা তুলে
তারা কিভাবে যানবাহন বন্ধ করবে। তার মধ্যে যা রাজধানীতে একেবারেই নিষিদ্ধ
তাও চলছে। গতকাল সরজমিন রাজধানীর একাধিক এলাকা ঘুরে এসব ব্যাটারিচালিত
রিকশা চলতে দেখা যায়। রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বর
এলাকা। মাঝখান থেকে চলে গেছে বেগম রোকেয়া সরণি। এই প্রধান সড়কের দুই পাশের
ভিতরের এলাকাতেই চলে এসব রিকশা। কথা হয় একাধিক রিকশা চালক ও মালিকের সঙ্গে।
তারা জানান, রিকশার পিছনে লাগানো কার্ডটিই থানা থেকে দেয়া মাসিক টোকেন।
এজন্য থানা তাদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নেয়। তারা সড়কের এক পাশে মিরপুর
১১ ও ১২ থেকে বাউনিয়াবাঁধ, কালশী ও মিরপুর ১৪ নম্বর পর্যন্ত এলকাগুলোতে
চালাতে পারেন। অন্যপাশে পূরবী সিনেমা হল থেকে আবাসিক, দুয়ারীপাড়া,
শিয়ালবাড়ী মোড় ও রূপনগরের কিছু এলাকায় এগুলো চালান। তবে কোনোক্রমে প্রধান
সড়কে যেতে পারেন না। কখনো গেলে পুলিশ আটকে দেয়। পরে টাকা দিয়ে ছাড়াতে হয়।
ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক আফজাল। তিনি বলেন, আমি যে রিকশাটি চালাই এটা আমার
নিজের। পূরবী সিনেমা থেকে ভিতরের এলাকায় শুধু চালাতে পারেন। এজন্য প্রতি
মাসে থানায় এক হাজার টাকা দেন। বিনিময় থানা থেকে একটি মাসিক টোকেন দেন।
তিনি রিকশার পিছনে লাগানো ৪ম লেখা একটি কার্ড দেখিয়ে বলেন, এটিই ওই কার্ড।
আরেক চালক মো. শাহীন। তার রিকশাটি চলে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামের উল্টোপাশে।
মিরপুর-১১, লালমাটি, বাউনিয়াবাঁধ, কালশী থেকে মিরপুর ১৪ নম্বর পর্যন্ত
এলাকায়। তিনি গ্যারেজ থেকে দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়ায় নেন। সব খরচ গ্যারেজের
এজন্য তাকে দিনে দিতে হয় ৩৫০ টাকা। আর দুই চার্জের গাড়ি নিলে ৩০০ টাকা।
শাহীন বলেন, আমি দুই মাস ধরে এ রিকশাটি চালাই। এজন্য রিকশায় থানা থেকে নেয়া
একটি পাশ কার্ড দিয়ে দিয়েছেন গ্যারেজ মালিক। অনেকজন মালিক এক হয়ে এই
রিকশাগুলো চালান। যারা প্রত্যেকেই সরকার দলের নেতাকর্মী। শাহীনের রিকশায়
সটকানো কার্ডে লেখা দেখা যায় ‘অটোরিকশা মাসিক কার্ড’। সেখানে তিনটি ফোন
নম্বর দেয়া রয়েছে। এগুলোতে কল দিয়ে এ রিকশা কিভাবে চলে জানতে চাইলে একটি
নম্বর থেকে আসাদ পরিচয়ে বলেন এর সঙ্গে আমি জড়িত নাই। কেন আমার ফোন নম্বর
তারা ব্যবহার করছে জানি না। অন্য আরেকটি নম্বরে কল দেয়া হলে তিনি নাম না
বললেও জানান আমি সিকিউরিটি ফোর্সের লোক। এরা গরিব চালক। তারা গ্যারেজ থেকে
ভাড়ায় নিয়ে রিকশা চালান। তার দুইটি রিকশা রয়েছে জানিয়ে বলেন, এটা অবৈধ নয়।
মালিকদের মাধ্যমেই ভিতরের এলাকায় চলে।
তবে চালক শাহীনের কাছ ঠিকানা নিয়ে বাউনিয়াবাঁধ ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ব্যাটারিচালিত রিকশার একাধিক গ্যারেজ। যেখানে একজন কেয়ারটেকার দায়িত্ব পালন করছেন। কিছুক্ষণ পর পর চালকরা রিকশা নিয়ে আসছেন আর চার্জ দিচ্ছেন। এসব কেয়ারটেকার জানান, ওইসব গ্যারেজের মালিক স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যারেজ কেয়ারটেকার বলেন, আমার মালিক প্রতিমাস শেষে থানা থেকে একটি কার্ড দিয়ে যান। সেটা রিকাশায় লাগিয়ে দেই। আমি আর কিছু জানি না।
ধানমন্ডির ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মো. আবদুল আজিজ মিয়া। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর রায়েরবাজার একালায় বসবাস তার। সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পাওয়ার পর থেকে ঠিকমতো হাঁটা-চলা করতে পারেন না তিনি। তিনি ছাড়া সংসারে আর কর্মক্ষম কোনো মানুষ নেই। তিনি তার স্ত্রীর জমানো কিছু টাকা ও লোন করে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেছেন। ৪৬ হাজার টাকা দিয়ে গত জুন মাসে রিকশাটি কিনেছেন। একবার ফুল চার্জ দিলে, ৯৫ ভোল্টের ৪টি ব্যাটারিতে ২০ ঘণ্টা মতো চলে তার রিকশা। পা দিয়ে প্যাডেল করা লাগে না বলে, বেশ সহজেই এক এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে খুব সহজেই ছুটে বেড়াতে পারে সে। তার রিকশাটি চালাতে পুশিকে টোকেনের জন্য প্রতি মাসে দিতে হয় এক হাজার টাকা। তবুও মেইন রোডে উঠলেই হাইকোর্টের নিষিদ্ধ এই অটোরিকশা নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দেখলেই আটক করেন। তাদের আবার টাকা না দিলে রিকশা নিয়ে যায় ডাম্পিংয়ে। রিকশার পিছনে লাগানো টোকেন দেখিয়ে আজিজ বলেন, আমরা কেউই এই কাগজ সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝি না। তবে এই কাগজ সিটি করপোরেশনের কাগজ। আর এর জন্য প্রতি মাসে আমাদের ১০০০ টাকা করে দিতে হয়। কার কাছে টাকা জমা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনে যাওয়া খুব ঝামেলা। তবে আমাদের মহাজনরা এইসব কাজ ভালো পারেন। তাদের সব লাইন-ঘাট চেনা। তাই আমরা প্রতি মাসে মাহজনের কাছে শুধু টাকাটা দিয়ে দিই। সেই আমাদের কার্ড এনে দেয়। আমরা শুধু পুরনোটা খুলে নতুন কার্ডটা লাগাই। মাহাজন এক হাজার থেকে ৮০০ টাকা জমা দেয় আর খরচ হিসাবে বাকি ২০০ টাকা নিজে কমিশন রাখেন। আজিজের রিকশার পিছনে লাগানো রয়েছে। এগুলো তিনজন মহাজনের মোবাইল নম্বর।
তাদের একজন মো. রাজ্জাক মির্জা। তবে তিনি এইভাবে রিকশা চলার কথা অস্বীকার করেন। কার্ডে তার মোবাইল নম্বর ভুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান। তবে তার অধীনে ১০টা ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। কিন্তু তার একটির জন্যও তাকে টাকা পয়সা দিতে হয় না।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার প্রত্যেককেই বিভিন্ন ‘ব্যাটারিচালিত রিকশামালিক-শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে প্রতি মাসে বৈধতা নিতে হয়। তবুও সরকারি খাতায় এরা অবৈধ। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক মহাজন জানান, এটা আসলে একটা চলমান প্রক্রিয়া। সিটি করপোরেশনের কথা বললেও ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে তেমন কিছুই খোঁজ রাখেন না। আমাদের মহাজনদের কিছু সমিতি আছে। চালকদের বিপদের দিনে যাতে তাদের কারোর কাছে হাত না পাতা লাগে এই উদ্দেশে আমরা প্রতিমাসে তাদের কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট অনুপাতে টাকা নেই। এর সামান্য কিছু আমরা রাখি আর পুরোটা তুলে দিই সমিতির হাতে।
তবে যে থানার অধীনে এসব রিকশা চলছে সেই থানাই নাকি এসব নিষিদ্ধ রিকশা সম্পর্কে জানেন না। এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার থানায় টাকা দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলে সেটা আমার জানা নেই। আমি এ থানায় নতুন জয়েন করেছি। একমাসও হয়নি। তবে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল এবং থানায় টাকা নেয়ার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
তবে চালক শাহীনের কাছ ঠিকানা নিয়ে বাউনিয়াবাঁধ ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ব্যাটারিচালিত রিকশার একাধিক গ্যারেজ। যেখানে একজন কেয়ারটেকার দায়িত্ব পালন করছেন। কিছুক্ষণ পর পর চালকরা রিকশা নিয়ে আসছেন আর চার্জ দিচ্ছেন। এসব কেয়ারটেকার জানান, ওইসব গ্যারেজের মালিক স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্যারেজ কেয়ারটেকার বলেন, আমার মালিক প্রতিমাস শেষে থানা থেকে একটি কার্ড দিয়ে যান। সেটা রিকাশায় লাগিয়ে দেই। আমি আর কিছু জানি না।
ধানমন্ডির ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মো. আবদুল আজিজ মিয়া। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর রায়েরবাজার একালায় বসবাস তার। সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পাওয়ার পর থেকে ঠিকমতো হাঁটা-চলা করতে পারেন না তিনি। তিনি ছাড়া সংসারে আর কর্মক্ষম কোনো মানুষ নেই। তিনি তার স্ত্রীর জমানো কিছু টাকা ও লোন করে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেছেন। ৪৬ হাজার টাকা দিয়ে গত জুন মাসে রিকশাটি কিনেছেন। একবার ফুল চার্জ দিলে, ৯৫ ভোল্টের ৪টি ব্যাটারিতে ২০ ঘণ্টা মতো চলে তার রিকশা। পা দিয়ে প্যাডেল করা লাগে না বলে, বেশ সহজেই এক এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে খুব সহজেই ছুটে বেড়াতে পারে সে। তার রিকশাটি চালাতে পুশিকে টোকেনের জন্য প্রতি মাসে দিতে হয় এক হাজার টাকা। তবুও মেইন রোডে উঠলেই হাইকোর্টের নিষিদ্ধ এই অটোরিকশা নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দেখলেই আটক করেন। তাদের আবার টাকা না দিলে রিকশা নিয়ে যায় ডাম্পিংয়ে। রিকশার পিছনে লাগানো টোকেন দেখিয়ে আজিজ বলেন, আমরা কেউই এই কাগজ সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝি না। তবে এই কাগজ সিটি করপোরেশনের কাগজ। আর এর জন্য প্রতি মাসে আমাদের ১০০০ টাকা করে দিতে হয়। কার কাছে টাকা জমা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনে যাওয়া খুব ঝামেলা। তবে আমাদের মহাজনরা এইসব কাজ ভালো পারেন। তাদের সব লাইন-ঘাট চেনা। তাই আমরা প্রতি মাসে মাহজনের কাছে শুধু টাকাটা দিয়ে দিই। সেই আমাদের কার্ড এনে দেয়। আমরা শুধু পুরনোটা খুলে নতুন কার্ডটা লাগাই। মাহাজন এক হাজার থেকে ৮০০ টাকা জমা দেয় আর খরচ হিসাবে বাকি ২০০ টাকা নিজে কমিশন রাখেন। আজিজের রিকশার পিছনে লাগানো রয়েছে। এগুলো তিনজন মহাজনের মোবাইল নম্বর।
তাদের একজন মো. রাজ্জাক মির্জা। তবে তিনি এইভাবে রিকশা চলার কথা অস্বীকার করেন। কার্ডে তার মোবাইল নম্বর ভুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান। তবে তার অধীনে ১০টা ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। কিন্তু তার একটির জন্যও তাকে টাকা পয়সা দিতে হয় না।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার প্রত্যেককেই বিভিন্ন ‘ব্যাটারিচালিত রিকশামালিক-শ্রমিক কল্যাণ সমিতির কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে প্রতি মাসে বৈধতা নিতে হয়। তবুও সরকারি খাতায় এরা অবৈধ। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক মহাজন জানান, এটা আসলে একটা চলমান প্রক্রিয়া। সিটি করপোরেশনের কথা বললেও ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে তেমন কিছুই খোঁজ রাখেন না। আমাদের মহাজনদের কিছু সমিতি আছে। চালকদের বিপদের দিনে যাতে তাদের কারোর কাছে হাত না পাতা লাগে এই উদ্দেশে আমরা প্রতিমাসে তাদের কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট অনুপাতে টাকা নেই। এর সামান্য কিছু আমরা রাখি আর পুরোটা তুলে দিই সমিতির হাতে।
তবে যে থানার অধীনে এসব রিকশা চলছে সেই থানাই নাকি এসব নিষিদ্ধ রিকশা সম্পর্কে জানেন না। এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার থানায় টাকা দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলে সেটা আমার জানা নেই। আমি এ থানায় নতুন জয়েন করেছি। একমাসও হয়নি। তবে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল এবং থানায় টাকা নেয়ার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
No comments