সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে বৈঠকে বসেছেন ইরান ও ওমানের কর্মকর্তারা
ইরান
ও ওমানের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক যৌথ কমিটির ১৪তম বৈঠক তেহরানে
শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনের এ বৈঠকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামাদ বিন রাশেদ আল
বালুশির নেতৃত্বে ওমানের প্রতিনিধি দল ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আলোচনা করবেন। দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি ছাড়াও আঞ্চলিক
নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে নিয়ে মূলত তাদের মধ্যে কথাবার্তা হবে।
ওমানের বাদশা সুলতান কাবুস গত বছর ইরানের প্রেসিডেন্টের মাস্কাট সফরের সময় আঞ্চলিক সহযোগিতা বিস্তারে ইরানের আন্তরিকতা ও প্রস্তুতির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, এ অঞ্চলের আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আঞ্চলিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য জরুরি।
প্রকৃতপক্ষে, সমুদ্রকেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক তৎপরতা এবং বাণিজ্য ও জ্বালানি বহনকারী জাহাজ চলাচলের জন্য পারস্য উপসাগর ও ওমান সাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা খুবই জরুরি। এই সমুদ্র অঞ্চল থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত বিশাল এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা করার মতো ক্ষমতা অর্জন করেছে ইরানের নৌবাহিনী। শুধু ভারত মহাসাগর নয় আন্তর্জাতিক যে কোনো সমুদ্র অঞ্চলে নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে ইরান প্রস্তুত।
গত শতাব্দীর ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিদেশিরা নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে উল্টো এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও সংকট সৃষ্টি করেছে। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দেগুলোকে পরনির্ভরশীল করে তোলা, কোটি কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি করা এবং এ অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করা বিদেশিদের অন্যতম উদ্দেশ্য। এরই আলোকে তেহরানে ইরান ও ওমানের প্রতিরক্ষা বিষয়ক যৌথ কমিটির বৈঠক দু'দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এ বৈঠক থেকে ইরানের সঙ্গে সর্বোচ্চ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ওমানের ব্যাপক আগ্রহের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। আর দ্বিতীয়ত, আঞ্চলিক সংকট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র রোধ করা এবং নিরাপত্তা রক্ষায় তেহরান ও মাস্কাটের দৃঢ় ইচ্ছার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে সংকট সৃষ্টির জন্য আমেরিকা, সৌদি আরব ও ইসরাইল ব্যাপক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তারা ইরানভীতি ছড়ানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ভূমিকাকে হুমকি হিসেবে তুলে ধরছে এবং তেহরানের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলছে।
মার্কিন বিশেষজ্ঞ জিম ওয়ালেশ এ ব্যাপারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব অভিযোগ তুলে আসলে ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য করছে যাতে ইরানকে আঞ্চলিক সংকট সৃষ্টিকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা যায়।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন আমেরিকা, সৌদি আরব ও ইসরাইল ইরানভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করলেও এ অঞ্চলের সব দেশ তাদের নীতির সঙ্গে একমত নয়। ওমানের নৌবাহিনীর প্রধান আব্দুল্লাহ আল রাইসি সম্প্রতি তেহরানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নৌ কমান্ডারদের এক সম্মেলনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইরান ও ওমানের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও বহু প্রাচীন এবং তার দেশের বাদশা তেহরান-মাস্কাট সম্পর্ক জোরদারে ব্যাপক আগ্রহী।
ওমানের বাদশা সুলতান কাবুস গত বছর ইরানের প্রেসিডেন্টের মাস্কাট সফরের সময় আঞ্চলিক সহযোগিতা বিস্তারে ইরানের আন্তরিকতা ও প্রস্তুতির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, এ অঞ্চলের আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আঞ্চলিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য জরুরি।
প্রকৃতপক্ষে, সমুদ্রকেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক তৎপরতা এবং বাণিজ্য ও জ্বালানি বহনকারী জাহাজ চলাচলের জন্য পারস্য উপসাগর ও ওমান সাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা খুবই জরুরি। এই সমুদ্র অঞ্চল থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত বিশাল এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা করার মতো ক্ষমতা অর্জন করেছে ইরানের নৌবাহিনী। শুধু ভারত মহাসাগর নয় আন্তর্জাতিক যে কোনো সমুদ্র অঞ্চলে নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে ইরান প্রস্তুত।
গত শতাব্দীর ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিদেশিরা নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে উল্টো এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও সংকট সৃষ্টি করেছে। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দেগুলোকে পরনির্ভরশীল করে তোলা, কোটি কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি করা এবং এ অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করা বিদেশিদের অন্যতম উদ্দেশ্য। এরই আলোকে তেহরানে ইরান ও ওমানের প্রতিরক্ষা বিষয়ক যৌথ কমিটির বৈঠক দু'দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এ বৈঠক থেকে ইরানের সঙ্গে সর্বোচ্চ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ওমানের ব্যাপক আগ্রহের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। আর দ্বিতীয়ত, আঞ্চলিক সংকট সৃষ্টির ষড়যন্ত্র রোধ করা এবং নিরাপত্তা রক্ষায় তেহরান ও মাস্কাটের দৃঢ় ইচ্ছার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে সংকট সৃষ্টির জন্য আমেরিকা, সৌদি আরব ও ইসরাইল ব্যাপক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তারা ইরানভীতি ছড়ানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ভূমিকাকে হুমকি হিসেবে তুলে ধরছে এবং তেহরানের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলছে।
মার্কিন বিশেষজ্ঞ জিম ওয়ালেশ এ ব্যাপারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব অভিযোগ তুলে আসলে ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য করছে যাতে ইরানকে আঞ্চলিক সংকট সৃষ্টিকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা যায়।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন আমেরিকা, সৌদি আরব ও ইসরাইল ইরানভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করলেও এ অঞ্চলের সব দেশ তাদের নীতির সঙ্গে একমত নয়। ওমানের নৌবাহিনীর প্রধান আব্দুল্লাহ আল রাইসি সম্প্রতি তেহরানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নৌ কমান্ডারদের এক সম্মেলনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইরান ও ওমানের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও বহু প্রাচীন এবং তার দেশের বাদশা তেহরান-মাস্কাট সম্পর্ক জোরদারে ব্যাপক আগ্রহী।
No comments