ড. কামাল হোসেনের প্রশ্ন:- নির্বাচন প্রক্রিয়াই স্থগিত হয়ে যায় কিনা
জাতীয়
ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ঈদের পরে ঐক্য প্রক্রিয়ার
সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা হবে। সেখান থেকেই
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়া হবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের প্রসঙ্গ টেনে
এই সংবিধান প্রণেতা প্রশ্ন তোলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থাই স্থগিত হয়ে
যায় কি না? সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সর্বগ্রাসী লুণ্ঠন বাংলাদেশের বিপুল
সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের
এই সময়ের মধ্যে নিজেদের সুসংগঠিত করতে হবে। জেলায় জেলায়, থানায় থানায়
নির্দিষ্ট করতে হবে কাকে আমরা প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবো। এই দেশের
মালিক জনগণ, দেশের ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে।
আমাদের তো প্রতিবাদ করার কথা ছিল। সামনে একটা নির্বাচনের কথা হচ্ছে, আপনারা
আর বসে থাকবেন না। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিকে দেখেছি একরকম আর
এখন অনির্বাচিত প্রতিনিধিকে দেখেছি আরেক রকম। এখন যারা আছেন তারা আসলে
নিয়োগ করা চাকর। বঙ্গবন্ধুর জীবনীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. কামাল বলেন, তিনি
ক্ষমতায় গিয়ে ভোগবিলাস করেননি, নিজেকে জনগণের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছেন। চার
হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে কিন্তু তা ফিরিয়ে আনার কোনো লক্ষণ নেই। ড.
কামাল বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন কিভাবে বন্ধ করে দেয়া হলো? তারা আলামত
পেয়েছিল সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ১০ শতাংশ ভোটও পাবেন না। এজন্য বন্ধ করে দেয়া
হয়েছে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাই বন্ধ করে দেয়া হয় কি না সেটাই আশঙ্কা করছি।
কেননা তারা জেনে গেছে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখন ঘরে ঘরেই বেকার রয়েছে, প্রতিবছর বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এটাকে দ্রুত কমাতে হবে। দেশের পরিবর্তন করতে হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ডকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, এই সর্বগ্রাসী সরকারকে সরিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে যে সরকার ছিল আর এ বিনাভোটের সরকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এটা মহাজোটের সরকার নয়, এটা মহালুটের সরকার। তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় দুর্নীতি ছিল, তখন ছিল হাওয়া ভবন এখন হইছে খাওয়া ভবন। বিদেশেও না কি এখন তার শাখা হয়েছে। গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী বলেন, এক শ্রেণির লোক মহাউৎসবে দুর্নীতি করে যাচ্ছে আর আমরা চোখে কালো চশমা দিয়ে দেখছি। আমরা চেয়েছিলাম সুশাসন, দেশে এখন চলছে কুশাসন। অনির্বাচিত এ সরকার অবৈধ, আমরা তার কাছে কি আশা করতে পারি। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঞ্চলনায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মহাসচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, আবদুল জলীল প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখন ঘরে ঘরেই বেকার রয়েছে, প্রতিবছর বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এটাকে দ্রুত কমাতে হবে। দেশের পরিবর্তন করতে হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ডকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, এই সর্বগ্রাসী সরকারকে সরিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে যে সরকার ছিল আর এ বিনাভোটের সরকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এটা মহাজোটের সরকার নয়, এটা মহালুটের সরকার। তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় দুর্নীতি ছিল, তখন ছিল হাওয়া ভবন এখন হইছে খাওয়া ভবন। বিদেশেও না কি এখন তার শাখা হয়েছে। গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী বলেন, এক শ্রেণির লোক মহাউৎসবে দুর্নীতি করে যাচ্ছে আর আমরা চোখে কালো চশমা দিয়ে দেখছি। আমরা চেয়েছিলাম সুশাসন, দেশে এখন চলছে কুশাসন। অনির্বাচিত এ সরকার অবৈধ, আমরা তার কাছে কি আশা করতে পারি। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঞ্চলনায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মহাসচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, আবদুল জলীল প্রমুখ।
No comments