কাল নির্বাচন: কি ঘটছে মালয়েশিয়ায়
এখন
শুধু সময় গণনা। মাত্র কয়েকটি ঘন্টা শেষে মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে
উত্তেজনা সৃষ্টিকারী নির্বাচনী যুদ্ধ। তার একদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী
মাহাথির মোহাম্মদ। অন্যদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। এক সময় একই
রাজনৈতিক সহচর হলেও এখন সময়ের প্রয়োজনে তারা পিঠে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়েছেন।
বুধবারের নির্বাচনে কি নাজিব রাজাক ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখতে পারবেন? নাকি
তাকে নস্যির মতো উড়িয়ে দেবেন আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ!
এমন সব প্রশ্নের মাঝে একনজরে দেখে নেয়া যাক কি ঘটছে মালয়েশিয়ায়।
কি ঘটছে আসলে
বুধবার ৯ই মে নির্বাচন। এ নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে কে হবেন দেশটির সপ্তম প্রধানমন্ত্রী। এদিনটিতে ব্যাংকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচনকে বলা হচ্ছে মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তজনা সৃষ্টিকারী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিশেষ করে, সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র মাত্রা পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বিরোধী দল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হয়ে। নির্বাচনে রেকর্ড ২৩৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই এ নির্বাচনকে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় লড়াই হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
মূল নায়ক কারা
এই নির্বাচনে মূল নায়ক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায়। তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ৯২ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনিই মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮১ সালে ক্ষমতায় এসে ২০০৩ সাল পর্যন্ত একটানা ক্ষমতায় ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের দুর্নীতিতে বিরক্ত হয়ে তিনি ৯২ বছর বয়সে নতুন করে মালয়েশিয়াকে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পা রেখেছেন রাজনীতির মাঠে। যদি তিনি বিজয়ী হন তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী রাষ্ট্রপ্রধান হবেন তিনি। বুধবারের এই লড়াইটি যেমন ব্যক্তিগত, তেমনি রাজনৈতিক। এক সময় নাজিব ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদের অনুগত। তিনিই তাকে সরকারি বড় দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মাহাথিরের সেই উদারতাই নাজিবকে প্রধানমন্ত্রী হতে সহায়তা করে। নিজের সেই উদারতাকেই এখন জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল বলে অভিহিত করেছেন মাহাথির। বলেছেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলের জন্য নাজিবের উত্থান ঘটেছে। ২০১৫ সালে নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ‘১ এমডিবি’ তহবিল দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ঠিক সে সময়ে নাজিবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন মাহাথির। রাজনীতি থেকে অবসরে চলে যান। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রাজনীতিতে ফেরার ঘোষণা দেন তিনি। সূচনা করেন রাজনৈতিক মিত্র খোঁজা। যোগ দেন বিরোধ দলগুলোর জোটে। তাদের একটিই লক্ষ্য। তা হলো- নাজিবকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। গঠন করেন নিজের দল। নাম দেন পার্টি প্রিবুমি বারসাতু। অন্যদিকে নাজিব হলেন ইউএমএনও দলের প্রধান। ক্ষমতাসীন বারিশান ন্যাশনাল দলের প্রধান রাজনৈতিক দল। মাহাথির এক সময় যে ইউএমএনও দলে ছিলেন, এখন সেই দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এ নির্বাচনে আরেকটি দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা হলো রক্ষণশীল ইসলামপন্থি দল পিএএস। তারা অল্প কিছু আসন পেতে পারে। যদি বড় রাজনৈতিক দলগুলো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে পিএএসের কদর বেড়ে যাবে। জোট সরকার গঠনে তাদের ডাক পড়বে। চলবে দর কষাকষি।
৯২ বছর বয়সী মাহাথির কতদিন ক্ষমতায় থাকবেন
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে বিরোধী জোটগুলোর সঙ্গে মাহাথিরের একটি চুক্তি হয়েছে। তার অধীনে তিনি ক্ষমতায় থাকবেন দু’বছর। তারপরই বিরোধী দলীয় নেতা জেলবন্দি আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। আনোয়ার ইব্রাহিম এখন সমকামিতার অভিযোগে দ্বিতীয় মামলায় জেলে রয়েছেন। তিনি এ অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তিনিও মাহাথির মোহাম্মদের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে মাহাথির দেখতে পান আনোয়ার ইব্রাহিম খুব বেশি শক্তিশালী ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। ঠিক এমন সময় ১৯৯৯ সালে তাকে জেলে ঢুকিয়ে দেন মাহাথিরই। তবে সেই অতীত মুছে ফেলেছেন তারা। এখন তাদের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। যদি মাহাথির নির্বাচনে বিজয়ী হন তাহলে তিনি আনোয়ার ইব্রাহিমকে ক্ষমা করে দেবেন। ফলে আনোয়ার জেল থেকে বের হয়ে আসবেন এবং তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন মাহাথির।
বড় ইস্যু কি
মালয়েশিয়ার নির্বাচনে এবার সবচেয়ে বড় ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি ও জীবনযাপনের খরচ বৃদ্ধি পাওয়া। ‘১ এমডিবি’ তহবিল থেকে নাজিব রাজাক ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার নিজের ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর করেছেন বলে অভিযোগ আছে। বারিশান ন্যাশনালের বিরুদ্ধে ভোট দিতে ভোটারদের এ মন্ত্রে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছে বিরোধীরা। এ ছাড়া পণ্যসামগ্রি ও সেবাখাতে ভ্যাট আরোপ করেছেন নাজিব রাজাক। এতে তিনি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। তার এমন সিদ্ধান্তের কারণে জীবনমানের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনের পর দিন। তাই বিরোধী জোট নির্বাচিত হলে জীবনমানের খরচ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
কি ঘটছে আসলে
বুধবার ৯ই মে নির্বাচন। এ নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে কে হবেন দেশটির সপ্তম প্রধানমন্ত্রী। এদিনটিতে ব্যাংকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচনকে বলা হচ্ছে মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তজনা সৃষ্টিকারী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিশেষ করে, সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র মাত্রা পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বিরোধী দল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হয়ে। নির্বাচনে রেকর্ড ২৩৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই এ নির্বাচনকে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় লড়াই হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
মূল নায়ক কারা
এই নির্বাচনে মূল নায়ক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায়। তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ৯২ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনিই মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮১ সালে ক্ষমতায় এসে ২০০৩ সাল পর্যন্ত একটানা ক্ষমতায় ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের দুর্নীতিতে বিরক্ত হয়ে তিনি ৯২ বছর বয়সে নতুন করে মালয়েশিয়াকে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পা রেখেছেন রাজনীতির মাঠে। যদি তিনি বিজয়ী হন তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী রাষ্ট্রপ্রধান হবেন তিনি। বুধবারের এই লড়াইটি যেমন ব্যক্তিগত, তেমনি রাজনৈতিক। এক সময় নাজিব ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদের অনুগত। তিনিই তাকে সরকারি বড় দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মাহাথিরের সেই উদারতাই নাজিবকে প্রধানমন্ত্রী হতে সহায়তা করে। নিজের সেই উদারতাকেই এখন জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল বলে অভিহিত করেছেন মাহাথির। বলেছেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলের জন্য নাজিবের উত্থান ঘটেছে। ২০১৫ সালে নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ‘১ এমডিবি’ তহবিল দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ঠিক সে সময়ে নাজিবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন মাহাথির। রাজনীতি থেকে অবসরে চলে যান। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রাজনীতিতে ফেরার ঘোষণা দেন তিনি। সূচনা করেন রাজনৈতিক মিত্র খোঁজা। যোগ দেন বিরোধ দলগুলোর জোটে। তাদের একটিই লক্ষ্য। তা হলো- নাজিবকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। গঠন করেন নিজের দল। নাম দেন পার্টি প্রিবুমি বারসাতু। অন্যদিকে নাজিব হলেন ইউএমএনও দলের প্রধান। ক্ষমতাসীন বারিশান ন্যাশনাল দলের প্রধান রাজনৈতিক দল। মাহাথির এক সময় যে ইউএমএনও দলে ছিলেন, এখন সেই দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এ নির্বাচনে আরেকটি দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা হলো রক্ষণশীল ইসলামপন্থি দল পিএএস। তারা অল্প কিছু আসন পেতে পারে। যদি বড় রাজনৈতিক দলগুলো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে পিএএসের কদর বেড়ে যাবে। জোট সরকার গঠনে তাদের ডাক পড়বে। চলবে দর কষাকষি।
৯২ বছর বয়সী মাহাথির কতদিন ক্ষমতায় থাকবেন
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে বিরোধী জোটগুলোর সঙ্গে মাহাথিরের একটি চুক্তি হয়েছে। তার অধীনে তিনি ক্ষমতায় থাকবেন দু’বছর। তারপরই বিরোধী দলীয় নেতা জেলবন্দি আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। আনোয়ার ইব্রাহিম এখন সমকামিতার অভিযোগে দ্বিতীয় মামলায় জেলে রয়েছেন। তিনি এ অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তিনিও মাহাথির মোহাম্মদের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে মাহাথির দেখতে পান আনোয়ার ইব্রাহিম খুব বেশি শক্তিশালী ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। ঠিক এমন সময় ১৯৯৯ সালে তাকে জেলে ঢুকিয়ে দেন মাহাথিরই। তবে সেই অতীত মুছে ফেলেছেন তারা। এখন তাদের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। যদি মাহাথির নির্বাচনে বিজয়ী হন তাহলে তিনি আনোয়ার ইব্রাহিমকে ক্ষমা করে দেবেন। ফলে আনোয়ার জেল থেকে বের হয়ে আসবেন এবং তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন মাহাথির।
বড় ইস্যু কি
মালয়েশিয়ার নির্বাচনে এবার সবচেয়ে বড় ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি ও জীবনযাপনের খরচ বৃদ্ধি পাওয়া। ‘১ এমডিবি’ তহবিল থেকে নাজিব রাজাক ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার নিজের ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর করেছেন বলে অভিযোগ আছে। বারিশান ন্যাশনালের বিরুদ্ধে ভোট দিতে ভোটারদের এ মন্ত্রে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছে বিরোধীরা। এ ছাড়া পণ্যসামগ্রি ও সেবাখাতে ভ্যাট আরোপ করেছেন নাজিব রাজাক। এতে তিনি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। তার এমন সিদ্ধান্তের কারণে জীবনমানের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনের পর দিন। তাই বিরোধী জোট নির্বাচিত হলে জীবনমানের খরচ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
No comments