চাঞ্চল্যকর হত্যার তদন্ত ৩: ইরফান হত্যা রহস্যের জট খুলেনি ২ বছরেও by আল-আমিন
দৃক
গ্যালারির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ২ বছর এক মাস
পরও রহস্যের জট খুলেনি। কী কারণে এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত তা
এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ইরফানের স্বজনদের দাবি, এ হত্যাকাণ্ডের ৩ বার
তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে। বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে
যোগাযোগ রাখেন না। এতে মামলার তদন্ত কতদূর গেছে তা তারা জানেন না। তাদের
দাবি, এটা কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটন এবং আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ার কারণে নিহতের
পরিবারের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
২০১৬ সালের ৩রা এপ্রিল ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শাখায় টাকা তোলার জন্য প্রবেশ করেন দৃক গ্যালারির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম। তিনি ওই ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা তুলে বাইরে বের হন। এরপর নিখোঁজ হন। নিখোঁজের একদিন পর ৪ঠা এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ির বিলের একপাশের ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের আশপাশের এলাকা থেকে অপহরণ করে অন্য কোথাও হত্যা করে তার লাশ সেখানে ফেলে যায়।
নিহতের বড় ভাই ইমদাদুল হক বাদী হয়ে ৪ঠা এপ্রিল রাতে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর-২। মামলা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইরফানুলকে খুনের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ সম্বন্ধে তারা অবগত নন। মামলাটির প্রথম তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে পুলিশ মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করতে অনীহা প্রকাশ করলে সেটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডিতে গিয়ে এই মামলার ৩ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে।
মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এসআই আসাদ মুন্সি মানবজমিনকে বলেন, ইরফানুল হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলেনি। এটা একটি হত্যাকাণ্ড এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু, কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত সুরাহা করা সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খোলার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। একটি হত্যার রহস্য উন্মোচন ও আসামিরা গ্রেপ্তার হলেই আইনের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হয়। এ ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তদারকি করছেন। এতদিন ধরে খুনের ক্লু না পাওয়ার কারণ কি প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা একাধিকবার ছুটিতে ছিলেন। এ ছাড়াও এটি একটি জটিল মামলা। এ কারণে সময় লাগছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই ইমদাদুল হক মানবজমিনকে বলেন, আমার ভাইকে কারা কি কারণে হত্যা করা হলো তা আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি। এর চেয়ে দুঃখের কী আছে? তিনি আরো জানান, মামলার তদন্তের অগ্রগতি কী তা আমরা বলতে পারবো না। কারণ হচ্ছে যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। আমার ভাই ছিল অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র একজন মানুষ। অত্যন্ত শিল্পীমনা মানুষ ছিল সে। আমাদের জানা মতে, তার কোনো শত্রু ছিল না। ইরফানুল খুন হবার পর পুরো পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, যে ব্যাংক থেকে ইরফানুল টাকা তুলে ছিলেন ওই ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা সংগ্রহ করেছিল পুলিশ। তার ব্যাংকে প্রবেশ করা এবং টাকা উত্তেলনের বিষয়টি স্পষ্টভাবে সিসি ক্যামেরাই দেখা গেছে। এরপর তিনি ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। নিহতের লাশ উদ্ধারের সময় চোখে ও মুখে মলমের গন্ধ ছিল। পুলিশের ধারণা, ইরফানুল ইসলামের সঙ্গে থাকা টাকা লুটে নেয়ার জন্য একটি চক্র ব্যাংক থেকেই তার পিছু নিয়ে থাকতে পারে। পরে তার টাকা লুটে নিয়ে হত্যা করে নারায়ণগঞ্জে ফেলে রেখে যেতে পারে। এ ঘটনায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কোনো ডাকাত চক্র জড়িত থাকতে পারে কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, নিহতের গাড়ি চালক ওই কর্মকর্তাকে ব্যাংকে ঢুকতে দেখেছেন। পরে গাড়ি চালক গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর চালক ব্যাংক থেকে ওই কর্মকর্তাকে আর বের হতে দেখেননি। কোনো ফোনও দেননি। এতে তিনি ব্যাংক থেকে বের হয়ে কোন দিকে গেছেন তা নিহতের গাড়ি চালক পুলিশকে জানাতে পারেননি। চালক অনেকক্ষণ ইরফানুলের মোবাইলে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেলে তিনি দৃক গ্যালারির কর্মকর্তা রেজাউলকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনার নিহতের গাড়ি চালক এবং সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল কলাবাগান থানা পুলিশ। কিন্তু, তাদের কাছে খুনের কোনো তথ্য না পাওয়ার কারণে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্র আরো জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের পর পুলিশ তার পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কোনো বিরোধ আছে কী-না তা খতিয়ে দেখতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। কিন্তু, ওই বিরোধের বিষয়টির পুলিশ তেমন কোনো তথ্য পায়নি। সূত্র জানায়, যেহেতু তিনি দৃক গ্যালারির কর্মকর্তা এজন্য পুলিশের প্রথম ধারণা ছিল যে, তার এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো উগ্রবাদীর হাত থাকতে পারে। কিন্তু, তদন্তের একপর্যায়ে দেখা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো উগ্রবাদীর হাত নেই। অন্য কোনো কারণে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে হত্যা করে থাকতে পারেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত ইরফানুল হাজারীবাগ থানাধীন ঝিগাতলায় ১৫/১ নম্বর রোডের ৫৮ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
২০১৬ সালের ৩রা এপ্রিল ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শাখায় টাকা তোলার জন্য প্রবেশ করেন দৃক গ্যালারির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম। তিনি ওই ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা তুলে বাইরে বের হন। এরপর নিখোঁজ হন। নিখোঁজের একদিন পর ৪ঠা এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ির বিলের একপাশের ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের আশপাশের এলাকা থেকে অপহরণ করে অন্য কোথাও হত্যা করে তার লাশ সেখানে ফেলে যায়।
নিহতের বড় ভাই ইমদাদুল হক বাদী হয়ে ৪ঠা এপ্রিল রাতে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর-২। মামলা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইরফানুলকে খুনের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ সম্বন্ধে তারা অবগত নন। মামলাটির প্রথম তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে পুলিশ মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করতে অনীহা প্রকাশ করলে সেটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডিতে গিয়ে এই মামলার ৩ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে।
মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এসআই আসাদ মুন্সি মানবজমিনকে বলেন, ইরফানুল হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলেনি। এটা একটি হত্যাকাণ্ড এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু, কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত সুরাহা করা সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খোলার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। একটি হত্যার রহস্য উন্মোচন ও আসামিরা গ্রেপ্তার হলেই আইনের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হয়। এ ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তদারকি করছেন। এতদিন ধরে খুনের ক্লু না পাওয়ার কারণ কি প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা একাধিকবার ছুটিতে ছিলেন। এ ছাড়াও এটি একটি জটিল মামলা। এ কারণে সময় লাগছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই ইমদাদুল হক মানবজমিনকে বলেন, আমার ভাইকে কারা কি কারণে হত্যা করা হলো তা আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি। এর চেয়ে দুঃখের কী আছে? তিনি আরো জানান, মামলার তদন্তের অগ্রগতি কী তা আমরা বলতে পারবো না। কারণ হচ্ছে যে, তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। আমার ভাই ছিল অত্যন্ত ভদ্র ও নম্র একজন মানুষ। অত্যন্ত শিল্পীমনা মানুষ ছিল সে। আমাদের জানা মতে, তার কোনো শত্রু ছিল না। ইরফানুল খুন হবার পর পুরো পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, যে ব্যাংক থেকে ইরফানুল টাকা তুলে ছিলেন ওই ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা সংগ্রহ করেছিল পুলিশ। তার ব্যাংকে প্রবেশ করা এবং টাকা উত্তেলনের বিষয়টি স্পষ্টভাবে সিসি ক্যামেরাই দেখা গেছে। এরপর তিনি ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। নিহতের লাশ উদ্ধারের সময় চোখে ও মুখে মলমের গন্ধ ছিল। পুলিশের ধারণা, ইরফানুল ইসলামের সঙ্গে থাকা টাকা লুটে নেয়ার জন্য একটি চক্র ব্যাংক থেকেই তার পিছু নিয়ে থাকতে পারে। পরে তার টাকা লুটে নিয়ে হত্যা করে নারায়ণগঞ্জে ফেলে রেখে যেতে পারে। এ ঘটনায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কোনো ডাকাত চক্র জড়িত থাকতে পারে কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, নিহতের গাড়ি চালক ওই কর্মকর্তাকে ব্যাংকে ঢুকতে দেখেছেন। পরে গাড়ি চালক গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর চালক ব্যাংক থেকে ওই কর্মকর্তাকে আর বের হতে দেখেননি। কোনো ফোনও দেননি। এতে তিনি ব্যাংক থেকে বের হয়ে কোন দিকে গেছেন তা নিহতের গাড়ি চালক পুলিশকে জানাতে পারেননি। চালক অনেকক্ষণ ইরফানুলের মোবাইলে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেলে তিনি দৃক গ্যালারির কর্মকর্তা রেজাউলকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনার নিহতের গাড়ি চালক এবং সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল কলাবাগান থানা পুলিশ। কিন্তু, তাদের কাছে খুনের কোনো তথ্য না পাওয়ার কারণে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সূত্র আরো জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের পর পুলিশ তার পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কোনো বিরোধ আছে কী-না তা খতিয়ে দেখতে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। কিন্তু, ওই বিরোধের বিষয়টির পুলিশ তেমন কোনো তথ্য পায়নি। সূত্র জানায়, যেহেতু তিনি দৃক গ্যালারির কর্মকর্তা এজন্য পুলিশের প্রথম ধারণা ছিল যে, তার এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো উগ্রবাদীর হাত থাকতে পারে। কিন্তু, তদন্তের একপর্যায়ে দেখা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো উগ্রবাদীর হাত নেই। অন্য কোনো কারণে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে হত্যা করে থাকতে পারেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত ইরফানুল হাজারীবাগ থানাধীন ঝিগাতলায় ১৫/১ নম্বর রোডের ৫৮ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
No comments