২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আমি তৈরি, বললেন রাহুল
ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী |
ভারতের
প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ২০১৯ সালে
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আমি তৈরি। কর্ণাটকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে
কেন্দ্র করে সেখানে এক নাগরিক সমাবেশে আজ(মঙ্গলবার)তিনি ওই মন্তব্য করেন।
রাহুল আজ বলেন, ২০১৯ সালে (লোকসভা নির্বাচনের সময়) কংগ্রেস দল যদি যদি সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে আসে তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তার দাবি, ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার গড়তে পারবে না এবং নরেন্দ্র মোদিও প্রধানমন্ত্রী হবেন না।
রাহুল বলেন, আপনারা আমার কথা শুনে হয়ত হাসবেন কিন্তু ২০১৯ সালে বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতায় আসবে না। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় বিজেপি’র জন্য ২০১৯ সাল সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
রাহুল গান্ধীকে আজ নাগরিকদের মধ্য থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আগামী সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তা হলে কী তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি হবেন? ওই প্রশ্নের জবাবে রাহুল সাফ জানিয়ে দেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। কেনই বা রাজি হবো না?’
২০১৯ সালে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন, ‘২০১৯- বিজেপি ফিনিশ’। এক্ষেত্রে বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হিসেবে কে সামনে আসবেন তা নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। বি এস পি নেত্রী মায়াবতী, তৃনমূল নেত্রী মমতা থেকে শুরু করে অনেকের নামই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে ভাসছে।
ঠিক এমন সময়েই তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্পর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। রাহুল গান্ধী আজ বলেন, মতাদর্শগত লড়াইয়ে সকলকে একসঙ্গে আসা উচিত। আজ যদি তিন দল একসঙ্গে চলে আসে তাহলে বিজেপি পাঁচটি আসনও পাবে না।
রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের কংগ্রেসের মুখপাত্র জিতেন্দ্র ত্রিপাঠি। তিনি বলেন, দেশবাসী চাচ্ছেন রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোন। কারণ, দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে ক্ষুব্ধ।
এদিকে, রাহুলের মন্তব্যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা নেতা জিতনরাম মাঝি। তিনি বলেছেন, মহাজোট এবং সর্বসম্মতি ছাড়া রাহুল কীভাবে একথা বলতে পারেন? মাঝি বলেন, ঐতিহ্য হল, সবচেয়ে বড় দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু অবিজেপি জোটের মধ্যে মায়াবতী, মুলায়ম এবং মমতা প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। এজন্য ঐক্যমত্য তৈরি হওয়া প্রয়োজন।
এনসিপি নেতা মজিদ মেমন বলেছেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা লাখ টাকার প্রশ্ন। সিপি আই নেতা ডি রাজা বলেছেন, এসময় বিজেপি বিরোধী সমস্ত সেক্যুলার দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে, বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কটাক্ষ করে বলেছেন, রাহুলকে কেউ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করছেন না বলে তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। রাহুলকে আগে তার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। তিনি একটি দলের বেকার সভাপতি। তিনি পদবীর জন্য নেতা হতে পেরেছেন।
রাহুল আজ বলেন, ২০১৯ সালে (লোকসভা নির্বাচনের সময়) কংগ্রেস দল যদি যদি সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে আসে তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তার দাবি, ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার গড়তে পারবে না এবং নরেন্দ্র মোদিও প্রধানমন্ত্রী হবেন না।
রাহুল বলেন, আপনারা আমার কথা শুনে হয়ত হাসবেন কিন্তু ২০১৯ সালে বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতায় আসবে না। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় বিজেপি’র জন্য ২০১৯ সাল সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
রাহুল গান্ধীকে আজ নাগরিকদের মধ্য থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আগামী সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তা হলে কী তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি হবেন? ওই প্রশ্নের জবাবে রাহুল সাফ জানিয়ে দেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। কেনই বা রাজি হবো না?’
২০১৯ সালে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন, ‘২০১৯- বিজেপি ফিনিশ’। এক্ষেত্রে বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হিসেবে কে সামনে আসবেন তা নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। বি এস পি নেত্রী মায়াবতী, তৃনমূল নেত্রী মমতা থেকে শুরু করে অনেকের নামই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে ভাসছে।
ঠিক এমন সময়েই তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্পর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। রাহুল গান্ধী আজ বলেন, মতাদর্শগত লড়াইয়ে সকলকে একসঙ্গে আসা উচিত। আজ যদি তিন দল একসঙ্গে চলে আসে তাহলে বিজেপি পাঁচটি আসনও পাবে না।
রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের কংগ্রেসের মুখপাত্র জিতেন্দ্র ত্রিপাঠি। তিনি বলেন, দেশবাসী চাচ্ছেন রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোন। কারণ, দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে ক্ষুব্ধ।
এদিকে, রাহুলের মন্তব্যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা নেতা জিতনরাম মাঝি। তিনি বলেছেন, মহাজোট এবং সর্বসম্মতি ছাড়া রাহুল কীভাবে একথা বলতে পারেন? মাঝি বলেন, ঐতিহ্য হল, সবচেয়ে বড় দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু অবিজেপি জোটের মধ্যে মায়াবতী, মুলায়ম এবং মমতা প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। এজন্য ঐক্যমত্য তৈরি হওয়া প্রয়োজন।
এনসিপি নেতা মজিদ মেমন বলেছেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা লাখ টাকার প্রশ্ন। সিপি আই নেতা ডি রাজা বলেছেন, এসময় বিজেপি বিরোধী সমস্ত সেক্যুলার দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে, বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কটাক্ষ করে বলেছেন, রাহুলকে কেউ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করছেন না বলে তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। রাহুলকে আগে তার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। তিনি একটি দলের বেকার সভাপতি। তিনি পদবীর জন্য নেতা হতে পেরেছেন।
অধ্যাপিকা ড. আফরোজা খাতু |
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার সুরেন্দ্রনাথ উইমেন কলজের অধ্যাপিকা ড. আফরোজা খাতুন আজ রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘কৌশল
যাই হোক, রাজনৈতিক ইস্যু তো থাকেই, বিভিন্নরকমভাবে অন্য রাজনৈতিক দলকে
চাপে রাখা হয়। কিন্তু একটা জিনিস হচ্ছে যেভাবেই হোক, বিরোধীদল, তৃতীয়
ফ্রন্ট অথবা কংগ্রেস যে দলই হোক না কেন, তারা যে বলছেন, এতে কার কী ক্ষতি
হচ্ছে জানি না। আমাদের যেটা মনে হচ্ছে যেভাবেই হোক ওই বিজেপিকে ‘ফিনিশ’
করতে হবে। এছাড়া আমরা সংখ্যালঘুরা তো বাঁচব না, দলিতরা বাঁচবে না তা আমরা
জানি। এটা যদি আমাদের প্রধাণ ইস্যু হয়, এই ভাগাভাগি, লড়াইয়ের মধ্যে সবচেয়ে
যেটা গুরুত্বপূর্ণ হল, কে বা কারা পারবে বিজেপিকে সরাতে? তা সে মুখে বলে
হোক, বা না বলে হোক এই সরানোটা দরকার। আপাতত ওদের সরানো দরকার, তারপর সেই
দল কী করছেন তা আবার জনগণ বুঝবেন। বিরোধী দল অথবা কংগ্রেস, কংগ্রেস আমাদের
পক্ষে কতটা ভালো হবে, বিরোধী দল এলে সত্যিই তারা একজোট থাকবে কী না, অথবা
টুকরো টুকরো হয়ে যাবে, কেন তারা আজকে বলছেন তারাই হবেন প্রধানমন্ত্রী-এটা
বলতেই পারেন।
এই বলাটা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে একটা আত্মবিশ্বাসটাকে চাপিয়ে দিয়ে জনগণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়। আমরা কাকে চয়েস করব তা নির্বাচনের সময় দেখব কিন্তু যাকেই চয়েস করি না কেন অন্তত বিজেপি বিরোধী শক্তিকেই আমাদের মেনে নিতে হবে এসময়। এছাড়া ভারতের আর অস্তিত্ব থাকে না। কারণ, গণতন্ত্র শব্দটাই তো শেষ হয়ে গেছে, এরপর আর আমরা বাঁচব না। এক্ষেত্রে কেবল মাইনরিটি বা দলিত নয়, নারী ও মুক্তমনরাও বাঁচবে না। প্রত্যেক পদক্ষেপেই আমরা দেখতে পাচ্ছি ভয়ঙ্কর একটা ধবংসাত্মক পরিণতির দিকে এগোচ্ছি! তাতে রাহুল গান্ধী যদি তার আত্মবিশ্বাসে ছিনিয়ে নিতে পারেন অবশ্যই স্বাগত। বিরোধীশক্তি, বামশক্তি, তৃতীয় ফ্রন্ট, ফেডারেল ফ্রন্ট যদি ওদের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারে তাকেও আমরা ওয়েলকাম জানাবো।’
এই বলাটা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে একটা আত্মবিশ্বাসটাকে চাপিয়ে দিয়ে জনগণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়। আমরা কাকে চয়েস করব তা নির্বাচনের সময় দেখব কিন্তু যাকেই চয়েস করি না কেন অন্তত বিজেপি বিরোধী শক্তিকেই আমাদের মেনে নিতে হবে এসময়। এছাড়া ভারতের আর অস্তিত্ব থাকে না। কারণ, গণতন্ত্র শব্দটাই তো শেষ হয়ে গেছে, এরপর আর আমরা বাঁচব না। এক্ষেত্রে কেবল মাইনরিটি বা দলিত নয়, নারী ও মুক্তমনরাও বাঁচবে না। প্রত্যেক পদক্ষেপেই আমরা দেখতে পাচ্ছি ভয়ঙ্কর একটা ধবংসাত্মক পরিণতির দিকে এগোচ্ছি! তাতে রাহুল গান্ধী যদি তার আত্মবিশ্বাসে ছিনিয়ে নিতে পারেন অবশ্যই স্বাগত। বিরোধীশক্তি, বামশক্তি, তৃতীয় ফ্রন্ট, ফেডারেল ফ্রন্ট যদি ওদের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারে তাকেও আমরা ওয়েলকাম জানাবো।’
No comments