যমজ তিন বোনের এসএসসি পরীক্ষায় চমক
(সাবেরা, সাকেরা ও জাকেরা (বা থেকে) |
নারায়ণগঞ্জের
আড়াইহাজার উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের পুরি বিক্রেতা জিয়াউর রহমানের জমজ তিন
মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চমক দেখালেন।
জমজ তিন বোন হলেন, সাবেরা, সাকেরা ও জাকেরা। এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সাবেরা ও জাকেরা জিপিএ ৫ পেলেও সাকেরা পেয়েছে জিপিএ ৪.৮৯। এর আগে তারা তিন বোনই প্রাথমীক ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে চমক দেখান।
উপজেলার কাইমপুর গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান জানান, অভাব আর দারিদ্র্যের কারণে এসএসসি পাসের পর আর পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। মেধা থাকা সত্ত্বেও লেখাপড়া না করতে পারার আফসোস তাকে প্রতিনিয়ত যন্ত্রণা দেয়।
তিনি আরও জানান, বাজারের ছোট্ট একটি দোকানে পুরি, শিঙ্গাড়া বিক্রি করে প্রতিদিন সাতশ' থেকে একহাজার টাকা আয় হয় তার। সেই সামান্য আয়েই চলে তার এই বড় সংসার। এই টানাটানির সংসারেও তার আশার আলো যমজ তিন মেয়ে সাবেরা, সাকেরা ও জাকেরা। জিয়ার স্বপ্ন মেয়েরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবে।
তিন যমজ বোনের মধ্যে সাবেরা বড়। বড় হয়ে কী হতে চাও এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেরা জানায়, 'আমি পড়াশোনা করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হতে চাই। মেজ সাকেরা ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখছে আর সবার ছোট জাকেরা বড় হয়ে চিকিৎসক হতে আগ্রহী।
আড়াইহাজার পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া স্বপন বলেন, তিন বোনই অত্যন্ত মেধাবী। এ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় তিন বোনই জিপিএ ৫ পেয়েছিল। তাদের এ ফলাফলে আমরা আনন্দিত এবং তাদের উন্নতি কামনা করছি।
রহমান দম্পতির সব স্বপ্ন এখন এই তিন মেধাবী মেয়েকে ঘিরেই। তাদের ভালো ফলাফলে যেন গরিবের ঘরে চাঁদের আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। মা-বাবার মুখে ফুটিয়েছে সুখের হাসি।
জমজ তিন বোন হলেন, সাবেরা, সাকেরা ও জাকেরা। এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সাবেরা ও জাকেরা জিপিএ ৫ পেলেও সাকেরা পেয়েছে জিপিএ ৪.৮৯। এর আগে তারা তিন বোনই প্রাথমীক ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে চমক দেখান।
উপজেলার কাইমপুর গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান জানান, অভাব আর দারিদ্র্যের কারণে এসএসসি পাসের পর আর পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। মেধা থাকা সত্ত্বেও লেখাপড়া না করতে পারার আফসোস তাকে প্রতিনিয়ত যন্ত্রণা দেয়।
তিনি আরও জানান, বাজারের ছোট্ট একটি দোকানে পুরি, শিঙ্গাড়া বিক্রি করে প্রতিদিন সাতশ' থেকে একহাজার টাকা আয় হয় তার। সেই সামান্য আয়েই চলে তার এই বড় সংসার। এই টানাটানির সংসারেও তার আশার আলো যমজ তিন মেয়ে সাবেরা, সাকেরা ও জাকেরা। জিয়ার স্বপ্ন মেয়েরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবে।
তিন যমজ বোনের মধ্যে সাবেরা বড়। বড় হয়ে কী হতে চাও এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবেরা জানায়, 'আমি পড়াশোনা করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হতে চাই। মেজ সাকেরা ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখছে আর সবার ছোট জাকেরা বড় হয়ে চিকিৎসক হতে আগ্রহী।
আড়াইহাজার পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া স্বপন বলেন, তিন বোনই অত্যন্ত মেধাবী। এ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় তিন বোনই জিপিএ ৫ পেয়েছিল। তাদের এ ফলাফলে আমরা আনন্দিত এবং তাদের উন্নতি কামনা করছি।
রহমান দম্পতির সব স্বপ্ন এখন এই তিন মেধাবী মেয়েকে ঘিরেই। তাদের ভালো ফলাফলে যেন গরিবের ঘরে চাঁদের আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। মা-বাবার মুখে ফুটিয়েছে সুখের হাসি।
No comments