ওআইসির ঢাকা ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক- পাকিস্তানের দাবি উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ
ওআইসি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে গৃহীত আউটকাম ডকুমেন্ট ‘ঢাকা ঘোষণা’
নিয়ে আচমকা প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান। দেশটির দাবি- আয়োজক বাংলাদেশ সম্মেলন
সমাপ্ত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ‘ঢাকা ঘোষণা’র খসড়া প্রকাশ করে। এতে শুধু
আয়োজক দেশের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর
প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা দর কষাকষি ছাড়াই এটি গৃহীত বলে ঘোষণা
দেয়া হয়। তবে পাকিস্তানের এ দাবি একবাক্যে নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
তাৎক্ষণিক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি গতকাল বলেন- ওআইসি
সচিবালয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনো কিছুই করেনি বাংলাদেশ। তাদের
নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী ঘোষণাসহ সব কিছুই চূড়ান্ত হয়েছে। এ নিয়ে
ওআইসিভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শও করা হয়েছে জানিয়ে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারপরও যদি কারো কোনো ক্ষোভ থাকে তাহলে তাদের প্রথমে
ওআইসি সচিবালয়কে জানানো উচিত। ‘টেকসই শান্তি, সংহতি এবং উন্নয়নের জন্য
ইসলামী মূল্যবোধ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে গত শনি ও রোববার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়
ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন। অত্যন্ত নির্বিঘ্নভাবে ৩৯ দফা
ঢাকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আয়োজনে ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ওই সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে। ওআইসি মহাসচিবের
বক্তৃতার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা নামে মেগা এ আয়োজনের। তার আগে
ঢাকা ঘোষণা গৃহীত হয়েছে মর্মে এর সারাংশ তুলে ধরে প্রেস স্টেটম্যান দেন
আয়োজনের সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থাপিত ওআইসির অস্থায়ী সেক্রেটারিয়েট থেকে
পরে ঢাকা ঘোষণার কপি সার্কুলেট করা হয়। যদিও ঘোষণার ১৪তম দফায় বলপূর্বক
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বা পরিসংখ্যান নিয়ে বড় ধরনের ত্রুটি ছিল।
‘৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন
দেশে আশ্রয় নিয়েছে’ উল্লেখ করাসহ ত্রুটিপূর্ণ ওই ঘোষণাই সার্কুলেট করে
ওআইসি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দায়িত্বশীলরা
বলেন, ৩ লাখ ৭০ হাজারের বদলে এটিকে সাত লাখ পড়তে হবে। এর আনুষ্ঠানিক
সংশোধনীর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এক কর্মকর্তা বলেন, এটি ওআইসি
সেক্রেটারিয়েটের এখতিয়ার। এখানে হোস্ট কান্ট্রির কোনো কিছুই করার নেই।
অবশ্য ভুলে ভরা ওই ঘোষণাই দুনিয়ায় প্রচার করে ওআইসি। যা তাদের ওয়েবসাইটে
ঝুলছে।
কিন্তু তারপরও ঢাকাস্থ নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে দাবি করেছে- ঢাকা ঘোষণায় বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকাশ পেয়েছে। ইসলামাবাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়- বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তেহমিনা জানজুয়া প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলো কাশ্মীরের জনগণের অধিকার ও দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের পাশাপাশি আলোচনায় জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে জোর দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা ঘোষণায় বাংলাদেশের প্রভাব থাকলে রোহিঙ্গা সংখ্যা নিয়ে এত বিভ্রান্তি হতো না। তাছাড়া বরাবরই এটি ওআইসি সচিবালয় করে থাকে। এবারও তা-ই হয়েছে। ওআইসির প্রক্রিয়া বিষয়ে পাকিস্তান ভালো করেই জানে। তারপরও তা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। ঢাকা সম্মেলনে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো নির্যাতন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে তারা এসব উদ্বাস্তুদের সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং সংকট সমাধান ও কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে দৃঢ় আন্তর্জাতিক সমর্থন চান। পাকিস্তানসহ সদস্য দেশগুলো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমপ্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে গৃহীত রেজ্যুলেশনকে স্বাগত জানায়। এছাড়া তারা রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গাম্বিয়ার প্রস্তাব অনুযায়ী একটি মন্ত্রী পর্যায়ের অ্যাডহক কমিটি গঠনে একমত হন। এসব বিষয় ঢাকা ঘোষণায় যথাযথভাবে স্থান পেয়েছে বলে দাবি সেগুনবাগিচার।
রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
এদিকে, সোমবার রাতে পাকিস্তানের বিবৃতির জবাবে ঢাকার তরফে একটি পাল্টা বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকায় সমাপ্ত হওয়া ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন নিয়ে পাকিস্তান যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। ঢাকার বিবৃতিতে জানানো হয়, ঢাকা ঘোষণার আসল খসড়া ওআইসি সচিবালয় থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। পরে সদস্য দেশ, ওআইসি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও স্বাগতিক দেশের পক্ষ থেকে সেখানে কিছু অতিরিক্ত অনুচ্ছেদ প্রস্তাব করা হয়। ‘কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগেই এসব প্রস্তাব খসড়া ঘোষণায় যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আসল খসড়ার অনুচ্ছেদ ১৮-তে কোনো সংশোধনী আনা হয়নি, যে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তান।
কিন্তু তারপরও ঢাকাস্থ নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে দাবি করেছে- ঢাকা ঘোষণায় বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকাশ পেয়েছে। ইসলামাবাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়- বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তেহমিনা জানজুয়া প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলো কাশ্মীরের জনগণের অধিকার ও দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের পাশাপাশি আলোচনায় জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে জোর দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা ঘোষণায় বাংলাদেশের প্রভাব থাকলে রোহিঙ্গা সংখ্যা নিয়ে এত বিভ্রান্তি হতো না। তাছাড়া বরাবরই এটি ওআইসি সচিবালয় করে থাকে। এবারও তা-ই হয়েছে। ওআইসির প্রক্রিয়া বিষয়ে পাকিস্তান ভালো করেই জানে। তারপরও তা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। ঢাকা সম্মেলনে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো নির্যাতন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে তারা এসব উদ্বাস্তুদের সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং সংকট সমাধান ও কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে দৃঢ় আন্তর্জাতিক সমর্থন চান। পাকিস্তানসহ সদস্য দেশগুলো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমপ্রদায়ের পরিস্থিতি নিয়ে গৃহীত রেজ্যুলেশনকে স্বাগত জানায়। এছাড়া তারা রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গাম্বিয়ার প্রস্তাব অনুযায়ী একটি মন্ত্রী পর্যায়ের অ্যাডহক কমিটি গঠনে একমত হন। এসব বিষয় ঢাকা ঘোষণায় যথাযথভাবে স্থান পেয়েছে বলে দাবি সেগুনবাগিচার।
রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
এদিকে, সোমবার রাতে পাকিস্তানের বিবৃতির জবাবে ঢাকার তরফে একটি পাল্টা বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকায় সমাপ্ত হওয়া ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন নিয়ে পাকিস্তান যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। ঢাকার বিবৃতিতে জানানো হয়, ঢাকা ঘোষণার আসল খসড়া ওআইসি সচিবালয় থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। পরে সদস্য দেশ, ওআইসি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও স্বাগতিক দেশের পক্ষ থেকে সেখানে কিছু অতিরিক্ত অনুচ্ছেদ প্রস্তাব করা হয়। ‘কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগেই এসব প্রস্তাব খসড়া ঘোষণায় যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আসল খসড়ার অনুচ্ছেদ ১৮-তে কোনো সংশোধনী আনা হয়নি, যে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে পাকিস্তান।
No comments