নির্বাচনী বছরে ফের পদোন্নতি আসছে প্রশাসনে by দীন ইসলাম
নির্বাচনের
বছরে প্রশাসনে আবার পদোন্নতি দিতে যাচ্ছে সরকার। এবারও উপ-সচিব, যুগ্ম
সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। প্রশাসনে এসব পদের চেয়ে বেশি
সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মরত থাকলেও ডামাডোল শুরু হয়েছে। উপ-সচিব পদে পদোন্নতি
বিবেচনার জন্য প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের কাছ থেকে নামের
তালিকা চাওয়ার পর থেকে ‘পদোন্নতি’ তদবির শুরু হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
সূত্রে জানা গেছে, এবারের পদোন্নতিতে উপ-সচিব পদে ২৫তম ব্যাচ, যুগ্ম সচিব
পদে ১৫, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ এবং অতিরিক্ত সচিব পদে ১০ম ব্যাচকে বিবেচনায় নেয়া
হবে। এর ভিত্তিতে গত এপ্রিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব,
সচিব ও ভারপ্রাপ্ত সচিব বরাবরে চিঠি দিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
উপ-সচিব মো. তমিজুল ইসলাম খান। চিঠিতে উপ-সচিব পদে পদোন্নতির জন্য আগ্রহী
বা যোগ্য বিভিন্ন ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচ পর্যন্ত কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে
বলা হয়েছে, যেসব কর্মকর্তার সিনিয়র স্কেল পদে ন্যূনতম পাঁচ বছর চাকরিসহ
সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে অন্যূন ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের মধ্য
থেকে ১০ জনের (জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে) নামের তালিকা আগামী ১০ই মে’র মধ্যে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বরাবরে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে
অনুরোধ করা হলো।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বর্তমান ঠিকানা (টেলিফোন/মোবাইল নম্বরসহ), স্থায়ী ঠিকানা এবং চাকরির পূর্ণ বৃত্তান্ত আলাদা কাগজে পাঠাতে হবে। চার কারণে অযোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকা না পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, উপ-সচিব হতে অনাগ্রহী কর্মকর্তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া সিনিয়র স্কেলে চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ না হলে ও ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের যোগদানের জন্য নির্ধারিত তারিখের পরে যারা ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন তাদের নামও তালিকায় রাখা যাবে না। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কে কোনো আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলে এবং ওই সব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হলে আদালত অবমাননা হতে পারে এমন কর্মকর্তাদের নামও রাখা যাবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, কোনো কর্মকর্তা পছন্দ করে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি পেলে তাকে অবশ্যই পদোন্নতি পাওয়া পদে যোগদান করতে হবে। তালিকা পাঠানোর পর কোনো কারণে তালিকা সংশোধনের প্রয়োজন হলে প্রথমটি বাতিল করে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাঠাতে হবে। কর্মকর্তাদের তালিকার জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী সঠিক এবং নির্ভুলভাবে পাঠাতে হবে। কোন ব্যত্যয়ের কারণে কোনো কর্মকর্তা যদি ভুলক্রমে পদোন্নতি পান বা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে এর দায়িত্ব বহন করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের পরে পাওয়া তালিকা পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপ-সচিব পদে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক পদোন্নতি বঞ্চিতকে বিবেচনায় নেয়া হবে। পাশাপাশি নতুন করে প্রশাসন ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচকে বিবেচনায় নেয়া হবে।
সর্বশেষ উপ-সচিব পদে পদোন্নতিতে ২৪তম ব্যাচকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল। যুগ্ম সচিব পদে সর্বশেষ পদোন্নতিতে ১৩তম ব্যাচকে বিবেচনায় নেয়া হয়। এবার ১৫, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচকে এক সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া হতে পারে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, তিনটি ব্যাচই ছোট থাকায় তারা এক সঙ্গে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। এদিকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিতে ১০তম ব্যাচকে এবার বিবেচনায় নেয়া হবে। সর্বশেষ পদোন্নতিতে নবম ব্যাচ পর্যন্ত বিবেচনায় নেয়া হয়। তবে ১১তম ব্যাচ চাইছে অতিরিক্ত সচিব পদের পদোন্নতিতে নিজেরা ঢুকে যেতে। এজন্য ১১ ব্যাচের নেতৃত্বদানকারীরা চেষ্টা তদবির করছেন। এর আগে গত বছরের ১১ই ডিসেম্বর ১২৮ জন যুগ্ম সচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর ২১শে ডিসেম্বর ১৯৩ জন উপ-সচিবকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। সর্বশেষ এ বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি প্রশাসনে সিনিয়র সহকারী সচিব ও সমমর্যাদার ৩৯১ জন কর্মকর্তাকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এটাই এখন পর্যন্ত প্রশাসনের সর্বশেষ পদোন্নতি। তাই তিন মাস যেতে না যেতেই প্রশাসনে নতুন করে পদোন্নতির ডামাডোল শুরু হয়েছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বর্তমান ঠিকানা (টেলিফোন/মোবাইল নম্বরসহ), স্থায়ী ঠিকানা এবং চাকরির পূর্ণ বৃত্তান্ত আলাদা কাগজে পাঠাতে হবে। চার কারণে অযোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকা না পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, উপ-সচিব হতে অনাগ্রহী কর্মকর্তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া সিনিয়র স্কেলে চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ না হলে ও ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের যোগদানের জন্য নির্ধারিত তারিখের পরে যারা ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন তাদের নামও তালিকায় রাখা যাবে না। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা সম্পর্কে কোনো আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলে এবং ওই সব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হলে আদালত অবমাননা হতে পারে এমন কর্মকর্তাদের নামও রাখা যাবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, কোনো কর্মকর্তা পছন্দ করে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি পেলে তাকে অবশ্যই পদোন্নতি পাওয়া পদে যোগদান করতে হবে। তালিকা পাঠানোর পর কোনো কারণে তালিকা সংশোধনের প্রয়োজন হলে প্রথমটি বাতিল করে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাঠাতে হবে। কর্মকর্তাদের তালিকার জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী সঠিক এবং নির্ভুলভাবে পাঠাতে হবে। কোন ব্যত্যয়ের কারণে কোনো কর্মকর্তা যদি ভুলক্রমে পদোন্নতি পান বা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে এর দায়িত্ব বহন করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের পরে পাওয়া তালিকা পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপ-সচিব পদে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক পদোন্নতি বঞ্চিতকে বিবেচনায় নেয়া হবে। পাশাপাশি নতুন করে প্রশাসন ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচকে বিবেচনায় নেয়া হবে।
সর্বশেষ উপ-সচিব পদে পদোন্নতিতে ২৪তম ব্যাচকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল। যুগ্ম সচিব পদে সর্বশেষ পদোন্নতিতে ১৩তম ব্যাচকে বিবেচনায় নেয়া হয়। এবার ১৫, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচকে এক সঙ্গে বিবেচনায় নেয়া হতে পারে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, তিনটি ব্যাচই ছোট থাকায় তারা এক সঙ্গে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। এদিকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিতে ১০তম ব্যাচকে এবার বিবেচনায় নেয়া হবে। সর্বশেষ পদোন্নতিতে নবম ব্যাচ পর্যন্ত বিবেচনায় নেয়া হয়। তবে ১১তম ব্যাচ চাইছে অতিরিক্ত সচিব পদের পদোন্নতিতে নিজেরা ঢুকে যেতে। এজন্য ১১ ব্যাচের নেতৃত্বদানকারীরা চেষ্টা তদবির করছেন। এর আগে গত বছরের ১১ই ডিসেম্বর ১২৮ জন যুগ্ম সচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর ২১শে ডিসেম্বর ১৯৩ জন উপ-সচিবকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। সর্বশেষ এ বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি প্রশাসনে সিনিয়র সহকারী সচিব ও সমমর্যাদার ৩৯১ জন কর্মকর্তাকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এটাই এখন পর্যন্ত প্রশাসনের সর্বশেষ পদোন্নতি। তাই তিন মাস যেতে না যেতেই প্রশাসনে নতুন করে পদোন্নতির ডামাডোল শুরু হয়েছে।
No comments