কোন অপরাধের শাস্তি হয়নি বলুন?
ছাত্রলীগ
হোক আওয়ামী লীগ হোক, আমাদের যে কোনো সংগঠনে অপরাধ করে অপকর্ম করে কেউ পার
পেয়ে যেতে পারে না। কোন অপরাধের শাস্তি হয়নি বলুন? আমাদের নেত্রী শেখ
হাসিনা এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স
ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির ‘দেশরত্ম-জননেত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এক
প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এ
সময় তিনি ছাত্রলীগ নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। ওবায়দুল কাদের জানান,
ছাত্রলীগকে নিয়ে নতুন করে ভাবছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা নতুন মডেলে ছাত্রলীগকে বিকশিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রলীগের
কনফারেন্স (সম্মেলন) আছে নেক্সট মাসে। সেই কনফারেন্সে আমরা স্টাকচারালি
লিডারশিপে এবং ছাত্রলীগকে নতুন মডেলে বিকাশ করার একটা নির্দেশনা আমাদের
নেত্রীর আছে। আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। একটু ধৈর্য ধরুন, একটু
অপেক্ষা করুন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কিছু এমবারাসিং (বিব্রবতকর) ব্যাপার
ঘটে। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। ছাত্রলীগ হোক আওয়ামী লীগ
হোক, আমাদের যে কোনও সংগঠনে, অপরাধ করে অপকর্ম করে কেউ পার পেয়ে যেতে পারে
না। অনুষ্ঠানে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,
একজন দণ্ডিত আসামি বিদেশে পলাতক আছে, তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তো অবশ্যই
আদালতের একটা নির্দেশনা আছে, সরকারেরও একটা দায়িত্ব থাকতে পারে। এখানে কোনও
সমীকরণের বিষয় নেই। তিনি আরও বলেন, বিষয়টা হচ্ছে, তারেক রহমানের সাহস আছে
কি না?
রাজনীতি যখন করেন তখন বিদেশে বসে দেশের রাজনীতিক অঙ্গনে শব্দ বোমা ফাটাচ্ছেন কেন? আসুন রাজপথে মোকাবিলা করুন। কত সাহস আছে, রাজনীতি যখন করেন তখন জেলে যাওয়ার সাহস নেই। সে রাজনীতি কোনোদিনও সফলকাম হবে না। এটা তো কাপুরুষের রাজনীতি। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য প্রয়োজন বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দায়িত্বটা তো ফখরুল সাহেব নিজেও নিতে পারেন? সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন। তারা নিজেরাই তো ঠিক নেই। কখনো বলে সহায়ক সরকার, কখনো বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কেও তাদের একেক জনের একেক ডেফিনেশন, কোনটা গ্রহণ করবেন? তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, নির্বাচনের আর পাঁচ-ছয় মাস পরেই শিডিউল হবে। এখন আমাদের সামনে, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গণতন্ত্র-নির্বাচনকে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ যেভাবে দেখছে আপনারা কেন সেখান থকে সরে যাচ্ছেন। আপনারা ক্ষমতায় থাকলে কি বলতেন? তার বাইরে যেতে চাইলে-চিৎকার করতে পারেন। আন্দোলন করে আদায় করবেন, এই কথাতো শুনছি নয় বছর ধরে। নয় মিনিটের জন্য রাস্তায় নামতে পারেননি, দাঁড়াতে পারেননি। সক্ষমতা দেখাতে পারেননি। ফখরুল সাহেব এক সময় বাম রাজনীতি করতেন উল্লেখ করে বলেন, আপনি যে গণঅভ্যুত্থানের কথা প্রতিদিন বলছেন, বারবার বলছেন। মওদুদ সাহেবও বলছেন। অভ্যুত্থান যখন হয় তখন মওদুদ সাহেব দেশে থাকেন না, কখনো ছিলেন না। আর বাম রাজনীতি যারা করেন তারা ভালো করেই জানেন, আন্দোলনের সাবজেক্টটিভ প্রিপারেশন লাগে, অবজেক্টটিভ কনডিশন লাগে। বামপন্থিরা এটা ভালো করে চর্চা করেন।
সাবজেক্টটিভ প্রিপারেশন কি আপনাদের আছে। সবচেয়ে বড় কথা, দেশে কি আন্দোলনের কোনও অবজেক্টটিভ কনডিশন আছে? দেশের মানুষ খুশি। তা না হলে খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারের পর লাখ লাখ মানুষের ঢল নামার যে স্বপ্ন আপনারা দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন তো অচিরেই কর্পূরের মতো উড়ে গেল। সেই স্বপ্ন কি বাস্তব ও সত্যি হয়েছে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপনি জোর করে আন্দোলন করবেন। মানুষ ছাড়া আন্দোলন হবে। জনগণ ছাড়া আন্দোলন হবে। নিজের দলের ৫শ’ সদস্যদের জাম্বু জেট কমিটিকেও তো রাস্তায় নামাতে পারেননি-এ পর্যন্ত। গণ-অভ্যুত্থানের বস্তুগত পরিস্থিতিও নেই। সুসংগঠনগত প্রস্তুতিও নেই। জনগণ আসবে না। খালেদা জিয়াকে কারাগারে আমরা দেইনি। দণ্ড দিয়েছে আদালত। মুক্তি দিতে পারে আদালত। আইনি লড়াই করুন। রাজপথে এসে লাভ নেই। নয় বছরেও পারেননি। আর ছয় মাসে কি করবেন? এখন আপনাদের সামনে বিকল্প একটা, খালেদা জিয়াকে যদি ভালোবাসেন, আইনি লড়াই করুন। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তার দণ্ড মওকুফ করাতে পারেন বা উচ্চ আদালতে খালাস করাতে পারেন। এটা আপনাদের আইনি লড়াইয়ে প্রমাণ হবে। প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক উজ জামান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব হাছান মাহমুদ প্রমুখ। সেমিনার পরিচালনা করেন উপ-কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
রাজনীতি যখন করেন তখন বিদেশে বসে দেশের রাজনীতিক অঙ্গনে শব্দ বোমা ফাটাচ্ছেন কেন? আসুন রাজপথে মোকাবিলা করুন। কত সাহস আছে, রাজনীতি যখন করেন তখন জেলে যাওয়ার সাহস নেই। সে রাজনীতি কোনোদিনও সফলকাম হবে না। এটা তো কাপুরুষের রাজনীতি। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য প্রয়োজন বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দায়িত্বটা তো ফখরুল সাহেব নিজেও নিতে পারেন? সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন। তারা নিজেরাই তো ঠিক নেই। কখনো বলে সহায়ক সরকার, কখনো বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কেও তাদের একেক জনের একেক ডেফিনেশন, কোনটা গ্রহণ করবেন? তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, নির্বাচনের আর পাঁচ-ছয় মাস পরেই শিডিউল হবে। এখন আমাদের সামনে, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গণতন্ত্র-নির্বাচনকে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ যেভাবে দেখছে আপনারা কেন সেখান থকে সরে যাচ্ছেন। আপনারা ক্ষমতায় থাকলে কি বলতেন? তার বাইরে যেতে চাইলে-চিৎকার করতে পারেন। আন্দোলন করে আদায় করবেন, এই কথাতো শুনছি নয় বছর ধরে। নয় মিনিটের জন্য রাস্তায় নামতে পারেননি, দাঁড়াতে পারেননি। সক্ষমতা দেখাতে পারেননি। ফখরুল সাহেব এক সময় বাম রাজনীতি করতেন উল্লেখ করে বলেন, আপনি যে গণঅভ্যুত্থানের কথা প্রতিদিন বলছেন, বারবার বলছেন। মওদুদ সাহেবও বলছেন। অভ্যুত্থান যখন হয় তখন মওদুদ সাহেব দেশে থাকেন না, কখনো ছিলেন না। আর বাম রাজনীতি যারা করেন তারা ভালো করেই জানেন, আন্দোলনের সাবজেক্টটিভ প্রিপারেশন লাগে, অবজেক্টটিভ কনডিশন লাগে। বামপন্থিরা এটা ভালো করে চর্চা করেন।
সাবজেক্টটিভ প্রিপারেশন কি আপনাদের আছে। সবচেয়ে বড় কথা, দেশে কি আন্দোলনের কোনও অবজেক্টটিভ কনডিশন আছে? দেশের মানুষ খুশি। তা না হলে খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারের পর লাখ লাখ মানুষের ঢল নামার যে স্বপ্ন আপনারা দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন তো অচিরেই কর্পূরের মতো উড়ে গেল। সেই স্বপ্ন কি বাস্তব ও সত্যি হয়েছে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপনি জোর করে আন্দোলন করবেন। মানুষ ছাড়া আন্দোলন হবে। জনগণ ছাড়া আন্দোলন হবে। নিজের দলের ৫শ’ সদস্যদের জাম্বু জেট কমিটিকেও তো রাস্তায় নামাতে পারেননি-এ পর্যন্ত। গণ-অভ্যুত্থানের বস্তুগত পরিস্থিতিও নেই। সুসংগঠনগত প্রস্তুতিও নেই। জনগণ আসবে না। খালেদা জিয়াকে কারাগারে আমরা দেইনি। দণ্ড দিয়েছে আদালত। মুক্তি দিতে পারে আদালত। আইনি লড়াই করুন। রাজপথে এসে লাভ নেই। নয় বছরেও পারেননি। আর ছয় মাসে কি করবেন? এখন আপনাদের সামনে বিকল্প একটা, খালেদা জিয়াকে যদি ভালোবাসেন, আইনি লড়াই করুন। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তার দণ্ড মওকুফ করাতে পারেন বা উচ্চ আদালতে খালাস করাতে পারেন। এটা আপনাদের আইনি লড়াইয়ে প্রমাণ হবে। প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক উজ জামান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব হাছান মাহমুদ প্রমুখ। সেমিনার পরিচালনা করেন উপ-কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
No comments