অস্তিত্ব সংকটে রংপুর অঞ্চলের অর্ধশতাধিক নদ-নদী by জাভেদ ইকবাল
অস্তিত্ব
সংকটে রংপুর অঞ্চলের অর্ধশতাধিক নদ-নদী। যদিও নদীমাতৃক এ দেশের নদীগুলো
কালের বিবর্তনে মরা খালে পরিণত হয়েছে। পানির অভাবে নাব্য হারিয়ে রংপুর
অঞ্চলের নদীগুলো এখন মৃতপ্রায়। সীমান্তবর্তী দেশ ভারত উজানে বাঁধ দিয়ে পানি
প্রত্যাহার করায় এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অর্ধশতাব্দী আগেও এসব
নদীতে ছিল উত্তাল যৌবনে পানির প্রবাহ ও ঘ্রাণের স্পন্দন। এখন সেই যৌবনে
ভাটা পড়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে নদীর অস্তিত্ব। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে
কৃষি, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরের প্রাচীনতম জনপদ রংপুর অঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও জেলায় রয়েছে ধরলা, দুধ কুমার, করতোয়া, জলঢাকা, নীলকুমার, সতী ঘাঘট, বাঙ্গালী, মানাস, কুমলাই, ধুম, বুড়িঘোড়া, সোনাভারী, জিঞ্জিরাম, সাপমরা, রায় ঢাকা, ফুল কুমার, নলেয়া, হলহলিয়া, কাটাখালী, যমুনেশ্বরী, চিতনী, মরা করতোয়া, ইছামতি, ঘাঘট, আলাই, তিস্তা, কুমারীসহ প্রায় ৫০ নদী এখন মৃতপ্রায়। এসব নদীর অধিকাংশেরই এখন নাব্য নেই। বর্তমান সময়ে কোনো কোনো নদীতে হাঁটুজলও শুকিয়ে গেছে। এক সময় এসব নদীর বুকে পাল তোলা নৌকায় পারাপার হলেও এখন পায়ে হেঁটে চলছে মানুষ। সর্বকালের সর্বনিম্ন পানি প্রবাহ এখন তিস্তায়। এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে বাংলাদেশের ১১২ মাইল দীর্ঘ এই নদী শুকিয়ে এখন মৃতপ্রায়। সামান্য বর্ষার ছোঁবলে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করা করতোয়া নদীও এখন পানি শূন্যতায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে। কোথাও নেই আগের সেই প্রবাহ। নেই ডিঙ্গি নৌকা। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার উপর দিয়ে এক সময় প্রবাহিত আলাইকুড়ি নদী এখন পরিণত হয়েছে মরা খালে। কালের আবর্তনে মরে যাচ্ছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘট নদী। পানিশূন্য হয়ে পড়ায় নদীটির বুকে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। আর কয়েটি বছর পর স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে যাবে এই নদী। যার বুকজুড়ে লোকজন জবরদখল করে আবাদ করছে।
নদীটি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বেকার হয়ে পড়েছেন শত শত মৎসজীবী। অভিজ্ঞ লোকজনের ধারণা নদীটি খনন করা হলেও মৎস্য চাষসহ আবাদি জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা যাবে। এতে কৃষকরা উপকৃত হবে। জানা যায়, নীফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামে তিস্তার শাখা নদী হিসেবে ঘাঘট নদীর উৎপত্তি। ঘাঘট নদী গঙ্গাচড়া উপজেলার পশ্চিম সীমানা দিয়ে নোহালী, আলমবিদিতর ও বেতগাড়ি ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে রংপুর সদর হয়ে পীরগাছা উপজেলায় প্রবেশ করেছে। এরপর আলাইকুড়ি নদীর সঙ্গে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্ল্যাপুর হয়ে যমুনায় মিলিত হয়েছে। নদীটির আঁকাবাঁকা পথে ১২০ কিলোমিটার শুকিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, এক সময় এ নদীটির ওপর দিয়ে পাল তোলা নৌকা চলতো। দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসতো ব্যবসা করার জন্য। নদী পথে বিভিন্ন প্রকার পণ্য সরবরাহ করতো লোকজন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরের প্রাচীনতম জনপদ রংপুর অঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও জেলায় রয়েছে ধরলা, দুধ কুমার, করতোয়া, জলঢাকা, নীলকুমার, সতী ঘাঘট, বাঙ্গালী, মানাস, কুমলাই, ধুম, বুড়িঘোড়া, সোনাভারী, জিঞ্জিরাম, সাপমরা, রায় ঢাকা, ফুল কুমার, নলেয়া, হলহলিয়া, কাটাখালী, যমুনেশ্বরী, চিতনী, মরা করতোয়া, ইছামতি, ঘাঘট, আলাই, তিস্তা, কুমারীসহ প্রায় ৫০ নদী এখন মৃতপ্রায়। এসব নদীর অধিকাংশেরই এখন নাব্য নেই। বর্তমান সময়ে কোনো কোনো নদীতে হাঁটুজলও শুকিয়ে গেছে। এক সময় এসব নদীর বুকে পাল তোলা নৌকায় পারাপার হলেও এখন পায়ে হেঁটে চলছে মানুষ। সর্বকালের সর্বনিম্ন পানি প্রবাহ এখন তিস্তায়। এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে বাংলাদেশের ১১২ মাইল দীর্ঘ এই নদী শুকিয়ে এখন মৃতপ্রায়। সামান্য বর্ষার ছোঁবলে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করা করতোয়া নদীও এখন পানি শূন্যতায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে। কোথাও নেই আগের সেই প্রবাহ। নেই ডিঙ্গি নৌকা। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার উপর দিয়ে এক সময় প্রবাহিত আলাইকুড়ি নদী এখন পরিণত হয়েছে মরা খালে। কালের আবর্তনে মরে যাচ্ছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘট নদী। পানিশূন্য হয়ে পড়ায় নদীটির বুকে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। আর কয়েটি বছর পর স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে যাবে এই নদী। যার বুকজুড়ে লোকজন জবরদখল করে আবাদ করছে।
নদীটি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে বেকার হয়ে পড়েছেন শত শত মৎসজীবী। অভিজ্ঞ লোকজনের ধারণা নদীটি খনন করা হলেও মৎস্য চাষসহ আবাদি জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা যাবে। এতে কৃষকরা উপকৃত হবে। জানা যায়, নীফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামে তিস্তার শাখা নদী হিসেবে ঘাঘট নদীর উৎপত্তি। ঘাঘট নদী গঙ্গাচড়া উপজেলার পশ্চিম সীমানা দিয়ে নোহালী, আলমবিদিতর ও বেতগাড়ি ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে রংপুর সদর হয়ে পীরগাছা উপজেলায় প্রবেশ করেছে। এরপর আলাইকুড়ি নদীর সঙ্গে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্ল্যাপুর হয়ে যমুনায় মিলিত হয়েছে। নদীটির আঁকাবাঁকা পথে ১২০ কিলোমিটার শুকিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, এক সময় এ নদীটির ওপর দিয়ে পাল তোলা নৌকা চলতো। দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসতো ব্যবসা করার জন্য। নদী পথে বিভিন্ন প্রকার পণ্য সরবরাহ করতো লোকজন।
No comments