প্রত্যেক স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে -ড. কামাল হোসেন
সংবিধান
প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশকে আমরা দেউলিয়া হতে দিতে পারি না। দেশ
দেউলিয়া হলে আমাদের বেঁচে থাকা অর্থহীন। আপনারা দেশের ১৬ কোটি মানুষ যখন
বেঁচে আছেন, তখন এ দেশ কোনোভাবে দেউলিয়া হতে পারে না। আমাদের ভুল খাওয়ানো
হবে আর মানুষ ভুল খাবে, এত অবুঝ আমাদের দেশের মানুষ না। গতকাল রাজধানীর
মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আয়োজনে এক নাগরিক সংলাপে তিনি আরো
বলেন, ব্যাংক ঋণ আমানত ছয় শতাংশ থাকলে নেয়ার ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ কেন
করেছেন। অর্থ বিদেশে পাচার করার জন্যই তো করেছেন এমন। এটা কেন করছেন?
আপনারা বিদেশে সম্পদ করেছেন সেখানে ভালোভাবে থাকেন, সম্পদ ভোগ করেন। দেশে
থেকে মানুষকে আর কষ্ট দিতে হবে না।
ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, আজ বেঁচে থাকা বড় কষ্টের। কত যন্ত্রণা যে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। দেশের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। যারা এখন ক্ষমতা দখল করে আছেন তারা মনে হয় দেখেন না, দেখলে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। দেশের অর্থ লুটপাট হয়েছে। এ ছাড়াও আরো একাধিক ব্যাংকে লুটপাটের টাকা উদ্ধার করা হয়নি। যারা এগুলো করছেন তাদেরও একদিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আপনারা চুরির পর চুরি করতে থাকবেন। আমরা চুপ থাকবো। ৩০ লক্ষের শহীদদের দেশে এটা আমরা হতে দিতে পারি না। সাড়ে চার হাজার কোটি টাকায় কতটি শূন্য বসে গণনা করা কঠিন অথচ তারা কিভাবে ব্যাংক থেকে পাচার করলেন। ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছে এটা না কি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। আরেকটা নির্বাচন দিলেই তো হতো। তখন আমি তাদের কথায় বিশ্বাস করে কথা বলে বোকা হয়ে গেলাম। যেখানে সংবিধান রয়েছে সেখানে এটা মেনে নেয়া যায় না। দেশের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে ভাঁওতাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে বসে থাকতে পারি না। সরকার ও বিরোধীদল একই সঙ্গে সরকারে থাকতে পারে সেটা আমার জানা নেই। তিনি বলেন, যাদের কথায় মানুষ মূল্য দেয় তাদের এক সঙ্গে হওয়া দরকার ছিল, আজকে আমার জন্মদিনে এমন একটা সুযোগ আমাকে দেয়া হয়েছে। আমি কোর্টে ১৯৫৯ থেকে দেখেছি প্রত্যেক স্বৈরচারের পতন ঘটেছে। কেউ রেহাই পায়নি। এ সরকারও রেহাই পাবে না।
ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্রের পক্ষের লোক নেই। দেশপ্রেমিক নেই। কি অন্যায়ভাবে দেশ চলছে। যারা অনির্বাচিত তারা আইন বানাচ্ছে, আবার জনগণকেই তাদের কথা শুনতে হচ্ছে। ব্যাংক থেকে জনগণের টাকা নিয়ে যায় অথচ জনগণই তা জানে না। এক ব্যাংক থেকেই যদি হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যায়। তাহলে কত টাকা যে দেশ থেকে তারা বিদেশে পাচার করছে। দেশে লুটপাট চলছে। তারা সারা দেশে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, চোখ বেঁধে কোটা আন্দোলনের ছেলেদের তুলে নেয়া হলো। তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলন করতে যেয়ে ছাত্ররা হয়ে যান রাজাকারের বাচ্চা। কি সাংঘাতিক কথা। দেশে চরম দুর্নীতি চলছে। একটা মন্ত্রণালয়ও নেই যেটা দুর্নীতিমুক্ত। গণতন্ত্র, এটা না বলাই ভালো। সরকার ঢাকা শহরের গলিতে গলিতে সভা সমাবেশ করতে পারে। অথচ বিরোধী কোনো দল তা করতে পারে না। সংসদ সদস্যদের কিভাবে নির্বাচনে সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারা স্থানীয় নির্বাচনে সরকারি গাড়ি নিয়ে প্রচারণা চালাবে। এটা কিভাবে সম্ভব! সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, সুন্দরবনের ভারতের অংশে মিল ফ্যাক্টরি করতে পারেনি অথচ আমাদের দেশে তা করছে। দেশ মানবাধিকার থেকে আরো আট ধাপ নিচে নেমে গেছে। এ দেশকে রক্ষা করতে হলে সৎ নেতৃত্ব দরকার। তাছাড়া কোনোভাবে দেশকে রক্ষা করতে পারবে না। আজ সরকারি দলের লোকজন সন্ত্রাস করছে। আমাদের দেশপ্রেমিক হতে হবে। নেতৃত্বে মেধা শূন্য। তারা রাজনীতিতে আসতে চায় না। কেননা রাজনীতিতে পরস্পরের সহানুভূতি নেই।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে এটা অন্যায়। খালেদা জিয়াকে যে বিচারক সাজা দিয়েছেন তারও একদিন সাজা হবে। কারণ তিনি ওই টাকা তসরুফ করেননি। সে টাকা এখনো ব্যাংকে পড়ে আছে। এই সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ আসনে নির্বাচিত হয়েছে। এই সংসদ অবৈধ, সরকার অবৈধ। ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আপনি যেকোনো জেলায় যাবেন সমাবেশ করতে, যাওয়ার আগের বিকালে আমাকে বলবেন শুধু আমি আপনাকে ১০/২০ হাজার লোকের সমাগম দিবো। আমি আজ ২০ বছর পরে একটা ফুল নিয়ে এসেছি আপনার জন্মদিনে। কারণ দেশের পরিস্থিতিতে মন ভালো নেই।
তিনি আরো বলেন, ক’দিন আগে দেশে একটা বিপ্লব ঘটে গেছে। এ থেকে বোঝা যায় আমাদের দেশ এখনো ধ্বংস হয়নি। এরপর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মতিয়া চৌধুরী সংসদে তাদের রাজাকারের বাচ্চা বললেন। এটা দেশের সবাইকে বলা হয়েছে, আমাকে এবং কামাল হোসেনকেও বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বললেন কোটা থাকলে আবার আন্দোলন হবে তার চেয়ে কোটাই বাতিল! তিনি কি সংবিধান বাতিল করতে পারেন? তার কি সে ক্ষমতা আছে। সংবিধান তো আমাদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে কোটার সুযোগ দিয়েছে।
সংলাপে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, সামনে একটা নির্বাচন হতে হবে। এটা কোনো দলীয় সরকারের অধীনে হতে পারবে না। সংসদীয় নিয়মে হতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলি। আজ জনগণ অসহায়, এতিম, তারা রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করেছে অথচ তাদের কোনো অধিকার নেই। আজকে সরকারি কর্মচারীরা মনে করছে তারা দলীয় সরকারের কর্মচারী। জনগণের জন্য তারা নয়। আজকে ছাত্রীদের ওপর রাতের অন্ধকারে অত্যাচার করা হচ্ছে। একটা ভার্সিটির ভিসি যা বলছেন তা তিনি বলতে পারেন না। তিনি যেকোনো দলের অনুগত হয়ে কথা বলছেন। তার কথাবার্তায় মনে হয় না যে তিনি ভিসি নাকি দলীয় কর্মী।
বাসদের সভাপতি খালেকুজ্জামান বলেন, যদি এখন কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় আগামী নির্বাচন ঠিকভাবে হবে কি না? এর উত্তর কি হবে নেতিবাচক। প্রতিদিন পুলিশ, র?্যাব বন্দুক যুদ্ধের কথা বলে মানুষকে মারছেন। দেশে এখন যে অবস্থা চলছে তাতে মনে হয় আমরা উত্তপ্ত আগুনে বসবাস করছি। আমাদের দেশে এখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তারা হয় নির্বাচিত স্বৈরশাসক আর না হয় সামরিক স্বৈরশাসক কিংবা সিভিল ওয়ার্ক। মানুষ এখন সঠিক একটা বক্তব্য জানতে চায়, আপনারা তাদের থেকে উত্তরণ করতে ঐক্য করবেন কি না ।
ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ভোটারবিহীন একটি সরকার, দখলদার সরকার বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে বসে আছে। এ সরকার এখন মুক্তিযুদ্ধের যাতনার সরকারের পরিণত হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে কিভাবে ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেয়া হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কিভাবে পুলিশ ঢুকে। কিভাবে পাকিস্তান আমলের মতো ছাত্রদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেও ছাত্ররা সরকার প্রধানকে নিজেদের অধিকারের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। নাগরিক সংলাপের শুরুতেই ড. কামাল হোসেনের ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে নাগরিক সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আবম মোস্তাফা আমীন প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, আজ বেঁচে থাকা বড় কষ্টের। কত যন্ত্রণা যে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। দেশের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। যারা এখন ক্ষমতা দখল করে আছেন তারা মনে হয় দেখেন না, দেখলে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। দেশের অর্থ লুটপাট হয়েছে। এ ছাড়াও আরো একাধিক ব্যাংকে লুটপাটের টাকা উদ্ধার করা হয়নি। যারা এগুলো করছেন তাদেরও একদিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আপনারা চুরির পর চুরি করতে থাকবেন। আমরা চুপ থাকবো। ৩০ লক্ষের শহীদদের দেশে এটা আমরা হতে দিতে পারি না। সাড়ে চার হাজার কোটি টাকায় কতটি শূন্য বসে গণনা করা কঠিন অথচ তারা কিভাবে ব্যাংক থেকে পাচার করলেন। ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছে এটা না কি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। আরেকটা নির্বাচন দিলেই তো হতো। তখন আমি তাদের কথায় বিশ্বাস করে কথা বলে বোকা হয়ে গেলাম। যেখানে সংবিধান রয়েছে সেখানে এটা মেনে নেয়া যায় না। দেশের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে ভাঁওতাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে বসে থাকতে পারি না। সরকার ও বিরোধীদল একই সঙ্গে সরকারে থাকতে পারে সেটা আমার জানা নেই। তিনি বলেন, যাদের কথায় মানুষ মূল্য দেয় তাদের এক সঙ্গে হওয়া দরকার ছিল, আজকে আমার জন্মদিনে এমন একটা সুযোগ আমাকে দেয়া হয়েছে। আমি কোর্টে ১৯৫৯ থেকে দেখেছি প্রত্যেক স্বৈরচারের পতন ঘটেছে। কেউ রেহাই পায়নি। এ সরকারও রেহাই পাবে না।
ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্রের পক্ষের লোক নেই। দেশপ্রেমিক নেই। কি অন্যায়ভাবে দেশ চলছে। যারা অনির্বাচিত তারা আইন বানাচ্ছে, আবার জনগণকেই তাদের কথা শুনতে হচ্ছে। ব্যাংক থেকে জনগণের টাকা নিয়ে যায় অথচ জনগণই তা জানে না। এক ব্যাংক থেকেই যদি হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যায়। তাহলে কত টাকা যে দেশ থেকে তারা বিদেশে পাচার করছে। দেশে লুটপাট চলছে। তারা সারা দেশে সন্ত্রাস চালাচ্ছে, চোখ বেঁধে কোটা আন্দোলনের ছেলেদের তুলে নেয়া হলো। তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলন করতে যেয়ে ছাত্ররা হয়ে যান রাজাকারের বাচ্চা। কি সাংঘাতিক কথা। দেশে চরম দুর্নীতি চলছে। একটা মন্ত্রণালয়ও নেই যেটা দুর্নীতিমুক্ত। গণতন্ত্র, এটা না বলাই ভালো। সরকার ঢাকা শহরের গলিতে গলিতে সভা সমাবেশ করতে পারে। অথচ বিরোধী কোনো দল তা করতে পারে না। সংসদ সদস্যদের কিভাবে নির্বাচনে সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারা স্থানীয় নির্বাচনে সরকারি গাড়ি নিয়ে প্রচারণা চালাবে। এটা কিভাবে সম্ভব! সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, সুন্দরবনের ভারতের অংশে মিল ফ্যাক্টরি করতে পারেনি অথচ আমাদের দেশে তা করছে। দেশ মানবাধিকার থেকে আরো আট ধাপ নিচে নেমে গেছে। এ দেশকে রক্ষা করতে হলে সৎ নেতৃত্ব দরকার। তাছাড়া কোনোভাবে দেশকে রক্ষা করতে পারবে না। আজ সরকারি দলের লোকজন সন্ত্রাস করছে। আমাদের দেশপ্রেমিক হতে হবে। নেতৃত্বে মেধা শূন্য। তারা রাজনীতিতে আসতে চায় না। কেননা রাজনীতিতে পরস্পরের সহানুভূতি নেই।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে এটা অন্যায়। খালেদা জিয়াকে যে বিচারক সাজা দিয়েছেন তারও একদিন সাজা হবে। কারণ তিনি ওই টাকা তসরুফ করেননি। সে টাকা এখনো ব্যাংকে পড়ে আছে। এই সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ আসনে নির্বাচিত হয়েছে। এই সংসদ অবৈধ, সরকার অবৈধ। ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আপনি যেকোনো জেলায় যাবেন সমাবেশ করতে, যাওয়ার আগের বিকালে আমাকে বলবেন শুধু আমি আপনাকে ১০/২০ হাজার লোকের সমাগম দিবো। আমি আজ ২০ বছর পরে একটা ফুল নিয়ে এসেছি আপনার জন্মদিনে। কারণ দেশের পরিস্থিতিতে মন ভালো নেই।
তিনি আরো বলেন, ক’দিন আগে দেশে একটা বিপ্লব ঘটে গেছে। এ থেকে বোঝা যায় আমাদের দেশ এখনো ধ্বংস হয়নি। এরপর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মতিয়া চৌধুরী সংসদে তাদের রাজাকারের বাচ্চা বললেন। এটা দেশের সবাইকে বলা হয়েছে, আমাকে এবং কামাল হোসেনকেও বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বললেন কোটা থাকলে আবার আন্দোলন হবে তার চেয়ে কোটাই বাতিল! তিনি কি সংবিধান বাতিল করতে পারেন? তার কি সে ক্ষমতা আছে। সংবিধান তো আমাদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে কোটার সুযোগ দিয়েছে।
সংলাপে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, সামনে একটা নির্বাচন হতে হবে। এটা কোনো দলীয় সরকারের অধীনে হতে পারবে না। সংসদীয় নিয়মে হতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলি। আজ জনগণ অসহায়, এতিম, তারা রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করেছে অথচ তাদের কোনো অধিকার নেই। আজকে সরকারি কর্মচারীরা মনে করছে তারা দলীয় সরকারের কর্মচারী। জনগণের জন্য তারা নয়। আজকে ছাত্রীদের ওপর রাতের অন্ধকারে অত্যাচার করা হচ্ছে। একটা ভার্সিটির ভিসি যা বলছেন তা তিনি বলতে পারেন না। তিনি যেকোনো দলের অনুগত হয়ে কথা বলছেন। তার কথাবার্তায় মনে হয় না যে তিনি ভিসি নাকি দলীয় কর্মী।
বাসদের সভাপতি খালেকুজ্জামান বলেন, যদি এখন কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় আগামী নির্বাচন ঠিকভাবে হবে কি না? এর উত্তর কি হবে নেতিবাচক। প্রতিদিন পুলিশ, র?্যাব বন্দুক যুদ্ধের কথা বলে মানুষকে মারছেন। দেশে এখন যে অবস্থা চলছে তাতে মনে হয় আমরা উত্তপ্ত আগুনে বসবাস করছি। আমাদের দেশে এখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তারা হয় নির্বাচিত স্বৈরশাসক আর না হয় সামরিক স্বৈরশাসক কিংবা সিভিল ওয়ার্ক। মানুষ এখন সঠিক একটা বক্তব্য জানতে চায়, আপনারা তাদের থেকে উত্তরণ করতে ঐক্য করবেন কি না ।
ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ভোটারবিহীন একটি সরকার, দখলদার সরকার বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে বসে আছে। এ সরকার এখন মুক্তিযুদ্ধের যাতনার সরকারের পরিণত হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে কিভাবে ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেয়া হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কিভাবে পুলিশ ঢুকে। কিভাবে পাকিস্তান আমলের মতো ছাত্রদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেও ছাত্ররা সরকার প্রধানকে নিজেদের অধিকারের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। নাগরিক সংলাপের শুরুতেই ড. কামাল হোসেনের ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে নাগরিক সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আবম মোস্তাফা আমীন প্রমুখ।
No comments