কী ছিল তাঁর মনে?
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে সুইডেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী ইসাবেলা লোভিনের একটি ছবি। এতে তিনি শুধু একদল নারী সহকর্মী পরিবেষ্টিত অবস্থায় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন। হঠাৎ এমন একটা ছবি কেন তিনি প্রকাশ করলেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিদ্রূপ করাই কি সুইডিশ উপপ্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য ছিল? ইসাবেলা লোভিন আলোচিত ছবিটিতে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক নতুন একটি আইনে স্বাক্ষর করেন। গত শুক্রবারের এ আইনে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সময় লোভিন জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আর নেতৃত্ব দেওয়ার অবস্থানে নেই।’ একে নারী সহকর্মীদের ঘিরে থাকা ছবি, তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে ইউরোপকে এমন আহ্বান—সব মিলিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামটা এসেই যাচ্ছে জল্পনায়। ট্রাম্প বরাবরই জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে এসেছেন। তা ছাড়া তাঁর ঘনিষ্ঠ কর্মীদলের মধ্যে নারীদের কম সংখ্যা গুঞ্জনকে কেবল জোরালোই করেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই ট্রাম্প একের পর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছেন।
এগুলোর মধ্যে গর্ভপাতবিরোধী এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের সময় তোলা ছবি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ছবিটিতে দেখা যায়, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের আশপাশে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে কোনো নারী সদস্য নেই। এদিকে ফেসবুকে পোস্ট করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ইসাবেলা লোভিনের ছবিতে হাজার হাজার লাইক পড়ে। শেয়ারও হয় হাজারখানেক বার। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দারুণ ছবি! আশা করছি, মহাসাগরের অপর পাড়ের ব্যক্তিটিকে ছবিটি পাঠিয়েছেন।’ ট্রাম্পের নির্বাচনী স্লোগান ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’-এর অনুকরণে আরেকজন লিখেছেন, ‘মেক দ্য প্ল্যানেট গ্রেট অ্যাগেইন (এ গ্রহটাকে আবারও মহান করে তুলুন)’। টুইটারেও ইসাবেলা লোভিনের ছবিটি বেশ সাড়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমেও ব্যবহারকারীরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তাঁকে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আইনে স্বাক্ষরের সময় তোলা ছবিটি প্রকাশ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যেভাবে একহাত নিলেন সুইডিশ উপপ্রধানমন্ত্রী, তা আমার খুব ভালো লেগেছে।’
No comments