ধ্বংস ও সংস্কারের মাঝখানে
সম্প্রতি লন্ডনের দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা মিসর-বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে একটি নিবন্ধ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সম্ভবত এর শিরোনামের কারণে: ‘মিসরের বিনাশ’। ইকোনমিস্টের আগস্টের প্রথম সপ্তাহের সংখ্যায় মিসর-বিষয়ক যেসব নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এ রকম ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে: মিসর ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। তারা এমন ইঙ্গিতও দিয়েছে যে সিসির এই ‘ধ্বংসাত্মক মডেলে’ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের অর্থ জোগান দেওয়া মোটেও উচিত হবে না। এমনকি ইকোনমিস্ট সিসির প্রতি এ আহ্বানও জানিয়েছে যে তিনি যেন ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে না দাঁড়ান। মিসরের সরকারও বেশ দ্রুত এসব নিবন্ধের জবাব দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমেদ আবু জেইদ এসব নিবন্ধকে ‘মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইকোনমিস্ট মিসরের ব্যাপারে পক্ষপাতমূলক অবস্থান নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ইকোনমিস্ট দাবি করেছে, সিসি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা মিসরের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে অগ্রাহ্য করেছেন। অথচ মিসরের লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রেসিডেন্ট মুরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন, তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন। এরপর তাঁরা নির্বাচনে সিসিকে বিজয়ী করেছেন।’ ইকোনমিস্টের নিবন্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, সিসি মিসরের অর্থনৈতিক নীতি ভালোভাবে সামাল দিতে পারেননি। জেইদ বলেন, অনেক বিশেষজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে মিসরের অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন করা হয়, ফলে এ কথা বলে ইকোনমিস্ট এই সত্যকে অস্বীকার করেছে।
জেইদ বলেন, ‘ম্যাগাজিনটি হাস্যকরভাবে দাবি করেছে, উপসাগরীয় দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার কারণেই মিসরের অর্থনীতি টিকে আছে।’ কিন্তু তারা এটা খেয়াল করেনি যে গত কয়েক বছরে মিসরে মার্কিন সহায়তার পরিমাণ কমেছে। ফলে মিসর এখন সাহায্যের ওপর নির্ভর করছে না। তবে এটা ঠিক, নতুন একটি অর্থনৈতিক মডেল তৈরি করা কঠিন কাজ। এটা করতে সময় লাগে। আইএমএফের সঙ্গে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের ঋণের চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এতেই বোঝা যায়, মিসর সঠিক পথে এগোচ্ছে। এখন তাকে কিছু কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইতিমধ্যে সিসির সরকারের সফলতা ও কর্মসম্পাদনের তালিকাও ছোট নয়। কিন্তু জেইদ অভিযোগ করেন, ইকোনমিস্ট এসব দেখতে পায় না। মধ্যপ্রাচ্যের অভূতপূর্ব টানাপোড়েন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বাধা এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কারণে মিসরের পর্যটনশিল্প বাধাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও দেশটি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। দেশটির অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী করার জন্য শ্রমঘন বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়ানো হয়েছে, জেইদ জানান। তবে তিনি এ–ও বলেন, হয়তো রাতারাতি এসব প্রকল্পের সফলতা পাওয়া যাবে না। আবার স্রেফ সংখ্যাতত্ত্ব দিয়েও এর সফলতা পরিমাপ করা যাবে না। এসব কর্মকাণ্ডের সামাজিক ও রাজনৈতিক মাত্রা আমলে নিতে হবে। মিসরের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বিবৃতির ইতি টানেন এভাবে: মিসর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। সে জেনে গেছে, কে তার বন্ধু আর কে শত্রু। আর যারা মিসরের ব্যাপারে পক্ষপাতমূলক অবস্থান নিয়েছে, ইকোনমিস্ট তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছে।
ইকোনমিস্ট বলেছে, ২০১১ সালের ‘আরব বসন্তে’ মিসর, লিবিয়া, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেনের ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। কিন্তু তারা প্রশ্ন তুলেছে, এই হাওয়া কি তরুণদের উৎসাহকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে ধাবিত করতে পেরেছে? তারা বলেছে, শুধু তিউনিসিয়া ছাড়া আর সব দেশেই আরব বসন্তের পর ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এসব দেশে এখন আগের চেয়ে তীব্র রাজনৈতিক সংগ্রাম চলছে, সেখানকার বেকারত্বের হারও অনেক বেশি। এমনকি মিসরের সব ঘরানার তরুণ ও পেশাজীবীরা এখন হোসনি মোবারকের জমানার চেয়েও বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আবার সেখানে মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইকোনমিস্টের নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, মিসরের সবকিছুই কড়া নজরদারির মধ্যে চলে, যেখানে ঘুষ ছাড়া কিছুই করা যায় না। এর ফলে বিশ্বব্যাংকের তালিকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের নিরিখে মিসরের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৩১তম, যেখানে সরকার বিনিয়োগের পথে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ব্যবসা করতে গেলে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিতে হয়। তারা আরও বলেছে, মিসরের অর্থনৈতিক দুরবস্থার পেছনে আমলাতন্ত্রই প্রধান কারণ, যেখানে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ প্রকল্প সরকার দেখভাল বা তার ওপর করারোপ করে না। ফলে ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দেশটির অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাত আনুষ্ঠানিক খাতের চেয়ে বড় হয়ে গেছে। মিসরে রাষ্ট্রীয় গোলযোগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। মোবারক বড় কিছু সংস্কার করায় ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে দেশটিতে বড় পরিবর্তন এসেছিল। কিন্তু সিসি মিসরে বড় পরিবর্তন আনতে চাইলেও এটা ভাবার তেমন কারণ নেই যে তিনি তা করতে সক্ষম। তবে শুধু ইকোনমিস্টই নয়, আরও কিছু বিদেশি গণমাধ্যম যেমন, ব্লুমবার্গ, রয়টার্স, সিএনএনও তাদের কাতারে যোগ দিয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে মিসরের সবচেয়ে বড় সংবাদপত্র আল-আহরাম ‘বিদেশি গণমাধ্যমে মিসরের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ ছেপেছে। এতে বলা হয়েছে, এই গণমাধ্যমগুলো মিসরের অর্থনীতির বিকৃত চিত্র তুলে ধরে তীব্র প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব বিদেশি সংবাদপত্র মিসরকে ‘ব্যর্থ’, ‘আশাহীন’ ও ‘বিনিয়োগ অবান্ধব’ আখ্যা দিয়েছে, যে কিনা ‘প্রবৃদ্ধি অর্জনে অক্ষম’। এতে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনের কথা বলা হয়েছে, যেখানে মিসরের এই দুর্দশার জন্য প্রেসিডেন্ট সিসিকে এককভাবে দায়ী করা হয়েছে। আল-আহরাম আরও বলেছে, রয়টার্সের আরবি বিভাগ শুধু মিসরের অর্থনীতির নেতিবাচক দিকগুলোই তুলে ধরছে। ২৮ জুলাই এরা একটি প্রতিবেদনে বলে, আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে মিসরীয় ব্যবসায়ীদের তেমন একটা উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, মিসর যদি জোর করে কঠিন সংস্কার চাপিয়ে দেয় বা ডলার–সংকট কাটাতে না পারে, তাহলে এই ঋণের টাকা বিনিয়োগ হবে না। বিদেশি গণমাধ্যমের এসব প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ও বুদ্ধিজীবীরাও মাঠে নেমেছেন, যে বিষয়ে পরবর্তীকালে আরেকটি নিবন্ধ লিখব বলে আশা করছি।
অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন।
কামাল গাবালা: মিসরের আল–আহরাম পত্রিকাগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
জেইদ বলেন, ‘ম্যাগাজিনটি হাস্যকরভাবে দাবি করেছে, উপসাগরীয় দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার কারণেই মিসরের অর্থনীতি টিকে আছে।’ কিন্তু তারা এটা খেয়াল করেনি যে গত কয়েক বছরে মিসরে মার্কিন সহায়তার পরিমাণ কমেছে। ফলে মিসর এখন সাহায্যের ওপর নির্ভর করছে না। তবে এটা ঠিক, নতুন একটি অর্থনৈতিক মডেল তৈরি করা কঠিন কাজ। এটা করতে সময় লাগে। আইএমএফের সঙ্গে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের ঋণের চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এতেই বোঝা যায়, মিসর সঠিক পথে এগোচ্ছে। এখন তাকে কিছু কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইতিমধ্যে সিসির সরকারের সফলতা ও কর্মসম্পাদনের তালিকাও ছোট নয়। কিন্তু জেইদ অভিযোগ করেন, ইকোনমিস্ট এসব দেখতে পায় না। মধ্যপ্রাচ্যের অভূতপূর্ব টানাপোড়েন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বাধা এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কারণে মিসরের পর্যটনশিল্প বাধাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও দেশটি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। দেশটির অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী করার জন্য শ্রমঘন বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়ানো হয়েছে, জেইদ জানান। তবে তিনি এ–ও বলেন, হয়তো রাতারাতি এসব প্রকল্পের সফলতা পাওয়া যাবে না। আবার স্রেফ সংখ্যাতত্ত্ব দিয়েও এর সফলতা পরিমাপ করা যাবে না। এসব কর্মকাণ্ডের সামাজিক ও রাজনৈতিক মাত্রা আমলে নিতে হবে। মিসরের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বিবৃতির ইতি টানেন এভাবে: মিসর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। সে জেনে গেছে, কে তার বন্ধু আর কে শত্রু। আর যারা মিসরের ব্যাপারে পক্ষপাতমূলক অবস্থান নিয়েছে, ইকোনমিস্ট তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছে।
ইকোনমিস্ট বলেছে, ২০১১ সালের ‘আরব বসন্তে’ মিসর, লিবিয়া, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেনের ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। কিন্তু তারা প্রশ্ন তুলেছে, এই হাওয়া কি তরুণদের উৎসাহকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে ধাবিত করতে পেরেছে? তারা বলেছে, শুধু তিউনিসিয়া ছাড়া আর সব দেশেই আরব বসন্তের পর ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এসব দেশে এখন আগের চেয়ে তীব্র রাজনৈতিক সংগ্রাম চলছে, সেখানকার বেকারত্বের হারও অনেক বেশি। এমনকি মিসরের সব ঘরানার তরুণ ও পেশাজীবীরা এখন হোসনি মোবারকের জমানার চেয়েও বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আবার সেখানে মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইকোনমিস্টের নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, মিসরের সবকিছুই কড়া নজরদারির মধ্যে চলে, যেখানে ঘুষ ছাড়া কিছুই করা যায় না। এর ফলে বিশ্বব্যাংকের তালিকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের নিরিখে মিসরের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৩১তম, যেখানে সরকার বিনিয়োগের পথে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ব্যবসা করতে গেলে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিতে হয়। তারা আরও বলেছে, মিসরের অর্থনৈতিক দুরবস্থার পেছনে আমলাতন্ত্রই প্রধান কারণ, যেখানে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ প্রকল্প সরকার দেখভাল বা তার ওপর করারোপ করে না। ফলে ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দেশটির অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাত আনুষ্ঠানিক খাতের চেয়ে বড় হয়ে গেছে। মিসরে রাষ্ট্রীয় গোলযোগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। মোবারক বড় কিছু সংস্কার করায় ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে দেশটিতে বড় পরিবর্তন এসেছিল। কিন্তু সিসি মিসরে বড় পরিবর্তন আনতে চাইলেও এটা ভাবার তেমন কারণ নেই যে তিনি তা করতে সক্ষম। তবে শুধু ইকোনমিস্টই নয়, আরও কিছু বিদেশি গণমাধ্যম যেমন, ব্লুমবার্গ, রয়টার্স, সিএনএনও তাদের কাতারে যোগ দিয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে মিসরের সবচেয়ে বড় সংবাদপত্র আল-আহরাম ‘বিদেশি গণমাধ্যমে মিসরের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ ছেপেছে। এতে বলা হয়েছে, এই গণমাধ্যমগুলো মিসরের অর্থনীতির বিকৃত চিত্র তুলে ধরে তীব্র প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব বিদেশি সংবাদপত্র মিসরকে ‘ব্যর্থ’, ‘আশাহীন’ ও ‘বিনিয়োগ অবান্ধব’ আখ্যা দিয়েছে, যে কিনা ‘প্রবৃদ্ধি অর্জনে অক্ষম’। এতে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনের কথা বলা হয়েছে, যেখানে মিসরের এই দুর্দশার জন্য প্রেসিডেন্ট সিসিকে এককভাবে দায়ী করা হয়েছে। আল-আহরাম আরও বলেছে, রয়টার্সের আরবি বিভাগ শুধু মিসরের অর্থনীতির নেতিবাচক দিকগুলোই তুলে ধরছে। ২৮ জুলাই এরা একটি প্রতিবেদনে বলে, আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে মিসরীয় ব্যবসায়ীদের তেমন একটা উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, মিসর যদি জোর করে কঠিন সংস্কার চাপিয়ে দেয় বা ডলার–সংকট কাটাতে না পারে, তাহলে এই ঋণের টাকা বিনিয়োগ হবে না। বিদেশি গণমাধ্যমের এসব প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ও বুদ্ধিজীবীরাও মাঠে নেমেছেন, যে বিষয়ে পরবর্তীকালে আরেকটি নিবন্ধ লিখব বলে আশা করছি।
অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন।
কামাল গাবালা: মিসরের আল–আহরাম পত্রিকাগোষ্ঠীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
No comments