পর্ণোগ্রাফি: পান্না মাস্টারের ৫ বছর জেল by দেলোয়ার মানিক
ছাত্রীদের
সঙ্গে সেক্স ভিডিও তৈরি করে দেশব্যাপী আলোচিত কুষ্টিয়ার পান্না মাস্টারকে
এক মামলায় ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাকে আড়াই লাখ
টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। গতকাল
কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম মাহমুদা খাতুন এ
রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া এ মামলার বাকি তিন আসামি প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান
টুটুল, মনোয়ার হোসেন মনো ও আওলাদ হোসেন দুলালকে বেকসুর খালাশ দিয়েছেন
আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ভিডিও ধারণ ও তা প্রচার করার মামলায় পুলিশ পর্নোগ্রাফি মামলায় ২০১৩ সালে ১৫ ও ১৬ই জুন আসামিদের আটক করে কারাগারে পাঠায়। পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা এ মামলায় আসামি করা হয় চারজনকে। তিনজন আসামি বিচার চলাকালে উপস্থিত থাকলেও একজন আসামি পলাতক ছিল। এদিকে এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সরকারি পক্ষের আইনজীবীরা। কুষ্টিয়া জজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান মামুন জানান, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা মামলার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্নার সঙ্গে একাধিক স্কুলছাত্রীর যৌন সম্পর্কের আড়াই ঘণ্টার ৬টি নগ্ন ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে জেলাজুড়ে। ভিডিওচিত্রে থাকা ১২/১৬ বছরের একাধিক ভুক্তভোগী কিশোরীর সকলেই স্কুলছাত্রী। সে সময় মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মামলা না করা পুলিশ বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা করে। দণ্ডপ্রাপ্ত গণিতের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্না কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিনের পুত্র। সে কুষ্টিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে গণিতের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাক মেইল করে অবাধে অনৈতিক কাজে মিলিত হতে বাধ্য করতো। পান্না তার বন্ধুর সঙ্গেও ছাত্রীদের সেক্স করতে বাধ্য করতো। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে পান্না মেলামেশার চেষ্টা করলে বিষয়টি টের পায় ওই ছাত্রীর আত্মীয়স্বজন। পরে ওই ছাত্রীর ফুপাতো ভাই হেলাল উদ্দিন পান্নার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ কেড়ে নেয়। মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই শিক্ষকের ধারণ করা বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে মেলামেশার ছবি ও ৬টি গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা সেক্স ভিডিও। এরপর স্থানীয়রা গণধোলাই দিতে শুরু করলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করে জেলার প্রভাবশালী একটি পক্ষ। কিন্তু মানবজমিন-এ বিস্তারিত প্রকাশে তোলপাড় সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ভিডিও ধারণ ও তা প্রচার করার মামলায় পুলিশ পর্নোগ্রাফি মামলায় ২০১৩ সালে ১৫ ও ১৬ই জুন আসামিদের আটক করে কারাগারে পাঠায়। পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা এ মামলায় আসামি করা হয় চারজনকে। তিনজন আসামি বিচার চলাকালে উপস্থিত থাকলেও একজন আসামি পলাতক ছিল। এদিকে এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সরকারি পক্ষের আইনজীবীরা। কুষ্টিয়া জজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান মামুন জানান, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা মামলার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্নার সঙ্গে একাধিক স্কুলছাত্রীর যৌন সম্পর্কের আড়াই ঘণ্টার ৬টি নগ্ন ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে জেলাজুড়ে। ভিডিওচিত্রে থাকা ১২/১৬ বছরের একাধিক ভুক্তভোগী কিশোরীর সকলেই স্কুলছাত্রী। সে সময় মান-সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মামলা না করা পুলিশ বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা করে। দণ্ডপ্রাপ্ত গণিতের শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্না কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিনের পুত্র। সে কুষ্টিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে গণিতের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাক মেইল করে অবাধে অনৈতিক কাজে মিলিত হতে বাধ্য করতো। পান্না তার বন্ধুর সঙ্গেও ছাত্রীদের সেক্স করতে বাধ্য করতো। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে পান্না মেলামেশার চেষ্টা করলে বিষয়টি টের পায় ওই ছাত্রীর আত্মীয়স্বজন। পরে ওই ছাত্রীর ফুপাতো ভাই হেলাল উদ্দিন পান্নার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ কেড়ে নেয়। মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই শিক্ষকের ধারণ করা বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে মেলামেশার ছবি ও ৬টি গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা সেক্স ভিডিও। এরপর স্থানীয়রা গণধোলাই দিতে শুরু করলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করে জেলার প্রভাবশালী একটি পক্ষ। কিন্তু মানবজমিন-এ বিস্তারিত প্রকাশে তোলপাড় সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে।
No comments