জোটে যাওয়া কতটা সংগত হয়েছে, সরকারই ভালো বলতে পারবে -সৌদি নেতৃত্বে জোট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সৌদি আরব নিজেই সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের নেতৃত্বে জোটে যাওয়া কতটা সংগত হয়েছে, সেটা সরকারই ভালো বলতে পারবে। এর কারণে সন্ত্রাসী হামলার বাইরে বাকি যে দেশগুলো আছে, সেখানে সন্ত্রাস চলে যায় কি না, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী নতুন জোট নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি নাগরিকদের হত্যা ও হামলার ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এ ধরনের ঘটনাকে হালকা করে দেখবেন না। কারণ সিরিয়া, ইরাক, লেবাননে এ ধরনের ঘটনা থেকে বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকার বলছে দেশে আইএস নেই। কিন্তু আদালতে চারজনের বিচার হচ্ছে আইএস নামে। এই চারজন কিশোর-বালককে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা কন্ট্রাডিক্টরি এবং স্ববিরোধী। গণতন্ত্র না থাকলে তখন সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের আশঙ্কা থাকে মন্তব্য করে তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনে না গেলে সরকার বলত এরা সন্ত্রাসী-জঙ্গি, তাই নির্বাচনে আসেনি। আর বিদেশিরাও তা বিশ্বাস করত। মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের সংগঠনটি এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আজকে প্রেসক্লাব দখল করে নিয়েছে। বিএফইউজে ও ডিইউজের যে কক্ষ ছিল, আজ তা-ও দখল করে নিয়েছে। এসব দখল করতে সাহায্য করেছে তারাই, যারা আপনাদের-আমাদের মধ্যে ছিল। এটা দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, ‘চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদের ইগনোর (গ্রাহ্য না করা) ও নেগলেক্ট (অবজ্ঞা) করা উচিত। এদের ব্যাপারে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। আপনারা আপনাদের শক্তিতে বলীয়ান হবেন।’
সম্মেলনে আবদুল হাই শিকদার ডিইউজের এই অংশের সভাপতি ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ: এদিকে সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, বরগুনা, দাগনভূঞাসহ বিভিন্ন পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, গত বুধবার বিভিন্ন পৌর এলাকায় মন্ত্রী, হুইপ ও সাংসদেরা নিজেদের দলের মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির চূড়ান্ত লঙ্ঘন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ভয়াল পরিবেশ তৈরি করে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার ব্যাপারে আতঙ্কগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী নতুন জোট নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদেশি নাগরিকদের হত্যা ও হামলার ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এ ধরনের ঘটনাকে হালকা করে দেখবেন না। কারণ সিরিয়া, ইরাক, লেবাননে এ ধরনের ঘটনা থেকে বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকার বলছে দেশে আইএস নেই। কিন্তু আদালতে চারজনের বিচার হচ্ছে আইএস নামে। এই চারজন কিশোর-বালককে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা কন্ট্রাডিক্টরি এবং স্ববিরোধী। গণতন্ত্র না থাকলে তখন সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের আশঙ্কা থাকে মন্তব্য করে তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনে না গেলে সরকার বলত এরা সন্ত্রাসী-জঙ্গি, তাই নির্বাচনে আসেনি। আর বিদেশিরাও তা বিশ্বাস করত। মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের সংগঠনটি এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আজকে প্রেসক্লাব দখল করে নিয়েছে। বিএফইউজে ও ডিইউজের যে কক্ষ ছিল, আজ তা-ও দখল করে নিয়েছে। এসব দখল করতে সাহায্য করেছে তারাই, যারা আপনাদের-আমাদের মধ্যে ছিল। এটা দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, ‘চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদের ইগনোর (গ্রাহ্য না করা) ও নেগলেক্ট (অবজ্ঞা) করা উচিত। এদের ব্যাপারে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। আপনারা আপনাদের শক্তিতে বলীয়ান হবেন।’
সম্মেলনে আবদুল হাই শিকদার ডিইউজের এই অংশের সভাপতি ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ: এদিকে সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, বরগুনা, দাগনভূঞাসহ বিভিন্ন পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, গত বুধবার বিভিন্ন পৌর এলাকায় মন্ত্রী, হুইপ ও সাংসদেরা নিজেদের দলের মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির চূড়ান্ত লঙ্ঘন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ভয়াল পরিবেশ তৈরি করে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার ব্যাপারে আতঙ্কগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে।
No comments