বছরের শেষ ইইউ সম্মেলনের মূল আলোচ্য শরণার্থী সংকট
ইউরোপীয়
ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে আঞ্চলিক জোটটির এ
বছরের শেষ বৈঠকে বসেন। আগের ধারণামতোই এ বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে
থেকেছে শরণার্থী সমস্যা। বছরজুড়ে ইউরোপকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে
সবচেয়ে বড় শরণার্থীর স্রোত সামলাতে হয়েছে।
শরণার্থী সমস্যা সামলাতে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে নতুন স্থলসীমান্ত ও নতুন উপকূলরক্ষী বাহিনী গঠনের একটি বিতর্কিত প্রস্তাব এবং ইইউয়ের সংস্কার নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রস্তাব বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য। খবর এএফপি ও বিবিসির।
ইইউ বৈঠকের আগে জার্মানি ও আরও কয়েকটি সদস্য দেশ শরণার্থী সমস্যা নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করে। বিশেষ করে সিরিয়ার শরণার্থীদের ইউরোপে পাড়ি জমানোর পথে তুরস্ক একটি প্রধান গন্তব্য। সাগর পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে শরণার্থীদের সরাসরি তুরস্কের আশ্রয়শিবির থেকে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছে বড় দেশগুলো। এতে বিপজ্জনক সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে শরণার্থীর স্রোত বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রস্তাবের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেওয়া জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল অন্যান্য ইইউভুক্ত দেশের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। কেননা এর ফলে ইইউভুক্ত দেশগুলোকে তাদের জন্য নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কোটা অনুযায়ী শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় গ্রহণ করতে হবে।
তবে মনে করা হচ্ছে, ২৮ সদস্যের ইইউর বৈঠকে সবচেয়ে বড় বিতর্কটি হবে ইইউ দেশগুলোর নাগরিকদের বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বিতর্কিত প্রস্তাবটি নিয়ে। প্রস্তাবটি হলো যুক্তরাজ্যে আসা ইইউয়ের অন্য দেশের নাগরিকেরা সে দেশে যাওয়ার চার বছর পরই কেবল সরকারি কল্যাণ ভাতা দাবি করতে পারবে। ইইউয়ের বাকি ২৭ নেতাই ক্যামেরনের এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লদ জাংকার বলেছেন, ‘আমি এর বিকল্প প্রস্তাবও শুনতে চাই। আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি ন্যায্য চুক্তি চাই। যেটি বাকি ২৭টি দেশের জন্যও সমান ন্যায্য হয়।’
ইইউ দেশগুলোর নাগরিকেরা জোটভুক্ত যেকোনো দেশে অবাধ যাতায়াত ও কর্মসংস্থানের অধিকার রাখে। তুলনামূলকভাবে অধিকতর আর্থিক সুযোগ-সুবিধার জন্য বিশেষ করে নতুন সদস্য দেশগুলোর অনেক নাগরিকেরই বেশি পছন্দ যুক্তরাজ্য। এটিসহ বিভিন্ন দায়দায়িত্বের কারণে যুক্তরাজ্য সংস্কার না হলে এমনকি জোটে থাকা না-থাকার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আরেকটি আলোচ্য বিষয় ইইউভুক্ত দেশগুলোর জন্য নতুন স্থলসীমান্ত ও উপকূলরক্ষী বাহিনী গঠনের প্রস্তাব। ইউরোপীয় কমিশনের ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সংস্থার দেশগুলোর কেউ কেউ আপত্তি তুলেছে। এ কারণে জাতীয় সার্বভৌমত্ব খর্ব হওয়ার আশঙ্কা করছে একাধিক দেশ। এ বছর শরণার্থী সমস্যায় নাকাল গ্রিসও এর বিরোধিতা করেছে। গ্রিসের ইউরোপবিষয়ক মন্ত্রী নাইকোস জিদাগিজ বলেন, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব কিছু টেকনোক্রাটের হাতে তুলে দেওয়া যায় না। এটা খুব বড় ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
গ্রিস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে কোটা মেনে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক হবে বলে মনে করা হয়। পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র বিরোধিতায় এ প্রক্রিয়া এখন প্রায় থমকে আছে।
নেদারল্যান্ডসে সংঘর্ষ: শরণার্থীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনায় আয়োজিত সভায় হামলা হয়েছে নেদারল্যান্ডসের শহর হেল্ডারমালসেনে। পুলিশ এতে বাধা দিলে হামলাকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে গতকাল তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ হামলাকারী কয়েকজনকে আটক করেছে। সভা চলার সময় হাজার দুয়েক বিক্ষোভকারী সেখানে হামলা চালায়। তারা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। জার্মানি ও সুইডেনের পাশাপাশি শরণার্থীদের একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য ইউরোপের ধনাঢ্য এই দেশটি।
শরণার্থী সমস্যা সামলাতে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে নতুন স্থলসীমান্ত ও নতুন উপকূলরক্ষী বাহিনী গঠনের একটি বিতর্কিত প্রস্তাব এবং ইইউয়ের সংস্কার নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রস্তাব বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য। খবর এএফপি ও বিবিসির।
ইইউ বৈঠকের আগে জার্মানি ও আরও কয়েকটি সদস্য দেশ শরণার্থী সমস্যা নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করে। বিশেষ করে সিরিয়ার শরণার্থীদের ইউরোপে পাড়ি জমানোর পথে তুরস্ক একটি প্রধান গন্তব্য। সাগর পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে শরণার্থীদের সরাসরি তুরস্কের আশ্রয়শিবির থেকে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছে বড় দেশগুলো। এতে বিপজ্জনক সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে শরণার্থীর স্রোত বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রস্তাবের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেওয়া জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল অন্যান্য ইইউভুক্ত দেশের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। কেননা এর ফলে ইইউভুক্ত দেশগুলোকে তাদের জন্য নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কোটা অনুযায়ী শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় গ্রহণ করতে হবে।
তবে মনে করা হচ্ছে, ২৮ সদস্যের ইইউর বৈঠকে সবচেয়ে বড় বিতর্কটি হবে ইইউ দেশগুলোর নাগরিকদের বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বিতর্কিত প্রস্তাবটি নিয়ে। প্রস্তাবটি হলো যুক্তরাজ্যে আসা ইইউয়ের অন্য দেশের নাগরিকেরা সে দেশে যাওয়ার চার বছর পরই কেবল সরকারি কল্যাণ ভাতা দাবি করতে পারবে। ইইউয়ের বাকি ২৭ নেতাই ক্যামেরনের এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লদ জাংকার বলেছেন, ‘আমি এর বিকল্প প্রস্তাবও শুনতে চাই। আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি ন্যায্য চুক্তি চাই। যেটি বাকি ২৭টি দেশের জন্যও সমান ন্যায্য হয়।’
ইইউ দেশগুলোর নাগরিকেরা জোটভুক্ত যেকোনো দেশে অবাধ যাতায়াত ও কর্মসংস্থানের অধিকার রাখে। তুলনামূলকভাবে অধিকতর আর্থিক সুযোগ-সুবিধার জন্য বিশেষ করে নতুন সদস্য দেশগুলোর অনেক নাগরিকেরই বেশি পছন্দ যুক্তরাজ্য। এটিসহ বিভিন্ন দায়দায়িত্বের কারণে যুক্তরাজ্য সংস্কার না হলে এমনকি জোটে থাকা না-থাকার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আরেকটি আলোচ্য বিষয় ইইউভুক্ত দেশগুলোর জন্য নতুন স্থলসীমান্ত ও উপকূলরক্ষী বাহিনী গঠনের প্রস্তাব। ইউরোপীয় কমিশনের ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সংস্থার দেশগুলোর কেউ কেউ আপত্তি তুলেছে। এ কারণে জাতীয় সার্বভৌমত্ব খর্ব হওয়ার আশঙ্কা করছে একাধিক দেশ। এ বছর শরণার্থী সমস্যায় নাকাল গ্রিসও এর বিরোধিতা করেছে। গ্রিসের ইউরোপবিষয়ক মন্ত্রী নাইকোস জিদাগিজ বলেন, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব কিছু টেকনোক্রাটের হাতে তুলে দেওয়া যায় না। এটা খুব বড় ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
গ্রিস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে কোটা মেনে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক হবে বলে মনে করা হয়। পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র বিরোধিতায় এ প্রক্রিয়া এখন প্রায় থমকে আছে।
নেদারল্যান্ডসে সংঘর্ষ: শরণার্থীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনায় আয়োজিত সভায় হামলা হয়েছে নেদারল্যান্ডসের শহর হেল্ডারমালসেনে। পুলিশ এতে বাধা দিলে হামলাকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে গতকাল তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ হামলাকারী কয়েকজনকে আটক করেছে। সভা চলার সময় হাজার দুয়েক বিক্ষোভকারী সেখানে হামলা চালায়। তারা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। জার্মানি ও সুইডেনের পাশাপাশি শরণার্থীদের একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য ইউরোপের ধনাঢ্য এই দেশটি।
No comments