বাশার ক্ষমতায় থাকছেন- রুশ অবস্থান মেনে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ |
সিরিয়ায়
গৃহযুদ্ধ বন্ধ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একসঙ্গে কাজ করতে রাজি
হয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে বাশার আল-আসাদের থাকা না-থাকার বিষয়টি সে
দেশের জনগণই নির্ধারণ করবেন—রাশিয়ার এই পুরোনো দাবি আপাতত মেনে নিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার বৈঠকে অংশ নেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব এই আলোচনার পর কিছুটা কমেছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট বাশারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে এখনো কিছু মতভেদ রয়ে গেছে।
সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে নিউইয়র্কে আগামীকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, তাঁরা ইন্টারন্যাশনাল সিরিয়া সাপোর্ট গ্রুপের এই মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার পক্ষে। নিউইয়র্কের ওই বৈঠকে সমঝোতা হলে তা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আকারে তোলা হবে। পরিণামে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশারের সরকার এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে অস্ত্রবিরতি এবং রাজনৈতিক আলোচনায় মধ্যস্থতা করার সুযোগ তৈরি হবে।
জন কেরি বলেন, সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধ না হলে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদেশগুলো সিরিয়ায় তথাকথিত সরকার পরিবর্তন চায় না। আর রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার কোনো উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
সিরিয়ায় কীভাবে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে, তা নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ ছিল। প্রেসিডেন্ট বাশার নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন বলে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ। তবে বাশারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত রাশিয়া চায়, সিরিয়ার জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, জন কেরির সর্বশেষ ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে বাশারের ব্যাপারে গত কয়েক মাসে মার্কিন নীতির পরিবর্তন হয়েছে। এখন মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলার বিষয়টিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
‘আসাদকে অবশ্যই সরে যেতে হবে’—এ কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১১ সালে প্রথম বলেছিলেন। তবে সিরিয়ার সরকার পরিবর্তনে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে রাশিয়া। দেশটি গত সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় আইএস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করেছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট বাশারকে সহায়তার জন্যই তাঁর বিরোধী সংগঠনগুলোর ওপর বোমা ফেলছে রাশিয়া।
সিরিয়া সংকট নিয়ে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ১৭টি দেশের মধ্যে আগেও আলোচনা হয়েছে। কেরি ও লাভরভ স্বীকার করেন, আসাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে কিছু মতভেদ রয়ে গেছে। তবে এ কারণে রাজনৈতিক আলোচনায় কোনো বিঘ্ন হবে না।
২০১১ সালের মার্চ থেকে সিরিয়ায় সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িছাড়া হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জন কেরি আশা প্রকাশ করেন, দামেস্কের কর্তৃপক্ষ ও বিদ্রোহীরা একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হলে রাশিয়া এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ও আরব জোট সিরিয়ায় জিহাদিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা আরও জোরদার করতে পারবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার বৈঠকে অংশ নেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব এই আলোচনার পর কিছুটা কমেছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট বাশারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে এখনো কিছু মতভেদ রয়ে গেছে।
সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে নিউইয়র্কে আগামীকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, তাঁরা ইন্টারন্যাশনাল সিরিয়া সাপোর্ট গ্রুপের এই মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার পক্ষে। নিউইয়র্কের ওই বৈঠকে সমঝোতা হলে তা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আকারে তোলা হবে। পরিণামে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশারের সরকার এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে অস্ত্রবিরতি এবং রাজনৈতিক আলোচনায় মধ্যস্থতা করার সুযোগ তৈরি হবে।
জন কেরি বলেন, সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধ না হলে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদেশগুলো সিরিয়ায় তথাকথিত সরকার পরিবর্তন চায় না। আর রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার কোনো উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
সিরিয়ায় কীভাবে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে, তা নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ ছিল। প্রেসিডেন্ট বাশার নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন বলে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ। তবে বাশারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত রাশিয়া চায়, সিরিয়ার জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, জন কেরির সর্বশেষ ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে বাশারের ব্যাপারে গত কয়েক মাসে মার্কিন নীতির পরিবর্তন হয়েছে। এখন মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলার বিষয়টিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
‘আসাদকে অবশ্যই সরে যেতে হবে’—এ কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১১ সালে প্রথম বলেছিলেন। তবে সিরিয়ার সরকার পরিবর্তনে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে রাশিয়া। দেশটি গত সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় আইএস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করেছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট বাশারকে সহায়তার জন্যই তাঁর বিরোধী সংগঠনগুলোর ওপর বোমা ফেলছে রাশিয়া।
সিরিয়া সংকট নিয়ে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ১৭টি দেশের মধ্যে আগেও আলোচনা হয়েছে। কেরি ও লাভরভ স্বীকার করেন, আসাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে কিছু মতভেদ রয়ে গেছে। তবে এ কারণে রাজনৈতিক আলোচনায় কোনো বিঘ্ন হবে না।
২০১১ সালের মার্চ থেকে সিরিয়ায় সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িছাড়া হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। মস্কোয় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জন কেরি আশা প্রকাশ করেন, দামেস্কের কর্তৃপক্ষ ও বিদ্রোহীরা একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হলে রাশিয়া এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ও আরব জোট সিরিয়ায় জিহাদিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা আরও জোরদার করতে পারবে।
No comments