‘প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি’ -তাবিথের পক্ষে মাঠে খালেদা জিয়া
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আজ বিকেলে গুলশান এলাকায় প্রচারণা চালান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া |
সিটি নির্বাচনের
প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়া। আজ রাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০ দল সমর্থিত মেয়র
প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারণাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিকাল ৪টা
২০ মিনিটের দিকে হঠাৎ গুলশানের বাসভবন থেকে বেরিয়ে পড়েন খালেদা জিয়া।
সঙ্গে দলের কয়েকজন মহিলা নেত্রী। কয়েক মিনিট পথ পেরিয়ে তার গাড়ি থামে
গুলশান-২ নম্বর পিংক সিটির সামনে। গাড়ি থেকে নেমে মার্কেটের নিচতলার ঢুকে
পড়েন তিনি। খালেদা জিয়া নিজেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০ দল সমর্থিত
মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। প্রতিটি দোকানে
গিয়ে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও দোকান মালিকদের কাছে বাস মার্কায় ভোট চান
তিনি। কিংকর্তব্যবিমূঢ় অনেকে তার সঙ্গে হাত মেলান, ছবি তোলেন। অনেকে আবার
সেলফি তোলার আবদার করলে খালেদা জিয়া তাও পূরণ করেন। ৪টা ৪০ মিনিটে ওই
মার্কেট থেকে বেরিয়ে সামনের রাস্তায় উপস্থিত সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট
বিলি করেন খালেদা জিয়া। এরপর তিনি গুলশান-১ নম্বরের ডিসিসি মার্কেটে চলে
যান। ওই মার্কেটের নিচতলায় ঘুরে ঘুরে তাবিথ আউয়ালের লিফলেট বিতরণ করেন এবং
বাস মার্কায় ভোট চান। প্রায় ১৫ মিনিট ওই মার্কেটে প্রচারণা চালিয়ে চলে আসেন
গুলশান-১ নম্বর মোড়ের নাভানা শপিং কমপ্লেক্সে। ওই মার্কেটের নিচতলার
ওয়েস্টার্ন ভিশন, জিইএমএস ওয়ার্ল্ড, জুয়েল অপটিকসহ বিভিন্ন দোকানে লিফলেট
বিলি করেন। প্রায় ১০ মিনিট প্রচারণা চালিয়ে নাভানা শপিং কমপ্লেক্সে সামনে
দাঁড়ান। এসময় গুলশান-১ নম্বর মোড়ে প্রায় সহস্রাধিক লোক জড়ো হয়ে যান। খালেদা
জিয়া হাত নেড়ে তাদের অভিবাদন জানান। সেখান থেকে ধীর গতিতে তার গাড়িবহর
বাড্ডা লিংক রোডের পথ ধরে এগিয়ে যায়। এসময় গাড়িতে বসেই রাস্তার দুই পাশে
পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পেছনে পেছন দলের
নেতাকর্মীরা হ্যান্ডমাইকে নানা সেøাগান দেন। এসময় মহিলা নেত্রীরাও
পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর লিংক রোড ঘুরে
শাহজাদপুর, উত্তর বাড্ডা হয়ে আমেরিকান দূতাবাসের সামনে দিয়ে ফের গুলশান-২
নম্বরস্থ উত্তর ডিসিসি মার্কেটের সামনে থামে। ওই মার্কেটের নিচতলায়
প্রচারণা চালান খালেদা জিয়া। ২০ মিনিট ওই মার্কেটে প্রচারণা চালিয়ে বনানী
সুপার মার্কেটে চলে আসেন। বনানী সুপার মার্কেটে প্রায় ১০ মিনিট প্রচারণা
চালান। এসময় তিনি বনানী মসজিদের সামনেও মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং
কুশলাদি বিনিময় করে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোট চান। সন্ধ্যা ৭টার পর বনানী ১১
নম্বর রোডে গণসংযোগ করেন খালেদা জিয়া। এসময় উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র
প্রার্থী তাবিথ যোগ দেন তার গণসংযোগে। এসময় তিনি তাবিথ আউয়ালকে তার নিজের
মতো করে প্রচারণায় মনোসংযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের
পরামর্শ ও দোয়া নিয়ে নিজের গণসংযোগে চলে যান তাবিথ। এখান থেকে খালেদা জিয়া
চলে আসেন মহাখালী এলাকায়। আমতলী ও কাঁচাবাজার এলাকায় তিনি গাড়ি থেকেই হাত
নেড়ে বাস মার্কায় ভোট চান এবং লিফলেট বিলি করেন। এরপর তিনি মহাখালী
বাসস্ট্যান্ডে প্রবেশ করেন। মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে খালেদা জিয়া তেজগাঁও
কলোনি বাজার হকার্স মার্কেটে গণসংযোগ করেন। এরপর হাতিরঝিল এলাকায়
গণসংযোগকালে সংবাদিক ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে খালেদা জিয়া। কেমন সাড়া
পাচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, মানুষের
ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আর আপনারা তো দেখতেই পাচ্ছেন কেমন সাড়া পাচ্ছি। এসময়
একজন পথচারী খালেদা জিয়াকে বলেন, ম্যাডাম, এখন তো আর পজিটিভ পলিটিকস নেই।
আমরা নেগেটিভ পলিটিকস চাই না। আমরা চাই পজিটিভ পলিটিকস। জবাবে খালেদা
জিয়া বলেন, বিএনপি নেগেটিভ পলিটিকস করে না। আমরাও পজিটিভ রাজনীতি করি। যারা
নেগেটিভ রাজনীতি করে তাদের প্রতিহত করুন। তরুণ এই তাবিথকে ভোট দিয়ে
জয়যুক্ত করুন। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার প্রচারণা শেষে রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরে
যান তিনি। এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের
বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর
প্রার্থ ফারুক হোসেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মহিলা
নেত্রী, সুলতানা জামান, বিলকিস ইসলামসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী তার সঙ্গে
ছিলেন।
No comments