আবার অপকর্মে ছাত্রলীগ- দলীয় কোন্দলে নিহত ৩২ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
নারীদের শ্লীলতাহানি, খুন, অসামাজিক
কার্যকলাপসহ ফের নানাবিধ অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সরকারি
দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যা ইচ্ছা তা-ই করে চলেছে। গত এক
সপ্তাহে ছাত্রলীগের অপকর্ম ফের খবরের শিরোনাম হয়েছে। সর্বশেষ গত
বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
(হাবিপ্রবি) অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে নিহত হয়েছে দুই ছাত্র। একই দিনে চট্টগ্রামে
‘গণপিটুনিতে’ নিহত হয় ছাত্রলীগের এক কর্মী। শনিবার কুমিল্লায় একই কারণে
নিহত হয়েছে এক নেতা। শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছিত করায় বাংলাদেশ প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পাঠদান বন্ধ রয়েছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের
জেরে গত বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ
(রমেক)।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীদের শ্লীলতাহানি ইয়াবা ব্যবসা, হলের সিট দখল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিবাণিজ্য, শিক্ষক লাঞ্ছনা, সন্ত্রাস থেকে শুরু করে সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে নিজ সংগঠনের কর্মীকেও হত্যা করেছে। সাংবাদিক, শিক্ষক কেউই রেহাই পাননি তাদের কাছ থেকে। ছাত্রলীগের নাম শুনলেই এখন দেশের মানুষ আঁতকে ওঠেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকেও লাঞ্ছিত করতে দ্বিধা নেই ছাত্রলীগের। পয়লা বৈশাখে ছাত্রী লাঞ্ছনার দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালের নভেম্বরের শেষ দিক থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে মারা গেছে ১০ জন ব্যক্তি। এদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষও রয়েছেন।
হাবিপ্রবিতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২ : হল দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুরের হাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। এখনো ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীকে গতকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে নবীনবরণ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। এতে হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অরুণকান্তি রায় সিটনের নেতৃত্বে এক দল সশস্ত্র গ্রুপ পিস্তল ও ককটেল নিয়ে রাত ৯টার দিকে অডিটোরিয়ামে হামলা চালায়। এ সময় এই গ্রুপে অংশ নেয়া কয়েকজন ছাত্র মিলনায়তনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা দিগি¦দিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ সশস্ত্র পাল্টাহামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগ নেতা এগ্রিকালচার মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মিল্টন (২৯) ও বিবিএ লেভেল-২ সেমিস্টার-২-এর ছাত্র জাকারিয়া (২৫) নামে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ সময় শিক্ষকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বন্ধ দুই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ফেসবুক স্ট্যাটাসের জের ধরে ছাত্রলীগের হাতে লাঞ্ছিত এবং মারধরের শিকার হন বুয়েটের এক শিক্ষক। অভিযুক্তদের শাস্তি দাবিতে বুয়েট শিক্ষক সমিতি ও ছাত্রলীগের পাল্টা কর্মসূচির কারণে বুয়েটে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির পর বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ফেসবুকের ফ্যান পেজ ‘আড়ি পেতে শোনা’য় কয়েকজন শিক্ষার্থী স্ট্যাটাস দেন। এতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. জাহাঙ্গীর আলম মন্তব্য করেন।
পরে ১২ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ ক থেকে অধ্যাপক জাহাঙ্গীরকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে ক্যাফেটরিয়ায় নিয়ে আসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে এই শিক্ষককে লাথি-ঘুসি-চড়-থাপ্পড় দিয়ে অপদস্থ করা হয়। পরে ড. জাহাঙ্গীরকে বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক খালেদা ইকরামের কে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় ভিসির কে মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতারাও ছিলেন। কিন্তু তাদের ব্যাপারে ভিসি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনায় বুয়েট শিক সমিতি ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কাস বর্জন কর্মসূচি পালন শুরু করে। এ সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাওয়াসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গেছে, শিক মারধর ইস্যুতে সব দল-মতের শিকেরা একাট্টা হয়েছেন। আর কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ছাড়া বুয়েটের সাধারণ শিার্থীরাও শিক মারধরের ঘটনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাসিব চৌধুরী জানিয়েছেন, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনা শোনার পরপরই জরুরি সভা করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ মধ্যে দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক খালেদা ইকরাম নয়া দিগন্তকে গতকাল জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কমিটি প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পরে মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেল ৩টার মধ্যে আবাসিক ছাত্রাবাস খালি করারও নির্দেশ দেয়া হয়। সংঘর্ষে আহত হয় তিনজন।
এ হামলার জন্য এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করে আসছে। হামলার সময় ছোরাসহ নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রেরও মহড়া দেয়া হয়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেেিত গত বছর ২২ অক্টোবর এই কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়। বর্তমানে সেখানে নতুন কমিটি গঠনের চিন্তাভাবনার মধ্যেই এই সংঘর্ষ ও কলেজ বন্ধের ঘটনা ঘটল।
এর আগে গত শনিবার কুমিল্লা দণি জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি এ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতা। ওই সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এই দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহর ছাত্রলীগ সভাপতি ও কুমিল্লা সার্ভে ইনস্টিটিউটের ভিপি সাইফুল ইসলাম মারা যান। আহত অবস্থায় শনিবারই তাকে শহরের মুন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে মারা যান তিনি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারীদের শ্লীলতাহানি ইয়াবা ব্যবসা, হলের সিট দখল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিবাণিজ্য, শিক্ষক লাঞ্ছনা, সন্ত্রাস থেকে শুরু করে সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে নিজ সংগঠনের কর্মীকেও হত্যা করেছে। সাংবাদিক, শিক্ষক কেউই রেহাই পাননি তাদের কাছ থেকে। ছাত্রলীগের নাম শুনলেই এখন দেশের মানুষ আঁতকে ওঠেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকেও লাঞ্ছিত করতে দ্বিধা নেই ছাত্রলীগের। পয়লা বৈশাখে ছাত্রী লাঞ্ছনার দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালের নভেম্বরের শেষ দিক থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে মারা গেছে ১০ জন ব্যক্তি। এদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষও রয়েছেন।
হাবিপ্রবিতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২ : হল দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুরের হাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। এখনো ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীকে গতকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে নবীনবরণ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। এতে হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অরুণকান্তি রায় সিটনের নেতৃত্বে এক দল সশস্ত্র গ্রুপ পিস্তল ও ককটেল নিয়ে রাত ৯টার দিকে অডিটোরিয়ামে হামলা চালায়। এ সময় এই গ্রুপে অংশ নেয়া কয়েকজন ছাত্র মিলনায়তনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা দিগি¦দিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ সশস্ত্র পাল্টাহামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগ নেতা এগ্রিকালচার মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মিল্টন (২৯) ও বিবিএ লেভেল-২ সেমিস্টার-২-এর ছাত্র জাকারিয়া (২৫) নামে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ সময় শিক্ষকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বন্ধ দুই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ফেসবুক স্ট্যাটাসের জের ধরে ছাত্রলীগের হাতে লাঞ্ছিত এবং মারধরের শিকার হন বুয়েটের এক শিক্ষক। অভিযুক্তদের শাস্তি দাবিতে বুয়েট শিক্ষক সমিতি ও ছাত্রলীগের পাল্টা কর্মসূচির কারণে বুয়েটে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির পর বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ফেসবুকের ফ্যান পেজ ‘আড়ি পেতে শোনা’য় কয়েকজন শিক্ষার্থী স্ট্যাটাস দেন। এতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. জাহাঙ্গীর আলম মন্তব্য করেন।
পরে ১২ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ ক থেকে অধ্যাপক জাহাঙ্গীরকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে ক্যাফেটরিয়ায় নিয়ে আসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে এই শিক্ষককে লাথি-ঘুসি-চড়-থাপ্পড় দিয়ে অপদস্থ করা হয়। পরে ড. জাহাঙ্গীরকে বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক খালেদা ইকরামের কে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় ভিসির কে মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতারাও ছিলেন। কিন্তু তাদের ব্যাপারে ভিসি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনায় বুয়েট শিক সমিতি ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কাস বর্জন কর্মসূচি পালন শুরু করে। এ সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাওয়াসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গেছে, শিক মারধর ইস্যুতে সব দল-মতের শিকেরা একাট্টা হয়েছেন। আর কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ছাড়া বুয়েটের সাধারণ শিার্থীরাও শিক মারধরের ঘটনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাসিব চৌধুরী জানিয়েছেন, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনা শোনার পরপরই জরুরি সভা করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ মধ্যে দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক খালেদা ইকরাম নয়া দিগন্তকে গতকাল জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কমিটি প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পরে মধ্যে সংঘর্ষের জেরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেল ৩টার মধ্যে আবাসিক ছাত্রাবাস খালি করারও নির্দেশ দেয়া হয়। সংঘর্ষে আহত হয় তিনজন।
এ হামলার জন্য এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করে আসছে। হামলার সময় ছোরাসহ নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রেরও মহড়া দেয়া হয়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেেিত গত বছর ২২ অক্টোবর এই কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়। বর্তমানে সেখানে নতুন কমিটি গঠনের চিন্তাভাবনার মধ্যেই এই সংঘর্ষ ও কলেজ বন্ধের ঘটনা ঘটল।
এর আগে গত শনিবার কুমিল্লা দণি জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি এ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতা। ওই সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এই দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহর ছাত্রলীগ সভাপতি ও কুমিল্লা সার্ভে ইনস্টিটিউটের ভিপি সাইফুল ইসলাম মারা যান। আহত অবস্থায় শনিবারই তাকে শহরের মুন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে মারা যান তিনি।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পাশে (গোল চিহ্নত) পয়লা বৈশাখে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা নিশাত ইমতিয়াজ বিজয়। |
ছাত্রী লাঞ্ছনায় বহিষ্কার ৮
: পয়লা বৈশাখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের
হাতে আদিবাসী এক ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ আটজনকে
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পয়লা বৈশাখের দিন সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের পাঁচ ছাত্রলীগ
নেতাকর্মীর হাতে লাঞ্ছিত হন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের এক উপজাতি শিার্থী।
বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগ কার্যকরী সদস্য নিশাত ইমতিয়াজ বিজয়, শহীদ সালাম-বরক হল শাখার প্রচার সম্পাদক নাফিজ, কর্মী আবদুর রহমান ইফতি, রাকিব, নুরুল কবীরের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত হওয়ার লিখিত অভিযোগ করে ওই ছাত্রী। এ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন গতকাল আট শিার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। পরে জাবি ছাত্রলীগও বৃহস্পতিবার ওই পাঁচ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রলীগের কমিটি : মূলত মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ও অছাত্রদের নেতৃত্বের কারণে সংগঠনটির ভেতরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় অতি দ্রুত কাউন্সিল দিয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির পরিবর্তন আনার দাবি তুলেছেন ছাত্রলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
২০১১ সালে ১০ ও ১১ জুলাই কাউন্সিলের মাধ্যমে দায়িত্ব পায় বর্তমান কমিটি। সে সময় এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ সভাপতি এবং সিদ্দিকী নাজমুল আলম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১১(খ) ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ হবে দুই বছর। এর মধ্যে সম্মেলন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী সংসদের কার্যকারিতা লোপ পাবে। কিন্তু বর্তমান কমিটি ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে চার বছর সময় পার করেছেন।
সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, ছাত্রলীগ তাদের নিয়মানুযায়ী চলছে, বিভিন্ন জেলায় জেলায় সম্মেলন হচ্ছে। এ বিষয়ে লোক দেখানোর কিছু নেই। সম্মেলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। যথাসময়ে সম্মেলনের দিন তারিখ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগ কার্যকরী সদস্য নিশাত ইমতিয়াজ বিজয়, শহীদ সালাম-বরক হল শাখার প্রচার সম্পাদক নাফিজ, কর্মী আবদুর রহমান ইফতি, রাকিব, নুরুল কবীরের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত হওয়ার লিখিত অভিযোগ করে ওই ছাত্রী। এ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন গতকাল আট শিার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। পরে জাবি ছাত্রলীগও বৃহস্পতিবার ওই পাঁচ ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রলীগের কমিটি : মূলত মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ও অছাত্রদের নেতৃত্বের কারণে সংগঠনটির ভেতরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় অতি দ্রুত কাউন্সিল দিয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির পরিবর্তন আনার দাবি তুলেছেন ছাত্রলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
২০১১ সালে ১০ ও ১১ জুলাই কাউন্সিলের মাধ্যমে দায়িত্ব পায় বর্তমান কমিটি। সে সময় এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ সভাপতি এবং সিদ্দিকী নাজমুল আলম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১১(খ) ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ হবে দুই বছর। এর মধ্যে সম্মেলন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী সংসদের কার্যকারিতা লোপ পাবে। কিন্তু বর্তমান কমিটি ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে চার বছর সময় পার করেছেন।
সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, ছাত্রলীগ তাদের নিয়মানুযায়ী চলছে, বিভিন্ন জেলায় জেলায় সম্মেলন হচ্ছে। এ বিষয়ে লোক দেখানোর কিছু নেই। সম্মেলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। যথাসময়ে সম্মেলনের দিন তারিখ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।
No comments