বিশ্বকাপের দিনগুলোতে প্রেম by আনিসুল হক
‘বিশ্বকাপে ফুটবলের পাশাপাশি প্রেমের খেলা।’ বিবিসি বাংলার একটা প্রতিবেদনের শিরোনাম। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে বেশ কিছু তরুণ-তরুণীর জীবনে দেখা দিয়েছে নতুন স্বপ্ন। যেমন প্রেম হয়েছে আর্জেন্টিনার ফ্রেডেরিকো আস্তরগার (২৭) সঙ্গে ব্রাজিলের বিয়াত্রিজ গ্লক্সোর (২৫)। বিশ্বকাপের শুরুর দিকেই ব্রাজিলে এসেছিলেন ফ্রেড। সাও পাওলো যাওয়ার পথে বিয়াত্রিজের সঙ্গে দেখা হয় কুরিচিবায়। ১২ জুন, তা কেবল বিশ্বকাপ শুরুর দিনই ছিল না, ব্রাজিলে ছিল ভালোবাসারও দিন। ফ্রেডেরিকো পথের নির্দেশ জানতে চেয়েছিলেন এই ব্রাজিলীয় তরুণীর কাছে। কপালকুণ্ডলার মতো বিয়াত্রিজ কী বলেছিলেন, ‘পথিক, তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’ সেই পরিচয় বিশ্বকাপের এই এক মাসে গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে, রূপ নিয়েছে নাছোড় প্রেমের। এ রকম আরও নানা প্রেমিক জুটির উল্লেখ করে বিবিসি বলছে, বিশ্বকাপ উপলক্ষে অনলাইনেও প্রেম-পরিচয়-বন্ধুত্ব বেড়ে গেছে ৫০ ভাগ, সূত্র টিন্ডার নামের এক অনলাইন অ্যাপ।
আমি বসে আছি ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে শহরে।হরিজন মানুষ, হরিজন্তেই থাকব, সন্দেহ কী! বসে বসে বিশ্বকাপের খবর সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। এক ঘণ্টা ধরে নেইমারের সংবাদ সম্মেলন দেখাল স্পোর্টস চ্যানেলে। লাইভ। একবিন্দু পর্তুগিজ বুঝি না। তবু দেখলাম। দুটো প্রশ্ন শুধু বুঝেছি, একজন চীনা সাংবাদিক করলেন। ‘নেইমার, তুমি কি মনে করো, ব্রাজিলের স্বাভাবিক খেলার দিন শেষ হয়ে গেছে? তুমি কি মনে করো, কৌশলের দিক থেকেও ব্রাজিল হেরে গেছে?’ ইংরেজিতে ছিল প্রশ্ন দুটো, তাই বুঝতে পারলাম। উত্তর এল পর্তুগিজে, তাই বুঝলাম না। এক ঘণ্টা বেশ শান্ত স্বরে কথা বললেন নেইমার। একটা সময়ে কেঁদে ফেললেন। চোখ মুছে হাসার চেষ্টা করলেন। হাসি আসছিল না। কান্না, হাসি, অশ্রু—এসব অনুবাদ করে দিতে হয় না। তাই নেইমারের কান্নাটা বাংলায় অনুবাদ করে না দিলেও বুঝতে পারলাম। তার আগে টিভিতেই দেখাল, নেইমার ব্রাজিলের অনুশীলন দেখতে গেছেন। সবাইকে জড়িয়ে ধরলেন। সিলভাকে অনেকক্ষণ। স্কলারিকে ধরে হাউমাউ করে কাঁদলেন।একটু খুঁড়িয়েই হাঁটলেন নেইমার। গায়ে জ্যাকেট। মাথার ক্যাপে লেখা এনজেআর। নেইমার জুনিয়র।
কিন্তু শুধু ব্রাজিলের পরিস্থিতি জানলে তো হবে না। আর্জেন্টিনার কী খবর?
জানার জন্য ই-মেইল করলাম পলা অলইক্সারাককে।পলা আর্জেন্টিনার একজন বিখ্যাত তরুণ লেখিকা, বুয়েনস এইরেস রিভিউ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা। গ্রান্টা ম্যাগাজিনে স্প্যানিশ ভাষার সেরা তরুণ লেখকদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন। আমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ-পরিচয় ২০১০-এ, আমেরিকার আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখক কর্মশালায়।
আর্জেন্টিনার কাউকে পেলেই আমরা, বাঙালি লেখকেরা, দুটো কথার পর তিন নম্বর কথা যেটা বলি, আমিও প্রথম দেখাতেই ওকে তাই বলেছিলাম। শোনো, আমি বাংলা ভাষার লেখক, আমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর তোমাদের ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর যে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, জানো তো।
কে না জানে। পলা অবশ্যই জানে। ব্যাস, একধরনের বন্ধুত্বই হয়ে গেল পলার সঙ্গে।
১০ জুলাই ই-মেইলে ওকে জিগ্যেস করলাম, পলা, বুয়েনস এইরেসের পরিস্থিতি কী?
পলা লিখেছে, একস্ট্যাটিক। উত্তেজনাকর। সে রাতে, বিজয়ের পর, বুয়েনস এইরেসের সমস্ত রাস্তাঘাট প্রতিটা কোণ ছেয়ে গেল মানুষে আর মানুষে। মানুষ উল্লাস করছে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে। লড়াই হবে এক ধ্রুপদি প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে, যার নাম জার্মানি আর লড়াইটা হবে ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিদ্বন্দ্বীর দেশে, ব্রাজিলে।
ব্রাজিলকে ভাই বলে ডাকা! শুনে কানটা আরামই পেল। ১০ জুলাই কয়েকজন ব্রাজিলিয়ানও বলল, আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেছে, এ তো ভালোই। আমাদের প্রতিবেশী আর বন্ধু দেশই তো।
পলা লেখিকা। ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর দেশের লেখিকা। বলতে ভুলে গেছি, ব্রাসিলিয়াতে ওই সেভেনে পড়া আর্জেন্টিনার বালকটিকেও বলেছিলাম ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর কথা, ও ওর বাবাকে জিগ্যেস করে জবাব দিল, ওকাম্পোর বাড়ি এখন জাদুঘর।
‘পলা, তোমার কাছে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার এত দূর আসাটাকে কেমন লাগছে?’ জিগ্যেস করি।
পলা বিশ্বকাপটাকে একটা পার্টি হিসেবে বর্ণনা করল।
বলল, ‘আমি আসলেই চেয়েছিলাম ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা ফাইনাল হোক। বিশ্বকাপ হচ্ছে একটা বিশাল ব্যয়বহুল জাঁকজমকপূর্ণ পার্টি। আসলে কিন্তু দুজন গোপন প্রেমিক-প্রেমিকার অভিসারের একটা উপলক্ষ। পার্টি ফুরিয়ে আসে। সব মেহমান একে একে চলে যেতে থাকে। দুজন শুধু থেকে যায়। আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল থেকে যাবে, এই তো ছিল আশা, তারা তাদের প্রণয়বেদনা নিয়ে মিলিত হবে। কিন্তু পথে হানা দিল এক জার্মান রোবট। প্রেমের গল্পটা ভেঙে গেল, কারণ তারা মাঝপথে হেনস্তা হলো কতগুলো রোবটের হাতে। তাদের এত দিনের প্রণয়াকাঙ্ক্ষা পরিণতি পেতে ব্যর্থ হলো।’
পলা লিখেছে, ‘জার্মানদের কাছে ব্রাজিল হেরে গেছে, আমার খুবই খারাপ লাগছে। দেখো কী রকম, ৫-০ গোলে এগিয়ে থেকেও জার্মানরা হলুদ কার্ড চায় আর অস্কারের গোল মিস হয়ে যাচ্ছে নিষ্ঠুর কসাইগিরির কাছে, একে তুমি অপছন্দ না করে পারবে?’
আমি বলি, ‘পলা, চলে এসো রিওতে। বুয়েনস এইরেস থেকে তো আর বেশি দূরে নয় রিও।’
‘দেখি যদি টিকেট পাই। চেষ্টা করছি টিকিট জোগাড় করার।’
‘আমিও চেষ্টা করছি টিকিট জোগাড় করার, ব্রাসিলিয়া থেকে রিও-র।’
বিমানের টিকিটটাই এখন মহার্ঘ্য।
বিশ্বকাপ শুরুর সময়ে রবীন্দ্রনাথ থেকে উদ্ধৃত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম—
‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো
সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও।।’
ওই গানের মধ্যে একটা চমৎকার কথা আছে, ‘গোপনে প্রেম রয় না ঘরে, আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ে— সবার তুমি আনন্দধন হে প্রিয়, আনন্দ সেই আমারও।’
খুব অন্য রকম অর্থে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু বিশ্বসাথে যোগের একটা উপলক্ষ কি বিশ্বকাপও দেয় না? আর আমাদের প্রেমগুলো ... মেসির জন্য, নেইমারের জন্য, মুলারের জন্য, রোবেনের জন্য, বিয়াত্রিজ আর ফ্রেডের প্রেমকাহিনির জন্য ... কি আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ে না?
ইউটিউবে এখন তাই এই গানটাই শুনি—
‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো
সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও।।’
আমি বসে আছি ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে শহরে।হরিজন মানুষ, হরিজন্তেই থাকব, সন্দেহ কী! বসে বসে বিশ্বকাপের খবর সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। এক ঘণ্টা ধরে নেইমারের সংবাদ সম্মেলন দেখাল স্পোর্টস চ্যানেলে। লাইভ। একবিন্দু পর্তুগিজ বুঝি না। তবু দেখলাম। দুটো প্রশ্ন শুধু বুঝেছি, একজন চীনা সাংবাদিক করলেন। ‘নেইমার, তুমি কি মনে করো, ব্রাজিলের স্বাভাবিক খেলার দিন শেষ হয়ে গেছে? তুমি কি মনে করো, কৌশলের দিক থেকেও ব্রাজিল হেরে গেছে?’ ইংরেজিতে ছিল প্রশ্ন দুটো, তাই বুঝতে পারলাম। উত্তর এল পর্তুগিজে, তাই বুঝলাম না। এক ঘণ্টা বেশ শান্ত স্বরে কথা বললেন নেইমার। একটা সময়ে কেঁদে ফেললেন। চোখ মুছে হাসার চেষ্টা করলেন। হাসি আসছিল না। কান্না, হাসি, অশ্রু—এসব অনুবাদ করে দিতে হয় না। তাই নেইমারের কান্নাটা বাংলায় অনুবাদ করে না দিলেও বুঝতে পারলাম। তার আগে টিভিতেই দেখাল, নেইমার ব্রাজিলের অনুশীলন দেখতে গেছেন। সবাইকে জড়িয়ে ধরলেন। সিলভাকে অনেকক্ষণ। স্কলারিকে ধরে হাউমাউ করে কাঁদলেন।একটু খুঁড়িয়েই হাঁটলেন নেইমার। গায়ে জ্যাকেট। মাথার ক্যাপে লেখা এনজেআর। নেইমার জুনিয়র।
কিন্তু শুধু ব্রাজিলের পরিস্থিতি জানলে তো হবে না। আর্জেন্টিনার কী খবর?
জানার জন্য ই-মেইল করলাম পলা অলইক্সারাককে।পলা আর্জেন্টিনার একজন বিখ্যাত তরুণ লেখিকা, বুয়েনস এইরেস রিভিউ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা। গ্রান্টা ম্যাগাজিনে স্প্যানিশ ভাষার সেরা তরুণ লেখকদের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন। আমার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ-পরিচয় ২০১০-এ, আমেরিকার আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখক কর্মশালায়।
আর্জেন্টিনার কাউকে পেলেই আমরা, বাঙালি লেখকেরা, দুটো কথার পর তিন নম্বর কথা যেটা বলি, আমিও প্রথম দেখাতেই ওকে তাই বলেছিলাম। শোনো, আমি বাংলা ভাষার লেখক, আমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর তোমাদের ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর যে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, জানো তো।
কে না জানে। পলা অবশ্যই জানে। ব্যাস, একধরনের বন্ধুত্বই হয়ে গেল পলার সঙ্গে।
১০ জুলাই ই-মেইলে ওকে জিগ্যেস করলাম, পলা, বুয়েনস এইরেসের পরিস্থিতি কী?
পলা লিখেছে, একস্ট্যাটিক। উত্তেজনাকর। সে রাতে, বিজয়ের পর, বুয়েনস এইরেসের সমস্ত রাস্তাঘাট প্রতিটা কোণ ছেয়ে গেল মানুষে আর মানুষে। মানুষ উল্লাস করছে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে। লড়াই হবে এক ধ্রুপদি প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে, যার নাম জার্মানি আর লড়াইটা হবে ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিদ্বন্দ্বীর দেশে, ব্রাজিলে।
ব্রাজিলকে ভাই বলে ডাকা! শুনে কানটা আরামই পেল। ১০ জুলাই কয়েকজন ব্রাজিলিয়ানও বলল, আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেছে, এ তো ভালোই। আমাদের প্রতিবেশী আর বন্ধু দেশই তো।
পলা লেখিকা। ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর দেশের লেখিকা। বলতে ভুলে গেছি, ব্রাসিলিয়াতে ওই সেভেনে পড়া আর্জেন্টিনার বালকটিকেও বলেছিলাম ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর কথা, ও ওর বাবাকে জিগ্যেস করে জবাব দিল, ওকাম্পোর বাড়ি এখন জাদুঘর।
‘পলা, তোমার কাছে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার এত দূর আসাটাকে কেমন লাগছে?’ জিগ্যেস করি।
পলা বিশ্বকাপটাকে একটা পার্টি হিসেবে বর্ণনা করল।
বলল, ‘আমি আসলেই চেয়েছিলাম ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা ফাইনাল হোক। বিশ্বকাপ হচ্ছে একটা বিশাল ব্যয়বহুল জাঁকজমকপূর্ণ পার্টি। আসলে কিন্তু দুজন গোপন প্রেমিক-প্রেমিকার অভিসারের একটা উপলক্ষ। পার্টি ফুরিয়ে আসে। সব মেহমান একে একে চলে যেতে থাকে। দুজন শুধু থেকে যায়। আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল থেকে যাবে, এই তো ছিল আশা, তারা তাদের প্রণয়বেদনা নিয়ে মিলিত হবে। কিন্তু পথে হানা দিল এক জার্মান রোবট। প্রেমের গল্পটা ভেঙে গেল, কারণ তারা মাঝপথে হেনস্তা হলো কতগুলো রোবটের হাতে। তাদের এত দিনের প্রণয়াকাঙ্ক্ষা পরিণতি পেতে ব্যর্থ হলো।’
পলা লিখেছে, ‘জার্মানদের কাছে ব্রাজিল হেরে গেছে, আমার খুবই খারাপ লাগছে। দেখো কী রকম, ৫-০ গোলে এগিয়ে থেকেও জার্মানরা হলুদ কার্ড চায় আর অস্কারের গোল মিস হয়ে যাচ্ছে নিষ্ঠুর কসাইগিরির কাছে, একে তুমি অপছন্দ না করে পারবে?’
আমি বলি, ‘পলা, চলে এসো রিওতে। বুয়েনস এইরেস থেকে তো আর বেশি দূরে নয় রিও।’
‘দেখি যদি টিকেট পাই। চেষ্টা করছি টিকিট জোগাড় করার।’
‘আমিও চেষ্টা করছি টিকিট জোগাড় করার, ব্রাসিলিয়া থেকে রিও-র।’
বিমানের টিকিটটাই এখন মহার্ঘ্য।
বিশ্বকাপ শুরুর সময়ে রবীন্দ্রনাথ থেকে উদ্ধৃত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম—
‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো
সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও।।’
ওই গানের মধ্যে একটা চমৎকার কথা আছে, ‘গোপনে প্রেম রয় না ঘরে, আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ে— সবার তুমি আনন্দধন হে প্রিয়, আনন্দ সেই আমারও।’
খুব অন্য রকম অর্থে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু বিশ্বসাথে যোগের একটা উপলক্ষ কি বিশ্বকাপও দেয় না? আর আমাদের প্রেমগুলো ... মেসির জন্য, নেইমারের জন্য, মুলারের জন্য, রোবেনের জন্য, বিয়াত্রিজ আর ফ্রেডের প্রেমকাহিনির জন্য ... কি আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ে না?
ইউটিউবে এখন তাই এই গানটাই শুনি—
‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো
সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও।।’
No comments