মা কারাগারে, কী দোষ শিশুদের? by গাজী ফিরোজ
ওরা ৪৪ জন।সবার বয়স তিন মাস থেকে আট বছরের মধ্যে। আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার বয়সে ওদের মায়ের অপরাধের কারণে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকতে হচ্ছে। ওদের খেলাধুলা, দৌড়ঝাঁপ আর শৈশবের মানসিক বিকাশের জন্য কারাগারে নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। নেই কোনো ডে-কেয়ার সেন্টার।
কারাগারে এসব শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে বাধা ও সামাজিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে বলে অভিমত প্রকাশ করে তাদের আলাদাভাবে সুন্দর পরিবেশে গড়ে তোলার ওপর পরামর্শ দিয়েছেন সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীরা।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রশিদ বলেন, কারাগারে একটি ডে-কেয়ার সেন্টার থাকলে শিশুদের মানসিক বিকাশের পথ সুগম হতো।
কারা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কারাগারে গাদাগাদি করে মায়েদের সঙ্গে থাকতে হচ্ছে শিশুদের। চিৎকার, চেঁচামেচি ও খিস্তিখেউর শুনছে সারাক্ষণ এ শিশুরা। জমিলা খাতুন নামের এক নারী চার কন্যা ও এক শিশুপুত্র নিয়ে কারাগারে আছেন এক বছর ধরে। তিন কন্যাশিশু নিয়ে তাহেরা বেগম আছেন ছয় মাস ধরে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জেসমিন আক্তার চার মাস আগে এক কন্যা প্রসব করেন কারাগারে। হত্যা, মাদক ও চোরাচালান মামলার আসামি তাদের মায়ের সঙ্গে কারাগারে বিরূপ পরিবেশে বেড়ে উঠছে ৪৪ শিশু।
চট্টগ্রাম কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগির মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বন্দী মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুদের বিনোদন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে কারাগারে। ডে-কেয়ার সেন্টার তৈরির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা আটকে আছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পরিবার ও সমাজের পরিবেশটা শিশুর ওপর প্রভাব ফেলে।কারাগারে বন্দী মায়েদের সঙ্গে শিশুরা থাকলে তাদের সুস্থ সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন জানান, একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠন তার পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে গড়ে ওঠে। মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত বন্দী মায়েদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার না পাওয়া এবং আক্ষেপের গল্প শুনবে শিশুরা। এতে ওদের সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে সমাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সঞ্চিত হবে। তা ছাড়া কারাগারের বিচ্ছিন্ন পরিবেশে বড় হওয়ায় শিশুদের আবেগের পরিপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ ঘটছে না। শৈশবের আবেগ প্রকাশিত না হলে আক্রমণাত্মক মনোভাবের সৃষ্টি হতে পারে তাদের। কারাবিধি অনুযায়ী, বন্দী মায়েদের সঙ্গে চার বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা কারাগারে থাকতে পারে। এরপর কারা তত্ত্বাবধায়কের অনুমতি নিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত রাখার নিয়ম রয়েছে।
কারাগারে এসব শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে বাধা ও সামাজিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে বলে অভিমত প্রকাশ করে তাদের আলাদাভাবে সুন্দর পরিবেশে গড়ে তোলার ওপর পরামর্শ দিয়েছেন সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীরা।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রশিদ বলেন, কারাগারে একটি ডে-কেয়ার সেন্টার থাকলে শিশুদের মানসিক বিকাশের পথ সুগম হতো।
কারা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কারাগারে গাদাগাদি করে মায়েদের সঙ্গে থাকতে হচ্ছে শিশুদের। চিৎকার, চেঁচামেচি ও খিস্তিখেউর শুনছে সারাক্ষণ এ শিশুরা। জমিলা খাতুন নামের এক নারী চার কন্যা ও এক শিশুপুত্র নিয়ে কারাগারে আছেন এক বছর ধরে। তিন কন্যাশিশু নিয়ে তাহেরা বেগম আছেন ছয় মাস ধরে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জেসমিন আক্তার চার মাস আগে এক কন্যা প্রসব করেন কারাগারে। হত্যা, মাদক ও চোরাচালান মামলার আসামি তাদের মায়ের সঙ্গে কারাগারে বিরূপ পরিবেশে বেড়ে উঠছে ৪৪ শিশু।
চট্টগ্রাম কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগির মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বন্দী মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুদের বিনোদন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে কারাগারে। ডে-কেয়ার সেন্টার তৈরির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা আটকে আছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পরিবার ও সমাজের পরিবেশটা শিশুর ওপর প্রভাব ফেলে।কারাগারে বন্দী মায়েদের সঙ্গে শিশুরা থাকলে তাদের সুস্থ সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন জানান, একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠন তার পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে গড়ে ওঠে। মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত বন্দী মায়েদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার না পাওয়া এবং আক্ষেপের গল্প শুনবে শিশুরা। এতে ওদের সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে সমাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সঞ্চিত হবে। তা ছাড়া কারাগারের বিচ্ছিন্ন পরিবেশে বড় হওয়ায় শিশুদের আবেগের পরিপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ ঘটছে না। শৈশবের আবেগ প্রকাশিত না হলে আক্রমণাত্মক মনোভাবের সৃষ্টি হতে পারে তাদের। কারাবিধি অনুযায়ী, বন্দী মায়েদের সঙ্গে চার বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা কারাগারে থাকতে পারে। এরপর কারা তত্ত্বাবধায়কের অনুমতি নিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত রাখার নিয়ম রয়েছে।
No comments