ইংরেজি ভাষার জ্ঞান! by আতাউর রহমান
গত শতাব্দীর শেষ দশকের প্রারম্ভে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত আমাদের দূতাবাসে আমি লেবার কাউন্সেলর পদে কর্মরত ছিলাম। ইংরেজি ভাষায় জ্ঞানের অপর্যাপ্ততা হেতু অনেককে ‘কাউন্সেলর’-এর পরিবর্তে ‘কাউন্সিলর’ উচ্চারণ করতে আমি স্বকর্ণে শুনেছি। অথচ ‘কাউন্সেলর’ ও ‘কাউন্সিলর’ সম্পূর্ণ ভিন্নার্থক শব্দ—‘কাউন্সেলর’ হচ্ছে পরামর্শদাতা আর ‘কাউন্সিলর’ মানে পরিষদ সদস্য, যিনি সাধারণত ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
সে যা হোক, সৌদি আরবে অবস্থানকালে আমি নিয়মিত সেখানকার সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজ পড়তাম। তো একবার ওই পত্রিকায় ইংরেজি ভাষায় ব্যুৎপত্তিজনিত একটি সরস গল্প বেরিয়েছিল: রিয়াদের এক হাসপাতালে ডাক্তার সৌদি ও নার্স ইংরেজ। পাঁচ মিনিট আগে ডাক্তার দেখে গেছেন জনৈক রোগী কোমায়, একেবারেই চলনশক্তিরহিত। পাঁচ মিনিট পর নার্স দৌড়ে এসে তাঁকে জানালেন, ‘ডক্টর, ডক্টর, দ্য পেশেন্ট হ্যাজ কিকড দ্য ককেট।’ ‘কিক দ্য ককেট’—ইংরেজি একটি বাগ্ধারা, সেটা বাংলায় ‘পটোল তোলা’ তথা মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার সমতুল্য; এটা সৌদি ডাক্তারের জানা ছিল না। তাই তিনি কথাটাকে আক্ষরিক অর্থে নিয়ে সবিস্ময়ে নার্সকে ইংরেজিতে যা বললেন, সেটা বাংলায় ভাষান্তরিত করলে দাঁড়ায়, ‘পাঁচ মিনিট পূর্বে আমি রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে এলাম। এই সামান্য সময়ের মধ্যে সে শরীরে এত শক্তি কোত্থেকে পেল যে বালতিকে লাথি মেরে ফেলে দিল?’
আর আরবি ভাষা খুব প্রাচীন ও প্রাচুর্যময়; অথচ আরবিতে বাংলা ‘প’ ও ইংরেজি ‘পি’র উচ্চারণ নেই। এ কারণে আরবদের উচ্চারণে ‘পাকিস্তান’ হয়ে যায় ‘বাকিস্তান’, ‘পার্কিং’ হয়ে যায় ‘বার্কিং’। তো এ নিয়েও একটি মজার গল্প আছে: জনৈক আরব পরিব্রাজক বিলেতে গাড়ি চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে কর্তব্যরত পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ক্যান আই বার্ক হিয়ার (আমি কি এখানে পার্ক করতে পারি)?’ বিলেতের পুলিশও রসিকতায় কম যায় না, সে একগাল হেসে জবাব দিল, ‘ইউ ক্যান বার্ক, এজ লং এজ ইউ লাইক, বাট ইউ কান্ট পার্ক হিয়ার।’ অর্থাৎ ‘আপনি, যতক্ষণ খুশি এখানে ঘেউ ঘেউ করতে পারেন, তবে এখানে পার্ক করতে পারবেন না।’
মাত্র ১৯ মাইল প্রশস্ত ইংলিশ চ্যানেলের দুই পাশে অবস্থিত দুই দেশ—ব্রিটেন ও ফ্রান্স। অথচ দুই দেশের ভাষায় বিস্তর ফারাক। তো এক ফ্রেঞ্চম্যান বিলেতে বেড়াতে গেছে। যথারীতি ইংরেজি ভাষায় তার দখল খুবই সীমিত। তার ইংরেজ বন্ধু তার সম্মানার্থে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে তাকে বলল, তুমি তো জানো, ভোজ-উত্তর দাঁড়িয়ে কিছু বলা নিয়ম। তুমি শুধু বলবে ‘থ্যাঙ্ক ইউ ফ্রম দ্য হার্ট অব মাই বটম’ অর্থাৎ ‘আপনাদের আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ।’ কিন্তু যথাসময়ে সে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যা বলল, তাতে উপস্থিত সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল। সে বলে বসল, ‘থ্যাঙ্ক ইউ ফ্রম দ্য হার্ট অব মাই বটর্ম, যেটার অর্থ দাঁড়ায় ‘আপনাদের আমার পায়ুপথ থেকে ধন্যবাদ।’
একই ব্যাপার জাপানিদের বেলায়ও প্রযোজ্য। জাপানিদের ইংরেজি ভাষায় ব্যুৎপত্তিও খুবই সীমিত। তো জনৈক জাপানি গিয়েছিল আমেরিকায়। যাওয়ার আগে সে শুনে গেছে, আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক জাহাজ ডুবে সহস্রাধিক যাত্রী মারা যাওয়ার জন্য দায়ী ছিল একটি আইসবার্গ।তাই আমেরিকায় গিয়ে জনৈক মি. গোল্ডবার্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটতেই সে বলে বসল, ‘ও, তাহলে আপনার কাজিন মি. আইসবার্গই বুঝি টাইটানিক জাহাজ ডুবিয়েছিল।’
ফিরে আসি নিজের দেশের কথায়। আমাদের দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গিয়েছিল’, এই বাক্যের ইংরেজি কী? প্রত্যুত্তরে ছেলেটি নাকি বলেছিল, ‘ইংরেজি কী, তা জানি না; তবে বাক্যটির আরবি জানি—‘আরবি হচ্ছে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
ছেলেটিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের দেশের এক প্রয়াত সিভিল সার্ভেন্ট নাকি সরকারি সফরে বিলেতে গিয়ে রাতে ডিনারের টেবিলে পাশে উপবিষ্ট মধ্যবয়সী ইংরেজ মহিলাকে আমাদের দেশীয় স্টাইলে ‘আপনার শইলটা কেমন’ জিজ্ঞেস করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘ম্যাডাম, হাউ ইজ ইওর বডি টু-নাইট?’ আর সাম্প্রতিককালে জনৈক সচিব একটি জেলা পরিদর্শনে গেলে জেলা প্রশাসক তাঁকে সার্কিট হাউসে রেখে খাতির-যত্ন তো করলেনই, বিদায়লগ্নে বলে বসলেন, ‘স্যার, আপনাকে ভালোমতো হসপিটালাইজ করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।’ সচিব সাহেব তদুত্তরে কী বলেছিলেন, সেটা জানা যায়নি; তবে জেলা প্রশাসক মহোদয় যে ইংরেজি ‘হসপিটালিটি’ (আতিথেয়তা) ও ‘হসপিটালাইজ’ (হাসপাতালে ভর্তি)—এ দুটো শব্দের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন, সেটা সহজেই অনুমেয়।
‘সিভিল সার্ভেন্ট’ বলতে মনে পড়ে গেল, সেবারে মালদ্বীপে গিয়ে শুনেছিলাম ‘সার্ভেন্ট’ ও ‘সার্পেন্ট’ নিয়ে বিভ্রান্তির গল্প: ইংরেজ টুরিস্ট প্রাচ্যের সাপের ভয়ে ভীত। কাজেই হোটেল রুমে প্রবিষ্ট হয়েই তিনি সামনে দাঁড়ানো বেল-বয়কে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এখানে সার্পেন্ট আছে?’ উত্তর এল, ‘হ্যাঁ।’ এবারে প্রশ্ন, হোটেলের কামরায় আসে? উত্তর ‘হ্যাঁ’ আসে। আবারও প্রশ্ন, ‘কীভাবে আসে?’ উত্তর এল, ‘কলবেল টিপলেই আসে।’ এভাবে খানিকক্ষণ প্রশ্নোত্তরের পর বোঝা গেল, তিনি বোঝাচ্ছিলেন ‘সার্পেন্ট’ তথা সাপ; অপরদিকে বেল-বয় বুঝেছিল ‘সার্ভেন্ট’ তথা সেবক।
আর এবারে মালয়েশিয়ায় গিয়ে শুনলাম হোটেল ম্যানেজারের ইংরেজি ভাষাজ্ঞানের গল্প। হোটেলের লবিতে ইংরেজিতে নোটিশ টাঙানো, ‘দ্য ওয়াটার অব দিস হোটেল ইজ হানড্রেড পারসেন্ট পিওর। ইট হ্যাজ অল বিন পাসড বাই দ্য ম্যানেজার অব দ্য হোটেল।’
বলা বাহুল্য, ইংরেজি ভাষায় যথাযথ জ্ঞানের অভাবে ‘সার্টিফায়েড’-এর পরিবর্তে ‘পাসড’ শব্দটি লেখায় বোঝাচ্ছিল, হোটেলটির পানি ম্যানেজার মহোদয়ের প্রস্তাব বৈ আর কিছুই নয়।
আতাউর রহমান: রম্য লেখক৷ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক৷
সে যা হোক, সৌদি আরবে অবস্থানকালে আমি নিয়মিত সেখানকার সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজ পড়তাম। তো একবার ওই পত্রিকায় ইংরেজি ভাষায় ব্যুৎপত্তিজনিত একটি সরস গল্প বেরিয়েছিল: রিয়াদের এক হাসপাতালে ডাক্তার সৌদি ও নার্স ইংরেজ। পাঁচ মিনিট আগে ডাক্তার দেখে গেছেন জনৈক রোগী কোমায়, একেবারেই চলনশক্তিরহিত। পাঁচ মিনিট পর নার্স দৌড়ে এসে তাঁকে জানালেন, ‘ডক্টর, ডক্টর, দ্য পেশেন্ট হ্যাজ কিকড দ্য ককেট।’ ‘কিক দ্য ককেট’—ইংরেজি একটি বাগ্ধারা, সেটা বাংলায় ‘পটোল তোলা’ তথা মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার সমতুল্য; এটা সৌদি ডাক্তারের জানা ছিল না। তাই তিনি কথাটাকে আক্ষরিক অর্থে নিয়ে সবিস্ময়ে নার্সকে ইংরেজিতে যা বললেন, সেটা বাংলায় ভাষান্তরিত করলে দাঁড়ায়, ‘পাঁচ মিনিট পূর্বে আমি রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে এলাম। এই সামান্য সময়ের মধ্যে সে শরীরে এত শক্তি কোত্থেকে পেল যে বালতিকে লাথি মেরে ফেলে দিল?’
আর আরবি ভাষা খুব প্রাচীন ও প্রাচুর্যময়; অথচ আরবিতে বাংলা ‘প’ ও ইংরেজি ‘পি’র উচ্চারণ নেই। এ কারণে আরবদের উচ্চারণে ‘পাকিস্তান’ হয়ে যায় ‘বাকিস্তান’, ‘পার্কিং’ হয়ে যায় ‘বার্কিং’। তো এ নিয়েও একটি মজার গল্প আছে: জনৈক আরব পরিব্রাজক বিলেতে গাড়ি চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে কর্তব্যরত পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ক্যান আই বার্ক হিয়ার (আমি কি এখানে পার্ক করতে পারি)?’ বিলেতের পুলিশও রসিকতায় কম যায় না, সে একগাল হেসে জবাব দিল, ‘ইউ ক্যান বার্ক, এজ লং এজ ইউ লাইক, বাট ইউ কান্ট পার্ক হিয়ার।’ অর্থাৎ ‘আপনি, যতক্ষণ খুশি এখানে ঘেউ ঘেউ করতে পারেন, তবে এখানে পার্ক করতে পারবেন না।’
মাত্র ১৯ মাইল প্রশস্ত ইংলিশ চ্যানেলের দুই পাশে অবস্থিত দুই দেশ—ব্রিটেন ও ফ্রান্স। অথচ দুই দেশের ভাষায় বিস্তর ফারাক। তো এক ফ্রেঞ্চম্যান বিলেতে বেড়াতে গেছে। যথারীতি ইংরেজি ভাষায় তার দখল খুবই সীমিত। তার ইংরেজ বন্ধু তার সম্মানার্থে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে তাকে বলল, তুমি তো জানো, ভোজ-উত্তর দাঁড়িয়ে কিছু বলা নিয়ম। তুমি শুধু বলবে ‘থ্যাঙ্ক ইউ ফ্রম দ্য হার্ট অব মাই বটম’ অর্থাৎ ‘আপনাদের আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ।’ কিন্তু যথাসময়ে সে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যা বলল, তাতে উপস্থিত সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল। সে বলে বসল, ‘থ্যাঙ্ক ইউ ফ্রম দ্য হার্ট অব মাই বটর্ম, যেটার অর্থ দাঁড়ায় ‘আপনাদের আমার পায়ুপথ থেকে ধন্যবাদ।’
একই ব্যাপার জাপানিদের বেলায়ও প্রযোজ্য। জাপানিদের ইংরেজি ভাষায় ব্যুৎপত্তিও খুবই সীমিত। তো জনৈক জাপানি গিয়েছিল আমেরিকায়। যাওয়ার আগে সে শুনে গেছে, আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক জাহাজ ডুবে সহস্রাধিক যাত্রী মারা যাওয়ার জন্য দায়ী ছিল একটি আইসবার্গ।তাই আমেরিকায় গিয়ে জনৈক মি. গোল্ডবার্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটতেই সে বলে বসল, ‘ও, তাহলে আপনার কাজিন মি. আইসবার্গই বুঝি টাইটানিক জাহাজ ডুবিয়েছিল।’
ফিরে আসি নিজের দেশের কথায়। আমাদের দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গিয়েছিল’, এই বাক্যের ইংরেজি কী? প্রত্যুত্তরে ছেলেটি নাকি বলেছিল, ‘ইংরেজি কী, তা জানি না; তবে বাক্যটির আরবি জানি—‘আরবি হচ্ছে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
ছেলেটিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের দেশের এক প্রয়াত সিভিল সার্ভেন্ট নাকি সরকারি সফরে বিলেতে গিয়ে রাতে ডিনারের টেবিলে পাশে উপবিষ্ট মধ্যবয়সী ইংরেজ মহিলাকে আমাদের দেশীয় স্টাইলে ‘আপনার শইলটা কেমন’ জিজ্ঞেস করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘ম্যাডাম, হাউ ইজ ইওর বডি টু-নাইট?’ আর সাম্প্রতিককালে জনৈক সচিব একটি জেলা পরিদর্শনে গেলে জেলা প্রশাসক তাঁকে সার্কিট হাউসে রেখে খাতির-যত্ন তো করলেনই, বিদায়লগ্নে বলে বসলেন, ‘স্যার, আপনাকে ভালোমতো হসপিটালাইজ করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।’ সচিব সাহেব তদুত্তরে কী বলেছিলেন, সেটা জানা যায়নি; তবে জেলা প্রশাসক মহোদয় যে ইংরেজি ‘হসপিটালিটি’ (আতিথেয়তা) ও ‘হসপিটালাইজ’ (হাসপাতালে ভর্তি)—এ দুটো শব্দের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন, সেটা সহজেই অনুমেয়।
‘সিভিল সার্ভেন্ট’ বলতে মনে পড়ে গেল, সেবারে মালদ্বীপে গিয়ে শুনেছিলাম ‘সার্ভেন্ট’ ও ‘সার্পেন্ট’ নিয়ে বিভ্রান্তির গল্প: ইংরেজ টুরিস্ট প্রাচ্যের সাপের ভয়ে ভীত। কাজেই হোটেল রুমে প্রবিষ্ট হয়েই তিনি সামনে দাঁড়ানো বেল-বয়কে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এখানে সার্পেন্ট আছে?’ উত্তর এল, ‘হ্যাঁ।’ এবারে প্রশ্ন, হোটেলের কামরায় আসে? উত্তর ‘হ্যাঁ’ আসে। আবারও প্রশ্ন, ‘কীভাবে আসে?’ উত্তর এল, ‘কলবেল টিপলেই আসে।’ এভাবে খানিকক্ষণ প্রশ্নোত্তরের পর বোঝা গেল, তিনি বোঝাচ্ছিলেন ‘সার্পেন্ট’ তথা সাপ; অপরদিকে বেল-বয় বুঝেছিল ‘সার্ভেন্ট’ তথা সেবক।
আর এবারে মালয়েশিয়ায় গিয়ে শুনলাম হোটেল ম্যানেজারের ইংরেজি ভাষাজ্ঞানের গল্প। হোটেলের লবিতে ইংরেজিতে নোটিশ টাঙানো, ‘দ্য ওয়াটার অব দিস হোটেল ইজ হানড্রেড পারসেন্ট পিওর। ইট হ্যাজ অল বিন পাসড বাই দ্য ম্যানেজার অব দ্য হোটেল।’
বলা বাহুল্য, ইংরেজি ভাষায় যথাযথ জ্ঞানের অভাবে ‘সার্টিফায়েড’-এর পরিবর্তে ‘পাসড’ শব্দটি লেখায় বোঝাচ্ছিল, হোটেলটির পানি ম্যানেজার মহোদয়ের প্রস্তাব বৈ আর কিছুই নয়।
আতাউর রহমান: রম্য লেখক৷ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক৷
No comments