লোকসভা নির্বাচনে এত সময় লাগে কেন?
ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে গত ৭ এপ্রিল, চলবে ১২ মে পর্যন্ত। ২৮ রাজ্যবিশিষ্ট দেশটিতে ৫৪৩টি আসনের জন্য মোট নয় পর্বে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি অর্থাৎ ৩৬ দিন ধরে। ভারতের এ দীর্ঘ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে কি এত প্রলম্বিত নির্বাচন হওয়া কি উচিত? বিবিসি ম্যাগাজিনে আজ শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচন পাঁচ পর্বে অনুষ্ঠিত হয়, চলে এক মাস ধরে। দেশটির ইতিহাসের প্রথম নির্বাচন অর্থাৎ ১৯৫১-৫২ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন চলেছিল তিন মাস ধরে। তবে ১৯৬২ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় চার থেকে ১০ দিনের মধ্যে। এর মধ্যে ১৯৮০ সালের নির্বাচন ছিল ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে স্বল্প সময়ের নির্বাচন, যা চলেছিল মাত্র চারদিন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাওয়িদ লাইকের মতে, ভারতের নির্বাচন 'অন্তহীন' নির্বাচন। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার তিক্ততার পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। এ ছাড়া এ সময় দেশের উন্নয়ন কাজ থমকে যায়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ইন্দোনেশিয়া কিংবা ব্রাজিলের মতো ঘন বসতিপূর্ণ দেশ যদি একদিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারে তবে ভারত কেন পারবে না? বিবিসির প্রতিবেদক সৌতিক বিশ্বাসের মতে, ভারতে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রলম্বিত হওয়ার অন্যতম কারণ স্থানীয় পুলিশের দলীয়করণ। ভারতে প্রতিটি লোকসভা নির্বাচনে সহিংসতা এবং ভোট জালিয়াতি-দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। নির্বাচনি সহিংসতায় অনেকেই প্রাণ হারায়। এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কোরেশী বলেন, স্থানীয় পুলিশের দলীয়করণের কারণে নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করতে হয়। এ সময় তাঁদের নিজস্ব কাজ থেকে মুক্ত থেকে শান্তি রক্ষায় ট্রেনে-বাসে চড়ে দেশের নানান স্থানে টহল দিতে হয়, বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ কারণে নির্বাচনের সময় বেশি লাগে। এবারের নির্বাচনে ভারতজুড়ে মোট এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রীয় পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন প্রলম্বিত করার পেছনে আরেকটি কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে ভোটারদের আচরণ প্রভাবিত করার চেষ্টা চলে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সঞ্জয় কুমারের মতে, প্রলম্বিত নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন দল বা প্রার্থীর জিতে যাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়।
কেননা স্বল্প সময়ের নির্বাচনে ভোটাররা বুঝতে পারেন না, কোন প্রার্থী বা দল জিততে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জোর আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার চালানো যায়। কয়েক পর্বের নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজেদের নির্বাচনি প্রচার চালানোরও যথেষ্ট সময় পান। এর ফলে ভোটারদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সম্ভব হয়। এ দুই কারণ ছাড়াও নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, অর্থের জোগান কম থাকা, যন্ত্রপাতির স্বল্পতা, অপর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ইত্যাদি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাওয়িদ লাইকের মতে, ভারতের নির্বাচন 'অন্তহীন' নির্বাচন। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার তিক্ততার পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। এ ছাড়া এ সময় দেশের উন্নয়ন কাজ থমকে যায়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ইন্দোনেশিয়া কিংবা ব্রাজিলের মতো ঘন বসতিপূর্ণ দেশ যদি একদিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারে তবে ভারত কেন পারবে না? বিবিসির প্রতিবেদক সৌতিক বিশ্বাসের মতে, ভারতে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রলম্বিত হওয়ার অন্যতম কারণ স্থানীয় পুলিশের দলীয়করণ। ভারতে প্রতিটি লোকসভা নির্বাচনে সহিংসতা এবং ভোট জালিয়াতি-দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। নির্বাচনি সহিংসতায় অনেকেই প্রাণ হারায়। এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কোরেশী বলেন, স্থানীয় পুলিশের দলীয়করণের কারণে নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করতে হয়। এ সময় তাঁদের নিজস্ব কাজ থেকে মুক্ত থেকে শান্তি রক্ষায় ট্রেনে-বাসে চড়ে দেশের নানান স্থানে টহল দিতে হয়, বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ কারণে নির্বাচনের সময় বেশি লাগে। এবারের নির্বাচনে ভারতজুড়ে মোট এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রীয় পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন প্রলম্বিত করার পেছনে আরেকটি কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে ভোটারদের আচরণ প্রভাবিত করার চেষ্টা চলে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সঞ্জয় কুমারের মতে, প্রলম্বিত নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন দল বা প্রার্থীর জিতে যাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়।
কেননা স্বল্প সময়ের নির্বাচনে ভোটাররা বুঝতে পারেন না, কোন প্রার্থী বা দল জিততে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জোর আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার চালানো যায়। কয়েক পর্বের নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজেদের নির্বাচনি প্রচার চালানোরও যথেষ্ট সময় পান। এর ফলে ভোটারদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সম্ভব হয়। এ দুই কারণ ছাড়াও নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, অর্থের জোগান কম থাকা, যন্ত্রপাতির স্বল্পতা, অপর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ইত্যাদি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
No comments