কোহিনুরকে ফুঁসলিয়ে ঢাকায় এনেছিল লোকমান by মামুনুর রশিদ
কিশোরী কোহিনুরকে ফুঁসলিয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় এনেছিল লম্পট লোকমান। তারা সম্পর্কে খালাত ভাই-বোন।
গত
এক মাস ধরে কোহিনুরকে নিয়ে সে বড় ভাইয়ের খিলগাঁওয়ের বাসায় অবস্থান করছিল
বলে প্রমাণ পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, কোহিনুরকে
বিয়ের কথা বলে ঢাকায় আনা হয়। ঘটনাটি জানতেন তার ভাবী বৃষ্টি। প্রথম দিকে
বৃষ্টি এ ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। বিশেষ করে বাড়িওয়ালার ছেলে নাজমুলের
সঙ্গে তার পরকীয়া ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার আশঙ্কায়। কিন্তু বিষয়টি জানতেন না
বৃষ্টির স্বামী পুলিশ সদস্য সোলায়মান। একদিকে নিজের ছোট ভাই, অন্যদিকে
খালাতো বোন বলে সোলায়মান এ ব্যাপারে তেমন ভ্রূক্ষেপ করেনি। এ সুযোগে বৃষ্টি
তার প্রেমিক নাজমুলের সঙ্গে মেতেছিলেন দিনের পর দিন। অন্যদিকে লোকমান তার
ভাবীর সহযোগিতায় কিশোরী কোহিনুরের ওপরে চালায় যৌন নিপীড়ন। ধর্ষণের পর তাকে
হত্যার ঘটনায় গতকাল খিলগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা
হয়েছে। মামলার বাদী নিহত কোহিনুরের মা আছিয়া বেগম। থানা সূত্র জানায়,
মামলায় আসামি করা হয়েছে তিন জনকে। তারা হলেন- লোকমান তার বড় ভাই সোলায়মান
এবং ভাবী বৃষ্টি। এদিকে স্বামী সোলায়মানের প্রহারে আহত বৃষ্টি ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পুলিশ
হেফাজতে রয়েছে। মামলার এজাহার প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়- কুমিল্লা থেকে
কোহিনুরকে গত ১২ই আগস্ট নম্বর আসামি লোকমান অপহরণ করে ঢাকায় তার বড় ভাইয়ের
বাসায় এনে আত্মগোপন করে। এক পর্যায়ে যৌন নির্যাতন করার পর কোহিনুরকে হত্যা
করা হয়। মেডিকেল সূত্র জানায়, ময়না তদন্ত শেষে কোহিনুরের মৃতদেহ হস্তান্তর
করা হয়েছে স্বজনদের কাছে। ময়না তদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল ফরেন্সি বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম। সোমবার রাজধানীর খিলগাঁও নন্দিপাড়ায়
পুলিশ কনস্টেবল সোলায়মানের বাসায় তার স্ত্রীর পরকীয়া দেখে ফেলায় কিশোরী
কোহিনুরকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়। তার পিতার নাম মৃত শরবত আলী ওরফে কামাল
খান। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার সদর উপজেলার উত্তর জয়কান্তা। স্থানীয় সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী কোহিনুর দুই ভাই, তিন বোনের
মধ্যে তৃতীয়।
No comments