দুর্নীতিবাজদের কারণে যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছে by নির্মল চক্রবর্ত্তী
দুর্নীতি
শব্দের অর্থ হচ্ছে নীতিহীনতা। নিয়ম-নীতি-নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে কোনো কাজ
করাই মূলত দুর্নীতি। অবৈধভাবে, আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে স্বীয় কার্য
উদ্ধারের লক্ষ্যে গ্রহণ করা কোনো খারাপ নীতিই দুর্নীতি। বিশেষ করে যে
ক্ষেত্রে আর্থিক বা অন্য কোনো মূল্যবান সামগ্রী কিংবা সুযোগ-সুবিধা
লেনদেনের সম্পর্ক থাকে। এতে করে নিয়ম-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল,
প্রতিযোগিতায় টিকে যাওয়া সৎ, যোগ্য ও মেধাবীরা তাদের ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে
বঞ্চিত হয়। জীবনের যে কোনো ক্ষেত্রে টিকে থাকতে বা প্রতিষ্ঠা পেতে গেলে
প্রতিযোগিতার প্রয়োজন। আর যে কোনো প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে প্রয়োজন যোগ্যতা,
অভিজ্ঞতা, সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও আনুগত্য। আজকাল ভর্তি পরীক্ষা, নিয়োগ
পরীক্ষা, এমনকি পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন করতে
হয়। স্বাভাবিকভাবে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে যারা
পৌঁছতে পারবে, সাফল্য তাদেরই আসার কথা। কিন্তু ইদানীং সেটা হয় না। এজন্য
ধরতে হয় ভিন্ন পথ। প্রভাব-প্রতিপত্তি, রাজনৈতিক বিবেচনা, আর্থিক লেনদেন
কিংবা অন্য বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধার বিনিময় করতে হয়। বস্তুত সঠিক পথে
ইদানীং কোনো কাজই করা যায় না। দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরে চলছে সীমাহীন
অনিয়ম ও দুর্নীতি। টাকা-পয়সার অবৈধ লেনদেন ছাড়া গাছের পাতাও নড়ানো যাচ্ছে
না। এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে ফাইল সরাতে গেলেও ক্ষেত্রবিশেষে বড় অংকের
অর্থ গুনতে হয়। ছোট অংকের ঘুষ-উৎকোচের ব্যাপার তো বলতে গেলে আমাদের কাছে
সহনীয়ই হয়ে গেছে। আমরা ধরেই নিয়েছি যে, কাজ করতে গেলে সর্বত্র কিছু হাতখরচ,
আপ্যায়ন, কিংবা পকেট মানি বাবদ কিছু ‘সম্মানি’ দিতে হয়। এভাবে চলতে চলতে
বর্তমানে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নৈরাজ্যের এক মহাযজ্ঞ। এটা শুধু দেশে নয়,
বিশ্বজুড়েই সম্প্রসারিত হয়েছে। ছড়িয়েছে সংক্রামক ও দুরারোগ্য ব্যাধির মতো।
গত ১০ জুলাই প্রায় সব পত্রিকায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক দুর্নীতি সম্পর্কিত জরিপ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে শিরোনাম হয়েছে- রাজনৈতিক দল ও পুলিশ সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত। জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ মানুষের ধারণা, দেশে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে রাজনৈতিক দল ও পুলিশ। গ্লোবাল করাপশনে ব্যারোমিটার ব্যবস্থা শীর্ষক এ জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন দেশে দুর্নীতি বেড়েছে। তবে উত্তরদাতাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা হচ্ছে, সরকারি সেবায় ঘুষ দেয়ার হার কমেছে। উত্তরদাতাদের ধারণা, পুলিশ, বিচারব্যবস্থা ও ভূমিসেবা শীর্ষ ঘুষ গ্রহীতা খাত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশে ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতার ধারণা ছিল দেশে দুর্নীতি বেড়েছে। এখন ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা এই ধারণা পোষণ করেন। তবে উত্তরদাতারা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছেন পুলিশ, বিচারব্যবস্থা, ভূমিসেবা ও রেজিস্ট্রেশন, পারমিট সেবা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, শিক্ষা, পরিসেবা (গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি) এবং কর- এই আটটি সেবা খাতে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দেয়ার হার তুলনামূলকভাবে কমেছে। ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, সরকার বিশেষ মহলের (রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক দলের কর্মী, সমর্থক, বিশেষ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ইত্যাদি) স্বার্থ দ্বারা বিভিন্ন মাত্রায় প্রভাবিত হয়। জরিপ বলছে, রাজনৈতিক দল, পুলিশ ও বিচারব্যবস্থার পর দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে সংসদ, সরকারি প্রশাসন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, শিক্ষা, এনজিও, সামরিক বাহিনী এবং ধর্মীয় সংগঠন।
দুর্নীতির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোর একটি তুলনা প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে। বৈশ্বিকভাবে ৫৩ শতাংশ, ভারতের ৭০ শতাংশ এবং আফগানিস্তানের ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতার ধারণা দুর্নীতি বেড়েছে। অন্যদিকে বৈশ্বিকভাবে ৭২ শতাংশ, ভারতের ৮০ শতাংশ এবং আফগানিস্তানের ৭১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, সরকারে দুর্নীতি গুরুতর সমস্যা। জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৩২ শতাংশ উত্তরদাতার ধারণা, দুর্নীতি প্রতিরোধ সরকারি পদক্ষেপ অকার্যকর।
টিআই’র এ প্রতিবেদন নিয়ে আমাদের দেশে রীতিমতো হইচই হড়ে গেছে। অনেকেই এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন যে যার মতো করে। সরকারি দল তথা আওয়ামী লীগ এটাকে বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছে। তাদের ধারণা, মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসব প্রোপাগান্ডা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। তবে বিরোধী দলগুলো বিষয়টিকে লুফে নিয়েছে। দুর্নীতি-সংক্রান্ত এ প্রতিবেদন তাদের সরকারবিরোধী সমালোচনার গতিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। আর জনসাধারণ হচ্ছে একের পর এক দুর্নীতির শিকার। যার কোনো প্রতিকারই করা যাচ্ছে না। সরকার বদল হচ্ছে, কিন্তু দুর্নীতি দূর হচ্ছে না। বরং তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত এ প্রতিবেদন মিথ্যা নয়, আবার পুরোপুরি সত্যও নয়। সত্য-মিথ্যার মাঝামাঝি হলেও এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কোনো কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করলেই প্রকৃত চিত্র মুছে যায় না। ধুয়ে যায় না কলঙ্ক কালিমা। দেশে অবশ্যই দুর্নীতি হয়েছে, বর্তমানেও হচ্ছে এবং তা বেশ কয়েকটি খাতে অতিমাত্রায়। তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
চাটুকারদের কথা শুনে দেশের বাস্তব চিত্র উপলব্ধি করা যাবে না। কারণ এ চাটুকার শ্রেণীর মানুষেরা রাজনীতিকদের অতিরিক্ত প্রশংসার অন্ধকারে রাখে। প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করার অবকাশ দেয় না। শুধু তাই নয়, এরাই রাজনীতিকদের নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্ম ও দুর্নীতি করে থাকে, যা রাজনীতিকদের কাঁধে এসে পড়ে। তখন তারাও পরোক্ষভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আর এভাবেই তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার প্রভাব শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়ে ব্যালট বাক্সে।
এখনও সময় আছে নীতি-নৈতিকতাহীন সব ধরনের অবৈধ পন্থা পরিত্যাগ করার। ঘুষ বাণিজ্য দূর করার। আসুন, আমরা যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রাপ্তির প্রত্যাশা করি এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেই। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বিরাজমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই সম্মিলিতভাবে। তাতে নিজেদেরও শান্তি আসবে, বৈশ্বিক শান্তিও প্রতিষ্ঠিত হবে। মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে দেশ ও জাতি।
নির্মল চক্রবর্ত্তী : ভারতের দৈনিক উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি
গত ১০ জুলাই প্রায় সব পত্রিকায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক দুর্নীতি সম্পর্কিত জরিপ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে শিরোনাম হয়েছে- রাজনৈতিক দল ও পুলিশ সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত। জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ মানুষের ধারণা, দেশে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে রাজনৈতিক দল ও পুলিশ। গ্লোবাল করাপশনে ব্যারোমিটার ব্যবস্থা শীর্ষক এ জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন দেশে দুর্নীতি বেড়েছে। তবে উত্তরদাতাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা হচ্ছে, সরকারি সেবায় ঘুষ দেয়ার হার কমেছে। উত্তরদাতাদের ধারণা, পুলিশ, বিচারব্যবস্থা ও ভূমিসেবা শীর্ষ ঘুষ গ্রহীতা খাত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশে ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতার ধারণা ছিল দেশে দুর্নীতি বেড়েছে। এখন ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা এই ধারণা পোষণ করেন। তবে উত্তরদাতারা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছেন পুলিশ, বিচারব্যবস্থা, ভূমিসেবা ও রেজিস্ট্রেশন, পারমিট সেবা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, শিক্ষা, পরিসেবা (গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি) এবং কর- এই আটটি সেবা খাতে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দেয়ার হার তুলনামূলকভাবে কমেছে। ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, সরকার বিশেষ মহলের (রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক দলের কর্মী, সমর্থক, বিশেষ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ইত্যাদি) স্বার্থ দ্বারা বিভিন্ন মাত্রায় প্রভাবিত হয়। জরিপ বলছে, রাজনৈতিক দল, পুলিশ ও বিচারব্যবস্থার পর দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে সংসদ, সরকারি প্রশাসন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, শিক্ষা, এনজিও, সামরিক বাহিনী এবং ধর্মীয় সংগঠন।
দুর্নীতির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোর একটি তুলনা প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে। বৈশ্বিকভাবে ৫৩ শতাংশ, ভারতের ৭০ শতাংশ এবং আফগানিস্তানের ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতার ধারণা দুর্নীতি বেড়েছে। অন্যদিকে বৈশ্বিকভাবে ৭২ শতাংশ, ভারতের ৮০ শতাংশ এবং আফগানিস্তানের ৭১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, সরকারে দুর্নীতি গুরুতর সমস্যা। জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৩২ শতাংশ উত্তরদাতার ধারণা, দুর্নীতি প্রতিরোধ সরকারি পদক্ষেপ অকার্যকর।
টিআই’র এ প্রতিবেদন নিয়ে আমাদের দেশে রীতিমতো হইচই হড়ে গেছে। অনেকেই এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন যে যার মতো করে। সরকারি দল তথা আওয়ামী লীগ এটাকে বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছে। তাদের ধারণা, মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসব প্রোপাগান্ডা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। তবে বিরোধী দলগুলো বিষয়টিকে লুফে নিয়েছে। দুর্নীতি-সংক্রান্ত এ প্রতিবেদন তাদের সরকারবিরোধী সমালোচনার গতিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। আর জনসাধারণ হচ্ছে একের পর এক দুর্নীতির শিকার। যার কোনো প্রতিকারই করা যাচ্ছে না। সরকার বদল হচ্ছে, কিন্তু দুর্নীতি দূর হচ্ছে না। বরং তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত এ প্রতিবেদন মিথ্যা নয়, আবার পুরোপুরি সত্যও নয়। সত্য-মিথ্যার মাঝামাঝি হলেও এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কোনো কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করলেই প্রকৃত চিত্র মুছে যায় না। ধুয়ে যায় না কলঙ্ক কালিমা। দেশে অবশ্যই দুর্নীতি হয়েছে, বর্তমানেও হচ্ছে এবং তা বেশ কয়েকটি খাতে অতিমাত্রায়। তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
চাটুকারদের কথা শুনে দেশের বাস্তব চিত্র উপলব্ধি করা যাবে না। কারণ এ চাটুকার শ্রেণীর মানুষেরা রাজনীতিকদের অতিরিক্ত প্রশংসার অন্ধকারে রাখে। প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করার অবকাশ দেয় না। শুধু তাই নয়, এরাই রাজনীতিকদের নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্ম ও দুর্নীতি করে থাকে, যা রাজনীতিকদের কাঁধে এসে পড়ে। তখন তারাও পরোক্ষভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আর এভাবেই তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার প্রভাব শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়ে ব্যালট বাক্সে।
এখনও সময় আছে নীতি-নৈতিকতাহীন সব ধরনের অবৈধ পন্থা পরিত্যাগ করার। ঘুষ বাণিজ্য দূর করার। আসুন, আমরা যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রাপ্তির প্রত্যাশা করি এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেই। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বিরাজমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই সম্মিলিতভাবে। তাতে নিজেদেরও শান্তি আসবে, বৈশ্বিক শান্তিও প্রতিষ্ঠিত হবে। মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে দেশ ও জাতি।
নির্মল চক্রবর্ত্তী : ভারতের দৈনিক উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি
No comments