সিরিয়া হামলার ৫ ঝুঁকি
সিরিয়ায় সীমিত পরিসরে সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি সপ্তাহেই হামলা চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ইউএসএ টুডের এক প্রতিবেদনে শনিবার বলা হয়, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলায় অন্তত পাঁচটি ঝুঁকি রয়েছে।
১. ব্যর্থতা
সীমিত আকারে সামরিক হামলা হলে তা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে। ফলে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রাখতে পারেন। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ওপর হামলার আকার বৃদ্ধির জন্য চাপ বাড়তে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
২. সিরিয়ার পাল্টা জবাব
আক্রান্ত হলে সিরিয়া তার চিরশত্র“ ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সমীকরণ হতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জর্ডান, সৌদি আরব, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বেঁকে বসতে পারে। তারা বাশারের যেমনি বিরোধী, তেমনি ইসরাইলের বাড়াবাড়িকে সমর্থন করবে না।
৩. ইরানের হস্তক্ষেপ
সিরিয়ায় পশ্চিমা হামলা হলে দেশটির অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান তার নৌ-শক্তিকে ব্যবহার করে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে। পৃথিবীর ২০ ভাগ জ্বালানি তেল পারস্য উপসাগরের এই সংকীর্ণ পথ দিয়ে পারাপার হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নৌ-শক্তির ওপর সামরিক হামলা চালাতে পারে। এতে শিয়া প্রধান ইরানের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে থাকা শিয়ারা জেগে উঠতে পারে। উল্লেখ্য; ইরান ইতিমধ্যেই হুশিয়ার করে দিয়েছে যে সিরিয়া আক্রান্ত হলে মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলবে।
৪. রাশিয়ার লাভ
প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া আবার অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাশিয়ার প্রভাবও বেড়েছে অনেকাংশে। রাশিয়া চাইবেÑ সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ব্যর্থ করে দিতে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পাবে এবং পশ্চিমা প্রভাব হ্রাস পাবে।
রাশিয়া ইতিমধ্যেই ভূমধ্যসাগরে দুটি রণতরী পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
৫. ইসলামপন্থী সংগঠনের হামলা
সিরিয়ায় হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস ও হেজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে। বিশেষ করে বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর হতে পারে হামলার লক্ষ্যবস্তু। এ দুটো সংগঠন সব সময়ই কট্টর ইসরাইল-বিরোধী।
১. ব্যর্থতা
সীমিত আকারে সামরিক হামলা হলে তা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে। ফলে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রাখতে পারেন। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ওপর হামলার আকার বৃদ্ধির জন্য চাপ বাড়তে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
২. সিরিয়ার পাল্টা জবাব
আক্রান্ত হলে সিরিয়া তার চিরশত্র“ ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সমীকরণ হতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জর্ডান, সৌদি আরব, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বেঁকে বসতে পারে। তারা বাশারের যেমনি বিরোধী, তেমনি ইসরাইলের বাড়াবাড়িকে সমর্থন করবে না।
৩. ইরানের হস্তক্ষেপ
সিরিয়ায় পশ্চিমা হামলা হলে দেশটির অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান তার নৌ-শক্তিকে ব্যবহার করে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে। পৃথিবীর ২০ ভাগ জ্বালানি তেল পারস্য উপসাগরের এই সংকীর্ণ পথ দিয়ে পারাপার হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নৌ-শক্তির ওপর সামরিক হামলা চালাতে পারে। এতে শিয়া প্রধান ইরানের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে থাকা শিয়ারা জেগে উঠতে পারে। উল্লেখ্য; ইরান ইতিমধ্যেই হুশিয়ার করে দিয়েছে যে সিরিয়া আক্রান্ত হলে মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলবে।
৪. রাশিয়ার লাভ
প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া আবার অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাশিয়ার প্রভাবও বেড়েছে অনেকাংশে। রাশিয়া চাইবেÑ সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ব্যর্থ করে দিতে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পাবে এবং পশ্চিমা প্রভাব হ্রাস পাবে।
রাশিয়া ইতিমধ্যেই ভূমধ্যসাগরে দুটি রণতরী পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
৫. ইসলামপন্থী সংগঠনের হামলা
সিরিয়ায় হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস ও হেজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে। বিশেষ করে বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর হতে পারে হামলার লক্ষ্যবস্তু। এ দুটো সংগঠন সব সময়ই কট্টর ইসরাইল-বিরোধী।
No comments