১৭৫ নারী ও একজন সাদেকা by রহিদুল মিয়া
সুই দিয়ে শাড়িতে চুমকি, জরি, পুঁতি বসানোর কাজে ব্যস্ত সাদেকা আক্তার (বাঁয়ে)। তাঁকে সহযোগিতা করছেন অন্যরা। নারীদের নিয়ে তিনি ‘বেগম রোকেয়া মহীয়সী নারী মহিলা উন্নয়ন সমিতি’ গড়ে তুলেছেন ছবি: প্রথম আলো |
‘বিশ্বে
যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার
নর’। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নারীদের কল্যাণমুখী
কাজের কথা শুনে কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতার কথাই মনে পড়ে। নারীরা
গ্রামের জন্য, নিজেদের জন্য শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা দরিদ্র শিশুদের বিনা
মূল্যে শিক্ষাদান ও উপকরণ সরবরাহ, দুস্থ রোগীকে অর্থ, রক্তদান, ঘরে ঘরে
গিয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। গরিব ঘরের মেয়ের বিয়েতে সহযোগিতা,
ধর্মীয় উৎসবে হতদরিদ্রদের কাপড়, টাকা, শীতে কম্বল দেন। পরামর্শ দেন
সবাইকে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারের।সমাজ বদলের এই কাজে নেতৃত্ব
দিচ্ছেন সাদেকা আক্তার (২৮)। গ্রামের নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথও
দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর দেখানো পথে ওই গ্রামের অন্তত দেড় শ গৃহবধূ
দাঁড়িয়েছেন নিজের পায়ে। সংসারে এনেছেন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য।
অনুপ্রেরণা রোকেয়া: তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট গ্রামের সহিদুল ইসলামের মেয়ে সাদেকা। অভাবের সংসারে নবম শ্রেণীতে উঠেই বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনা। ২০০০ সালে তাঁর বিয়ে হয় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আবদুল জলিলের সঙ্গে। কিছুটা লেখাপড়া জানা সাদেকা শ্বশুরবাড়িতে এসে দেখেন, যৌতুকের জন্য ওই গ্রামের নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অল্প বয়সী মেয়েদের দেওয়া হচ্ছে বিয়ে। শিশুরা স্কুলে না গিয়ে খেতে কাজ করছে। গ্রামের এ চিত্র সাদেকাকে নাড়া দেয়। কিছু একটা করার কথা ভাবেন তিনি। স্বপ্ন দেখেন গ্রামের সব ছেলেমেয়ে স্কুলে যাবে, কোনো বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না। নারীরাও আয় করে সমাজে মাথা উঁচু করে চলবেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ২০০৩ সালের মে মাসে গ্রামের ১০১ জন দরিদ্র নারীকে নিয়ে একটি সমিতি গঠন করেন। সমিতির নাম দেন ‘বেগম রোকেয়া মহীয়সী নারী মহিলা উন্নয়ন সমিতি’।
১০ টাকায় শুরু: সদস্যরা প্রত্যেকে সপ্তাহে ১০ টাকা করে সমিতিতে জমা দিতে থাকেন। দুই বছরে সমিতির সঞ্চয় আর তা বিনিয়োগ করে পাওয়া লাভে তহবিলে জমা হয় দুই লাখ ৯৫ হাজার টাকা। সদস্যরা তা ভাগ করে নেন। ওই টাকা দিয়ে হাঁস-মুরগি, ছাগল কিনে পালন শুরু করেন। সমিতির প্রাথমিক এই সাফল্য আত্মবিশ্বাসী করে সাদেকাকে। ২০০৬ সালে সাদেকা তারাগঞ্জ পল্লী উন্নয়ন অফিসের অধীনে ‘হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ প্রকল্প’-এর আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে সমিতির সদস্যদের শাড়িতে নকশা তোলার হাতের কাজ শেখান। সমিতির তহবিল থেকে কাপড়, সুতা, চুমকি, জরি, পুঁতি কিনে শুরু করেন শাড়িতে নকশা করার কাজ।
সেই গ্রামে একদিন: সম্প্রতি এক সকালে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামটির নারীরা শাড়িতে নকশা তোলার কাজ করছেন। একটি সাধারণ জর্জেট শাড়ি নকশার কাজের পর কতটা অসাধারণ হয়ে ওঠে, তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। সেখানকার বেশির ভাগ বাড়িতে চকচক করছে টিনের চালা। খড়ের কুঁড়েঘর নেই বললেই চলে। গ্রামের নারীরা শাড়িতে সুই দিয়ে চুমকি, জরি, পুঁতি বসানোর কাজে ব্যস্ত।
আক্তারা খাতুন নামের এক কারিগর জানান, উজ্জ্বল রঙের ওপর নকশাগুলো ফোটে ভালো। একটি জর্জেট কিংবা টিস্যু শাড়িকে নকশার কাজে সাজাতে একজন কারিগরের পাঁচ-ছয় দিন লাগে। বিভিন্ন জেলা-উপজেলার পাইকারেরা অর্ডার দিয়ে শাড়িতে নকশার কাজ করে নেন। তাঁরাই এখন শাড়িতে কাজ করতে প্রয়োজনীয় সুই, সুতা, চুমকি, জরি ও পাথর দেন। সমিতির অধীনেও নকশার কাজ করা হয়। প্রতিটি শাড়ির মজুরি বাবদ কারিগরদের দেওয়া হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। একজন নারী কারিগর মাসে চার-পাঁচটি শাড়িতে কাজ করতে পারেন। গড়ে মাসে তাঁদের তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আয় হয়।
‘মা দল’, ‘নারী দল’: সমিতিতে গিয়ে দেখা যায়, সাদেকা সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করছেন। সাদেকা জানালেন, সমিতির অধীনে শাড়িতে নকশার কাজ ছাড়াও মাছ, সবজি, কলা, আদা চাষ করা হচ্ছে। এসব খাত থেকে আসা আয়ের ১০ শতাংশ গ্রামবাসীর কল্যাণে ব্যয় করা হয়। ১০১ জন সদস্য নিয়ে সমিতি শুরু হলেও এখন সদস্য ১৭৫ জন।
সমিতির ৪০ জন নারী নিয়ে আছে একটি ‘মা দল’। এ দলের সদস্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে নারীদের ধারণা দেন। শিশুদের সময়মতো টিকা দেওয়া হয়েছে কি না খোঁজ নেন। বসতভিটায় সবজি চাষের পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া গ্রামে বাল্যবিবাহ, বহু বিবাহ রোধের জন্য ৫০ সদস্যের একটি নারী দল আছে। এ দলের নারীরা গত তিন বছরে ডাঙ্গাপাড়া, দোলাপাড়া, চিলাপাক গ্রামের সাতজন শিশুকে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
সমিতি থেকে একটি শিক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এটি পরিচালনা করেন গ্রামের গৃহবধূ রূপালী বেগম। মাসে দেড় হাজার টাকা তিনি ভাতা পান।
দিনবদল: সাহেবা বেওয়ার জমি ছিল না। ১২ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর ভিক্ষা করে কোনো রকমে চার সদস্যের সংসার চালাতেন। এখন তাঁর বাড়িতে হাঁস-মুরগি, গাভি আছে। শাড়িতে নকশার কাজ করে মাসে চার হাজার টাকা পান।
গৃহবধূ জেন্না বেগম জানান, তাঁর বিয়ে হয় ১৫ বছর বয়সে। বেকার স্বামীর সংসারে ঠিকমতো দুই বেলার খাবার জুটত না। সমিতি থেকে ভাগে পাওয়া লাভের টাকায় এখন তাঁর স্বামী চালের ব্যবসা করছেন। তিনি করেন শাড়িতে নকশার কাজ। স্বামী আর তাঁকে নির্যাতন করেন না। সাহেবা ও জেন্না বেগমের মতো অন্য নারীরাও বললেন, সাদেকা আপা আমাদের নতুন জীবন দিয়েছেন। সংসারে এখন তাঁরা সিদ্ধান্তও দিতে পারেন।
সাদেকার স্বপ্ন: অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়ায় সাদেকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। উল্লাপাড়া গ্রামের নারীদের সমাজ বদলে অবদানের কথা জানেন স্থানীয় সাংসদ আনিছুল ইসলাম মণ্ডলও। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের তৎপরতা দেখেছি। তাঁদের কাজ প্রশংসার দাবিদার।’
নারীদের জন্য আর কী করতে চান? এ প্রশ্নের জবাবে সাদেকা মিষ্টি হেসে বলেন, ‘এখন আমার একটাই স্বপ্ন, নারীদের জীবনের দুঃখ মোচন করা। এ জন্য ধীরে ধীরে শাড়িতে নকশার কাজে অন্য গ্রামের নারীদের যুক্ত করব। পুরো উপজেলার নারীদের সংগঠিত করে সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা দেব।
অনুপ্রেরণা রোকেয়া: তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট গ্রামের সহিদুল ইসলামের মেয়ে সাদেকা। অভাবের সংসারে নবম শ্রেণীতে উঠেই বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনা। ২০০০ সালে তাঁর বিয়ে হয় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আবদুল জলিলের সঙ্গে। কিছুটা লেখাপড়া জানা সাদেকা শ্বশুরবাড়িতে এসে দেখেন, যৌতুকের জন্য ওই গ্রামের নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অল্প বয়সী মেয়েদের দেওয়া হচ্ছে বিয়ে। শিশুরা স্কুলে না গিয়ে খেতে কাজ করছে। গ্রামের এ চিত্র সাদেকাকে নাড়া দেয়। কিছু একটা করার কথা ভাবেন তিনি। স্বপ্ন দেখেন গ্রামের সব ছেলেমেয়ে স্কুলে যাবে, কোনো বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না। নারীরাও আয় করে সমাজে মাথা উঁচু করে চলবেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ২০০৩ সালের মে মাসে গ্রামের ১০১ জন দরিদ্র নারীকে নিয়ে একটি সমিতি গঠন করেন। সমিতির নাম দেন ‘বেগম রোকেয়া মহীয়সী নারী মহিলা উন্নয়ন সমিতি’।
১০ টাকায় শুরু: সদস্যরা প্রত্যেকে সপ্তাহে ১০ টাকা করে সমিতিতে জমা দিতে থাকেন। দুই বছরে সমিতির সঞ্চয় আর তা বিনিয়োগ করে পাওয়া লাভে তহবিলে জমা হয় দুই লাখ ৯৫ হাজার টাকা। সদস্যরা তা ভাগ করে নেন। ওই টাকা দিয়ে হাঁস-মুরগি, ছাগল কিনে পালন শুরু করেন। সমিতির প্রাথমিক এই সাফল্য আত্মবিশ্বাসী করে সাদেকাকে। ২০০৬ সালে সাদেকা তারাগঞ্জ পল্লী উন্নয়ন অফিসের অধীনে ‘হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ প্রকল্প’-এর আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়ে সমিতির সদস্যদের শাড়িতে নকশা তোলার হাতের কাজ শেখান। সমিতির তহবিল থেকে কাপড়, সুতা, চুমকি, জরি, পুঁতি কিনে শুরু করেন শাড়িতে নকশা করার কাজ।
সেই গ্রামে একদিন: সম্প্রতি এক সকালে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামটির নারীরা শাড়িতে নকশা তোলার কাজ করছেন। একটি সাধারণ জর্জেট শাড়ি নকশার কাজের পর কতটা অসাধারণ হয়ে ওঠে, তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। সেখানকার বেশির ভাগ বাড়িতে চকচক করছে টিনের চালা। খড়ের কুঁড়েঘর নেই বললেই চলে। গ্রামের নারীরা শাড়িতে সুই দিয়ে চুমকি, জরি, পুঁতি বসানোর কাজে ব্যস্ত।
আক্তারা খাতুন নামের এক কারিগর জানান, উজ্জ্বল রঙের ওপর নকশাগুলো ফোটে ভালো। একটি জর্জেট কিংবা টিস্যু শাড়িকে নকশার কাজে সাজাতে একজন কারিগরের পাঁচ-ছয় দিন লাগে। বিভিন্ন জেলা-উপজেলার পাইকারেরা অর্ডার দিয়ে শাড়িতে নকশার কাজ করে নেন। তাঁরাই এখন শাড়িতে কাজ করতে প্রয়োজনীয় সুই, সুতা, চুমকি, জরি ও পাথর দেন। সমিতির অধীনেও নকশার কাজ করা হয়। প্রতিটি শাড়ির মজুরি বাবদ কারিগরদের দেওয়া হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। একজন নারী কারিগর মাসে চার-পাঁচটি শাড়িতে কাজ করতে পারেন। গড়ে মাসে তাঁদের তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আয় হয়।
‘মা দল’, ‘নারী দল’: সমিতিতে গিয়ে দেখা যায়, সাদেকা সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করছেন। সাদেকা জানালেন, সমিতির অধীনে শাড়িতে নকশার কাজ ছাড়াও মাছ, সবজি, কলা, আদা চাষ করা হচ্ছে। এসব খাত থেকে আসা আয়ের ১০ শতাংশ গ্রামবাসীর কল্যাণে ব্যয় করা হয়। ১০১ জন সদস্য নিয়ে সমিতি শুরু হলেও এখন সদস্য ১৭৫ জন।
সমিতির ৪০ জন নারী নিয়ে আছে একটি ‘মা দল’। এ দলের সদস্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে নারীদের ধারণা দেন। শিশুদের সময়মতো টিকা দেওয়া হয়েছে কি না খোঁজ নেন। বসতভিটায় সবজি চাষের পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া গ্রামে বাল্যবিবাহ, বহু বিবাহ রোধের জন্য ৫০ সদস্যের একটি নারী দল আছে। এ দলের নারীরা গত তিন বছরে ডাঙ্গাপাড়া, দোলাপাড়া, চিলাপাক গ্রামের সাতজন শিশুকে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
সমিতি থেকে একটি শিক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এটি পরিচালনা করেন গ্রামের গৃহবধূ রূপালী বেগম। মাসে দেড় হাজার টাকা তিনি ভাতা পান।
দিনবদল: সাহেবা বেওয়ার জমি ছিল না। ১২ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর ভিক্ষা করে কোনো রকমে চার সদস্যের সংসার চালাতেন। এখন তাঁর বাড়িতে হাঁস-মুরগি, গাভি আছে। শাড়িতে নকশার কাজ করে মাসে চার হাজার টাকা পান।
গৃহবধূ জেন্না বেগম জানান, তাঁর বিয়ে হয় ১৫ বছর বয়সে। বেকার স্বামীর সংসারে ঠিকমতো দুই বেলার খাবার জুটত না। সমিতি থেকে ভাগে পাওয়া লাভের টাকায় এখন তাঁর স্বামী চালের ব্যবসা করছেন। তিনি করেন শাড়িতে নকশার কাজ। স্বামী আর তাঁকে নির্যাতন করেন না। সাহেবা ও জেন্না বেগমের মতো অন্য নারীরাও বললেন, সাদেকা আপা আমাদের নতুন জীবন দিয়েছেন। সংসারে এখন তাঁরা সিদ্ধান্তও দিতে পারেন।
সাদেকার স্বপ্ন: অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়ায় সাদেকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। উল্লাপাড়া গ্রামের নারীদের সমাজ বদলে অবদানের কথা জানেন স্থানীয় সাংসদ আনিছুল ইসলাম মণ্ডলও। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের তৎপরতা দেখেছি। তাঁদের কাজ প্রশংসার দাবিদার।’
নারীদের জন্য আর কী করতে চান? এ প্রশ্নের জবাবে সাদেকা মিষ্টি হেসে বলেন, ‘এখন আমার একটাই স্বপ্ন, নারীদের জীবনের দুঃখ মোচন করা। এ জন্য ধীরে ধীরে শাড়িতে নকশার কাজে অন্য গ্রামের নারীদের যুক্ত করব। পুরো উপজেলার নারীদের সংগঠিত করে সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা দেব।
No comments